বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাবে ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার শিক্ষানীতি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে হেযবুত তওহীদ। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের উদ্যোগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা অংশ নেন। তারা প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর মুক্ত আলোচনা করেন এবং তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ। মূল বিষয়বস্তুর উপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নারী বিভাগের প্রধান রুফায়দাহ পন্নী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, কেন্দ্রীয় নারী বিভাগের যুগ্ম-সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমানের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশদের প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থারই উত্তরাধিকার। এই শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে জাতি কখনো প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, বৃটিশ শাসনামলে নিজেদের দখলকৃত মুসলিম বেল্টে বৃটিশরা একটি ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করে। যার উদ্দেশ্য ছিল এখানকার মানুষকে সাংস্কৃতিক ও নৈতিকভাবে একটি দাসজাতিতে পরিণত করা। পাশাপাশি জাতিকে মানসিকভাবে বিভক্ত করা। বৃটিশরা চলে যাওয়ার পর সেই শিক্ষাব্যবস্থাটাই সামান্য ঘষামাজা করে এখানে চালু রাখা হয়। ফলশ্রুতিতে জাতি এখনো পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির প্রতি নিদারুণ হীনম্মন্যতায় আপ্লুত। তাই প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।
তারা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার অসাড়তা, ত্রুটি তুলে ধরে এর সমালোচনা করে বলেন, এখানে একদিকে স্কুল-কলেজভিত্তিক সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষকে আয়-রোজগারের পথ দেখানো হচ্ছে, কিন্তু নৈতিক চরিত্র বা আত্মিক পরিশুদ্ধির কোনো ব্যবস্থা রাখা হয় নি। অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায়ও ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাকে গায়েব করে দেয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষিত লোকেরা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে দুর্নীতি করছে, অনিয়মে জড়িয়ে পরছে। ধর্মকেও তারা ব্যবহার করছে রুটি-রুজির হাতিয়ার হিসেবে।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা যখন বাণিজ্যের হাতিয়ারে পরিণত হয়, তখন তা দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাজনীতি রোধে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সেটাই চলছে। তাই এই শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রচলিত দ্বিমুখী শিক্ষাব্যবস্থা বাদ দিয়ে প্রয়োজন এমন একটি ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা, যেখানে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কর্মমুখী শিক্ষা যেমন থকবে, পাশাপাশি ধর্মের প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের নৈতিক চরিত্র ও আত্মিক পরিশুদ্ধির ব্যবস্থাও থাকবে।
বক্তারা জানান, হেযবুত তওহীদের ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম এ বিষয়ে ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন। এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে তারা সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
হেযবুত তওহীদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নারী বিভাগের প্রধান রুফায়দাহ পন্নী বলেন, পবিত্র কোরআনের প্রথম ওহি ছিল “ইক্বরা”, অর্থাৎ পড়ো, জ্ঞান অর্জন করো। এটি নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই আল্লাহর নির্দেশ। রাসুল (সা.) -এর স্ত্রী আম্মা আয়েশা (রা.) ছিলেন অত্যন্ত শিক্ষিত নারী; মানুষ তাঁর কাছ থেকে হাদিস, আইন ও চিকিৎসা বিদ্যা শিখতে আসতেন। কিছু ধর্মীয় নেতা নিজেদের সুবিধামতো ইসলাম ব্যাখ্যা করে নারীদের ঘরবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা তাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ফল।
তিনি বলেন, ইসলাম নারী শিক্ষার বিরোধী নয়; বরং ইসলাম নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য জ্ঞান অর্জনকে ফরজ (অবশ্যক) ঘোষণা করেছে। তবে ধর্মীয় নেতাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন যুগে ও বিভিন্ন মুসলিম দেশে নারী শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আমাদের দেশেও একসময় পর্দাপ্রথার নামে নারীদের শিক্ষাগ্রহণে বাধা দেওয়া হতো। এর প্রতিবাদে বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামালের মতো মহীয়সী নারীরা কলম হাতে তুলে নিয়ে আন্দোলন করেছেন। বাংলাদেশের নারী জাগরণের পথিকৃৎ এই দুই নারীই পন্নী পরিবারের আত্মীয় ছিলেন -বলেন হেযবুত তওহীদের এই নারী নেত্রী।
তিনি বলেন, ব্রিটিশদের শোষণামলে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য ছিল শিক্ষায়। তাদের পরিকল্পিতভাবে গড়া শিক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়েছে মুসলমানরা। ওই সময়ে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় কোনো কলেজ বলতে ছিল না। তখন কলকাতা যেতে হতো লেখাপড়া শিখতে। যা সকলের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
মুসলমানদের এমন করুন বাস্তবতায় আমার পরিবার, আমার পূর্বপুরুষরা এই অঞ্চলের শিক্ষাবিস্তারে কি করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করেন। ১৯১৩ সালে ১৯শে এপ্রিল তারিখের পূর্বে ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে করটিয়ায় ৩ দিনব্যাপী ‘মুসলিম এডুকেশন কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই শিক্ষা সম্মেলনে ৩০ হাজার লোক আমন্ত্রিত ছিল, এবং সম্মেলনের মূল প্রস্তাবনা ছিল যে মুসলমান শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দেয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়।
এছাড়াও ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ১৯১৯ সালে করটিয়ায় ‘হাফেজ মাহমুদ আলী খান হাই স্কুল’ স্থাপন করেন তিনি। তিনি স্ত্রীর নামানুসারে করটিয়াতে ‘রোকেয়া আলিয়া মাদ্রাসা’ও প্রতিষ্ঠা করেন। অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খাঁর সহযোগিতায় ১৯২৬ সালের জুলাই মাসে তিনি নিজ গ্রাম করটিয়ায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং পিতামহ সা’দত আলী খান পন্নীর নামানুসারে এর নামকরণ করেন ‘সা’দত কলেজ’।
ওয়াজেদ আলী খান জমিদারির বার্ষিক আয়ের শতকরা ২০ ভাগ শিক্ষাবিস্তার ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি ওয়াক্ফ রাহেলিল্লাহ করে যান। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে, ঘটনা প্রবাহের ফলে আমাদের পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন আজও বাস্তবায়িত হয়নি। কথা ছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন প্রকৃত মানুষ সৃষ্টি হবে । সেখান থেকে সেটা বের হচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে তার ছাত্রদের দ্বারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটিই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ পরিণতি। সামান্য সিলেবাস বা কারিকুলাম পরিবর্তন করে এই অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব নয়, বরং ব্যবস্থার গোড়া থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। এর বীজের মধ্যেই সমস্যা রয়েছে।”
আমি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এই ব্যবস্থার গোড়া থেকে পরিবর্তন করা ছাড়া আর কোন বিকল্প চিন্তা-ভাবনা আসার কথা নয়। তখন চিন্তা করতে হবে এর বীজের মধ্যে সমস্যা আছে। সামান্য সিলেবাস কারিকুলাম পরিবর্তন করে চরিত্র সংশোধন করা যাবে না। তিনি ব্রিটিশ প্রবর্তিত এই শিক্ষানীতির আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করেন।
এসএম সামসুল হুদা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক বিভক্তির জন্য দায়ী করে বলেন, “ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের উত্তরাধিকার বহনকারী বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করেছে। শিক্ষা যখন বাণিজ্যের হাতিয়ারে পরিণত হয় এবং শিক্ষকরাই যখন দুর্নীতি ও ক্ষমতার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তখন সেই ব্যবস্থা থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।”
এ সময় হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর পূর্বপুরুষ ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর (চাঁদ মিয়া) শিক্ষাবিস্তারে অবদান স্মরণ করে বক্তারা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও করটিয়ার সা’দত কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনে যে মহৎ উদ্দেশ্য ছিল, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে তা আজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ তৈরির স্বপ্ন আজও অপূর্ণ রয়ে গেছে।”
বৈঠকে ‘দ্বিমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় বিভক্তি, একমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় মুক্তি’ -এই মূলভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করে একটি একমুখী ও নৈতিক শিক্ষানীতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়, যা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে পারে বলেও মত দেন বক্তারা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আন্তঃধর্মীয় যোগাযোগ সম্পাদক ইলা ইয়াসমিন এবং ঢাকা মহানগর নারী বিভাগের সম্পাদিকা তাসলিমা ইসলাম প্রমুখ।
বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রভাষক ও চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, ঘিওর সরকারি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল আমির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য ড. ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের নির্বাহী প্রধান আকতার হোসেন, জাতীয় একতা পার্টির চেয়ারম্যান দ্বিপু মির প্রমুখ। এসময় তারা হেযবুত তওহীদের প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানান এবং নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
তওহীদভিত্তিক শিক্ষানীতির উপরে ১২ দফা দাবি প্রস্তাব করা হয়।
১. একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা: বহুধাবিভক্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে একটি একমুখী ও ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা।
২. শিক্ষাবাণিজ্য বন্ধ করা: ধনী-গরিব সবার জন্য শিক্ষার সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
৩. কর্মমুখী শিক্ষা: বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা প্রদানের উপর জোর দিয়ে জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করা।
৪. দ্বাদশবর্ষ শিক্ষা পরিকল্পনা: দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ এবং ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়ে একটি সুষম একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা। স্নাতক পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রবণতা এবং আগ্রহ অনুযায়ী যে কোনো বিষয় নির্বাচন করবে।
৫. জাতীয় নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ: জাতীয় নিরাপত্তা সংকট ও দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের সাধারণ সামরিক প্রশিক্ষণ (ক্যাডেট) প্রদান করা হবে।
৬. সবার জন্য শিক্ষা: শিক্ষার কোনো বয়স থাকবে না। শারীরিক, মানসিক এবং আত্মিক সক্ষমতাসম্পন্ন যে কোনো বয়সের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
৭. গবেষণা ও উদ্ভাবন: উচ্চতর শিক্ষায় ব্যাপকভাবে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, লেখকসহ সৃজনশীল ব্যক্তিত্বের সৃষ্টি হয়।
৮. উদ্দেশ্যমূলক ও বিকৃত ইতিহাস বর্জন: শিক্ষার্থীদের সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দেওয়া হবে। ঔপনিবেশিক যুগে লেখা ইতিহাসের মাধ্যমে যা মানসিক দাসত্ব এবং ইংরেজদের প্রতি অন্ধ মুগ্ধতা সৃষ্টি করেছিল, তা সংশোধন করা হবে।
৯. পারিবারিক বন্ধনের শিক্ষা: শিক্ষার্থীদের পারিবারিক বন্ধন সম্পর্কে সচেতন করে তোলা হবে। বাবা-মা, ভাইবোন এবং আত্মীয়স্বজনের প্রতি দায়িত্বশীল ও যত্নশীল মানসিকতা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
১০. জীবনদক্ষতা প্রশিক্ষণ: শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ও প্রাথমিক চিকিৎসাজ্ঞান বাধ্যতামূলকভাবে শেখানো হবে। এই শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রায় আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করবে এবং ব্যক্তি ও সমাজের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
১১. ভাষাগত দক্ষতা: শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্তত দুটি আন্তর্জাতিক ভাষায় দক্ষ করে তোলা।
১২. বিশেষ শিশুদের শিক্ষা: প্রতিটি বিদ্যালয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য পড়াশোনার ব্যবস্থা রাখা।