হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

রাজনৈতিক ইসলামী দলগুলো

যারা প্রচলিত রাজনীতির আদলে ইসলামকে পুনর্নিমাণ করতে চাচ্ছেন তাদের প্রতি বিনীত আরজ, এই গণতান্ত্রিক রাজনীতির ফরমেটটা ব্রিটিশ শাসকরা তৈরি করেছিলেন এবং আমাদের উপমহাদেশেও সেই পদ্ধতিটি চালু করেছিলেন। কংগ্রেস, মুসলিম লীগ ইত্যাদি দলগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য তাদের এই ফর্মুলা মেনে রাজনীতি করেছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার একটি স্বতন্ত্র নীতি ও পদ্ধতি আছে এবং সেটা আলস্নাহর রসুল দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সেটাকে অনুসরণ করতে হবে। নবীর জীবনের হাজারো ঘটনার থেকে সুবিধা মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ব্যবহার করা মানে নবীর সিরাত বা পথকে অনুসরণ করা নয়। সেটা তো জঙ্গিবাদীরাও করে, পীর-ফকিররাও করে, পথভ্রষ্ট শিয়া-সুন্নী সবাই করে। সমাজতান্ত্রিক ইসলাম যারা করে তারাও কোর’আন থেকে, রসুলাল্লাহ (সা.) ও খলিফাদের জীবন থেকে ঘটনার ও বাণীর রেফারেন্স দিয়ে নিজেদের ন্যায্যতা প্রতিপন্ন করে। কিন্তু ধর্মকে ব্যবহার আর ধর্মকে ধারণ করা এক কথা নয়।

পশ্চিমা সভ্যতার আধিপত্যের যুগে তাদের রোডম্যাপ ধরে হেটে আসল গন্তব্য কখনোই পৌছানো যাবে না। নির্বাচনে জিতলেও ক্ষমতায় থাকতে দিবে না। জীবনব্যবস্থার প্যাটার্নই আলাদা। বরং মুমিনদের সবচেয়ে বড় সম্পদ তাদের আদর্শবোধ ও চরিত্র সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে।তারা শিখবে হেকমতের নামে কুটিলতা, আল্লাহর-রসুলের নাম ভাঙ্গিয়ে উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য হালালকে হারাম করা, হারামকে হালাল করা। কারণ প্রতারকদের সাথে টেক্কা দিতে গেলে অধিকতর প্রতারণার পথ নিতে হয়, সত্যের সঙ্গে মিথ্যা মেশাতে হয়। গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতিটাই এমন যেখানে সমাজের সবচেয়ে জানোয়ার টাইপের লোকটা নির্বাচিত হবে। নির্বাচিত হতে হলে মুমিনদেরকেও জানোয়ারের মতো আচরণ করতে হবে।আমরা হেযবুত তওহীদ আলস্নাহর দয়ায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার সঠিক কর্মসূচি লাভ করেছি। আমাদের এই কর্মসূচি আমাদের রচিত নয়, স্বয়ং আল্লাহর রচিত। এখান থেকে ওখান থেকে নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করি নি আমরা। পুরোটাই একটি হাদীসের এবারত। রসুলকে (সা.) আলস্নাহ এই কর্মসূচি দান করেছিলেন, রসুল এটা অনুযায়ী সংগ্রাম করে গেছেন এবং যাওয়ার সময় জাতির হাতে এটা তুলে দিয়ে গেছেন।হাদীসটির শুরুতেই তিনি বলছেন, আলস্নাহ আমাকে পাঁচটি কাজের আদেশ করেছেন। আমিও তোমাদেরকে সেই পাঁচটি কাজের আদেশ করছি। সেগুলো হচ্ছে

(১) তোমরা ঐক্যবদ্ধ হবে
(২) (নেতার আদেশ) শুনবে
(৩) (আদেশকারীর হুকুম) মান্য করবে
(৪) (আল্লাহর হুকুম পরিপন্থী কার্যক্রম থেকে) হেজরত করবে
(৫) আল্লাহর রাস্তায় জীবন-সম্পদ দিয়ে জেহাদ (সংগ্রাম) করবে।

হাদীসটির শেষাংশে তিনি বলছেন, যারা এই পাঁচটি কাজের ঐক্যবন্ধনী থেকে আধ হাতও বিচ্যুত হবে তাদের গলদেশ থেকে ইসলামের বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাবে। আর যারা জাহেলিয়াতের কোনো পথের দিকে আহ্বান করবে তারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে বিশ্বাস করলেও, নামাজ পড়লেও, রোযা রাখলেও জাহান্নামের জ্বালানী পাথরে পরিণত হবে। [হারিস আল আশয়ারী (রা.) থেকে আহমদ, তিরমিজি, বাব-উল-ইমারত, মেশকাত]
হেযবুত তওহীদ পৃথিবীতে আল্লাহ  স্বাক্ষর। আমরা এটা বলব কারণ সত্য পৌছানো আমাদের দায়িত্ব। যে বিশ্বাস করবে না সে অন্তত আমাদেরকে আখেরাতে দোষারোপ করতে পারবে না।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...