হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

প্রকৃত ইসলামের বিয়ে কেমন ছিল?

রিয়াদুল হাসান

১৯ নভেম্বর ২০২১ শহীদী জামে মসজিদ ভবনের কনফারেন্স হল, সোনাইমুড়ি, নোয়াখালীতে একসঙ্গে চার যুগলের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

মানবসমাজের ক্ষুদ্রতম ও আদিম সংগঠন পরিবার। আর এই পরিবার গঠিত হয় একজন নারী ও একজন পুরুষের বিয়ের মাধ্যমে। বাবা আদম থেকে মা হাওয়াকে সৃষ্টি করার পর প্রথম যে কাজটি তাঁরা করেছিলেন তা হলো বিয়ে। ইসলামে বিয়ের বিধান আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়।

বিয়ের প্রসঙ্গে আমরা আক্দ শব্দটি হরহামেশা ব্যবহার করে থাকি। আক্দ আরবি শব্দ। এর অর্থ গিঁট, গেরো বা গ্রন্থি। ইংরেজিতে যাকে বলে নট (Knot)। দুটো মানুষের জীবনকে আল্লাহর নির্ধারিত নিয়মে দাম্পত্য বন্ধনে আবদ্ধ করার সামাজিক পদ্ধতি এই বিয়ে। তাই একে ইসলামের পরিভাষায় আক্দ বলা হয়।

ইসলাম ভারসাম্যপূর্ণ জীবনে বিশ্বাসী। কোর’আনে মুসলিম জাতিকে বলা হয়েছে উম্মতে ওয়াসাতা বা ভারসাম্যপূর্ণ জাতি (Balanced Nation)। তাই জীবনযাপনে সকল প্রকার চরমপন্থা, বাড়াবাড়ি, কঠোরতা, অতিরিক্ততা আরোপ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। বিয়ের বিধানও ইসলামে অত্যন্ত সরল, ভারসাম্যপূর্ণ ও প্রাকৃতিক নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতিশীল। হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা মাননীয় এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী প্রকৃত ইসলামের সেই সহজ-সরল বিধানকে আন্দোলনের মধ্যে প্রবর্তন করেছেন। তিনি বহু সদস্য-সদস্যাকে নিজে উপস্থিত থেকে বিয়ে দিয়েছেন। মাননীয় এমামও ইসলামের শরিয়ত মোতাবেক বহু সদস্য-সদস্যার বিয়ে দিয়েছেন। ইসলামের বিয়েতে বাধ্যতামূলক বা ফরজ তিনটি কাজ।

(১) ছেলে ও মেয়ের সম্মতি।

(২) দেনমোহর পরিশোধ করা।

(৩) কমপক্ষে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতি।

ছেলে ও মেয়ের সম্মতি

ইসলাম নারী পুরুষের সমতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কোনো নারীকে কেউ তার সম্মতি ছাড়া বিয়ে দিতে বা বিয়ে করতে পারে না। আইয়্যামে জাহেলিয়াতে নারীদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো মূল্য দেওয়া হতো না। নারী সাহাবী খানসা বিনতে খেজাম আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, যে তাঁর অমতে তাঁর পিতা তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এ বিয়েকে অপছন্দ করেন। এখন তার কী করণীয়। রসুলাল্লাহ (সা.) তার সেই বিয়েকে বাতিল করে দেন।’ (বোখারি) তিনি এও বলেন, “সাবালিকা মেয়ের নিজ বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অভিভাবক অপেক্ষা তার নিজেরই বেশি। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪২১; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২০৯৮; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২০৯৮)

শুধু সম্মতি নয়, ইসলামের বিধানমতে নারীরা নিজে উদ্যোগী হয়েও বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে। মসজিদে নববীতে আলোচনাকালে একজন নারী সাহাবী সবার সামনে স্বয়ং রসুলাল্লাহকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সরাসরি হাদিসগ্রন্থ থেকে ঘটনাটি বলছি।

একজন নারী রসুলাল্লাহর দরবারে এসে বললেন, “আমি আমার জীবনকে আপনার কাছে পেশ করলাম।” এরপর তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন, কিন্তু রসুলাল্লাহ তার কথার কোনো জবাব না দিয়ে নীরব রইলেন। এমতাবস্থায় অপর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, “হে আল্লাহ রসুল! আপনার বিবাহের প্রয়োজন না থাকলে আমার সঙ্গে এর বিবাহ করিয়ে দিন।” রসুলাল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার কাছে মোহরানা দেয়ার মতো কি কিছু আছে?” সেই ব্যক্তি বললেন, “আমার এ পরনের তহবন্দ ছাড়া আর কিছুই নেই।” তহবন্দ হচ্ছে লুঙ্গির মতো একটি পরিধেয় বস্ত্র। রসুলাল্লাহ বললেন, “যদি তুমি পরনের তহবন্দখানা তাকে দিয়ে দাও, তাহলে তোমার কিছু থাকবে না। সুতরাং তুমি তালাশ কর, যদি একটি লোহার আংটিও পাও।” সেই ব্যক্তি বহু চিন্তা করেও তেমন কিছু পেলেন না। নবীজি জিজ্ঞেস করলেন, “কোর’আন শরীফের কিছু অংশ কি তোমার জানা আছে?” লোকটি বললেন, “হ্যাঁ! অমুক অমুক সুরা আমার জানা আছে।” নবীজি বললেন, “ঠিক আছে। কোর’আনের যে যে অংশ তোমার জানা আছে, তার বিনিময়ে আমি তাকে তোমার নিকট বিয়ে দিলাম।” (সাহল ইবনু সা’দ (রা.) থেকে বোখারী)

একইভাবে হেযবুত তওহীদের সদস্যরাও অতিথিদের সামনেই কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কনে তাতে সম্মতি দেন। অতিথিদের মধ্যে সাধারণত বর ও কনে উভয়পক্ষের অভিভাবকগণই উপস্থিত থাকেন। বিয়ের পর নবদম্পতি সরকারি নিয়ম মোতাবেক তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন। অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের আসরেই রেজিস্ট্রি করানো হয়।

দেনমোহর পরিশোধ

বিয়ের সময় পুরুষের প্রতি কোর’আনের নির্দেশ হচ্ছে- “তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে (আল কোর’আন: সুরা নিসা ৪)”। তাই কনেপক্ষের কাছ থেকে যৌতুক বা উপহার দাবি করার কোনো সুযোগ যে ইসলামে নেই, তা বলা বাহুল্য। যৌতুক দাবি করা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। যৌতুক হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রধান উপলক্ষ, যার প্রমাণ আমাদের সমাজ। কিন্তু মেয়ের পরিবার খুশিমনে নবদম্পতিকে যে কোনো উপহার দিতে পারে। যেমন রসুলাল্লাহ (সা.) তাঁর কন্যা ফাতেমার (রা.) বিয়েতে একটি বিছানার চাদর, একটি খেজুরের ছাল ভর্তি চামড়ার বালিশ, দুইটি আটা পিষার যাঁতা এবং দুইটি পাত্র দিয়েছিলেন। (আল ইসাবাহ – হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী)।

বর্তমানে আমাদের সমাজে বিয়ে একটা বিরাট খরচান্ত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাগুলো পালন করাও অনেক কঠিন হয়ে গেছে। মেয়ের বিয়ের খরচ যোগাতে বহু মানুষ ভিক্ষার হাত বাড়াচ্ছে। ঠিক উল্টো দৃশ্যও দেখা যাচ্ছে আরব দেশগুলোতে। সেখানে বিয়েতে পাত্রপক্ষকে এত বেশি খরচ করতে হয় যে, অনেকে ছেলেকেই বিয়ের বয়স পার হয়ে গেলেও দেনমোহর পরিশোধের অর্থের অভাবে বিয়ে না করে থাকতে হচ্ছে। যা তাদেরকে অন্যায় পথের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আরব আমিরাতের বিয়ে সংক্রান্ত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জানায়, আরবে গড়ে প্রতিটি বিয়েতে ৬৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার মতো খরচ করে আমিরাতি পরিবারগুলো। এটাই হচ্ছে ভারসাম্যহীনতা, যা দূর করাই ছিল ইসলামের লক্ষ্য। এজন্য আল্লাহর রসুল বিয়ের যে পদ্ধতি প্রচলন করেছিলেন তা ছিল অত্যন্ত সহজ-সরল। তিনি বলেছেন, সেই বিয়ে সবচেয়ে বরকতপূর্ণ যে বিয়েতে খরচ কম হয় (মুসনাদে আহমাদ ও মুস্তাদরাকে হাকিম)। বিয়েতে অপব্যয় ও সাধ্যের বাইরে ব্যয় পাত্র-পাত্রীর পরিবারের জন্য কষ্টকর পরিণতি ডেকে আনে; যা ইসলাম কোনোভাবেই অনুমোদন করে না।

রসুলাল্লাহর সময় অতি সামান্য দেনমোহর পরিশোধ করেই বিয়ে সম্পন্ন হতো। তিনি বলেছেন, উত্তম মোহর হচ্ছে সেটাই যা দেওয়া সহজ হয়। (উকবাহ ইবন আমির (রা.) থেকে আবু দাউদ ২১১৭, হাকিম ২য় খণ্ড)। মোহর মূলত একটি সম্মানী যা স্বামী তার স্ত্রীকে দিয়ে থাকে, যার মূল উদ্দেশ্যই হলো নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া। এর উদ্দেশ্য হলো যখন কোনো পুরুষ স্ত্রীকে ঘরে আনবে তখন তাকে মর্যাদার সঙ্গে আনবে এবং এমন কিছু উপহার দেবে, যা তাকে সম্মানিত করে। এই উপহার লক্ষ লক্ষ টাকারও হতে পারে আবার কিছু খেজুর, সামান্য একটা লোহার আংটিও হতে পারে, এক জোড়া জুতাও হতে পারে। শুনতে অবাক লাগতে পারে কিন্তু রসুলাল্লাহর সময় এভাবেও অনেক বিয়ে হয়েছে। উদাহরণ দিচ্ছি:

আমের ইবনু রবীআ (রা.) বলেন, “ফাযারা গোত্রের এক ব্যক্তি এক জোড়া পাদুকার বিনিময়ে বিবাহ করে। রসুলাল্লাহ (সা.) তার বিবাহ অনুমোদন করেন। (সুনান ইবনু মাজাহ, তিরমিযী ১১১৩, আহমাদ ১৫২৪৯, ১৫২৬৪, ইরওয়াহ ১৯২৬)।

পক্ষান্তরে আজকে আমরা দেখি, বিয়ের সময় কাবিননামায় লোকদেখানোর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দেনমোহর লেখা হয় কিন্তু সেই টাকা বাস্তবে স্ত্রীকে প্রদান করা হয় না। সেই টাকা বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা করে স্ত্রীকে আদায় করতে হয়। এ ধরনের কপটতা ইসলামের নীতি পরিপন্থী। রসুলাল্লাহ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নারীকে কম বা বেশি দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করল, অথচ তার অন্তরে দেনমোহরের সে হক আদায়ের আদৌ কোনো ইচ্ছেই নেই, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহর দরবারে ব্যভিচারী হিসেবে উপস্থিত হবে।’ (তাবারানি)

এজন্য হেযবুত তওহীদের সদস্যরা বিয়ের আসরেই দেনমোহর সম্পূর্ণ পরিশোধ করে দেন। ইসলামের বিয়ে এতই সহজ সরল যে বিয়ে পড়াতে অর্থের বিনিময়ে কাউকে ভাড়া করে আনার প্রয়োজনই পড়ে না।

অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা প্রদান

বিয়ের মূল বিষয়টাই হলো, বৈধভাবে দুজন নারী-পুরুষের একত্রে বাস করার ঘোষণা ও সামাজিক স্বীকৃতি। এটি সমাজকে পবিত্র রাখে। ইসলামে গোপন বা প্রকাশ্য বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে বৈধতা দেয় না। বিয়েতে অনুষ্ঠান করা, আত্মীয় পরিজনকে আপ্যায়ন করা, আনন্দ করার উদ্দেশ্য এটাই যে, সবাই জানবে এরা দুজন স্বামী-স্ত্রী। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবে, শুভ কাজ উপলক্ষে মিষ্টিমুখ করবে। এই আনন্দ, আপ্যায়ন, ওলিমা অনুষ্ঠান, উপহার প্রদান ইত্যাদি সবাই করবে যার যার সাধ্য মোতাবেক। রসুলাল্লাহর একটি বিয়ে সম্পর্কে আনাস (রা.) বলেন, রসুলাল্লাহ (সা.) সাফিয়া (রা.) কে আযাদ করে বিয়ে করেন এবং এই আযাদ করাকেই তাঁর মোহরানা নির্দিষ্ট করেন এবং ‘হাইস’ বা এক প্রকার সুস্বাদু হালুয়ার দ্বারা ওলিমার ব্যবস্থা করেন। (সহীহ বোখারি, বিবাহ অধ্যায়)

তাই বিয়েতে কতটুকু খরচ করে অনুষ্ঠান করা হবে, কী খাওয়ানো হবে এসব নিয়ে কারো উপর কোনো জোর চলবে না। কারণ এগুলো করা ফরজ নয়। এগুলো সুন্নত। আল্লাহর রসুল বলেছেন, ‘তোমরা বিবাহের ঘোষণা দাও। এটা মসজিদে সম্পন্ন করো এবং বিবাহ উপলক্ষে দফ বাজাও।’ তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ।

একটি হাদিসে এমন কি এও বলা হয়েছে যে, ‘হালাল ও হারামের মাঝে পার্থক্য নির্ণয়কারী হলো- বিয়ের সময় দফ বাজানো এবং তা জনসম্মুখে প্রচার করা।’ (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ।)

রসুলাল্লাহর নারী সাহাবি রুবাই বিনতে মুআব্বিয (রা.) বলেন, “আমার বাসর রাতের পরের দিন নবী (সা.) এলেন এবং আমার বিছানার ওপর বসলেন, যেমন বর্তমানে তুমি আমার কাছে বসে আছ। সে সময়ে মেয়েরা দফ বাজাচ্ছিল এবং বদর যুদ্ধে শাহাদাত প্রাপ্ত আমার বাপ-চাচাদের শোকগাঁথা গাচ্ছিল। তাদের একজন গাচ্ছিল, আমাদের মধ্যে এক নবী আছেন, যিনি ভবিষ্যৎ জানেন। তখন রসুলুল্লাহ্ বললেন, এ কথাটি বাদ দাও, আগে যা গাইছিলে তাই গাও (সহিহ বোখারী, হাদিস নং ৫১৪৭)।” লক্ষ করুন, এখানে রসুলাল্লাহ (সা.) মেয়েদেরকে গান গাইতে বারণ করলেন না, কিন্তু তাঁর ব্যাপারে একটি অতিরঞ্জিত ও ভ্রান্ত ধারণা তিনি সংশোধন করে দিলেন।

উম্মুল মু’মিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, “আমার অধীনে এক আনসারী মেয়ে ছিল; যাকে আমি বিয়ে দিলাম। তখন রসুলাল্লাহ বললেন, আয়েশা! বিয়েতে তোমরা কি গান গাইলে না? অপর এক বর্ণনায় এসেছে, সেখানে তুমি গান গাইতে পারে এমন কাউকে পাঠালে না কেন? আনসারী গোত্রের লোকেরা তো গান পছন্দ করে।” (সহীহ ইবনু হিব্বান)

সুতরাং বোঝা গেল মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন করা এবং বিয়েতে গান-বাজনা করা কেবল রসুলাল্লাহর অনুমোদিতই নয়, তিনি এর জন্য তাগিদ পর্যন্ত দিয়েছেন।

দিনশেষে মানুষের আশ্রয় হচ্ছে তার পরিবার। সেই পরিবারকে শান্তিময় করতে নারী ও পুরুষ উভয়েরই আল্লাহর বেঁধে দেওয়া সীমানার মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক। যেখানে সীমা লংঘন, সেখানেই অশান্তি। বিয়ের মাধ্যমেই একটি পরিবারের যাত্রা শুরু হয়। তাই বিয়ে অনুষ্ঠানের আগে ও পরে মাননীয় এমাম উপস্থিত অতিথি ও নবদম্পতির উদ্দেশে নসিহত করেন। একটি সুখী পরিবার গঠনের ক্ষেত্রে আল্লাহ ও রসুলের হুকুম মোতাবেক স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো জানিয়ে দেন।

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...