হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

কেন আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

রাকীব আল হাসান
অস্ত্র ব্যবসায়ী সা¤্রাজ্যবাদী পরাশক্তিগুলো গত কয়েক শতাব্দী থেকে প্রাধান্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় মরিয়া। তারা দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটিয়ে ১৪ কোটি আদম সন্তান হত্যা করেছে, আহত, বিকলাঙ্গের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ। তারা হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পৃথিবীর জঘন্যতম ঘটনা ঘটালো। এখনো তারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বহু জায়গাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অস্ত্র ব্যবসার বাজার সৃষ্টিতে তারা কূটকৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে দিচ্ছে। সামরিক শক্তিতে বলীয়ান দেশগুলো যুদ্ধাংদেহী মনোভাব নিয়ে একে অপরের সাথে হুমকির ভাষায় কথা বলছে। বিশ্বপরিস্থিতি এমন জায়গাতে এসে দাঁড়িয়েছে যে, যে কোনো সময় যুদ্ধ-মহাযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এবার বিশ্বযুদ্ধ লাগলে প্রায় সমগ্র পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে, মানবজাতি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আর আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলোও আধিপত্য ধরে রাখতে যুদ্ধাংদেহী মনোভাব নিয়ে বসে আছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় যেন সাধারণ ঘটনা। চীন-ভারত সীমান্তেও একই অবস্থা। মায়ানমারে আধিপত্য বিস্তারের নেশায় চীন ও ভারত তাদের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সমর্থন দিয়েছে। এবার আসি মুসলিম জাতির কথায়, পাশ্চাত্য পরাশক্তিগুলো থেকে শুরু করে আঞ্চলিক শক্তিগুলো সবাই আসলে টার্গেট করেছে মুসলিম জাতিকে। সমগ্র পৃথিবীতে নির্যাতিত হচ্ছে মুসলমান, উদ্বাস্তু হচ্ছে মুসলমান, দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে মারা যাচ্ছে মুসলমান, পানিতে ডুবে মরছে মুসলমান, বোমার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে মুসলমানদের শহর, নগর, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, লিবিয়া একটার পর একটা মুসলিম দেশ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে মুসলমানদের। আর বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতনের ইতিহাস তা কারোরই অজানা নয়। ৭০ বছর থেকে চলছে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন, কাশ্মিরের মুসলমানদের উপরও চলছে নির্যাতন, নিপীড়ন। কাশগড়, উইঘোর, জিংজিয়াং, বসনিয়া, চেচনিয়া, কাম্পুচিয়া এভাবে বলতে গেলে পৃথিবীর যেখানে যে যেভাবে পারছে মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আর সম্প্রতি ভয়ংকর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানরা আমাদেরই দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই হলো সারা পৃথিবীর মুসলমানদের বর্তমান করুণ অবস্থা।
আর আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা হলো- অনৈক্য, হানাহানি, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ-পাচার, অন্যায়, অবিচার, অশান্তি, ধর্ষণ, হত্যা, চুরি, ছিনতাই, গুম, মিথ্যা মামলা ইত্যাদিতে সমাজ জর্জরিত। সবচেয়ে মহামারির মতো রূপ নিয়েছে অনৈক্য, হানাহানি। ’৪৭-এ ব্রিটিশরা চলে যাবার পর স্বাভাবিকভাবইে একটা জাতি হিসাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা ছিল, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবার কথা ছিল কিন্তু সেটা হয়নি। বরং অনৈক্য, হানাহানি আর শোষণ চলেছে অবিরাম। সেই শোষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। দেশ স্বাধীনের পর স্বাভাবিকভাবেই উচিত ছিল সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকা, ন্যায়, সাম্য প্রতিষ্ঠা হওয়া কিন্তু সেটা হয়নি। গত ৪৬ বছরে আমরা একটা দিনের জন্যও ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারিনি।
এর পেছনে প্রধানত দু’টি শ্রেণি দায়ী। প্রথমত ধর্মের নামে বহু ফেরকা, মাজহাব, মত, পথ, দল-উপদল সৃষ্টি করে আমাদেরকে বহুভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। ইসলামের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে, তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয় নিয়ে এই শ্রেণিগুলো একে অপরের সাথে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত থাকে, কখনো কখনো হানাহানি এমনকি খুনোখুনি পর্যন্ত করে। এরা ইসলামের মূল শক্তি ঐক্যই ভেঙ্গে ফেলেছে। এই বিভাজনের ইসলাম আল্লাহর রসুল শেখাননি, তিনি তো পরস্পর অনৈক্য, হানাহানিতে, যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত আরবজাতিকে একজাতিতে পরিণত করেছিলেন, শত্রুকে ভাই বানিয়েছিলেন। এই বিভাজনের ইসলাম মূলত ব্রিটিশরা মুসলমান নামক জাতিকে দুর্বল করার জন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিখিয়ে গেছে।
আর দ্বিতীয় ভাগটি হলো ব্রিটিশদের শেখানো ধান্দাবাজির রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এই হানাহানি, দলাদলির রাজনৈতিক ব্যবস্থা ১৬ কোটি মানুষকে বহু ভাগে বিভক্ত করে জাতিটাকে একেবারে দুর্বল, পঙ্গু করে ফেলেছে। এই ব্যবস্থায় সরকার বড় কোনো উদ্যোগ নিলে বিরোধী দল তার বিরোধিতা করবে, অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেবে, দেশের মোট জনশক্তিকে এই সিস্টেম বহু খণ্ডে কেবল বিভক্তই করে না বরং একেবারে একে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেয়। ভাই ভাইকে খুন করে, প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশীর উপর হামলা করে। এই রাজনৈতিক ব্যবস্থা আমাদেরকে একদিনের জন্যও ঐক্যবদ্ধ থাকতে দেয়নি। যে রাজনৈতিক হানাহানি, দলাদলি এক সময় রাজধানীতে সীমাবদ্ধ ছিল এখন তা মফস্বল শহর থেকে শুরু করে একেবারে গ্রাম পর্যায়ে চলে গেছে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষগুলো এক সময় মিলেমিশে বসবাস করত, কোনো দলাদলি, হানাহানি ছিল না কিন্তু এখন সেই মানুষগুলো বিভিন্ন তাবুতে বিভক্ত। নির্বাচনী সহিংসতায় এখন গ্রামের মানুষও অংশ নিচ্ছে। এক কথায় পুরো সমাজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনেকে বলতে পারেন দেশের তো অনেক উন্নতি হয়েছে, দেশ তো অনেক এগিয়েছে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই। হ্যাঁ, সেটা বস্তুগত উন্নতি। কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে, যেখানে নৌকা দিয়ে পার হতে হতো সেখানে ব্রিজ হয়েছে, দু’তলা বিল্ডিং দশ তলা হয়েছে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, উন্নত হাসপাতাল হয়েছে এভাবে বলতে গেলে বহু বস্তুগত উন্নতি হয়েছে যদিও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা সেভাবে এগুতে পারিনি, এজন্যই এখনো আমাদের দেশের মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে যাচ্ছে উচ্চশিক্ষা নিতে, উন্নত চিকিৎসা নিতে। বস্তুগত উন্নতি হলো সময়ের ব্যবধানে, মানবজাতির ক্রমবিবর্তনের একটি ধারাবাহিকতামাত্র। মানুষ একসময় পশুশিকার করে খেত, এরপর তারা পশুপালন শিখল, কৃষিকাজ শিখল, এভাবে সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে বস্তুগত উন্নতির ধারাবাহিকতায় শিল্পবিপ্লব ঘটল, প্রযুক্তির উন্নয়ন হলো, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলো- এই উন্নয়নের সমষ্টিই হলো আজকের সভ্যতা। সময়ের ধারাবাহিকতায় এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানবসভ্যতা বস্তুগতদিক দিয়ে অনেক উন্নত হয়েছে এটা সত্য কিন্তু মানুষের মানবিক যে আরেকটা দিক রয়েছে, মনুষ্যত্বের যে একটা দিক রয়েছে সেই দিক দিয়ে মানুষের অবস্থান কোথায় সেটা বিবেচনা করা দরকার। সত্য, ন্যায়, সুবিচার, সাম্য, দয়া, মায়া, ভালোবাসা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, নিঃস্বার্থতা, দেশপ্রেম, অপরের কল্যাণচিন্তা ইত্যাদি মানবীয় গুণগুলো মানুষের মধ্য থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত মানুষ কেবল নিজের স্বার্থ বিবেচনা করে চলছে। নিজের সামান্য স্বার্থে অন্যকে হত্যা পর্যন্ত করে ফেলছে। মানুষ আজ আত্মিকভাবে দেউলিয়া আর শারীরিকভাবে অশান্তিতে আছে। এখন পৃথিবীব্যাপী চলছে শক্তিমানের শাসন, শক্তি যার সবকিছুই এখন তার হাতে। এখানে ন্যায়-অন্যায়ের কোনো বিবেচনা নেই, সত্য-মিথ্যার কোনো পার্থক্য নেই। পৃথিবীব্যাপী বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে অন্যায়, অবিচার, জুলুম, যুদ্ধ, রক্তপাত, হত্যা, ধর্ষণ, বেকারত্ব, দারিদ্য, অশান্তি আর হতাশা হচ্ছে নিত্যদিনের ব্যাপার। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে প্রতিদিন সংঘাত, সংঘর্ষ হচ্ছে না। দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, দরিদ্রের উপর ধনীর বঞ্চনা ও শোষণে, শাসিতের উপর শাসকের অবিচার, ন্যায়ের উপর অন্যায়ের বিজয়ে, সরলের উপর ধূর্তের বঞ্চনায় পৃথিবী আজ মানুষের বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে! চারদিক থেকে মানুষের হাহাকার উঠছে- শান্তি চাই, শান্তি চাই! সমস্ত দুনিয়া যেন আজ এক ভয়াবহ নরক কুণ্ডে পরিণত হয়েছে।
এখন মানুষ কি নিজের চোখের সামনে এই সুন্দর ধরণী ধ্বংস হতে দিবে, নাকি এখান থেকে সে মুক্তির কোনো পথ খুঁজে পাবে? আমরা বলছি এই যাবতীয় সমস্যার সমাধান মহান আল্লাহ হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন, সেটা নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- মানবজাতিকে আজ বিশ্বাস করতে হবে গোড়ায় আসলে আমরা সবাই একজাতি, এক পিতা-মাতার সন্তান, আমাদের প্রভু ও সৃষ্টিকর্তা একজন। গায়ের রং যেমনই হোক, বসবাসের স্থান যেখানেই হোক, যে যে ভাষাতেই কথা বলি না কেন, যে ধর্মের অনুসরণই করি না কেন আমরা আসলে একজাতি, সকলেই আমরা ভাই-বোন। এক ভাই কি কখনো অন্য ভাইকে, অন্য বোনকে বোমা মেরে হত্যা করতে পারে? নিজের সামান্য লাভের জন্য খাদ্যে বিষ মেশাতে পারে? বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে পারে? জোর করে সম্পদ দখল করতে পারে? নদীতে বাঁধ দিয়ে ক্ষরা আর দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিতে পারে? এটা করলে কি আমাদের স্রষ্টা আমাদের উপর খুশি হবেন? না। কাজেই আমরা কেবল নিজেদের স্বার্থ না দেখে যখন সমগ্র মানবজাতির স্বার্থ তথা ন্যায়ের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব তখন আর এমন কাজ আমরা করতে পারব না। আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, ঐক্যচেতনা জাগ্রত করতে হবে।
আমাদের যেহেতু একজন মহাপরাক্রমশালী স্রষ্টা আছেন যিনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন, প্রতিনিয়ত যিনি আমাদের জন্য আলো, পানি, বাতাস সরবরাহ করে চেলেছেন নিশ্চয় তিনি আমাদের মুক্তির জন্য, যাবতীয় সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি পথও দিবেন, নিশ্চয় তিনি এমনি এমনি আমাদেরকে ছেড়ে দিবেন না। হ্যাঁ, তিনি একটি পথও আমাদেরকে দিয়েছেন। যুগে যুগে তিনি এই পথ পাঠিয়েছেন নবী-রসুলদের মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নবী মোহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে আমাদের মুক্তির পথ তিনি পাঠিয়েছেন। এই পথে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে যারা উঠেছিল তাদের জীবন থেকে, তাদের সমাজ থেকে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার, অশান্তি, নিরাপত্তাহীনতা, দুঃখ, দারিদ্র সব চলে গিয়েছিল। তারা হয়েছিল পৃথিবীর শিক্ষকের জাতি। তাদের দায়িত্ব ছিল সমগ্র মানবজাতিকে এই পথে তুলে সমগ্র পৃথিবী থেকে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার, অশান্তি দূর করে ন্যায়, সুবিচার, শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব তো ত্যাগ করলই উপরন্তু তারা রসুলাল্লাহর দেখানো সেই পথ থেকে নিজেরাই সরে গেল। এক সময় এসে তারা ইউরোপীয় খ্রিষ্টান জাতিগুলো গোলামে পরিণত হলো। তখন আল্লাহর হুকুম ছেড়ে পাশ্চাত্যদের হুকুম, বিধান মেনে নিল। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনে কিছু আমল করে তারা এখন জান্নাতের আশায় মগ্ন কিন্তু পৃথিবীর কী অবস্থা, মানুষের কী দুর্গতি, এই মুসলিম জাতির কী দুর্দশা তা তারা একবার চোখ মেলেও দেখছে না। এখন সময় হয়েছে রসুলাল্লাহ (সা.) এর দেখানো সেই মুক্তির মন্ত্রটা আবার গ্রহণ করে মানবজাতিকে মুক্তি দেবার। সেই মন্ত্রটা হলো- “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া মোহাম্মদুর রসুলাল্লাহ” যার মর্মার্থ হলো- “আল্লাহ ছাড়া কোনো হুকুমদাতা নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) তাঁর প্রেরিত”। আল্লাহর হুকুম মানে হলো যাবতীয় ন্যায়। মহান আল্লাহ যেহেতু সমগ্র মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন কাজেই তিনি সকল স্বার্থের ঊর্ধ্বে। তাঁর হুকুম, বিধান সমগ্র মানবজাতির স্বার্থ রক্ষা করবে, সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণ করবে। অর্থাৎ সমগ্র মানবজাতির জন্য, সমগ্র সৃষ্টির জন্য যা কিছু অকল্যাণকর তথা অন্যায় তা আমরা পরিত্যাগ করব এবং যা কিছু কল্যাণকর তথা ন্যায় তা আমরা গ্রহণ করব- এই সিদ্ধান্তের উপর আজ মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...