হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

শুধু শক্তি দিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব নয়

রিয়াদুল হাসান

বিশ্বে চলমান সংকটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে জঙ্গিবাদ। জঙ্গিবাদীদের হাতে যে পরিমাণ মানুষ নিহত হচ্ছে বা ধ্বংসযজ্ঞ হচ্ছে তার চেয়ে বহু বহুগুণ বেশি মানুষ হতাহত হচ্ছে জঙ্গিবাদীদের দমন করতে গিয়ে। একের পর এক দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির কোনো সীমা-পরিসীমা থাকছে না। কিন্তু এত কিছু করেও দিন দিন জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ কী?

প্রথম কারণ:

জঙ্গিবাদ আদর্শিক বিষয়। যারা জঙ্গি হচ্ছে তারা একটি ভ্রান্ত আদর্শকে সঠিক মনে করে সেটা প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে তাদের ধর্মীয় আবেগ ও ঈমান জড়িত। তারা যা করছে পার্থিব লাভের আশায় করছে না, পরকালীন প্রতিদানের আশায় করছে। এজন্য শক্তি প্রয়োগ করলে তাদের ঈমান আরো বলিষ্ঠ হচ্ছে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সেই চেতনা প্রবাহিত হচ্ছে।

দ্বিতীয় কারণ:

আশির দশকে সংঘটিত রুশ-আফগান যুদ্ধটিই হচ্ছে জঙ্গিবাদের সূতিকাগার। এ সময়টিতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সি.আই.এ এবং পাকিস্থানী গোয়েন্দা সংস্থা আই.এস.আই. রাশিয়াকে পরাস্ত করার জন্য আফগানদেরকে ধর্মীয় অনুভূতিতে উজ্জীবিত করে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলে। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৪ এই সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান একটি সশস্ত্র বাহিনী তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেক্রেটারি অব স্টেট হিলারি ক্লিনটন বলেন, “আজকে আমরা যে আল কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি কুড়ি বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমরাই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাদেরকে অর্থ যুগিয়েছি।’ [১ জুন ২০১৪, ফক্স নিউজ, সি.এন.এন]। পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশারফকেও বলতে শোনা গেছে- তালেবান আমেরিকার সৃষ্টি, (ডন, ০৫.১২.১৪)। আর বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া আইএস- এর জন্মের প্রেক্ষাপট যারা জানেন তাদেরকে বলে দিতে হবে না যে, কীভাবে পশ্চিমা জোট আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রচেষ্টায় আইএসকেই একদা সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করে শক্তিশালী করেছে। আফগান-রাশিয়া যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে সৌদি আরবের অর্থায়নে বিশ্বের মুসলিমপ্রধান দেশগুলোয় বহু ধর্মব্যবসায়ী  ওয়াজকারী আলেমকে ভাড়া করা হয়েছিল মুসলিম যুবকদেরকে আফগান যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান এ কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবেলায় সৌদি আরব মুসলিম দেশগুলোতে ওয়াহাবি মতবাদ বিস্তারে অর্থায়ন করে। এর লক্ষ্য ছিল, মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তারে লড়াইয়ে পশ্চিমাদের জয়লাভ করা। স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিমা মিত্ররা সৌদি আরবকে বিভিন্ন দেশের মসজিদ ও মাদরাসায় তহবিল সরবরাহের অনুরোধ করেছিল। মুসলিম দেশগুলোতে সোভিয়েত ইউনিয়নের উপস্থিতি ঠেকানো ছিল এর লক্ষ্য।” (দৈনিক কালেরকণ্ঠ: ৩ মার্চ ২০১৮)

আমেরিকা-রাশিয়া এর দুই পরাশক্তির আধিপত্যবিস্তারের লড়াইতে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে লাখ লাখ যুবক আফগানিস্তানে ছুটে গিয়েছিল। তাদেরকে বোঝানো হয়েছিল এটি আল্লাহর রাস্থায় যুদ্ধ। এই যুদ্ধে মারা গেলে শহীদ। তাদেরকে বুঝতে দেওয়া হয় নি, এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাথের্র যুদ্ধ, এ যুদ্ধে আল্লাহর-রসুলের কিছু আসে যায় না। এভাবে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী আর আরব ধর্মব্যবসায়ীরা উভয়ে মিলে আজকের জঙ্গিবাদের জন্ম দিল।

বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান ২৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “তথাকথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ সূচনা করে মুসলিম বিশ্বকে পদানত রাখার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র শুরু“ করেছে। দেশটি আফগানিস্থানে যুদ্ধের সূচনা করে, তা এখন সম্প্রসারিত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।” আজ আমাদের এই বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ দ্বারা আক্রান্ত। গত দুই দশকে শতাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা আমাদের দেশেও ঘটেছে, অগণিত জঙ্গিবাদের সমর্থক গ্রেফতার হয়েছে, বহু জঙ্গি আত্মঘাতী হয়েছে, বহু জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাও হয়েছে, জঙ্গিবিরোধী অভিযানেও মারা গেছে বহু মানুষ। আসলে পশ্চিমা পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো এই জঙ্গিবাদের ইস্যুকে জিইয়ে রেখে বিশ্বময় নিজেদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এজন্য মানবতার যতই বিপর্যয় ঘটুক না কেন, সেটা এই দানবিক পরাশক্তিগুলোর জন্য কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়, তাদের চাই তেল, গ্যাস, আধিপত্য। সুতরাং তাদের অনুসরণ করে যদি বল প্রয়োগে জঙ্গিবাদ দমনের বা নির্মূলের চেষ্টা চালানো হয়, সেটার ফল হবে উল্টো, জঙ্গিবাদ বৃদ্ধি পাবে। পরিণামে আমরাও পরাশক্তিদের তোপের মুখে পড়ে যাব। সুতরাং এখন আমাদের নিজেদের স্বার্থে জঙ্গিবাদকে কার্যকর পদ্ধতির দ্বারা মোকাবেলা করতে হবে। সেটা হলো- সত্য আদর্শ দিয়ে মিথ্যা আদর্শ জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করতে হবে। যারা জঙ্গিবাদের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালায়, তারা কোর’আন হাদিস, ইতিহাস ইত্যাদি থেকে নানা যুক্তি, তত্ত্ব ও তথ্য তুলে ধরে মানুষকে জঙ্গি হতে প্ররোচিত করে। তাদের সেই যুক্তিগুলোকে যদি ভ্রান্ত হিসাবে প্রতীয়মাণ করা যায় তাহলে অবশ্যই কেউ আর জঙ্গিবাদের দিকে যাবে না এবং ইতোমধ্যেই যারা সেই ভুল পথে পা বাড়িয়েছে তারাও যদি বুঝতে পারে যে এ পথ তাদের দুনিয়া ও আখেরাত দুটোই ধ্বংস করছে তাহলে তারাও সংশোধিত হবে।

জঙ্গিবাদের ভ্রান্ততা প্রমাণ করার জন্য কোর’আন হাদীসভিত্তিক যে যুক্তি তথ্য উপাত্ত দরকার তা আল্লাহর রহমে আমাদের কাছে আছে। এখন জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য দরকার এর ব্যাপক প্রচার। শক্তি প্রয়োগেরও দরকার আছে তবে সেটা একমাত্র পন্থা নয়।

শক্তিপ্রয়োগের পাশাপাশি সঠিক আদর্শ অপরিহার্য:

শক্তি প্রয়োগ করার চেষ্টা কম করা হয় নি। পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করেছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছেন, বিশেষ আইন ও ট্রাইবুনাল তৈরি করেছেন, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লক্ষ লক্ষ লোকের সমন্বয়ে গঠিত সামরিক বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা লড়াই করেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের দেশগুলোতে গত এক বছরে আরো বড় বড় জঙ্গিবাদী হামলা হয়েছে। গত দুই দশকের জঙ্গি হামলা ও তার ধরন নিয়ে গবেষকরা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে জঙ্গিবাদ শক্তি, বুলেট, বোমা দিয়ে মোকাবেলা করা যাবে না। এতে জঙ্গিবাদ আরো বেড়ে যাবে। জাতিসংঘের মহাপরিচালক বান কি মুন কিছুদিন আগে বলেছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থায় জঙ্গিবাদ আরো বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলছেন, জঙ্গিবাদ একটি আদর্শ তাই একে মোকাবেলা করতে পাল্টা আদর্শ লাগবে এবং সেটা সেক্যুলার আদর্শ দিয়ে হবে না, ধর্মীয় আদর্শ হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত একটি সভায় বলেন, “জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, চোরাচালানের বিরুদ্ধে লেখনির মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।” (১ জুলাই ২০১৫, দৈনিক সমকাল)

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, “শক্তি প্রদর্শন ছাড়া কীভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা যায় সরকার তার ওপর জোর দিয়েছে। আমরা গণসচেতনতার ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। এজন্য মসজিদ, স্কুল, কলেজসহ যেসব জায়গায় মানুষের যাতায়াত বেশি থাকে সেগুলোতে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ নিয়ে কথা বলা হবে।” (বিবিসি, ৯ এপ্রিল ২০১৪)।

আমাদের দেশের সাবেক বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা সম্পর্কে এই একই যুক্তি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, “রাজনীতিকে যেমন রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে, ইসলামের মধ্যে যারা জঙ্গিবাদ নিয়ে আসছে তাদেরকে কোর’আন-হাদিস দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। সেক্যুলারিজম দিয়ে মোকাবেলা করে আপনি পারবেন না। কারণ তারা সেক্যুলারিজমকে একটি চ্যালেঞ্জিং পার্টি মনে করে অর্থাৎ হয় তারা জিতবে আপনি হারবেন অথবা আপনি হারবেন তারা জিতবে। এভাবে এটাকে আপনি মোকাবেলা করতে পারবেন না।” (চ্যানেল আই-তৃতীয় মাত্রা, ১৯ অক্টোবর ২০১৫)।

একইভাবে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনির“ল ইসলাম বলেন, “জঙ্গিরা বা সন্ত্রাসবাদীরা যেহেতু ডগমা বেইজড বা আইডিওলজি বেজড, তো এটাকে মোকাবেলা করতে গেলে ট্যাক্টিক্যালি শুধু গ্রেফতার কিংবা জেলে ভরে সাজা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই একে মোকাবেলা করা কঠিন। একটা স্ট্র্যাটেজি থাকা দরকার, যে স্ট্র্যাটেজির কমপোনেন্ট থাকবে একটা কাউন্টার র‌্যাডিকেলাইজেশন, যেটা প্রিভেনশনের কাজ করবে যেন নতুন করে কেউ র‌্যাডিকেলাইজড না হতে পারে, বা যারা ইতোমধ্যেই র‌্যাডিকেলাইজড হয়েছে কিন্তু সরাসরি টেরোরিস্ট অ্যাক্টিভিটিস এ অংশগ্রহণ করে নি, তাদেরকে ফিরিয়ে আনা। সেটা কাউন্টার ন্যারেটিভস প্রদানের মাধ্যমে তাদের ন্যারেটিভটাকে মোকাবেলা করে ফিরিয়ে আনার কাজ, যেটা আসলে সরাসরি ল’ অ্যান্ড ইনফোর্সমেন্টের কাজ নয়।’’ (২২ জানুয়ারি, ২০১৭, টকশো- ‘মুখোমুখী’, চ্যানেল ২৪)

এয়ার কমোডর (অব:) ইশফাক ইলাহী বলেন, “জঙ্গিবাদ দূরীকরণে বাংলাদেশ সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। কারণ জঙ্গিবাদ হচ্ছে একটি আদর্শগত যুদ্ধ। সে হিসেবে বাংলাদেশ সরকার এখনো কিছুই করে নি।”

তাদের বক্তেব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার হচ্ছে যে, কোর’আন হাদিসের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ নামক যে ভুল মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে সেই আদর্শিক যুদ্ধে জয়ী হতে হলে কোর’আন হাদিসের উক্ত বিষয়গুলির সঠিক ব্যাখ্যা মানুষকে জানাতে হবে।

ঐক্যবদ্ধ হতে হবে কীসের ভিত্তিতে?

এটা এখন সবাই উপলব্ধি করছেন যে জাতিকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, এই ঐক্য হবে কীসের উপরে এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে কীসের উপরে। এটা জানা কথা যে ঐক্য অনৈক্যের উপর শক্তিশালী। এত বড় একটি বৈশ্বিক সংকট, একে জাতির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। গত ৪৭ বছরে আমাদের জাতিটিকে ধর্মীয়ভাবে, রাজনৈতিকভাবে শত শত ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যতভাবে সম্ভব বিভাজন আর বিভক্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের সংকটকালে তাদের মধ্যে বিরাজিত এই বিভক্তিরেখাগুলো মুছে দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা একান্ত অপরিহার্য, নয়তো দেশই থাকবে না। এই ঐক্য হতে হবে সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সেটা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি, দুর্নীতি অনৈক্য ইত্যাদি যাই হোক না কেন – যেটা অন্যায় সেটাকে অন্যায় বলতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে চলবে না। আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালাম ঐদিকে গণতন্ত্রের নামে সন্ত্রাস চলবে, দুর্নীতি চলবে, অপরাজনীতি চলবে তাহলে জঙ্গিবাদ দূর হবে না। কোনো অন্যায় আপাতদৃষ্টিতে ছোট হলেও সেটাকে অবজ্ঞা করা যাবে না, কারণ সেটা থেকে হাজারো অন্যায়ের জন্ম হবে। সমস্ত অন্যায়ের নিচে চাপা পড়ে সমাজ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরবে। এটাই সব ধর্মের মূল কথা। ইসলামের কলেমা – লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হচ্ছে এটাই, সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে সত্যকে ধারণ করা।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...