হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী নিলেই আলোকিত মানুষ হয় না; আলোকিত মানুষ কারা?

মসীহ উর রহমান, আমীর, হেযবুত তওহীদ

আলো: ন্যায়, সুবিচার, সম্মৃদ্ধি, উন্নতি, প্রগতি, ভালবাসা, শ্রদ্ধা, বিনয়, পারস্পরিক সহমর্মিতা, সহযোগিতা, দয়া-মায়া-মমতা, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, শৃঙ্খলা, আনুগত্য, শান্তি ইত্যাদি হোল নূর বা আলো অর্থাৎ স্রষ্টার স্বীকৃতি।
অন্ধকার: অন্যায়, অবিচার, যুদ্ধ, রক্তপাত, হানাহানি, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, দুর্গতি, অসহযোগিতা, অনৈক্য, বিশৃঙ্খলা, শত্রুতা, হিংসা, অশ্রদ্ধা, অহংকার, আত্মম্ভরিতা, ধর্মান্ধতা, ধর্মব্যবসা, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ভারসাম্যহীনতা, ইত্যাদি এক কথায় স্রষ্টার নাফরমানী এ সবই হোল অন্ধকার।
যারা আলো ধারণ করেন তারাই আলোকিত মানুষ। এই আলোকিত মানুষদের দ্বারা নির্মিত সমাজব্যবস্থায়ই আলোকিত সমাজ, সুন্দর, সুখময় সমাজ। সকল সত্য, সুন্দর, আলোর উৎস হোচ্ছেন আল্লাহ। আল্লাহর এই সত্য, নূর, আলো দিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করার জন্য তিনি পাঠিয়েছেন তাঁর নবী-রসুলদের। কাজেই মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম আলোকিত মানুষ হোলেন নবী-রসুলগণ। তাঁদের নিকট থেকে যাঁরা শিক্ষা গ্রহণ কোরে প্রকৃত শিক্ষিত হোয়েছেন তারা ছিলেন একেক জন সোনার মানুষ, আলোকিত মানুষ। কিন্তু ক্রমান্বয়ে শয়তানী শক্তি মানুষের মধ্য থেকে আলো, সত্য নিভিয়ে দিতে শুরু কোরল, ফলে তারা ধীরে ধীরে সত্য থেকে বিচ্যুত হোতে লাগলো। আলোর অনুপস্থিতি মানেই অন্ধকার, কাজেই তারা দিনে দিনে আলো থেকে অন্ধকারে নিমজ্জিত হোতে লাগলো। এই অন্ধকারকে স্থায়ী করার জন্য এবলিস মানুষকে দিয়েই রচনা করালো তাদের জীবন পরিচালনার পথ তথা বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র যেমন- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি। জন্ম হল এবলিসের, মিথ্যার, অন্ধকারের চূড়ান্ত রূপ দাজ্জালের। সকল মিথ্যা, অন্ধকার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভের সুযোগ পেল এই তন্ত্র-মন্ত্রগুলির ছত্রছায়ায়। সমাজ ছেয়ে গেল চরম অন্যায়, অশান্তি, হত্যা, ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি, যুদ্ধ, রক্তপাত, বৈষম্য, নিরাপত্তাহীনতা, অরাজকতা ইত্যাদি সকল প্রকারের অন্ধকারের আবরণে। এই চরম অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে বাস কোরে আপনি যতই ডিগ্রী নেন না কেন আপনি আলোকিত (Enlightened) মানুষ হোতে পারবেন না, আপনি যে তিমিরে আছেন সে তিমিরেই পড়ে থাকবেন। আপনি যতই ডিগ্রীধারী হন না কেন আপনার মধ্যে যদি সত্য, ন্যায়, সুবিচার, সততা, সত্যবাদিতা, মানবতা, ঐক্য, শৃঙ্খলা ইত্যাদি আলো প্রবেশ না করে তবে আপনি আলোকিত (Enlightened) নয়, আপনি অন্ধকারাচ্ছন্ন (Darken) মানুষ। অপরপক্ষে একজন নিরক্ষর মানুষের মধ্যেও যদি উপরোক্ত সৎগুণাবলীগুলি থাকে এবং সে তা অন্যদের মাঝে ছড়ায় তবে অবশ্যই ঐ ব্যক্তিটি আলোকিত (Enlightened) মানুষ।
সমস্ত সত্য, সমস্ত ন্যায়, সমস্ত আলো যখন বিলুপ্তির পথে তখন আল্লাহ পাক পৃথিবীকে আলোকিত করার জন্য আলোকবর্তিকা স্বরূপ পাঠালেন সত্য, ন্যায়, আলোর মূর্ত প্রতীক, আলোর ধারক মহামান্য এমামুযযামানকে। এখন আলোকিত হবার একটিই পথ, তা হোল মাননীয় এমামুযযামানের দেখানো পথ অনুসরণ করা।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...