হেযবুত তওহীদ সেই কাজ নিয়ে দাঁড়িয়েছে যেই কাজ নিয়ে আল্লাহর রসুল ও তাঁর আসহাবরা দাঁড়িয়েছিলেন। মক্কার মানুষ আল্লাহর রসুলকে অত্যন্ত সম্মান করত, তিনি ছিলেন সবার বিশ্বাস ও ভালোবাসার পাত্র। কিন্তু যেইনা তিনি তওহীদের বালাগ শুরু করলেন অমনি ধর্মব্যবসায়ীদের প্ররোচনায় সবার শত্রু বনে গেলেন। তাঁর মুষ্টিমেয় অনুসারীর উপর দিয়ে বয়ে যেতে লাগলো ভয়াবহ নির্যাতনের ঝড়।
হেযবুত তওহীদের ক্ষেত্রেও একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে বিগত ২৫ বছর যাবৎ। শুরু থেকেই এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে সেই ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণিটি যারা আল্লাহর দীনকে তাদের রুটি-রুজির মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে এবং যারা অপরাজনীতিতে বিভিন্নভাবে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ শ্রেণিটি জনগণের কাছে হাজারো বিভ্রান্তিমূলক অসত্য তথ্য, গুজব, বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করে হেযবুত তওহীদের মতো মহান একটি আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শুধু অপপ্রচার করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীকে হামলা করার জন্য লেলিয়ে দিয়েছে, হত্যা করতে প্ররোচনা দিয়েছে। এ পর্যন্ত তারা আমাদের চারজন ভাইবোনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে। বহুজনকে আহত করেছে, বহু বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে, ধর্মরক্ষার নামে লুটপাট চালিয়েছে, ভাঙ্গচুর করেছে, বহু সদস্যকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। কেবল ব্যক্তিগত নির্যাতনই নয়, বহু শাখাও সামগ্রিকভাবে আক্রান্ত হয়েছে।
প্রথম ধর্মোন্মাদনা সৃষ্টি করে হামলা চালানো হয় নরসিংদীর মাধবদী থানার অন্তর্গত পাথরপাড়া এলাকায় বসবাসকারী হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে। তাদের একটি মুরগির খামারে আগুন ধরিয়ে ভস্মীভূত করে দেওয়া হয়, কয়েকটি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। বিচ্ছিন্নভাবে এখানে ওখানে সদস্যদের উপর হামলা চলতে থাকে যা তাদের জীবনকে মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়।
আবার ২০০০ সনে নরসিংদির পাঁচদোনা মোড়ে হেযবুত তওহীদের সাতজন সদস্যকে আটক করে প্রচণ্ডভাবে প্রহার করা হয়। পুলিশ প্রশাসন শক্তিমানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমাদের আহত সদস্যদেরকেই গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করে। ২০০২ সালে আবারও ধর্মব্যবসায়ীদের ফতোয়ার দ্বারা উত্তেজিত সন্ত্রাসীরা হামলা করে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের তিনটি বাড়ি ভেঙে ফেলে, টিউবয়েল, ঘরের চাল পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়।
১৯৯৯ সনে বরিশালের আগরপুরের সদস্যদের উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। তারপর বরিশালের লাকোটিয়া, সাকোকাঠি, গৌরনদী, বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ইত্যাদি এলাকায় বসবাসকারী সদস্যদের উপরও হামলা, জুলুম, নির্যাতন চলতে থাকে। ৫ মে ২০০৩ সনে মাদারীপুরের ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় “প্রকৃত ইসলামের ডাক” শিরোনামে হ্যান্ডবিল বিতরণকালে ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হন বালাগকারী নয় জন সদস্য। দীর্ঘসময় ধরে তারা মরণপণ লড়াই করেন হাজার হাজার রক্তপিপাসু দাঙ্গাবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপরই শাহাদাত বরণ করেন হেযবুত তওহীদের প্রথম শহীদ সাইফুল্লাহ।
হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইলের করটিয়ায়। তাই স্বভাবতই প্রথম বিরোধিতা ও অপপ্রচারের সূচনা সেখানেই। ২০০০ সনে টাঙ্গাইলের কাশিলে বড় একটি হামলার ঘটনা ঘটে। ধর্মব্যবসায়ীরা সেখানে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালিয়েছিল তার জবাব দিয়ে একটি হ্যান্ডবিল প্রচার করা হয়েছিল। মাননীয় এমামুয্যামানের বাড়িতে ধর্মব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সম্মিলিত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশের বড় একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এমামুয্যামানের পিতৃনিবাস ও হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাকেন্দ্র দাউদ মহলে অবস্থানরত টাঙ্গাইলের সদস্যরা ঐ সন্ত্রাসী হামলার মোকাবেলা করেন। কিন্তু এখানেও সংখ্যাধিক্যের কাছে হার মানে ন্যায়। পুলিশ এসে আক্রমণকারীদের পরিবর্তে হেযবুত তওহীদের ১১ জন আহত সদস্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর মাননীয় এমামুয্যামান আর করটিয়াতে ফিরে যান নি।
হেযবুত তওহীদের প্রথম দশ বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বলিষ্ঠ ও সক্রিয় শাখা ছিল কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর। তাই সামাজিক ও প্রশাসনিক নির্যাতনের খড়গ এ দুটো শাখার সদস্য-সদস্যাদের উপরও নেমে এসেছিল নির্দয়ভাবে। ২০০০ সনে দৌলতপুর থানার মথুরাপুরে ধর্মব্যবসায়ী ও কিছু রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী সন্ত্রাসী একজোট হয়ে হামলা চালিয়েছিল হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে। প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ি তারা পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। ভয়াবহ নির্যাতন চালায় সদস্য-সদস্যাদের উপর। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার হন হেযবুত তওহীদের ২০ সদস্য। অন্যরা এলাকায় টিকতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় হেজরত করেন।
২০০৩ সনে কুষ্টিয়ার যুগিয়াতে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে সহকারী জেলা আমীর হান্নান খানের বাড়িতে ধর্মব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা মিছিল করে হামলা চালায়। ব্যাপকভাবে লুটপাট করে বাড়িঘর ধ্বংস্তূপে পরিণত করে। তাদের অমানবিক প্রকারে সেদিন শহীদ হন হেযবুত তওহীদের বর্ষিয়াণ সক্রিয় সদস্যা রাবেয়া খাতুন।
হেযবুত তওহীদের সদস্যরা যেখানেই আল্লাহর তওহীদের ডাক নিয়ে গেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা সম্মুখীন হয়েছেন ধর্মব্যবসায়ীদের বিরোধিতার। বহুবার তারা আমাদের সদস্যদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে, তারপর আহত অবস্থায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। সেসব ঘটনার বর্ণনা দিতে গেলে বিরাট বই হয়ে যাবে। এক কথায় বলতে গেলে হেযবুত তওহীদের সম্ভবত এমন একটিও শাখা নেই যে এলাকার মাটি হেযবুত তওহীদের সদস্য-সদস্যাদের রক্তে রঞ্জিত হয়নি।
ধর্মব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার চালিয়েছে নোয়াখালীতে। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অবস্থিত মাননীয় এমামের বাড়িতে এ যাবৎ তারা বহুবার হামলা চালিয়েছে। প্রথম হামলা চালিয়েছে ২০০০ সনে। মসজিদে মাইকিং করে, ওয়াজ করে মুসল্লিদেরকে ক্ষেপিয়ে তুলে হামলা চালানো হলো। সারারাত ধরে রেললাইন আর মহাসড়কের পাথর ছুঁড়ে বাড়ির টিনের চাল গুড়িয়ে দেওয়া হল। তারপর চাপিয়ে দেওয়া হলো মিথ্যা মামলার বোঝা। সামাজিক লাঞ্ছনা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অপমান, গালিগালাজ, বয়কট ইত্যাদি তো চলতেই থাকে নিয়মিতভাবে। তিনজন সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে সোনাইমুড়ী বাজারে গাছে ঝুলিয়ে পেটানো হয়। চার/পাঁচ বছর ধরে এরকম বিচ্ছিন্ন হামলা ও নির্যাতন চলতে থাকে। অনেক সদস্য প্রাণ বাঁচাতে পাড়ি জমান বিদেশে।
২০০৯ সনের ১০ মার্চ ২০০৯ তারিখে আবারও ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। মসজিদের মাইকে হামলার নির্দেশ পেয়ে হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোটা, তলোয়ার, কিরিচ, রেল লাইনের পাথর, মাছ মারার ট্যাঁটা ইত্যাদি দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে। একে একে হেযবুত তওহীদ সদস্যদের আটটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কয়েকজনকে মেরে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। ঘেরের শত শত মণ মাছ লুট করে নেওয়া হলো। অবশিষ্টগুলো বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হল, নষ্ট করে দেওয়া হল ফলদায়ী বৃক্ষ, কেটে নেওয়া হয় খেতের পাকা ফসল। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি, গোলার ধান সব লুটপাট করা হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে আক্রমণ চালনার পর আমাদের মুমূর্ষু নারী, পুরুষ, শিশুদেরকে পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার নাম করে থানায় নিয়ে যায়, এরপর যথারীতি চাপিয়ে দেয় মিথ্যা মামলার বোঝা। কোলের শিশু থেকে শুরু করে সত্তর বছরের বৃদ্ধ বৃদ্ধাকেও মাসের পর মাস কারাগারে থাকতে বাধ্য করা হল। দীর্ঘ চার মাস কারাবন্দী থাকার পর, এখানে ওখানে দীর্ঘকাল মানবেতর জীবনযাপনের পর মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসন হেযবুত তওহীদের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদেরকে তাদের পৈত্রিক ভিটায় পুনর্বাসন করে।
২০১৬ সনে আমরা জুমাসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য মাননীয় এমামের বাড়ির আঙিনায় একটি মসজিদ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। নির্মাণকাজ শুরু হতেই অপপ্রচার শুরু হয় যে, হেযবুত তওহীদ খ্রিষ্টান, তারা মসজিদ না, আসলে গির্জা বানাচ্ছে। আবারও তারা মুফতি ভাড়া করে এনে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ালো। একটি নাম-ঠিকানাবিহীন মিথ্যা হ্যান্ডবিল এলাকায় ছড়িয়ে দিল।
১৪ মার্চ ২০১৬। মসজিদের মাইক থেকে মানুষের কানে কানে পৌঁছে দেওয়া হলো একটি আওয়াজ – খ্রিষ্টান মারো, গির্জা ভাঙো। আশেপাশের কওমী মাদ্রাসাগুলো থেকে ছাত্র-শিক্ষকদেরকে এনে মিছিল করানো হলো। এলো বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক দলের ক্যাডার, ভণ্ড পীরের অন্ধ অনুসারীরা। শুরু করল মসজিদের নির্মাণশ্রমিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। তাদের হাতে লাঠিসোটা, কিরিচ, গরু জবাই করা ছুরি, লোহার রড ইত্যাদি।
চারদিক থেকে যখন পাথরবৃষ্টি শুরু হলো নিরস্ত্র নির্মাণশ্রমিক ও হেযবুত তওহীদের সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন কিন্তু হাজার হাজার উন্মত্ত আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে তাদের কিছুই করার থাকে না। তাদের মাথা ফেটে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগে রক্তের বন্যা বয়ে যেতে থাকে। আক্রমণকারীরা আগুন ধরিয়ে একে একে বসতবাড়িগুলো পুড়িয়ে দেয়। দুইজন সদস্যকে হাতের নাগালে পেয়ে গরু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করে। তাদের হাত পায়ের রগগুলো কেটে ফেলে, তারপর চোখ উপড়ে নেয় ছুরি দিয়ে। লাশ বিকৃত করার পর তা পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এই পৈশাচিকতার ছবি ফেসবুকে প্রচার করতে থাকে দানবীয় উল্লাসে। অবশেষে সম্মিলিতভাবে বিজিবি, দাঙ্গা পুলিশ, র্যাব ইত্যাদি বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যে তারা গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে, এমনকি থানায় হামলা চালায়। ১১৪ জন মরণাহত সদস্যকে আবারও অন্যায়ভাবে জেল-হাজতে পুরে প্রশাসনিকভাবেও হয়রানি করা হয়। এক সময় মহামান্য হাইকোর্ট হেযবুত তওহীদের সদস্যদের অনুকূলে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং পুলিশ প্রহরা দিয়ে তাদেরকে নিজ নিজ পৈত্রিক ভিটায় পুনর্বাসিত করা হয়।
বহু রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে সেখানে আজ আবারও সেই স্থানে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে যে, ধর্মব্যবসায়ীরা সেই ২০০০ সন থেকে মানুষের সামনে জঘন্য মিথ্যা বলে এসেছে। সেই মসজিদটি সোনাইমুড়িতে ইসলামের চর্চার একটি কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। সেখান থেকে পাঁচ ওয়াক্ত আযান ধ্বনিত হচ্ছে, পাঞ্জেগানা নামাজ হচ্ছে, জুমার নামাজ হচ্ছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে আশপাশের শত শত মানুষ আসছেন প্রতি জুমাতে, মুসল্লিদের পদচারণায় স্পন্দিত হচ্ছে রক্ত¯্নাত সোনাইমুড়ি। কেটে যাচ্ছে অপপ্রচার মিথ্যাচার ধর্মান্ধতার ধোঁয়াশা।
ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ থাকে না। হেযবুত তওহীদের পথও তাই কণ্টকাকীর্ণ। কিন্তু পথের শেষপ্রান্তে হেযবুত তওহীদের জন্য অপেক্ষা করছে বিজয়। হেযবুত তওহীদের সঙ্গে আছেন বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ। তাঁর অসীম দয়া ও রহমতে হেযবুত তওহীদের উপর আসা এই পরীক্ষাগুলোতে মো’মেনরা সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। যার ফলে আজ হেযবুত তওহীদের আকাশ থেকে অপপ্রচারের কালো মেঘ অনেকাংশেই দূরীভূত হয়ে গেছে। বহু মানুষ এখন হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্ত হয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ দুই হাত তুলে হেযবুত তওহীদকে জানাচ্ছে তাদের অকপট সমর্থন।