হেযবুত তওহীদের একটি নিবন্ধ বা বই

পাল্টে দিতে পারে
আপনার জীবন!

Cover Design

পন্নী পরিবারের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস

বিষয়বস্তু

পন্নী পরিবারের গৌরবময় ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো। কেবল ইসলামের প্রচার প্রসার নয়, ভারতবর্ষের রাজনৈতি উত্থান-পতনে এই পরিবারের সদস্যরা ভূমিকা রেখে আসছেন সেই সুলতানি যুগ থেকে। এমনকি বাংলার স্বাধীন সুলতান ছিলেন আফগানিস্তান থেকে আগত এই পাঠান ‘কররানি’ রাজবংশের সদস্যরা। দিল্লির সম্রাট আকবরের আগ্রাসন থেকে বাংলাকে রক্ষার জন্য সর্বশেষ স্বাধীন সুলতান দাউদ খান কররানি সিংহের বিক্রমে দিল্লির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করেন এবং নিজের শির উপহার দেন। পরবর্তী ব্রিটিশ যুগে মুসলিম রেনেসাঁর পুরোধা ছিল পন্নী জমিদার পরিবার। এ পরিবারেই জন্ম নিয়েছেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এক ক্ষণজন্মা মহা পুরুষ যিনি একাধারে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ, যিনি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা-সংবলিত যুক্তিপূর্ণ ও প্রামাণ্য প্রভূত গ্রন্থাবলি রচনা করে জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, ধর্মের নামে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা ও ইসলাম বিদ্বেষের মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। এ বইটিতে তাঁর কর্মময় জীবনের উপর বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।

dhormobebsar-faade

ধর্মব্যবসার ফাঁদে

বিষয়বস্তু

আজকের বৈশ্বিক ভয়াবহ সঙ্কটে মুসলিম দাবিদার জনগোষ্ঠীটি নিপতিত। এমন কি তাদেরকে ধরাপৃষ্ঠ থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্য পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো টার্গেট করেছে। এমতাস্থায় জাতির সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ঐক ̈বদ্ধ হওয়া। এই ঐক ̈গঠনের পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে ̄ স্বর্থকেন্দ্রিক ধর্মব্যবসা। এ মহাসংকট থেকে উদ্ধার পেতে হলে ধর্মব্যবসার বিষবৃক্ষকেই উপড়ে ফেলতে হবে। তা না হলে ধর্মের অনাবিল রূপ, প্রকৃত রূপ মানুষ কোনোদিন দেখতে পাবে না, ঐক ̈বদ্ধও হতে পারবে না। তাই ধর্মব্যবসার বিষয়ে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রত্যেক মানবকল্যণকামী, সত্যনিষ্ঠ মো’মেন, মুসলিমের কর্তব্য। সে লক্ষ্যেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

Islam_keno_abedon_haracche

ইসলাম কেন আবেদন হারাচ্ছে?

বিষয়বস্তু

আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, আরব, ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া ও ভারত উপমহাদেশের অনেক আলেম, তাত্ত্বিক, ইসলামী চিন্তাবিদ গত শতাব্দীর বিভিনড়ব সময়ে নিজেদের পছন্দনীয় ইসলামের উত্থান ঘটানোর জন্য বিভিনড়ব সংগঠন ও আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছেন কিন্তু সফল হন নি। এর মধ্যে কোনোটি গণতান্ত্রিক ধারার রাজনৈতিক আন্দোলন, কোনোটি চরমপন্থী। রাজনৈতিক ধারার আন্দোলনগুলো শুরুতে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করলেও বর্তমান সময়ে এসে সেগুলো একে একে মুখ থুবড়ে পড়ছে, জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাদের এই যে ব্যর্থতা এর প্রকৃত কারণ কী?

jongidab_songkot_somadhan

জঙ্গিবাদ সঙ্কট: উত্তরণের একমাত্র পথ

বিষয়বস্তু

জঙ্গিবাদ বর্তমানে মানবজাতির সর্বপ্রধান সমস্যা। এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পৃথিবীর পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো। সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি পশ্চিমা ভাবধারার গণমাধ্যমগুলো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জনসমর্থন সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা যেভাবে এ প্রচারণা চালাচ্ছে, তাতে কেবল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নয় খোদ ইসলামের বিরুদ্ধে মানুষের মনে ঘৃণার বোধ জন্ম নিচ্ছে। এ লড়াই যতটা না সামরিক তারচেয়ে বহুগুণ বেশি সভ্যতার সংঘাত (Clash of civilizations), ইসলাম বনাম পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতা।

divide-and-rule-book-cover

DIVIDE & RULE -শোষণের হাতিয়ার

বিষয়বস্তু

একতাই বল- কথাটা আমরা সকলেই জানি। একটি জাতির প্রধান শক্তিই হলো সেই জাতির সদস্যদের মধ্যে ঐক্য। কিন্তু যুগে যুগে শাসক শ্রেণি এই ঐক্যটাই নষ্ট করতে চেয়েছে। তারা চেয়েছে, একটি জাতিকে যতটা পারা যায় বিভক্ত করে দিতে হবে। জাতির মধ্যে যত বিভক্তি থাকবে ততই জাতিটি তাদের অনুগত থাকবে। তাদের শাসনযন্ত্র ততই সুদৃঢ় হবে, জাতিটিকে শোষণ করা তাদের জন্য ততই সহজ হয়ে পড়বে। তাই তো শাসকদের একটি সাধারণ নীতি হলো DIVIDE & RULE – যা তাদের শোষণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।

jehad-ketal-sontras-book-cover

জেহাদ কেতাল ও সন্ত্রাস

বিষয়বস্তু

বর্ত্তমানে দুনিয়াময় জেহাদ কেতাল ও সন্ত্রাস এই তিনটি বিষয়কে একই অর্থে ব্যবহার করা হোচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ভৌগোলিক স্বাধীনতার জন্য, কোথাও কোথাও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য অর্থাৎ বিভিন্নভাবে পরিচালিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দুনিয়াময় জেহাদ বা কেতাল হিসাবে প্রচার করা হোচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে এই তিনটি বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা। ইসলামে সন্ত্রাসের তো কোন স্থানই নেই, জেহাদ ও কেতালের অর্থ প্রেক্ষাপটও সম্পূর্ণ আলাদা। এ সংক্রান্ত অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এই পুস্তিকাটি পড়া প্রত্যেক সচেতন পাঠকের জন্য অতি জরুরী। হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে যে ভুল ধারণা সাধারণ মানুষের মনে বদ্ধমূল কোরে দেওয়া হোয়েছে এবং হোচ্ছে তার বিরাট এবং গভীর কারণ আছে। সেই কারণ উদ্ঘাটিত হোয়েছে এ পুস্তিকাটিতে।

Towheed-jannater-chabi

তওহীদ জান্নাতের চাবি

বিষয়বস্তু

চৌদ্দশ’ বছর থেকে মুসলিম উম্মাহর ঘরে ঘরে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা চলে আসছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী বহু ইসলামী চিন্তাবিদ, জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্ব এবং আলেম মাওলানারা দাজ্জালকে নিয়ে অনেক বই লিখেছেন, গবেষণা করেছেন। দুর্ভাগ্যবশতঃ তারা রসুলাল্লাহর দাজ্জাল সম্পর্কিত রূপক বর্ণনাগুলোকেই বাস্তব হিসেবে ধরে নিয়ে এক মহা শক্তিশালী দানবের আশায় বসে আছেন। তাদের এই বিকৃত আকীদার ফলশ্রুতিতে তারা ইতোমধ্যেই পৃথিবীতে আসা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অস্বীকারকারী এবং নিজেকে রব দাবিদার দাজ্জালকে চিনতে পারছেন না। তারা বুঝতে পারছেন না যে তাদের অজান্তেই মানবজাতির মহাবিপদের ঘণ্টা বাজিয়ে আজ থেকে ৪৮১ বছর আগেই দাজ্জালের জন্ম…

lokkho_uddhessho_book_cover

হেযবুত তওহীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

বিষয়বস্তু

মানুষ কি ব্যবস্থায় শান্তি ও নিরাপত্তায় পৃথিবীতে বসবাস কোরতে পারবে তা সবচেয়ে ভালো জানেন মানবজাতির স্রষ্টা মহান আল্লাহ। তাই তিনি ১৪০০ বছর আগে পুরো মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য এবং অপরিবর্ত্তনীয় প্রাকৃতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল একটি দীন তাঁর শেষ রসুলের মাধ্যমে প্রেরণ করেন। সেই দীনটি যখন আল্লাহর রসুল ও তাঁর উম্মাহ কঠোর সংগ্রামের মাধ্যমে অর্দ্ধ-পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করেন তখন সেখানে এমন শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয় যার দৃষ্টান্ত মানব ইতিহাসে অনন্য। হেযবুত তওহীদের লক্ষ্য হোচ্ছে মানবজাতিকে সেই অকল্পনীয় শান্তি ও নিরাপত্তার আস্বাদ দেওয়া। অতি প্রাঞ্জল ও যুক্তিপূর্ণ ভাষায় যামানার এমাম এ প্রসঙ্গটি পুস্তিকাটিতে তুলে ধোরেছেন। বইটি পড়লে আরও জানা যাবে, কেন আল্লাহ এই দীনের নাম প্রাকৃতিক দীন রেখেছেন এবং সারা দুনিয়ার সমগ্র মানবজাতির জীবনে এই জীবনব্যবস্থা কিভাবে কার্য্যকরী।

এই দীনের আলেম, পণ্ডিতদের তৈরী লক্ষ লক্ষ মসলা-মাসায়েলের দুর্বোধ্য মাকড়সার জালে আটকা পড়ে জাতি আজ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হোয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এইসব ফেকাহ, তাফসির ও ফতোয়ার পাহাড়ের নিচে আকাশের মত উদার, সমুদ্রের মত বিশাল সহজ সরল যে ইসলাম চাপা পড়ে আছে তাকে আবার উদ্ধার কোরে তার অনাবিল রূপে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা কোরেছেন এমামুযযামান। তাঁর বইগুলিতে রোয়েছে উম্মতে মোহাম্মদী নামক এক মহান জাতির পতনের প্রকৃত কারণ এবং সেখান থেকে উঠে এসে পূর্বের গৌরবময় অবস্থানে ফিরে আসার সঠিক দিক নির্দেশনা, এ বইগুলি যুগপৎভাবে মানবজাতির দুনিয়া ও আখেরাতের পাথেয়।

eslamer_prokrito_ruprekha_book_cover

ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা

বিষয়বস্তু

ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা- এই পুস্তিকাটি মূলত যুগসন্ধিক্ষণে আমরা, ইসলামের প্রকৃত আকীদা ও ইসলামের প্রকৃত কর্মসূচি নামক তিনটি প্রবন্ধের সঙ্কলন। এতে এমামুযযামান ১৪০০ বছর আগের উম্মতে মোহাম্মদীর সঙ্গে বর্তমানের ১৫০ কোটির মো’মেন, মোসলেম দাবীদার এই জনসংখ্যার বৈপরিত্যগুলি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি কোর’আনের আলোকে প্রমাণ কোরেছেন যে, এই জনসংখ্যাটি মো’মেন, মোসলেম, উম্মতে মোহাম্মদী কিছুই নয় বরং আল্লাহর ক্রোধের ও অভিশাপের পাত্র। আল্লাহর দৃষ্টিতে এরা প্রকৃতপক্ষে মোশরেক ও কাফের। এ ছাড়াও এ বইতে উল্লেখিত হোয়েছে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ৫ দফার সেই কর্মসূচি যা আল্লাহ তাঁর রসুলকে দান কোরেছিলেন। গত ১৩০০ বছর এই কর্মসূচি পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল, আবার সেটি আল্লাহ হেযবুত তওহীদের এমামকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই কর্মসূচিটি প্রকৃতপক্ষে বহুল পঠিত একটি হাদীস। কিন্তু একে কর্মসূচি হিসাবে চিনতে না পেরে পৃথিবীর সকল ইসলামী আন্দোলন নিজেরা চিন্তা ভাবনা কোরে নিজেদের জন্য পৃথক পৃথক কর্মসূচি রচনা কোরে নিয়েছেন। ফলে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হোচ্ছে এবং হবে। একমাত্র হেযবুত তওহীদের কর্মসূচিটিই আল্লাহর রচিত। এই কর্মসূচি মোতাবেক স্বয়ং রসুলাল্লাহ সংগ্রাম কোরে গেছেন এবং উম্মাহকে এই কর্মসূচি মোতাবেক সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ কোরেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বোলেছেন যারা এর থেকে আধ হাত পরিমাণও বহির্গত হবে, তাদের গলা থেকে ইসলামের বন্ধন খুলে যাবে (হাদীস-হারিস আল আশ’য়ারী থেকে আহমদ, তিরমিযী, বাব উল এমারাত, মেশকাত)।

Education System

ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষাব্যবস্থা

বিষয়বস্তু

আমরা যে শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের নিজেদেরকে শিক্ষিত করছি সেই শিক্ষাব্যবস্থাটি আমাদের নিজেদের তৈরি করা নয়। এটা ব্রিটিশ আমলে তাদের নীতিনির্ধারকরা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। আমরা ভৌগোলিক স্বাধীনতা পাওয়ার পর তাদের নির্মিত সেই ইমারতে দু একটা কামরা, দরজা জানালার রদবদল করেছি বলা যায়, কিন্তু মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনি নি। যে শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল অন্য একটি জাতিকে উৎকৃষ্ট দাস বানানোর জন্য সেই শিক্ষা আমরা স্বাধীন হয়েও নিজেদের ও নিজেদের সন্তানদের জন্য বহাল রেখেছি। এর পরিণাম যা হওয়ার তা-ই হয়েছে, আজও আমরা মনে-মগজে এবং জীবনকাঠামোতে সেই পশ্চিমা প্রভুদের দাসত্বই করে যাচ্ছি। পার্থক্য এই যে, আগে তারা আমাদের জনগণকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করত, আর এখন আমাদের সরকাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে।