হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

শিক্ষকের মর্যাদা ও অবক্ষয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা

রাকীব আল হাসান:
অশিক্ষিত মানুষ পশুর সমান। অর্থাৎ মানবশিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সে মানুষ থাকে না, একটা সাধারণ প্রাণী থাকে, শিক্ষা তাকে মানুষ বানায়। এভাবে একটা জাতির সিংহভাগ সদস্য যখন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয় তখন ঐ জাতি পৃথিবীর বুকে উন্নত জাতি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। এজন্য বলা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর যারা নিজেদের রক্ত পানি করে, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর পরিশ্রম করে, আদর-স্নেহ আর শাসনে একটা প্রাণী-মানুষকে সত্যিকার মানুষে রূপান্তরিত করেন তিনিই হলেন শিক্ষক। এজন্য বলা হয়, শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর, উন্নত জাতি গঠনের নির্মাতা। বাবা-মা সন্তানকে জন্ম দেন কিন্তু তাকে সত্যিকার মানুষ হিসাবে গড়ে তোলেন তার শিক্ষকগণ। এজন্য মনুষ্য সমাজে শিক্ষাগুরুর সম্মান সবার ঊর্ধ্বে। যে সমাজে শিক্ষকের সম্মান নেই সেই সমাজকে আর যা-ই হোক মনুষ্য সমাজ বলা যায় না। যুগে যুগে, কালে কালে প্রতিটা সভ্য-সমাজে শিক্ষকের এই সম্মান ছিল সর্বস্বীকৃত বিষয়। যে জাতি শিক্ষকের সম্মান দিতে জানেনি, শিক্ষিত তথা জ্ঞানী মানুষকে মূল্যায়ন করতে পারেনি সেই জাতির অধঃপতন হয়েছে দ্রুত থেকে দ্রুতগতিতে।

কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আমাদের এ প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে যে, আমরা কি একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে অসভ্য, বর্বর, নরপশুদের চরিত্র ধারণ করেছি? এ প্রশ্ন এ কারণে উঠছে যে, সম্প্রতি নড়াইলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছে। স্বপন কুমার বিশ্বাস এখনো এলাকায় ফিরতে পারেননি। ঢাকার আশুলিয়ায় আরেক ঘটনায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার এক ছাত্রের অতর্কিত হামলায় আহত হওয়ার পর হাসপাতালে মারা যান। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত, মুন্সিগঞ্জের হৃদয় মণ্ডল বা বাগেরহাটের কৃষ্ণপদ মহলী ও অশোক কুমার ঘোষালসহ সম্প্রতি অনেক শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি। গণমাধ্যমে উঠে আসেনি এমন ঘটনাও নিশ্চয় অসংখ্য রয়েছে। এই শিক্ষকগণ কোথাও লাঞ্ছিত হচ্ছেন শিক্ষার্থী দ্বারা আবার কোথাও বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বা অভিভাবক দ্বারা। এই ঘটনাগুলো ব্যাপক আলোচিত হলেও তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের নজির খুবই কম। এখন নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে কেন এই শিক্ষক হেনস্তার ঘটনা ঘটছে? এ দায় কার?

একটা বিষয় পরিষ্কার যে, নবপ্রজন্মকে আমরা সঠিক শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। তাদেরকে যা শেখাচ্ছি, যেভাবে শেখাচ্ছি তা তাদের জীব সত্তাকে মানব সত্তার স্তরে উন্নীত করতে পারছে না। শিক্ষককে হেনস্তা করা আর পিতা-মাতাকে লাঞ্ছিত করা একই কথা। যারা এটা করে তারা তো মানুষের স্তরে উঠে আসতে পারেনি। এ দায় আমাদের সবার, এর বিষফলও আমাদের সকলকেই ভোগ করতে হবে। এ ত্রুটি কেবল শিক্ষার্থিদের নয়, কেবল অভিভাবকদেরও নয়, এ ত্রুটি আমাদের সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার, এ ত্রুটি সমগ্র সমাজব্যবস্থার, রাষ্ট্রব্যবস্থার এমনকি প্রচলিত ধর্মগুলিরও দায় রয়েছে। আমি কেবল কয়েকটা শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় মাথা গরম করে সকল ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলছি, এমন নয়। বরং আমি অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা-ভাবনা করেই বলছি- আমাদের সমগ্র ব্যবস্থায় পচন ধরেছে, সমগ্র ব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজাতে হবে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পচন ধরেছে। সভ্যতার উন্মেষ ঘটার আগেও এমন কোনো সমাজ ছিল কি না আমার জানা নেই, যেখানে শিষ্য কর্তৃক গুরু লাঞ্ছিত হয়েছে। এই ঘটনাগুলোকে মূল্যায়ন করার সময় এসেছে, এখনো যদি আমরা সমাজের এই অধঃপতন নিয়ে না ভাবি, শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের চিন্তা না করি তাহলে এ সমাজের ধ্বংস অনিবার্য।

নানা মহল থেকে আঙুল তোলা হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থার দিকে। বলা হচ্ছে ছাত্র সমাজ বখে যাচ্ছে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে। এখন প্রশ্ন হলো- আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সমাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে পারছে না কেন? এ কথার জবাব বুঝতে হলে শুরুতেই বুঝে নিতে হবে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় বলতে কী বোঝায়?

মানুষের সমাজে কিছু চিরন্তন নীতি, নৈতিকতা চলে আসছে অনাদিকাল থেকে, যে নীতিগুলো বেশিরভাগ মানুষ যদি লঙ্ঘন করা শুরু করে তাহলে সমাজটা আর শান্তিপূর্ণ থাকে না, নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ বেড়ে যায়। এই চিরন্তন নীতিগুলো হলো- সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, আমানতদারিতা, বিশ্বস্ততা, একতা, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভালোবাসা, মানবতা, দয়া-মায়া, করুণা, পিতা-মাতা ও গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি, ন্যায়বান শাসকের প্রতি আনুগত্য, শিশুদের প্রতি স্নেহ ইত্যাদি। ঠিক এর বিপরীতে আছে কিছু অস˜ গুণ যা পরিত্যাগ করে চলতে হবে যেমন- মিথ্যা, প্রতারণা, হিংসা, পরনিন্দা, গীবত, অনৈক্য, হানাহানি, জুলুম, অশ্লীলতা, মাদক, সুদ-ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, অশ্রদ্ধা ইত্যাদি। এই নীতি-নৈতিকতার লঙ্ঘনই সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়। আজ আমাদের সমাজে এই নীতিগুলোর ঠিক বিপরীত চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি, যে কাজগুলো করা উচিত সেগুলো বেশিরভাগ মানুষ পরিত্যাগ করেছে আর যে কাজগুলো করা উচিত নয় সেই কাজগুলোই বেশিরভাগ মানুষ করছে। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায়- আমাদের সমাজ আজ অবক্ষয়ের অতলে তলিয়ে গেছে। কথা ছিল শিক্ষা মানুষকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করবে, একটা ন্যায়ভিত্তিক সমাজ উপহার দেবে। কিন্তু নীতি-নৈতিকতার ক্ষেত্রে শিক্ষিত মানুষ যেন আরও বেশি অবক্ষয়ের কবলে পড়েছে। তাহলে এ অবক্ষয় থেকে আমরা মুক্ত হব কী করে? কীভাবে আমাদের শিক্ষাঙ্গন ও সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্র নৈতিক অবক্ষয়ের করাল থাবা থেকে মুক্তি পাবে?
এ অবক্ষয় রোধ করতে হলে অতি অবশ্যই শিক্ষাব্যবস্থাটি ঢেলে সাজাতে হবে তবে কেবল শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ ফল লাভ করা যাবে না, এই পরিবর্তন আনতে হবে মানুষের সার্বিক জীবন যাপনে, সামাজিক ব্যবস্থাতে, অর্থনীতি-দণ্ডবিধি, রাষ্ট্রব্যবস্থা সকল পর্যায়ের আমূল পরিবর্তন লাগবে। তবে আমি এখানে কেবল শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েই কথা বলব, নাহলে লেখার কলেবর অনেক বড় হয়ে যাবে।

প্রথম হলো- শিক্ষার্জনের লক্ষ্য ঠিক করা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাতে শিক্ষার লক্ষ্য ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে’। অর্থাৎ আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে কিছু পুস্তক মুখস্থ করছি, কারণ পরীক্ষার হলে সেগুলো উগরে দিতে হবে, তাহলেই খালাস, ভালো একটা সার্টিফিকেট জুটবে, ভালো মাইনের চাকরি জুটবে। ব্যাস, এটুকুই। শিক্ষা আমাদের চরিত্রে পরিবর্তন আনতে পারছে না। ‘ত্যাগেই প্রকৃত সুখ’ এই ধরনের নীতিবাক্য কেবল পরীক্ষার খাতায় লেখার জন্য মুখস্থ করানো হচ্ছে, কিন্তু জীবনের দর্শন হলো- ‘দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাও দাও ফূর্তি করো’। মানুষ যতটা বইয়ের পাতা থেকে শেখে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি শেখে আশেপাশের পরিবেশ থেকে, পরিবার-পরিজন ও সমাজ থেকে। পারিপার্শিক পরিবেশ থেকে একজন ছাত্র জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ঠিক করে ফেলছে- ভালো রেজাল্ট করা, ভালো চাকরি করা, বেশি উপার্জন করা আর ভোগ-বিলাসিতা করা। কাজেই নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে হলেও সে তার লক্ষ্য পূরণে বদ্ধ পরিকর।

দ্বিতীয় বিষয় হলো- সমাজে নীতিবান লোকের মূল্যায়ন। আমাদের সমাজে সৎ, নীতিবান মানুষের কোনো মূল্য দেওয়া হয় না যদি তার আর্থিক সমৃদ্ধি না থাকে। অপরপক্ষে সুদখোর, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, নারীবাজ লোক যদি বিত্তশালী হয় তাহলে সমাজ তাকে মাথায় তুলে রাখছে, তাকে সমাজের নেতৃত্বের আসনেও বসানো হচ্ছে।

তৃতীয় বিষয় হলো- চাকরি, ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও নৈতিকতার কোনো মূল্যায়ন নেই। আমাদের দেশে যত প্রকার চাকরি আছে সব ক্ষেত্রে কেবল মেধা যাচাই করা হয়, নীতি-নৈতিকতা পরীক্ষা করা হয় না। আপনি বিসিএস থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদের চাকরি পর্যন্ত যত চাকরি আছে, কোনো পরীক্ষায় কি চারিত্রিক গুণাবলীতে কোনো নাম্বার দেওয়া হয়? বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে আপনার জ্ঞান যাচাই করা হবে কিন্তু আপনি মিথ্যা বলেন কিনা, অতীতে শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন কিনা, দুর্নীতিপরায়ণ কিনা এই বিষয়গুলো পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা নেই।

চতুর্থ বিষয় হলো- যাদেরকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাদের নীতি-নৈতিকতা কেমন সেটাও মূল্যায়ন করা হয় না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষকগণই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় চাকরিতে ঢুকছে। এই শ্রেণিটা পেশাগত জীবনেও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছে, অপরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীগণ কী আদর্শ শিখবে?
পঞ্চম বিষয় হলো- আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটির মূল যে কাঠামো, যে পদ্ধতি তা তৈরি করে দিয়ে গেছে ঔপনিবেশিক আমলের ব্রিটিশ শাসকগণ। তারা যে শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়ে গেছে আমরা সেটাই বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি, এর আমূল পরিবর্তন করা হয়নি। তারা আমারেদকে আপাদমস্তক দাস বানানোর পাশাপাশি আমরা যেন কিছু অংক, ভূগোল, বিজ্ঞান, ইংরেজি ভাষা ইত্যাদি শিখে তাদের তাবেদারি করতে পারি, তাদের অধীনে কেরানির চাকরি করতে পারি সেই লক্ষ্য নিয়েই বর্তমানের প্রচলিত মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু আমরা ব্রিটিশদের থেকে প্রায় পচাত্তর বছর আগে স্বাধীন হলেও সেই ব্যবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন করতে পারিনি। আমরা নীতিবান হবো, আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো, আমরা সৃজনশীল হবো, আমরা যোগ্য নেতৃত্ব শিখব এগুলো তো আর ব্রিটিশরা চায়নি, কাজেই শিক্ষার মধ্যে এ ধরনের উপদানও দেওয়া হয়নি।

ষষ্ঠ বিষয় হলো- ধর্মহীন ও বিকৃত ধর্মের শিক্ষা ব্যবস্থা। ব্রিটিশরা যে দুই ধারার শিক্ষা চালু করে তার প্রথমটি হলো- মাদ্রাসা শিক্ষা। ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮০ খ্রিষ্টাব্দে কোলকাতায় আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই ধারা চালু করে। এই ধারাতে তারা বৈষয়িক কোনো শিক্ষা না রেখে ধর্মীয় এমন সব শিক্ষা সিলেবাসভুক্ত করল যেন মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে এরা ধর্ম বিক্রি করে খায় এবং নিজেরা নিজেরা তর্ক-বাহাস ও হানাহানিতে লিপ্ত হয়, সাধারণ মানুষকে ঐক্যের পরিবর্তে ধর্মের নামেই বহু ভাগে বিভক্ত করে, ফলে ব্রিটিশদের গদি শঙ্কামুক্ত হবে। আর সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে সাজায় যেন এখানে ধর্মের কোনো বিষয় না থাকে, বরং এখান থেকে যারা বের হবে তারা ধর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ও ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন, বিদ্বেষভাবাপন্ন হয়। নৈতিক অবক্ষয়ের বীজ এখানেই বপিত ছিল।

সর্বশেষ বিষয় হলো- আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব। আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের শিক্ষার্থীগণ শিক্ষাঙ্গন থেকে যা শিখছে তার চেয়ে বেশি শিখছে টিকটক, ইউটিউব, ফেইসবুকসহ নানা ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ থেকে। যেখানে তারা পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ইত্যাদি বেশি শিখছে। আর অপরপক্ষে ধর্মব্যবসায়ীদের উগ্র মতবাদ, সাম্প্রদায়িক মতাদর্শ তো অনলাইনে আছেই, সেগুলোও অনেকে শিখছে ঘরে বসেই।

এখন আমরা যদি আমাদের নব প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে চাই তাহলে ব্রিটিশ আমলে প্রবর্তিত নীতি-নৈতিকতাহীন এ শিক্ষাব্যবস্থা বাতিল করে নতুনভাবে ধর্মীয় অনুশাসন ও নীতি নৈতিকতাপূর্ণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর এক ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে তাদের সন্তানদের ব্যাপারে। তারা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, মোবাইল বা কম্পিউটারে বসে কোন অজানা অন্ধকার জগতে ঢুকে পড়ছে ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হবে। অতি আদরে তাদের সকল আবদার রক্ষা না করে বরং ভালোবাসার সাথে শাসনও করতে হবে। শিক্ষকদেরও নীতিবান হতে হবে যেন তাকে দেখেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জন করতে পারে।

(লেখক: শিক্ষক, চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয়, যোগাযোগ: ০১৬৭০-১৭৪৬৪৩, ০১৭১১-০০৫০২৫, ০১৭১১-৫৭১৫৮১)

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...