ময়মনসিংহ, সদর থানার জিডি- ১৭০

সারকথা
ময়মনসিংহ, সদর থানার জিডি- ১৭০, তারিখ- ০৪/০৫/২০১২ ইং, ধারা- ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪।
সন্দিগ্ধ আসামী ১. মোঃ মফিজ উদ্দিন (০০),
২. মোঃ …………… (০০)

প্রকৃত ঘটনাঃ এ যামানার এমাম এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী’র উক্ত অনুসারীদ্বয় স্থানীয় স্বদেশ (বাংলা) পত্রিকায় “আল্লাহর মোজে’জা” বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য উক্ত পত্রিকার সম্পাদকের সাথে আলাপ করাকালীন সম্পাদক নিষিদ্ধ সংগঠন ‘হিজবুত তাহরীর’ সদস্যরা আমার অফিসে এসেছে বলে ডি.এস.বি’কে ফোন করলে ডি.এস.বি. সদস্যরা উক্ত ‘স্বদেশ’ পত্রিকা অফিসে এসে প্রকৃত সত্যঘটনা শুনে র‌্যাব-৯ অফিসে সংবাদ দিলে র‌্যাব-৯ সদস্যরা এসে হেযবুত তওহীদ সদস্যদ্বয়কে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদসহ আন্দোলন ও প্রকাশনার বৈধতা সংক্রান্তে সকল কাগজাদি দেখে বেআইনী কিছু না পেয়েও আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করলে থানা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সন্দিগ্ধ আসামী হিসাবে আদালতে সোর্পদ করে।

পুলিশ ফরোয়ার্ডি-এর বক্তব্যঃ র‌্যাবের ডি.এ.ডি মোঃ বেলাল হোসেন র‌্যাব-৯, কোম্পানী-২, ময়মনসিংহ বিশেষ অভিযান চরিচালনা ডিউটি করাকালীন ছোটবাজার স্বদেশ পত্রিকা অফিসের সামনে হইতে আসামীদেরকে ধৃত করিয়া তাহাদের নিকট হইতে লিফলেট জব্দ করে। আসামীরা লিফলেট রাখার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে নাই। ও/সি সাহেব উল্লেখিত জিডি তদন্তভার আমার উপর অর্পণ করিলে আমি আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাহারা লিফলেট গুলির গুরুত্ব অনুধাবন সম্পর্কে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে নাই।

তদন্ত প্রতিবেদনঃ আসামীদের নাম ঠিকানা সংশ্লিষ্ট থানা মাধ্যমে যাচাই করিয়া সঠিক পাওয়া যায়। তাহারা পেশায় ছাত্র। তাহাদের স্বভাব চরিত্র ভালো। থানা রেকর্ডে তাহাদের বিরুদ্ধে বিরূপ কোন তথ্য নাই। যে সমস্ত লিফলেট জব্দ করা হইয়াছে সে বিষয়ে তদন্ত করিয়া জানা যায়, হেযবুত তওহীদের স্থলে হিযবুত তাহরীর লেখায় প্রতিবাদ স্বরূপ লিফলেটগুলি ছাপিয়ে প্রচার স্বরূপ বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করার নিমিত্তে তাহাদের নিকট সংরক্ষণ করা ছিল। ইহা জঙ্গি আয়োজককারী কোন লিফলেট নয়। এই লিফলেটগুলি সংক্রান্তে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অপরাধমূলক কার্য প্রতিয়মান হয় নাই।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ০৪/০৭/২০১২ ইং।

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ