হেযবুত তওহীদের একটি নিবন্ধ বা বই
পাল্টে দিতে পারে
আপনার জীবন!


সম্মানিত আলেমদের প্রতি
- লেখক: সম্পাদনা: মোহাম্মদ রিয়াদুল হাসান
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 30/04/2016
- ভাষা: বাংলা
- ISBN: 978-984-8912-38-6
- মূল্যঃ ৳২০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
পশ্চিমা পরাশক্তিগুলো তাদের বন্দুকের নিশানা তাক করেছে ইসলাম ও মুসলিমদের দিকে। তারা প্রপাগান্ডা চালিয়ে মুসলিমদেরকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী বলে বিশ্বময় নেতিবাচকধারণা সৃষ্টি করেছে। তারা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে একটার পর একটা দেশ দখল করে নিচ্ছে, লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যা করছে, কোটি কোটি নারী, শিশু, বৃদ্ধ, যুবা উদ্বাস্তু শিবিরে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ নিয়েও চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। মানুষের ঈমানকে ভুল খাতে প্রবাহিত করে মুসলিম জাতির জন্য ক্ষতিকর অনেক কাজই করা হয়েছে এবং হচ্ছে। মুসলিমপ্রধান এ দেশে যদি মধ্যপ্রাচ্যের মত অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে দেওয়া হয় তাহলে আমাদের দাঁড়ানোর কোনো জায়গা থাকবে না। সমগ্র পৃথিবীতে সংখ্যায় ১৬০ কোটি হয়েও আমরা তাদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে পারছি না কারণ আমরা অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছি। সমাজ, দেশ, বিশ্বের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। তাছাড়া আমরা এক আল্লাহ এক রসুল এক কোর’আনের অনুসারী হয়েও হাজারো দলে, উপদলে, মাজহাবে, ফেরকায়, রাজনৈতিক মতবাদে বিভক্ত হয়ে আছি। ঐক্যহীন জাতির পরাজয় অনিবার্য, তাই আল্লাহ বার বার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আদেশ করেছেন এবং ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কাজ করতে নিষেধ করেছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ হবো কিসের ভিত্তিতে? হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী তওহীদের ভিত্তিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামের বিভিন্ন আকিদাগত বিষয় নিয়ে ফেরকা-মাজহাবের আলেমদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও কলেমা তওহীদের ভিত্তিতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি। তওহীদের মর্মবাণী হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, আইন-কানুন, অর্থনীতি, দণ্ডবিধি এক কথায় জীবনের যে অঙ্গনেই হোক যে বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের কোনো বক্তব্যথাকবে, সে বিষয়ে আমরা আর কারো বক্তব্য গ্রহণ করব না। মুসলিম জাতি বর্তমানে ব্যক্তিগত আমল কমবেশি করলেও তাদের জাতীয় সামষ্টিক জীবন পরিচালিত হচ্ছে পাশ্চাত্য সভ্যতার বিধি বিধান দিয়ে। এভাবে তারা শেরক ও কুফরের মধ্যে ডুবে আছে, পরিণতিতে তাদের জীবন কাটছে ঘোর অশান্তিতে। এমন পরিস্থিতিতে সম্মানিত আলেমদেরকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার উপর জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। এ পুস্তিকায় জাতির দিক-নির্দেশনা দানকারী সত্যনিষ্ঠ আলেমদের প্রতি হেযবুত তওহীদের বক্তব্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে।

সকল ধর্মের মর্মকথা – সবার ঊর্ধ্বে মানবতা
- লেখক: সম্পাদনা: মোখলেছুর রহমান সুমন
- প্রকাশকাল: 01/09/2014
- ভাষা: বাংলা
- মূল্যঃ ৳১০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 0167-5933468
পৃথিবীতে নানা ধর্মের মানুষের বসবাস। কিন্তু যে যেই ধর্মেরই হোন না কেন সকল ধর্মেরই মূল কথা হচ্ছে- মানবতা। মানবতার কল্যাণই সকল ধর্মের অভিপ্রায়। সকল ধর্মই বলে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিস্বার্থভাবে বিলিয়ে দিতে। মানবতার বিপর্যয় কোনো ধর্মেরই অভিপ্রায় নয়। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই এই পুস্কিকার রচনা।

আসুন সিস্টেমটাকেই পাল্টাই
- লেখক: সম্পাদনা: মোহাম্মদ রিয়াদুল হাসান
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 01/01/2012
- ভাষা: বাংলা
- মূল্যঃ ৳১০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
প্রচলিত সিস্টেম আমাদের সমাজকে আজ ধ্বংসের একেবারে শেষপ্রান্তে নিয়ে গেছে। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে আজ কোথাও শান্তি নেই। তাই এই অকার্যকরী সিস্টেমকে বাদ দিয়ে যারা প্রকৃত শান্তিময় সমাজব্যবস্থা রচনা করতে চান, তাদের জন্য এই বইটি পড়া উচিৎ।

যুগসন্ধিক্ষণে আমরা
- লেখক: মো: বায়াজীদ খান পন্নী
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 01/01/2012
- ভাষা: বাংলা
- মূল্যঃ ৳১০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্বই মানবজাতির প্রকৃত ইতিহাস। যখন আলো আসে তখন অন্ধকার দূর হয়। যুগে যুগে মানবসমাজে সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন মহামানবগণ। বর্তমানের এই যুগসন্ধিক্ষণে সেই সত্যের মশাল জ্বালিয়েছেন যামানার এমাম। সত্যের আলোয় মিথ্যাকে চিনে নিন।

শ্রেণিহীন সমাজ, সাম্যবাদ ও প্রকৃত ইসলাম
- লেখক: মো: বায়াজীদ খান পন্নী
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 01/05/2015
- ভাষা: বাংলা
- ISBN: 978-948-8912-35-5
- মূল্যঃ ৳২০০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
সমাজতান্ত্রিকদেরকে গড়পড়তায় নাস্তিক আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। বস্তুত তাদের অধিকাংশই ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধত্ব থেকে নিজেদের মননকে মুক্ত করতে সচেষ্ট। বর্তমানে পৃথিবীতে বিরাজিত সবগুলো ধর্মই যখন সঠিক রূপ হারিয়ে বিকৃত হয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের পণ্যে পরিণত হয়েছে, যেগুলোকে অপব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধাবাদী গোষ্ঠী মানুষের সমাজকে পশুর সমাজে পরিণত করছে, সেই বিকৃত ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াই স্বাভাবিক। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীরা ব্যক্তিজীবনে যে অতুলনীয় ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং যে দুঃসাহসী সংগ্রামে জীবনপাত করেছেন, এটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক ছিল যে, তারা সর্বযুগে পূজনীয় থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয় নি। কারণ সমাজতান্ত্রিক আদর্শ মানুষকে শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এককালের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র আজ ঘোর পুঁজিবাদী দেশে পরিণত হয়েছে, আর নেতারা মার্কস লেনিনের আদর্শ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে পরিণত হয়েছেন গণতান্ত্রিক পুঁজিপতি বুর্জোয়ায়।
সর্বত্যাগী সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা হেযবুত তওহীদ বলতে চাই, আমরাও মানবতার কল্যাণে নিজেদের সকল সম্পদ, জীবন, পরিবার, পুত্র-পরিজন ত্যাগ করেছি। তবে আমাদের জীবন ধন্য যে, আমরা সঠিক প পেয়েছি যা পরীক্ষিত সত্য। তাই ঘুঁণে ধরা সমাজটিকে যারা পুনর্নির্মাণ করতে চান, সর্বপ্রকার অবিচার, অত্যাচার, ধর্মব্যবসা, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও শোষণের প্রতিবাদে যার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে, মহাসত্যের আহ্বানে যাদের হৃদয়তন্ত্রীতে ঝংকার খেলে যায়, সেই মানবধর্মের অনুসারীদের প্রতি আমাদের আহ্বান- আসুন, পথ পাওয়া গেছে।

শ্রেণিহীন সমাজ, সাম্যবাদ ও প্রকৃত ইসলাম (সংক্ষেপিত)
- লেখক: সম্পাদনা: মোহাম্মদ রিয়াদুল হাসান
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 01/05/2015
- ভাষা: বাংলা
- মূল্যঃ ৳১০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
সমাজতান্ত্রিকদেরকে গড়পড়তায় নাস্তিক আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। বস্তুত তাদের অধিকাংশই ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধত্ব থেকে নিজেদের মননকে মুক্ত করতে সচেষ্ট। বর্তমানে পৃথিবীতে বিরাজিত সবগুলো ধর্মই যখন সঠিক রূপ হারিয়ে বিকৃত হয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের পণ্যে পরিণত হয়েছে, যেগুলোকে অপব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধাবাদী গোষ্ঠী মানুষের সমাজকে পশুর সমাজে পরিণত করছে, সেই বিকৃত ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াই স্বাভাবিক। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীরা ব্যক্তিজীবনে যে অতুলনীয় ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং যে দুঃসাহসী সংগ্রামে জীবনপাত করেছেন, এটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক ছিল যে, তারা সর্বযুগে পূজনীয় থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয় নি। কারণ সমাজতান্ত্রিক আদর্শ মানুষকে শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এককালের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র আজ ঘোর পুঁজিবাদী দেশে পরিণত হয়েছে, আর নেতারা মার্কস লেনিনের আদর্শ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে পরিণত হয়েছেন গণতান্ত্রিক পুঁজিপতি বুর্জোয়ায়।
সর্বত্যাগী সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা হেযবুত তওহীদ বলতে চাই, আমরাও মানবতার কল্যাণে নিজেদের সকল সম্পদ, জীবন, পরিবার, পুত্র-পরিজন ত্যাগ করেছি। তবে আমাদের জীবন ধন্য যে, আমরা সঠিক প পেয়েছি যা পরীক্ষিত সত্য। তাই ঘুঁণে ধরা সমাজটিকে যারা পুনর্নির্মাণ করতে চান, সর্বপ্রকার অবিচার, অত্যাচার, ধর্মব্যবসা, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও শোষণের প্রতিবাদে যার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে, মহাসত্যের আহ্বানে যাদের হৃদয়তন্ত্রীতে ঝংকার খেলে যায়, সেই মানবধর্মের অনুসারীদের প্রতি আমাদের আহ্বান- আসুন, পথ পাওয়া গেছে।

মোমেন, মুসলিম ও উম্মতে মোহাম্মদীর আকিদা
- লেখক: মো: বায়াজীদ খান পন্নী
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 14/06/2015
- ভাষা: বাংলা
- মূল্যঃ ৳১০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
একটি কথায় সবাই একমত হবেন যে, আকিদাবিহীন ঈমান মূল্যহীন। তাই আমাদেরকে আগে এই দ্বীনের আকিদা সম্পর্কে সম্মক ধারণা লাভ করতে হবে। মো’মেন, মুসলিম, উম্মতে মোহাম্মদীর আকিদা কী- তা জানতে হলে এই পুস্তিকাটি পড়ুন।

তাকওয়া ও হেদায়াহ
- লেখক: সম্পাদনা: মোহাম্মদ রিয়াদুল হাসান
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 01/01/2021
- ভাষা: বাংলা
- মূল্যঃ ৳১০.-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
চৌদ্দশ’ বছর আগে মহানবী (দ.) পৃথিবীর মানুষের জন্য যে দীন, জীবনব্যবস্থা নিয়ে এসে সমস্ত জীবনের সাধনায় আরবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তাঁর নিজের হাতে গড়া জাতির উপর সেটাকে সর্বাত্মক সংগ্রামের মাধ্যমে পৃথিবীময় প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব অর্পণ করে আল্লাহর কাছে চলে গিয়েছিলেন, সেই দীনটি আর আজ আমরা যে দীন অনুসরণ করি এই দু’টি দীন শুধু যে একই দীন নয় তাই না, এ দুটি পরস্পরবিরোধী, বিপরীতমুখী দুটো দীন। এই দুইটি দীনের মধ্যে মিল শুধু দৃশ্যত বাইরের; ভেতরে এ দু’টি বিপরীতধর্মী। কারা এই সত্য গ্রহণ করে সেই প্রকৃত দীন তাদের জীবনে আবার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা, ‘জেহাদ’ করবেন, কারা এ সত্য প্রত্যাখ্যান করবেন তা আমি জানি না। আমার হাতে হেদায়াতের শক্তি নেই, হেদায়াতের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর কাছে।

সওমের উদ্দেশ্য
- লেখক: হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 01/06/2016
- ভাষা: বাংলা
- ISBN: 978-984-8912-40-9
- মূল্যঃ ৳২০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
সওম শব্দের অর্থ আত্মসংযম, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ (Self Control) করা, বিরত থাকা। রোযা তথা সওমের উদ্দেশ্য এই যে, মো’মেন ব্যক্তি সারাদিন পানাহার ও জৈবিক চাহিদা পূরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন, নিজের আত্মাকে শক্তিশালী করবেন। তিনি অপচয় করবেন না, পশুর ন্যায় উদর পূর্তি করবেন না। তিনি হবেন নিয়ন্ত্রিত, আত্মত্যাগী। বঞ্চিত, ক্ষুধার্ত, দরিদ্র মানুষের দুঃখ অনুভব করে তিনি তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেবেন। আল্লাহর হুকুম মানার ক্ষেত্রে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবেন অর্থাৎ তিনি হবেন তাকওয়াবান। তার এই চরিত্রেরপ্র তিফলন ঘটবে সামাজিক ও জাতীয় জীবনে। গড়ে উঠবে এমন এক সমাজ যেখানে সবাই একে অপরের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে উৎসাহী হবে, বিরাজ করবে পরস্পর সহমর্মিতা, সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব। প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি।
কিন্তু আজকের বাস্তবতা এই যে, বর্তমানে এই মৌলিক শিক্ষা হারিয়ে সওম বা রোযা যেন হয়ে গেছে কেবল ‘না খেয়ে থাকা’র নামান্তর। দেখা যায়, রমজান আসলেই মুসলিমদের মধ্যে হুলুস্থুল পড়ে যায়। নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়ে ওঠে আকাশছোঁয়া। সংযমের মাস এলেই মুসলিমদের সংযমের সব বাঁধ যেন ভেঙে যায়। মানুষ আত্মকেন্দ্রিকতা এবং স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে ওঠতে পারে না। ক্ষুধার্ত, হতদরিদ্র মানুষের দুঃখ অন্যরা অনুভব করে না। ফলে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনেও তারা সচেষ্ট হয় না। কেবল সওয়াব ও আত্মপ্রচারের আশায় কিছু দান-খয়রাত করতে দেখা যায়। সমাজে অন্যায়-অবিচার আগের মতোই চলমান থাকে। সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়ের বোধ অর্থাৎ তাকওয়া সৃষ্টি করতে ব্যর্থ আজকের এই রোযা বা সওম।
প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহ যেখানে কোরআনে বলেছেন, তাকওয়া সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তিনি সওমকে ফরজ করেছেন (সুরা বাকারা- ১৮৩), সেখানে এই উদ্দেশ্যই যখন বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তখন আল্লাহর কাছে আমাদের সারাদিন না খেয়ে থাকার মূল্য কতটুকু? আল্লাহর রসুল (স.) বলেছেন, “এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ সওম রাখবে কিন্তু সেটা হবে কেবল না খেয়ে থাকা (অর্থাৎ সওমের উদ্দেশ্যই পূরণ হবে না)।” তবে কি আজ সেই সময় উপস্থিত? বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন। বইটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সওমের খুঁটিনাটি মাসলা-মাসায়েলের বিবরণী নয়, বরং এর মূল উদ্দেশ্য (আকিদা) কী সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। কেন বর্তমানে সমাজে সওমের শিক্ষার প্রতিফলন নেই আর কিভাবে সওমকে তার প্রকৃত অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়, কোরআন-হাদিস, ইসলামের প্রকৃত আকিদার আলোকে অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। একজন সচেতন মুসলিমের কোনোভাবেই উচিত হবে না বইটি এড়িয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যামানার এমামের পত্রাবলী
- লেখক: মো: বায়াজীদ খান পন্নী
- প্রকাশক: তওহীদ প্রকাশন
- প্রকাশকাল: 22/06/2012
- ভাষা: বাংলা
- মূল্যঃ ৳৬০/-
- বইটি পেতে যোগাযোগ করুন: 01675-933468
হেযবুত তওহীদের সূচনালগ্নেই এমামুযযামান এর কয়েকটি মূল নীতি নির্দ্ধারণ করেন যার একটি হোচ্ছে, এই আন্দোলন দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কোন কাজ কোরবে না। এমামের এ নীতি হেযবুত তওহীদের প্রত্যেকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন। তাই ধর্মজীবি ও দাজ্জালের অনুসারী মিডিয়ার অপপ্রচারে প্রভাবিত হোয়ে প্রশাসন সন্দেহমূলকভাবে আজ পর্যন্ত ৩৬১ বার এই আন্দোলনের সদস্যদেরকে গ্রেফতার কোরেও তাদের আইনভঙ্গের কোন প্রমাণ পায় নি। তবু হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চোলছে, নির্যাতনও চোলছে। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে হেযবুত তওহীদ প্রশ্নে প্রশাসনের অবস্থান সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে নিশ্চিন্ত কারণ তারা হেযবুত তওহীদের সম্পর্কে তদন্ত কোরে এর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু প্রশাসনের উচ্চ ও নিু পর্যায়ের অনেকে এখনও প্রকৃত সত্য না জানার কারণে মিডিয়ার অপপ্রচার দ্বারা প্রভাবিত। প্রশাসনের মধ্যে এই দ্বিধাবিভক্তি থাকায় এবং কোন সুনির্দিষ্ট নীতি না থাকায় হেযবুত তওহীদের কর্মীরা প্রশাসন কর্তৃক নির্মম নির্যাতন ও হয়রানীর শিকার হোয়েই যাচ্ছেন, আবার আদালত থেকে নির্দোষ ঘোষিত হোচ্ছেন। এ অন্যায়ের নিরসনকল্পে মাননীয় এমামুযযামান ২০০৮ সনে গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে একটি সমঝোতায় আসার প্রস্তাব করেন। অপর এক চিঠিতে তিনি প্রমাণ উপস্থাপন করেন যে বল প্রয়োগে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ দমন করা সম্ভব নয়। তিনি এ বিষয়ে সরকারকে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমন আরও বেশ কয়েকটি চিঠি তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন যেগুলি এ বইয়ে সংকলিত হোয়েছে।