হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

ধর্মব্যবসা নির্মূলে অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান

   জাতীয় জাদুঘরে সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা

জাতীয় জাদুঘরে সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা
দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে ‘ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ধর্মব্যবসা-জঙ্গিবাদ নির্মূলে অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিদের মধ্যে বাম থেকে দৈনিক দেশেরপত্রের উপদেষ্টা মসীহ উর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, বিশেষ অতিথি রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রধান অতিথি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বিশেষ অতিথি উম্মততীজান মাখদুমা পন্নী, মানবাধিকার কর্মী রুবিনা আক্তার মীরা ও দেশেপত্রের চীফ নিউজ এডিটর এস এম সামসুল হুদা।

৯ই মার্চ ২০১৪ ঢাকার শাহাবাগস্থ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে “দৈনিক দেশেরপত্রে”র উদ্যোগে “ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেশেরপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহানা পন্নী রুফায়দাহর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌ পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এম.পি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এম.পি। আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দেশেরপত্রের উপদেষ্টা জনাব মসীহ উর রহমান, প্রধান বার্তা সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা ও মানবাধিকার কর্মী রুবিনা আক্তার মীরা। সভায় হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমাম এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী কর্তৃক প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে সমাজ থেকে সকল প্রকার ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ ও অন্যায়-অশান্তি নির্মূল করে দল, মত নির্বিশেষে এক জাতি, এক দেশ, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অনবদ্য অবদান রাখায় রাজধানীর ৫৭ জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবককে দৈনিক দেশেরপত্রের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়, যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ ফরিদুর রহমান ইরান খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ আতিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল নান্টু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আরবরা যখন অন্যায় অপরাধ, হানাহানি, বিভেদ ইত্যাদিতে লিপ্ত তখন আল্লাহ আরবের এই সমাজকে পরিবর্তন করার জন্য ইসলাম ধর্ম নিয়ে আমাদের নবী মোহাম্মদ (সা:) কে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আজ ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ও অপ-রাজনীতি করে দেশকে আবারো হানাহানিতে লিপ্ত করেছে।’ বাংলাদেশে ধর্মব্যসায়ীদের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, ‘তারা শুরু থেকে এই দেশে বিভিন্ন ঘটনায় ধর্মের নামে উম্মাদনা সৃষ্টি করে শতশত মানুষকে হত্যা করছে। নিকট অতীতে বাংলাদেশে ধর্মের জিকির তুলে রাজপথ, রেলপথ ধ্বংস করেছে, হাজার হাজার গাছ ধ্বংস করেছে, গাড়িতে আগুন দিয়ে নিরপরাধ শত শত মানুষকে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই ধর্মব্যবসায়ীদের যাবতীয় কার্যক্রমকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায়ন করেছেন। ধর্মব্যবসায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাওয়া একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজ আমাদের সমাজে চলমান দাঙ্গা হাঙ্গামা, মারামারি, হানাহানি, ধর্মব্যবসা ইত্যাদির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বাংলাদেশের কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। কোন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ইসলামের ধারক হতে পারে না কারণ ইসলাম সার্বজনীন এবং ইসলামের আলেম আর ধর্মব্যবসায়ী এক জিনিস নয়।’ তিনি ধর্মব্যবসা এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশেরপত্রের বর্তমান কার্যক্রমের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সত্যিকার আলেমদের শ্রদ্ধা করে। আর সেই সত্যিকার আলেমদের পরিচয় সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোটি কোটি সমর্থক দেশেরপত্রকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।’
আলোচনা সভার মূল আলোচ্য বিষয় ‘ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে দেশেরপত্রের উপদেষ্টা মসীহ উর রহমান বলেন, ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হচ্ছে ধর্মব্যবসা ও ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি যার একটি রূপ হচ্ছে জঙ্গিবাদ। ধর্মব্যবসায়ের সুদূরপ্রসারী ও প্রত্যক্ষ কুফল সম্পর্কে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ যেমন সচেতন নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বও তেমন সচেতন নয়। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার, অথচ ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ সোচ্চার নয়, এমন কি অধিকাংশ মানুষ ধর্মব্যবসাকে বৈধ মনে করে, একে পৃষ্ঠপোষণ করে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে, ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ একই অপশক্তির দু’টি বাহু। একে অপরের পরিপূরক, একটিকে আশ্রয় করেই অপরটি বেঁচে থাকে আর বিকশিত হয়। ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি ধর্মের নামে ব্যবসাও নিষিদ্ধ। তাই জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হলে আগে ধর্মব্যবসাকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বক্তাদের বক্তব্য চলাকালে মুহুর্মুহু করতালি দেওয়ার মধ্যদিয়ে সেমিনারকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ।

দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে ‘ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ধর্মব্যবসা-জঙ্গিবাদ নির্মূলে অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানা স্মারক প্রাপ্ত এবং আগত অতিথিদের একাংশ (বামে)। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন দৈনিক দেশেরপত্রের উপদেষ্টা এবং হেযবুত তওহীদের আমীর মসীহ উর রহমান। (ডানে)
দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে ‘ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ধর্মব্যবসা-জঙ্গিবাদ নির্মূলে অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানা স্মারক প্রাপ্ত এবং আগত অতিথিদের একাংশ (বামে)। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন দৈনিক দেশেরপত্রের উপদেষ্টা এবং হেযবুত তওহীদের আমীর মসীহ উর রহমান। (ডানে)

সভাপতির বক্তব্যে দেশেরপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহানা পন্নী রুফায়দাহ বলেন, ‘আমাদের জাতির সামনে এক গভীর সঙ্কট ঘনীভূত হোচ্ছে। সেই সঙ্কট থেকে উত্তরণ পেতে হোলে ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোস উন্মোচন না করে উপায় নেই। শুধু তাই নয়, পুরো জাতিকে ধর্ম ও রাজনীতির নামে যাবতীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে ফেলতে হবে। আমরা যদি জাতিকে কঠিনভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি তাহলে বাইরের কোন পরাশক্তি আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। সেই ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে উপাদান দরকার তা একমাত্র আমাদের কাছেই আছে। এনশা’আল্লাহ আমরা তা পারবো, আমরা সে লক্ষ্যে চেষ্টাও করে যাচ্ছি। আমাদের করা ১০ হাজারের অধিক জনসভায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতোমধ্যেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, ধর্মব্যবসা, জাতির জন্য ক্ষতিকর সহিংসতামূলক রাজনৈতিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে আমাদের আহ্বানে দুই হাত তুলে একমত প্রকাশ করেছে। কিন্তু আমরা মনে করি ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মত এত বড় কাজ আমাদের একার প্রচেষ্টায় সম্ভব নয়। এর জন্য রাষ্ট্রশক্তির প্রয়োজন। এখন এই অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাষ্ট্রশক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে।’
কানায় কানায় দর্শকপূর্ণ মিলনায়তনে দৈনিক দেশেরপত্রের সৌজন্যে নির্মিত বর্তমান সময়ের “ধর্মব্যবসা এবং ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতি”র উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত সকলে প্রস্তাবনার স্বপক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়।
কার্যক্রমকে চিরতরে বন্ধ করার জন্যই আল্লাহ্ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতা প্রদান করেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এম পি। গতকাল শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমাম এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী কর্তৃক প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে সমাজ থেকে সকল প্রকার ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ ও অন্যায়-অত্যাচার নির্মূল করে দল-মত নির্বিশেষে এক জাতি এক দেশ ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় দৈনিক দেশেরপত্রের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সমাজ যাকে ধারণ করে সেটাই ধর্ম। আরবরা যখন অন্যায় অপরাধ, হানাহানি, বিভেদ ইত্যাদিতে লিপ্ত তখন আল্লাহ আরবের এই সমাজকে পরিবর্তন করার জন্য ইসলাম ধর্ম নিয়ে আমাদের নবী মোহাম্মদ (সা:) কে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আজ এই ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের পরিচয় জনগণের কাছে পরিষ্কার।’ তিনি বাংলাদেশে ধর্মের নামে রাজনীতি করা প্রধান একটি দলের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৫৪ সালে এ দেশে প্রথম ধর্মভিত্তিক দলটি সৃষ্টি হয়। এরপর কয়েকশ’ মানুষকে হত্যা করার দায়ে দলটি তৎকালীন সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়। এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদাররা বাঙালি জাতিকে আক্রমন করার পর যখন সমস্ত জাতি বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন তারা আবারো দল গঠন করে এদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘নিকট অতীতে বাংলাদেশে সেই কতিপয় দলটি ধর্ম রক্ষার দোহাই দিয়ে রাজপথ-রেলপথ ধ্বংস করেছে, প্রায় ৬০ হাজার গাছ ধ্বংস করেছে, গাড়িতে আগুন দিয়ে নিরাপরাধ শত শত মানুষকে জ্বালিয়ে দিয়েছে।’ তিনি গণমাধ্যমকে কতিপয় রাজনৈতিক দলের অর্থের উৎস সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করার আহ্বান জানান। দেশেরপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহানা পন্নী রুফায়দাহর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এম.পি। আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দেশেরপত্রের উপদেষ্টা জনাব মসীহ উর রহমান, প্রধান বার্তা সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা, মানবাধিকার কর্মী রুবিনা আক্তার মিরা প্রমুখ।
রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক
রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক গতকাল শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘ধর্মব্যসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘যারা নিঃস্বার্থভাবে ধর্মের জন্য কাজ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে সমস্ত সত্যিকার আলেমদের মাথার মুকুট মনে করে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম এবং হযরত মোহাম্মদ (স:) এর উম্মত হওয়ার জন্য গর্ব বোধ করে। কিন্তু কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী এবং ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতি করা দল আজ নিজেদেরকে ইসলামের ধারক হিসেবে প্রচার করে। তারা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির সুযোগ নিয়ে তাদেরকে বিভ্রান্ত করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মের নামে রাজনীতি শুরু হয়েছে ৫০ বছর আগে। তারা যদি সত্যিই ধর্মের ধারক হয়ে থাকেন তাহলে এর আগে ধর্মকে কারা রক্ষা করেছিল?’ তিনি ধর্মের নামে অপব্যাখ্যাকারী এসকল সুযোগ সন্ধানী স্বার্থান্বেষী মহল থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসন আমলে দেশের মোসলেম, হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রীস্টানসহ সকল ধর্মের অনুসারীরা নাগরিক সুযোগ লাভ করেন। জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা এবং ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতির বিরুদ্ধে দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশেরপত্রের এই জঙ্গিবাদ ও ধর্ম নিয়ে অপ-রাজনীতির বিষয়বস্তুর সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোটি কোটি সমর্থক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সাধারণ জনতা সর্বাত্মক ভাবে সাহায্য করবে’ বঙ্গবন্ধুর একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে তিনি এ ব্যাপারে দেশেরপত্রকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় রাজধানীর ৫৭ জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবককে দৈনিক দেশেরপত্রের পক্ষ থেকে ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কার্যক্রমে সহায়তা করে ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

মসীহ উর রহমান, উপদেষ্টা, দৈনিক দেশেরপত্র
মসীহ উর রহমান, উপদেষ্টা, দৈনিক দেশেরপত্র

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ধর্মব্যবসা এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনষ্ঠানে দেশেরপত্রের উপদেষ্টা মসীহ উর রহমান বলেন, আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক বিশ্বাসগতভাবে ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী এবং গভীর অনুভূতিশীল। তাদের এই অনুভূতিকে পুজি করে এক শ্রেণির লোক ধর্মের নামে বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা করছে এবং ধর্মের নামে রাজনীতি করছে। আমরা এ যামানার এমাম, এমামুযযামান টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারের সন্তান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর অনুসারী। মহান আল্লাহ তাঁকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করেছেন। তিনি প্রচলিত ইসলামের বিকৃত দিকগুলিকে চিহ্নিত করে প্রকৃত ইসলামকে মানবজাতির সামনে প্রকাশ করেছেন। এমামুযযামান কোর’আন হাদীস থেকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা, ধর্মের নামে ব্যবসা করা, ইসলামে বৈধ নয়। ধর্মের নামে রাজনীতি ইসলামে বৈধ নয়। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যেমন ব্যবসায়িক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সিন্ডিকেট থাকে তেমনি ধর্মব্যবসায়ীরাও নিজেদের মধ্যে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। বিভিন্ন ধরণের মাদ্রাসা থেকে তারা বেরিয়ে এসে এই পরজীবী শ্রেণিটি ধর্মীয় নানা অজুহাত সৃষ্টি করে এই জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিগত সামাজিক ও জাতীয় জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। যেহেতু শতকরা প্রায় নব্বই মানুষ ধর্মীয় ব্যাপারে প্রবল অনুভূতিশীল তাই এই ধর্মজীবী শ্রেণিটির হাতে এই জাতিকে ধর্মের নামে ভুল বুঝিয়ে প্রভাবিত করার অগাধ ক্ষমতা রোয়েছে। তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন ইসলাম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল, কোন পীরের পরিচালিত আন্দোলন এমন কি অনেকে দেশি বিদেশী জঙ্গি সংগঠনগুলির কর্মী বা সমর্থক। তাদেরও যথেষ্ট অপ-রাজনৈতিক তৎপরতা রোয়েছে। যখন তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থানে বা দেশে কোন বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন তারা বিভিন্নভাবে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আপামর জনতাকে ধর্মীয় আঙ্গিকে প্রভাবিত করে এবং ভুল বুঝিয়ে থাকে। যাদের সঙ্গে তাদের মতাদর্শের অমিল দেখতে পায় তাদের কাউকে তারা নাস্তিক, কাউকে খ্রিস্টান, কাউকে ইসলামবিদ্বেষী ইত্যাদি হিসাবে প্রচার করে। যারা ধর্মকে জীবিকার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে এবং যারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, তাা সকলেই এক জোট হোয়ে এই কাজটি করে। তাদের যে কোন অবৈধ, অনৈতিক কাজকে তারা ধর্মীয় মাসলা, মাসায়েল, ফতোয়ার মারপ্যাঁচে বৈধ বানিয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করে, তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। যুগে যুগে প্রতি সমাজে ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা এই কাজটিই হোয়েছে। কারো বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়ে তারা রক্তক্ষয়ী দাঙ্গাও বাঁধিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষকে তারা বুঝতে দেয় না যে, ধর্মের নামে ব্যবসা, ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ ইসলামে যেমন বৈধ নয়, তেমনি ইসলামের নামে সন্ত্রাস, হানাহানি, মারামারি ইত্যাদিও বৈধ নয়।
১৯৭১ সালে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার, শোষণের বিরুদ্ধে এ দেশের সাড়ে সাত কোটি বাঙালি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোয়েছিল এবং নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর আজকে আমরা ১৬ কোটি। আমাদের জাতির সেই ঐক্য কোথায় গেল? আজকে যে এই জাতি শতধাবিচ্ছিন্ন, ঐক্যহীন তার পেছনে কয়েকটি বড় কারণ হোচ্ছে ধর্মব্যবসায়ীরা, তারা জাতির ঐক্যের মূলে আঘাত হেনেছে। পাশাপাশি পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের চাপিয়ে দেওয়া বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র, ব্যবস্থার ফলে এই জাতির রাজনৈতিক আদর্শও বহুভাগে বিভক্ত হোয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলির কোন্দল, হানাহানি আমাদেরকে একটি দিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দেয় নি, এই জাতিটিকে ঐক্যবদ্ধ হতে দেয় নি। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম যে, ঐক্য সর্বদায় অনৈক্যের উপর বিজয় লাভ করে। আজকে আমরা ষোল কোটি, আজকে আমরা হাজার হাজার মতভেদে আমরা বিভক্ত। বিভিন্ন রকমের রাজনৈতিক দলে আমরা বিভক্ত। নিত্যদিন দাঙ্গা-হাঙ্গামায় আমাদের জনগণকে লিপ্ত রাখা হয়েছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তটস্থ থেকেছে। সরকার ও সমাজনেতারা থাকেন ভীত-সন্ত্রস্ত। রাজনৈতিক মতবাদ ও দলের দ্বন্দ্বে ফেলে একটি দেশকে সহিংসতার আবর্তে আটকে রাখা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলির চাপিয়ে দেওয়া একটি দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের ফল।
মাননীয় এমামুযযামান ২০০৯ সনে চিঠি লিখে জঙ্গিবাদ দমনে সরকারকে সহযোগিতা করার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। আওয়ামী সরকারকেও এই প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন, কিন্তু যে কোন কারণেই হোক সেই প্রস্তাব আমলে নেওয়া হয় নি। অথচ আজ পর্যন্ত আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যার স্রষ্টা সেই ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণী এবং ধর্মকে পুঁজি কোরে যারা রাজনীতি করেন তারা। আমরা আবারও বোলি, জঙ্গিবাদ একটি ভ্রান্ত মতাদর্শ। একে প্রতিহত কোরতে হবে আদর্শ দিয়েই যাকে সমাজবিজ্ঞানীরা বলেন ওয়ার অব আইডিওলজি। যদি কোর’আন হাদীস দিয়েই মানুষকে বোঝানো যায় যে জঙ্গিবাদ ও ধর্মব্যবসা ইসলামে নিষিদ্ধ, ওপথে জান্নাতের আশা নেই। মানুষকে ইসলামের দলিল দিয়ে দেখানো যায় যে জঙ্গিবাদীদের মতবাদের মধ্যে কত বড় শুভঙ্করের ফাঁকি রোয়েছে তবে কেউ আর ওপথ মাড়াবে না। এটা প্রমাণ করার জন্য যে যুক্তি প্রমাণ দরকার তা আল্লাহ যামানার এমামকে দান করেছেন। এখন আমাদের প্রস্তাবনা হল এ বিষয়গুলি সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে বোঝাতে হবে। সরকার যখন যামানার এমামের প্রস্তাবে সাড়া দেয় নি, আমরাও তাদের জন্য বোসে থাকি নি। ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নামের ভয়াবহ ব্যাধী থেকে মানবজাতিকে বুঝিয়ে মুক্ত করার দায়িত্ব ইনশা’আল্লাহ আমরা নিয়েছি। আমরা যামানার এমামের অনুসারীরা মাঠে নেমেছি। আমরা হাজার সেমিনার, জনসভা ইত্যাদি করে, আপামর জনতাকে সঙ্গে নিয়ে এবং পত্রিকার মাধ্যমে আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি। আমরা বোঝাচ্ছি যে, এই ধর্মব্যবসায়ীরা প্রকৃত ইসলাম নয়। তাদের কথা শুনবে না। তারা যা বলে মিথ্যা বলে। তারা যা করে তা আল্লাহ-রসুল দ্বারা অনুমোদিত নয়। কীভাবে, সেটা আমরা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা তো গত ১৯ বছর ধোরে কাজ করে যাচ্ছি, যেহেতু একটি মহাসত্য আল্লাহ আমাদেরকে বুঝিয়েছেন আমরা সেটি আমাদের সাধ্যমত মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়, এত ব্যাপক পরিসরের কাজের জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রশক্তি। সেই রাষ্ট্রশক্তির কাছে আমাদের প্রস্তাবনা এই যে, আমাদের কাছে যে উপাদান রোয়েছে তা আমরা আপনাদেরকে দেব, আপনারা রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশকে ধর্মব্যবসায় ও জঙ্গিবাদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারবেন এবং ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হবেন।
যখন কোন জনগোষ্ঠী আল্লাহর বেঁধে দেওয়া সীমালংঘন করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চোলে যায়, তখন আল্লাহ দয়াপরবশ হয়ে তাদের মধ্যে নবী-রসুল প্রেরণ করে তাদেরকে সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ দেন। আল্লাহর শেষ নবী মোহাম্মদ (দ:)। তিনি চোলে যাওয়ার পর আর কোন নবী আসেন নি, আসবেন না। কিন্তু মানবজাতি ঠিকই আল্লাহর দেওয়া পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্যায় অশান্তির ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এমতাবস্থায়, এই মানবজাতিকে মুক্তির পথ পাওয়ার জন্য মহানব আল্লাহ এই যুগের জন্য একজন নেতা অর্থাৎ এমাম মনোনীত করেছেন। তিনিই হচ্ছে এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। আমরা তাঁর পক্ষ থেকে আগত প্রতিনিধি। পার্থিব কোন স্বার্থে আমরা কাজ করছি না। আল্লাহ যেহেতু আমাদেরকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন আমরা সেটি পালন করে যাবো এনশা’আল্লাহ। গত ১৯ বছরে যামানার এমামের কোন অনুসারী কোন অন্যায় কাজ বা কোন আইন ভঙ্গ করেছে বোলে কেউ প্রমাণ দেখাতে পারবে না। আমরা আমরা নিজেদের অর্থ খরচ করে, নিজেদের সোনা-দানা, বাড়ি ঘর, জমা-জমি সব বিক্রি করে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইতে অবতীর্ণ হয়েছি।

জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে ‘ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে দৈনিক দেশেরপত্রের উদ্যোগে ‘ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে দেশেরপত্রের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে দেশেরপত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহানা পন্নী রুফায়দাহ সভাপতিত্ব করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দেশে স্থায়ীভাবে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতারণা, প্রচারণা ও ফতোয়াবাজি বন্ধ কোরতে হবে। এই লক্ষ্যে আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে যে প্রস্তাবনাগুলি পেশ কোরলাম আমি আশা কোরি সরকার তা বিবেচনায় নেবে।
সকল প্রকার অন্যায় অবিচার, অসত্যের বিরুদ্ধেই আমাদের দৃঢ় অবস্থান। সকল অন্যায় সমান নয়, সকল পাপের দণ্ডও সমান নয়। ধর্ম হোচ্ছে সকল ন্যায়ের উৎস, ধর্মের উপর অধিকাংশ মানুষের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস। সেই ধর্মকে যখন অপকর্মের হাতিয়ার বানানো হয় তখন ধর্ম থেকেই মানুষের আস্থা হারিয়ে যায়, ধর্মের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধা হারিয়ে ফলে সমাজ থেকে ন্যায়-নীতি, মানবতা সব কিছুই হারিয়ে যেতে থাকে। যারা ব্যক্তিস্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে মানবজাতির অপূরণীয় এই ক্ষতি সাধন কোরছে আমার বাবা যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী তাদের মুখোস উন্মোচন কোরে দিয়েছেন, এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মজীবীরা বহু মিথ্যাচার কোরেছে, তাঁকে অপবাদের বন্যায় ভাসিয়ে দিতে চেয়েছে। তার বিরুদ্ধে বহু মিটিং মিছিল মিথ্যা মামলাও কোরেছে, কিন্তু তিনি এক মুহূর্তের জন্যও সত্যপথের এই সংগ্রাম থেকে বিরত হন নি। মহান আল্লাহ তাঁকে ইসলামের প্রকৃত রূপ দান কোরেছেন। সত্য ইসলামকে তুলে ধোরতে হোলে বিকৃত ইসলামের স্বরূপ চিহ্নিত না কোরে উপায় নেই। তিনি অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ধর্মজীবীদের হাতে কুক্ষীগত বিকৃত ইসলামের স্বরূপ তাঁর লেখায়, বক্তব্যে তুলে ধোরেছেন। আমরা দৈনিক দেশেরপত্রের মাধ্যমে চেষ্টা কোরছি মানবজাতির সামনে সেই ইসলামটি তুলে ধোরতে যে ইসলাম ১৪০০ বছর আগে আল্লাহ তাঁর শেষ রসুল মোহাম্মদ (দ:) এর উপর নাজেল কোরেছিলেন। সেই ইসলাম পৃথিবীর যে অংশে প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল সেখানে প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিল অনাবিল শান্তি, মানুষের জীবন এবং সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা। সেই ইসলাম আর আজকে ধর্মব্যবসায়ী মোল্লা-ধর্মজীবীদের কাছে যে ইসলাম আছে এ দু’টি কি এক ইসলাম। নিশ্চয় নয়, ফলেই তার প্রমাণ। আর আজকের বিকৃত ইসলাম থেকেই ধর্মজীবীরা জঙ্গিবাদ নামক সন্ত্রাসকে বৈধতা দান কোরছে। কোর’আন হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা কোরে জঙ্গিবাদ নামকে অসত্যের সৃষ্টি কোরেছে। তারা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে নিয়ে সুচতুরভাবে খেলছে আর নিজেরা স্বার্থ হাসিল কোরছে। আমরা দৈনিক দেশেরপত্রের মাধ্যমে চেষ্টা কোরছি এই ধর্মব্যবসা ও জঙ্গিবাদের অবৈধতা, নিষিদ্ধতা কোরআন হাদীসের দ্বারা মানুষের সামনে প্রমাণ কোরে দিতে যেন মানুষ আর তাদের অপপ্রচারে প্রভাবিত হোয়ে দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর কোন কর্মকাণ্ডে অংশ না নেয়। আমাদের সাথে যারা কাজ কোরছেন আমার ভাইয়েরা, যামানার এমামের অনুসারীরা তাদের পার্থিব সবকিছু কোরবান কোরেছেন। তারা সম্পূর্ণ নিস্বার্থভাবে মানবতার কল্যাণে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ কোরছেন, এই কাজের জন্য তারা কেউ একটি পয়সাও গ্রহণ করেন না। এর বিনিময় আমরা গ্রহণ কোরব আল্লাহর কাছ থেকে।
আমাদের জাতির সামনে এক গভীর সঙ্কট ঘনীভূত হোচ্ছে। সেই সঙ্কট থেকে উত্তরণ পেতে হোলে ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোস উন্মোচন না কোরে উপায় নেই। শুধু তাই নয়, পুরো জাতিকে ধর্ম ও রাজনীতির নামে যাবতীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কোরে ফেলতে হবে। আমরা যদি জাতিকে সুকঠিনভাবে ঐক্যবদ্ধ কোরতে পারি তাহলে বাইরের কোন পরাশক্তি আমাদের কোন ক্ষতি কোরতে পারবে না। সেই ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে উপাদান দরকার তা একমাত্র আমাদের কাছেই আছে। এনশা’আল্লাহ আমরা তা পারবো, আমরা সে লক্ষ্যে চেষ্টাও কোরে যাচ্ছি। আমাদের করা ১০ হাজারের অধিক জনসভায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতোমধ্যেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, ধর্মব্যবসা, জাতির জন্য ক্ষতিকর সহিংসতামূলক রাজননৈতিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে আমাদের আহ্বানে দুই হাত তুলে একমত প্রকাশ কোরেছে। ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মত এতবড় কাজ আমরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে, দলগত পর্যায়ে থেকেও কোরে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা মনে কোরি এতবড় কাজ আমাদের একার প্রচেষ্টায় সম্ভব নয়। এত বড় কাজ করার জন্য রাষ্ট্রশক্তির প্রয়োজন। রাষ্ট্রশক্তিকে এই কথা বুঝতে হবে যে, এই সমস্যা জাতীয় সমস্যা। ধর্মব্যবসায়ীদের ক্রমাগত অপপ্রচারের কারণে রাষ্ট্র আজ বিব্রত। যারা সাধারণ মানুষ, যাদেরকে ভুল বোঝানো হয়েছে তাদেরকে সেই ভুল ভাঙানোর জন্য আমাদের সেই প্রমাণই যথেষ্ট হবে। এখন সম্পূর্ণ রাষ্ট্রশক্তি যদি আমাদের পক্ষে না থাকে তাহলে এতবড় কাজ করা আমাদের জন্য কঠিন হবে। অসম্ভব বোলব না, তবে কঠিন হবে এবং প্রচুর সময় লাগবে। এনশা’আল্লাহ আল্লাহর সিদ্ধান্ত হোয়েছে এই অন্যায় দূর হবে, অশান্তি দূর হবে, শান্তি আসবে।
আমরা বারবার বোলছি, আপনারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিন। এতদিন আপনারা ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই আমাদের সহযোগিতা কোরে এসেছেন। এই জন্য আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হোয়ে সামনের দিনগুলিতে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, জ্বালাও-পোড়াও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এবং কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোই। দেখবেন এনশা’আল্লাহ আমরা হবো পৃথিবীর সেরা জাতি, দুনিয়াকে আমরা নেতৃত্ব দেবো। আল্লাহ হাফেজ, সালামু আলাইকুম।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...