হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’

মো. মশিউর রহমান

এবারের পহেলা বৈশাখের প্রতিপাদ্য বিশ্বকবির কবিতার এই লাইনটি- ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’। মানুষ যখন অন্যায়, অন্ধত্ব বা অপশক্তির দাসত্ব করতে করতে ক্ষুদ্র জীবে পরিণত হয় তখন সে আর তার শির ক্ষমতাবানের সামনে উন্নত করতে পারে না। তখন তার অবরুদ্ধ হৃদয় ক্রন্দন করে, সে মাথার উপরের ছাদ ফুঁড়ে স্বাধীন আকাশে পৌঁছাতে চায়। বর্তমানে বাঙালি জাতির মধ্যে বহুমুখী আদর্শিক সংঘাত শুরু হয়েছে। একদিকে আছে ধর্মান্ধতার ধারকেরা যারা নিজেদের চিন্তাধারার বিপরীতপন্থীদের ফতোয়ার বানে ভাসিয়ে দেবে, আরেকদিকে আছে ধান্ধাবাজ পুঁজিবাদী ব্যবসায়ীরা যারা ভালো দাম পেলে মাকেও বেঁচে দেবে, আরেকদিকে আছে ‘একদিনের বাঙালি’ সাজা কথিত সংস্কৃতিমনা গোষ্ঠী যারা বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করার নাম করে আজগুবি সব কালচার আমদানি করার চেষ্টা করছে। রবীন্দ্রনাথ যে মস্তক তোলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন তা এই শতবর্ষ পরেও বাঙালিদের জন্য অতি প্রাসঙ্গিক হয়ে আছে।

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই বাংলার কৃষক শ্রমিক সাধারণ জনতাকে, সেই সাধারণ মানুষদেরকে যাদের শ্রম ও ঘামের বিনিময়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে এই সমাজ, এই দেশ। বর্তমানে আমরা এমনই এক অস্থিতিশীল মুহূর্ত পার করছি যখন উৎসব পার্বনের দিন পালন করার মতো মানসিক স্থিতি সকলের থাকে না। তবু পুঁজিবাদী অর্থনীতির ধ্বজাধারীরা মানুষকে দিয়ে উৎসব করিয়ে ছাড়বে এমন সিদ্ধান্ত করে আছে। তাই নুসরাতের কবরে ঘাস না গজাতেই বাঙালি আজ মেতে উঠেছে উৎসবে। এটা হচ্ছে একটি শ্রেণির চিত্র যাদের হাতে পয়সা এসেছে। তাদের অনেকেই সামান্য কারণে বিদেশে যান আর দেশের পয়সা উড়িয়ে আসেন বীরবিক্রমে। পক্ষান্তরে হাতে পয়সা হয়নি এমন শ্রেণিটির অবস্থা খুব সঙ্গীন। তাদের কাছে ঈদের দিন বা পহেলা বৈশাখের বাড়তি কোনো বৈশিষ্ট্য নেই, এগুলো শুধুই একটা দিন। নিষ্ঠুর দারিদ্রতার কষাঘাতে সুখ আহ্লাদ বিদায় নিয়েছে। তবে একটা সময় পহেলা বৈশাখে তারাও আনন্দ করতে পারত। কারণ তখন ইলিশ পান্তার প্রচলন হয়নি। ১০ হাজার টাকায় এক হালি ইলিশের তো প্রশ্নই আসে না।

আমাদের দেশে ধর্মীয় দিবসগুলো যেমন ঈদ, বিশ্বনবীর জন্মদিন, দুর্গাপূজা ইত্যাদি বেশ সমারোহে পালন করা হয়। বড়দিনও পালিত হয়। বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সংখ্যায় কম বলে তাদের উৎসব যেমন বুদ্ধ পূর্ণিমা বড়দিন ইত্যাদি পালিত হলেও, গণমাধ্যমে কিছু অনুষ্ঠান প্রচারিত হলেও তা পুরো জনগোষ্ঠীর উপর প্রভাব ফেলে না। ধর্মীয় দিবসের বাইরে এ অঞ্চলে শত শত বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে একটি উৎসব, তা হলো পহেলা বৈশাখ। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমাদের কোনো কাজ চলে না
বলে বছরের অন্যান্য বাংলা মাসের দিনগুলো আমরা মনে রাখি না। এই দিবসটির উৎসবে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করে। তবে সম্প্রতি আমরা দেখছি এই পহেলা বৈশাখ পালনের বিরুদ্ধে আলেম ওলামা শ্রেণির মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। একে তাদের অনেকেই সরাসরি ইসলামবিরোধী বলে সাব্যস্ত করছেন বিশেষ করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন পশু পাখির প্রতিকৃতি ব্যবহারকে যে প্রতিকৃতিগুলো হিন্দু সম্প্রদায়ের আচারের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত। কিন্তু ১৯৮৯ থেকে চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ঢাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন হয়েছে আর এটা নিয়েই আপত্তি তুলছেন অনেকে। পহেলা বৈশাখের নামে অশ্লীলতার চর্চাও ছড়িয়ে পড়ছে, আলেম ওলামারা তারও বিরোধিতা করছেন। কিন্তু বৈশাখী উৎসব শত শত বছরের পুরনো। এতদিন তো এ নিয়ে এত বিতর্ক ছিল না। এখন কেন হচ্ছে?

এখানে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, আল্লাহর দীনের একটি নাম দীনুল ফেতরাহ অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়মনির্ভর দীন। সুতরাং প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যকে বিবেচনায় রেখেই এর বিধানাবলি রচিত যেন সারা পৃথিবীতেই এটি কার্যকর করা যেতে পারে। সকল অঞ্চলের মানুষের জন্যও তা পালনযোগ্য হয়। এজন্যই তো শেষনবীর উপাধি আল্লাহ দিয়েছেন রাহমাতাল্লিল আলামিন বা সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত। এর বিস্তৃতি অনেক ব্যাপক, এর চিন্তা ও দর্শন অনেক উদার। এখানে কোনো সংকীর্ণতার জায়গাই নেই। খুব ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে, পবিত্র কোর’আনে আঞ্চলিক বিভিন্ন ধরনের মানুষের রুচি অভিরুচির উপর, সাংস্কৃতিক উৎসব পালনে খুব বেশি সীমারেখা বা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেনি। কেবল কিছু নীতিমালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো অশ্লীলতা ও আল্লাহর নাফরমানি করা যাবে না, শেরক কুফর করা যাবে না। তিনি রসুলকে নির্দেশ দিচ্ছেন, “বল, আমার রব তো হারাম করেছেন অশ্লীল কাজ যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে, আর পাপ ও অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন এবং আল্লাহর সাথে অন্য কাওকে শরীক করা, যে ব্যাপারে আল্লাহ কোনো প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর উাপরে এমন কিছু বলা যা তোমরা জানো না (সুরা আরাফ ৩৩)।

এই স্পষ্ট নীতিমালা মাথায় রেখেই মুসলিমরা অর্ধ জাহানে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু কারো আঞ্চলিক উৎসব পালনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তি করেনি। খেলাফতের ক্ষতি না হয় এমনভাবে তারা তাদের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পেরেছে। এখানে দু’টো হাদিস উল্লেখযোগ্য।

(ক) একবার আরবের একটি জাতীয় উৎসবের দিন ‘বুয়াস দিবস’- এ দুটো মেয়ে রসুলাল্লাহর ঘরে দফ ও তাম্বুরা বাজিয়ে গান গাইছিল। আম্মা আয়েশাও (রা.) গান শুনছিলেন। এমন সময় তাঁর পিতা আবু বকর (রা.) সেখানে আসেন এবং আম্মা আয়েশাকে (রা.) তিরস্কার করেন। তখন আল্লাহর নবী আবু বকরের (রা.) দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আবু বকর! তাদেরকে তাদের কাজ করতে দাও” (সহিহ বোখারী, হাদিস নং ৯৮৭)।

(খ) আয়েশা (রা.) একটি মেয়েকে লালন পালন করতেন। অতঃপর তাকে এক আনসারের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানস্থল থেকে আয়েশা (রা.) এর প্রত্যাবর্তনের পর রাসুলাল্লাহ (সা.) জিজ্ঞেস করলেন,“তুমি কি মেয়েটিকে তার স্বামী গৃহে রেখে এসেছো?” উত্তরে তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। পুনরায় রাসুল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি এমন কাউকে তাদের বাড়ি পাঠিয়েছ যে গান গাইতে পারে?” আয়েশা (রা.) বললেন, “না”। রাসুলাল্লাহ বললেন, “তুমি তো জান আনসাররা অত্যন্ত সংগীতপ্রিয়” (ইকদ আল ফরিদ)।

একটি হাদিসে আঞ্চলিক বুয়াস দিবসের গান রসুল গাইতে অনুমতি দিলেন এবং অপর হাদিসে আনসারদের সঙ্গীতানুরাগের বিষয়টিকে সমর্থন করে গায়ক পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তবে ইসলাম নিজস্ব কিছু উৎসব দিবসও প্রবর্তন করেছে – যেমন ঈদ।
আল্লাহ দ্ব্যার্থহীনভাবে কয়েকটি জিনিসকে হারাম করেছেন, সেগুলো হারাম। কিছু খাদ্য আছে হারাম, কিছু উপার্জন আছে হারাম, কিছু নারী আছে হারাম, কিছু কাজ আছে হারাম। এসবের বাইরে যা কিছু আছে তা বৈধ বা হালাল। কোনো কাজের উদ্দেশ্য বা পরিণতি যদি মানুষের অনিষ্টের কারণ হয় তাহলে সেটা কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। আর যদি তার উদ্দেশ্য হয় মানুষের কল্যাণসাধন তাহলে একে হারাম ফতোয়া দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। আমরা পবিত্র কোর’আনের সুরা আন’আমের ১৪১ নম্বর আয়াতটি থেকে কৃষি-সংস্কৃতির দিবস উদ্যাপন প্রসঙ্গে আল্লাহর নীতিমালা জানতে পারি। এ আয়াতে আল্লাহ বলছেন,
তিনিই শস্যক্ষেত্র ও সবজি বাগান সৃষ্টি করেছেন, এবং সে সমস্ত (লতা জাতীয়) গাছ যা মাচার উপর তুলে দেয়া হয়, এবং যা মাচার উপর তোলা হয় না এবং খেজুর গাছ ও বিভিন্ন আকৃতি ও স্বাদের খাদ্যশস্য। এবং জলপাই জাতীয় ফল ও ডালিম সৃষ্টি করেছেন- যা একে অন্যের সাদৃশ্যশীল এবং সাদৃশ্যহীন। এগুলোর ফল খাও, যখন তা খাওয়ার উপযোগী হয় এবং ফসল তোলার দিনে এগুলোর হক আদায় করো। কিন্তু অপব্যয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না।

এ আয়াতে তিনটি শব্দ লক্ষণীয়- (ক) ফসল তোলার দিন, (খ) হক আদায় করা, (গ) অপচয় না করা। কোর’আনের প্রসিদ্ধ ইংরেজি অনুবাদগুলোতে (যেমন আল্লামা ইউসুফ আলী, মারমাডিউক পিকথল) ফসল তোলার দিনের অনুবাদ করা হয়েছে Harvest day. আয়াতটিতে আমরা কয়েকটি বিষয় পাচ্ছি:

১. কৃষক যা কিছু চাষ করে তা ফল বা ফসল যাই হোক, সেটা কাটার দিন (ইয়াওমুল হাসাদ) এর হক আদায় করতে হবে। সেই হক হচ্ছে- এর এক একটি নির্দিষ্ট অংশ হিসাব করে গরিব মানুষকে বিলিয়ে দিতে হবে। ফসলের এই বাধ্যতামূলক যাকাতকে বলা হয় ওশর।
২. যেদিন নতুন ফসল কৃষকের ঘরে উঠবে সেদিন স্বভাবতই কৃষকের সীমাহীন আনন্দ হবে। এই আনন্দের ভাগিদার হবে গরিবরাও। কেননা তারা ফসলের অধিকার পেয়ে সন্তুষ্ট হবে, তাদের দারিদ্র্য ঘুঁচে যাবে। কিন্তু আল্লাহ সাবধান করে দিলেন এই আনন্দের আতিশয্যে যেন কেউ অপচয় না করে।

আমাদের দেশে ফসল কাটার দিনে আনন্দ করা হয়, বিভিন্ন ফসলের জন্য বিভিন্ন পার্বণ পালন করা হয়। সুতরাং বোঝা গেল, কৃষিনির্ভর উৎসব আল্লাহ হারাম করেননি আর বাংলা সন যে কৃষিসন তা সকলেই জানেন। আমরা আমাদের শৈশবে যেভাবে পহেলা বৈশাখ পালন করতে দেখেছি সেটা আজকের মতো ছিল না। তখন কোনো এক বটতলায় বা নদীর ধারে মেলা বসত। তাতে কাঠ-বাঁশের তৈরি কুটির শিল্পজাত বহু গ্রাম্য পণ্য উঠত, নানা ধরনের মিঠাই জাতীয় খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা হতো। চাষের কাজে ব্যবহৃত লাঙল, কাস্তে, কোদাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দা খুন্তি ইত্যাদিও কেনাবেচা হতো। শিশুদের আনন্দের কোনো সীমা থাকত না। খেলনা গাড়ি নিয়ে, ডুগডুগি, বাঁশি বাজাতে বাজাতে তারা বাবার হাত ধরে বাড়ি ফিরত। বৈশাখের কাঁচা আম কেটে খাওয়ার জন্য সস্তায় ছুরি চাকুও কিনত বাচ্চারা। সেই ছুরির আয়ু হতো সর্বসাকুল্যে এক মাস। হিন্দু মুসলমান সবাই মেলায় যেত। সাম্প্রদায়িক চিন্তা খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু এখন পহেলা বৈশাখ আসার একমাস আগে থেকেই ওয়াজে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর পক্ষে-বিপক্ষে উত্তপ্ত কথা চালাচালি শোনা যেতে থাকে। প্রশাসন সতর্কবার্তা দিতে থাকে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আমরা যেন মধ্যপন্থা বলে কোনো কিছু জানি না, যা-ই হয় সব চরম আকার ধারণ করে। মেলাতেও কি ব্যবসা হতো না? কিন্তু আজকে এমনভাবে প্রতিটি বিষয়কে বাণিজ্যিক বানিয়ে ফেলা হচ্ছে যে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বৈশাখী উৎসব। অকারণ হুলুস্থুল করা হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে। উভয়দিকেই বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। এর মূলে যে বাঙালিয়ানার চেতনাটি ছিল সেই চেতনা ভুলে গিয়ে বাণিজ্যই সার হয়েছে। আবার যারা ধর্মান্ধ গোষ্ঠী তারা আবার এটাকে অসিলা ধরে বৈশাখ পালনকেই সম্পূর্ণ হারাম বলে ফতোয়া দিচ্ছে।

এই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলাটা ইসলামের নীতি পরিপন্থী। এই দীনের আরেকটি নাম হচ্ছে দীনুল ওয়াসাতা অর্থাৎ ভারসাম্যপূর্ণ দীন। ইসলামে তো আঞ্চলিক সংস্কৃতি পালন করতে নিষেধ করা হয় নি। বলা হয়েছে যেন অশ্লীলতা না হয়, যেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা না হয়, যেন অপচয় না হয়। এখন এই সবগুলোই করা হচ্ছে। উৎসবকে কুক্ষিগত করা হচ্ছে, এটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে, মাঠ গরম করা হচ্ছে। আমাদের উচিত হবে সকল কিছুকেই একটি ভারসাম্যের মধ্যে নিয়ে আসা, জাতির মধ্যে এই ভারসাম্যের বোধকে জাগ্রত করা। আনন্দ করব, উৎসব করব কিন্তু সবই করব শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে, পরিমিতিবোধ হারিয়ে না ফেলে। জাতির অকল্যাণ হয় এমন সব কিছুই পরিত্যাজ্য। সব কিছুর লক্ষ্য হবে মানুষের অধিকার রক্ষা। মানুষ এমন এক সৃষ্টি যার দৈহিক ও মানসিক উভয় চাহিদাই পুরণ করতে হয়। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য তার আনন্দ বিনোদনেরও প্রয়োজন পড়ে। সেটার পথ প্রাকৃতিক দীন ইসলাম রুদ্ধ করতে পারে না।

[লেখক: সাধারণ সম্পাদক, হেযবুত তওহীদ
ফোন: ০১৬৭০-১৭৪৬৪৩, ০১৭১১-০০৫০২৫]

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...