হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

মানুষ দাজ্জালের এবাদত কোরছে

মাননীয় এমামুযযামানের লেখা থেকে সম্পাদিত:

পবিত্র কোর’আনে আল্লাহর ঘোষণা, আমি জ্বীন এবং এন্সানকে শুধুমাত্র আমার এবাদত করার জন্য সৃষ্টি কোরেছি (সুরা যারিয়াত ৫৬)। এই এবাদত বোলতে প্রায় সবাই সালাহ, সওম প্রভৃতি মনে করে। এই ধারণা সঠিক নয়। সালাহ, সওম ইত্যাদি হোচ্ছে প্রকৃত এবাদতের আনুষাঙ্গিক কাজ। আল্লাহ কোর’আনে এরশাদ কোরেছেন, আমি আল্লাহ, আমি ব্যতীত অন্য কোন এলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাহ কায়েম কর (সুরা ত্বাহা, আয়াত-১৪)। পবিত্র কোর’আনের এই আয়াতে আল্লাহ প্রথমে তাঁর সার্বভৌমত্বের মালিক, নিজেকে মানবজাতির একমাত্র হুকুমদাতা হিসাবে ঘোষণা দিলেন। এলাহ বোলতে বর্তমানে মনে করা হয় উপাস্য। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়। এলাহ হোচ্ছেন সেই সত্তা যার হুকুম শুনতে হবে এবং পালন কোরতে হবে। এক কথায় জীবনের যে কোন অঙ্গনে যেখানে আল্লাহর কোন বক্তব্য আছে সেটা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজৈেনতিক, আইন-কানুন, দণ্ডবিধি যে বিভাগেই হোক না কেন সেখানে আর কারও কোন বক্তব্য গ্রহণ করা যাবে না অর্থাৎ তওহীদ; আল্লাহর সার্বভৌমত্ব। এরপর এই আয়াতে আল্লাহ তাঁর এবাদত করার কথা বোললেন এবং পরিশেষে তাঁর স্মরণার্থে সালাহ কায়েমের কথা বোললেন। আলোচ্য আয়াতে এটা পরিষ্কার হোয়ে যাচ্ছে যে এবাদত ও সালাহ অর্থাৎ উপাসনা এক জিনিস নয়। 

তাহোলে এবাদত কি? এবাদত হোচ্ছে যে জিনিসকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হোয়েছে সেই কাজ করাই হোচ্ছে ঐ জিনিসের এবাদত। প্রশ্ন হোল- আল্লাহ আমাদের কি কাজের জন্য সৃষ্টি কোরেছেন? এর উত্তর আমরা পবিত্র কোর’আন থেকেই পাচ্ছি। কোর’আনের সুরা বাকারার ৩০ নম্বর আয়াতে আল্লাহর ঘোষণা, আমি মানুষকে আমার খলিফা অর্থাৎ প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি কোরেছি। খলিফা অর্থাৎ প্রতিনিধির কাজ হোচ্ছে একজনের কাজ তিনি না কোরে তার হোয়ে আরেকজন করা। তাহোলে কোর’আনে আল্লাহ বোললেন তিনি আমাদেরকে খলিফা অর্থাৎ প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি কোরেছেন। অর্থাৎ পৃথিবীতে আল্লাহ নিজে যে কাজটি কোরতেন সেই কাজটি তিনি না কোরে তা আমাদের দিয়ে কোরাবেন। এখন প্রশ্ন হোচ্ছে, আল্লাহর কি কাজ? তিনি কি নামাজ, রোজা করেন? নিশ্চয় না। তাঁর কাজ হোল: তাঁর সৃষ্টজগতকে শাসন করা। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি এ কাজটি নিজে না কোরে মানুষকে দিয়ে করাবেন। তাই তিনি কোর’আনে ঘোষণা কোরেছেন আমি মানুষকে আমার খলিফা হিসাবে সৃষ্টি কোরেছি। তাহোলে এবাদতের সংজ্ঞা অনুযায়ী আল্লাহ্র খেলাফত করাই হোচ্ছে মানুষের এবাদত। অর্থাৎ আল্লাহর দেওয়া বিধান দিয়ে পৃথিবী শাসন করাই হোচ্ছে খেলাফতের কাজ, কিন্তু মানুষ আজ এই খেলাফতের কাজ কোরছে না অর্থাৎ আল্লাহ্র এবাদত কোরছে না। অথচ আল্লাহ্ আমাদেরকে মূলত: তাঁর এবাদত করার জন্যই সৃষ্টি কোরেছেন। এই মোসলেম নামক জাতিটি আল্লাহর প্রকৃত এবাদত কি তা না জেনে, না বুঝে নামাজ রোজা কোরে ভাবছে খুব এবাদত কোরছি।
প্রকৃতপক্ষে তারা কার এবাদত কোরছে, কার প্রতিনিধিত্ব বা খেলাফত কোরছে? সত্য হোচ্ছে এই যে, মোসলেম নামধারী জনসংখ্যাটিসহ গোটা মানবজাতি এখন দাজ্জালের তৈরি আইন-কানুন, দণ্ডবিধি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অর্থাৎ সামগ্রিক জীবন দাজ্জালের, তথা ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতার বিধান, মতবাদ অনুযায়ী পরিচালিত কোরছে। সুতরাং মানুষ এখন দাজ্জালেরই এবাদত কোরে চোলেছে।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...