Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/og/includes/iworks/class-iworks-opengraph.php on line 331

প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মদীর সালাহ


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

045এমামুয্‌যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী

সালাতের উদ্দেশ্য:
আল্লাহ তাঁর শেষ নবীকে পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত দীন (জীবন-ব্যবস্থা) অবলুপ্ত কোরে দিয়ে এই সঠিক দিক নির্দেশনা (তওহীদ, সেরাতাল মোস্তাকিম) ও এই সত্যদীন (জীবন-ব্যবস্থা, শরিয়াহ) প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিলেন- এই সত্য আমরা পাচ্ছি প্রত্যক্ষ, সরাসরি কোর’আনে তিনটি আয়াত থেকে (কোর’আন- সুরা তওবা ৩৩, ফাতাহ ২৮, সফ ৯), এবং পরোক্ষভাবে সমস্ত কোর’আনে শত শত আয়াতে। প্রশ্নটি হোচ্ছে- আল্লাহ শেষ নবীকে এই বিশাল দায়িত্ব দিলেন কিন্তু কেমন কোরে, কোন নীতিতে তিনি এ কাজ কোরবেন তা কি আল্লাহ তাঁকে বোলে দেবেন না? আল্লাহ সোবহান, অর্থাৎ যার অণু পরিমাণও খুঁত, ত্রুটি, অক্ষমতা, অসম্পূর্ণতা বা চ্যুতি নেই। কাজেই তাঁর রসুলকে আল্লাহ এক বিরাট, বিশাল দায়িত্ব দিলেন কিন্তু কেমন কোরে, কোন্‌ প্রক্রিয়ায় তিনি তা কোরবেন তা বোলে দেবেন না, তা হোতেই পারে না। কাজেই আল্লাহ তাঁর নবীকে ঐ দায়িত্বের সঙ্গে ঐ কাজ করার নীতি ও প্রক্রিয়া অর্থাৎ তরিকাও বোলে দিলেন। সমস্ত পৃথিবীতে আল্লাহর তওহীদ ভিত্তিক দীন প্রতিষ্ঠার নীতি হিসাবে আল্লাহ তাঁর রসুলকে দিলেন জেহাদ ও কেতাল- অর্থাৎ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও সশস্ত্র সংগ্রাম; এবং ঐ নীতির ওপর ভিত্তি কোরে একটি পাঁচদফার কর্মসূচি। ঐ পাঁচ দফা হোল- ১) ঐক্য, ২) শৃঙ্খলা, ৩) আনুগত্য, ৪) হেজরত, ৫) জেহাদ, যুদ্ধ (হাদিস- তিরমিযী, মুসনাদে আহমেদ, আহমদ, বাব-উল-এমারাত)। পৃথিবীতে প্রচলিত অন্য সমস্ত জীবন ব্যবস্থাকে নিষ্ক্রিয় কোরে আল্লাহর দেয়া সঠিক দিক-নির্দেশনা ও সত্যদীনকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাঁর শেষ নবীকে যে নীতি ও তরিকা (প্রক্রিয়া, কর্মসূচি) দিলেন সেটা দাওয়াহ নয়; সেটা কঠিন জেহাদ, সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও সশস্ত্র সংগ্রাম।
এর প্রমাণ আল্লাহর কোর’আন এবং তাঁর রসুলের জীবনী, কথা ও কাজ। আল্লাহ তাঁর কোর’আনে সশস্ত্র সংগ্রাম অর্থাৎ যুদ্ধকে মো’মেন, মোসলেম ও উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য ফরদে আইন কোরে দিয়েছেন সুরা বাকারার ২১৬ ও ২৪৪ নং আয়াতে, আনফালের ৩৯ নং ও আরও বহু আয়াতে। শুধু তাই নয় মো’মেন হবার সংজ্ঞার মধ্যেই তিনি জেহাদকে অন্তর্ভুক্ত কোরে দিয়েছেন। তিনি বোলেছেন- শুধু তারাই সত্যনিষ্ঠ মো’মেন যারা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের ওপর ঈমান এনেছে এবং তারপর আর কোন দ্বিধা-সন্দেহ করেনি এবং প্রাণ ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করেছে (কোর’আন- সুরা হুজরাত ১৫)। এই আয়াতে আল্লাহ মো’মেন হবার জন্য দু’টি শর্ত রাখছেন। প্রথমটি হোল আল্লাহ ও তাঁর রসুলের উপর ঈমান; এটির অর্থ হোল জীবনের সর্ব অঙ্গনে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, জাতীয়-আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন-কানুন, দণ্ডবিধি, অর্থনীতি, শিক্ষা- এক কথায় যে কোন বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রসুলের কোন বক্তব্য আছে, আদেশ-নিষেধ আছে সেখানে আর কাউকে গ্রহণ না করা, কারো নির্দেশ না মানা যা পেছনে বোলে এসেছি এবং এ ব্যাপারে বাকি জীবনে কোন দ্বিধা, কোন সন্দেহ না করা অর্থাৎ তওহীদ। দ্বিতীয়টি হোল আল্লাহর ঐ তওহীদ, সার্বভৌমত্বকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন ও সম্পদ দিয়ে সংগ্রাম, যুদ্ধ করা। কারণ ঐ তওহীদ এবং তওহীদ ভিত্তিক দীন, জীবন-ব্যবস্থা যদি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা না হয় তবে দীনই অর্থহীন, যেমন বর্তমানের অবস্থা। এই দু’টি শর্ত হোল মো’মেন হবার সংজ্ঞা। যার বা যাদের মধ্যে এই দু’টি শর্ত পূরণ হোয়েছে সে বা তারা প্রকৃত মো’মেন আর যে বা যাদের মধ্যে এই দু’টির মধ্যে একটি বা দু’টিই শর্ত পুরণ হয় নি, সে বা তারা প্রকৃত মো’মেন নয়; (৬ষ্ঠ পৃষ্ঠায় দেখুন) এবং মো’মেন নয় মানেই হয় মোশরেক না হয় কাফের।
সরাসরি হুকুম ছাড়াও সমস্ত কোর’আনে আল্লাহ ছয়শত বারের বেশি সশস্ত্র সংগ্রামের উল্লেখ কোরেছেন। আল্লাহর এই নীতির প্রতিধ্বনি কোরে তার রসুল বোললেন- আমি আদিষ্ট হোয়েছি পৃথিবীর মানুষের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম (যুদ্ধ) চালিয়ে যেতে যে পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য দেয় যে আল্লাহ ছাড়া এলাহ নেই এবং আমি মোহাম্মদ আল্লাহর রসুল এবং সালাহ প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত দেয় [হাদিস- আবদুল্লাহ এবনে ওমর (রা:) থেকে বোখারী]। এছাড়াও আল্লাহ তাঁর কোর’আনে এবং আল্লাহর রসুল তাঁর জীবনের কাজে ও কথায় সন্দেহাতীত ভাবে আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন যে আল্লাহর তওহীদ ভিত্তিক এই দীনুল ইসলাম, দীনুল হককে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করার নীতি হোচ্ছে সামরিক, অর্থাৎ জিহাদ, কেতাল। আল্লাহ নীতি হিসাবে যুদ্ধকে নির্দ্ধারণ কোরেছেন বোলেই তার নির্দেশে তাঁর রসুল মাত্র সাড়ে নয় বছরের মধ্যে কম কোরে হোলেও ১০৭টি যুদ্ধ কোরেছেন।
দীন প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তাঁর রসুলকে যে পাঁচ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন তার প্রথম চার দফা অর্থাৎ ১) ঐক্য, ২) শৃঙ্খলা, ৩) আনুগত্য, আদেশ প্রতিপালন, ৪) হেজরত এই চারটি হোল জেহাদ করার পস্তুতি এবং পঞ্চম দফা হোচ্ছে জেহাদ, যুদ্ধ। প্রথম চার দফা ছাড়া যুদ্ধ করা যাবে না। জেহাদকে, সশস্ত্র সংগ্রামকে আল্লাহ নীতি হিসাবে নির্দ্ধারণ কোরেছেন বোলেই এই দীনে শহীদ ও মোজাহেদদের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা কোরে সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেয়ার অঙ্গীকার কোরেছেন, জান্নাত নিশ্চিত কোরে দিয়েছেন (কোর’আন- সুরা সফ ১০-১২), এমন নিশ্চয়তা এই জাতির, উম্মাহর আর কোন শ্রেণি বা প্রকারের মানুষকে তিনি দেন নি। আল্লাহর এই নীতি নির্দ্ধারণ তাঁর রসুল বুঝেছিলেন বোলেই তিনি ২৩ বছরের কঠোর সাধনায় যে সংগঠন গড়ে তুললেন সেটার ইতিহাস দেখলে সেটাকে একটি জাতি বলার চেয়ে একটি সামরিক বাহিনী বলাই বেশি সঙ্গত। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে এই বাহিনী তার জন্মলগ্ন থেকে শুরু কোরে প্রায় একশ’ বছর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সশস্ত্র সংগ্রাম কোরে গেছে; এর সর্বাধিনায়ক (আল্লাহর রসুল) থেকে শুরু কোরে সাধারণ সৈনিক (মোজাহেদ) পর্যন্ত একটি মানুষও বোধহয় পাওয়া যেতনা যার গায়ে অস্ত্রের আঘাত ছিল না; হাজারে হাজারে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দেয়ার কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না।
তাহোলে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে তওহীদ, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ভিত্তিক এই দীনকে সমস্ত পৃথিবীতে কার্যকর কোরে মানব জাতির জীবন থেকে সমস্ত অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার ও রক্তপাত দূর কোরে শান্তি (ইসলাম) প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আল্লাহ তাঁর রসুলকে পৃথিবীতে পাঠালেন এবং ঐ কাজ করার নীতি হিসাবে নির্দ্ধারিত কোরে দিলেন সংগ্রাম ও সশস্ত্র সংগ্রাম এবং জেহাদ ভিত্তিক একটি ৫ দফার কর্মসূচি। তাঁর রসুল ঐ নীতি ও কর্মসূচির অনুসরণ কোরে গড়ে তুললেন এক দুর্দম, দুর্ধর্ষ, অপরাজেয় সামরিক বাহিনী যার নাম হোল উম্মতে মোহাম্মদী। এই উপলব্ধি (আকিদা) থেকে আজ আমরা লক্ষকোটি মাইল দূরে অবস্থান নিয়েছি।
এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হোচ্ছে সশস্ত্র সংগ্রাম কোরে পৃথিবীতে আল্লাহর দেয়া দিক নির্দেশনা ও সত্যদীনকে প্রতিষ্ঠার মত বিশাল ও কঠিন কাজের জন্য আল্লাহর হুকুমে তাঁর রসুল যে বাহিনী গঠন কোরলেন, যার নাম হোল উম্মতে মোহাম্মদী তার চরিত্র গঠন ও প্রশিক্ষণের জন্য কি ব্যবস্থা করা হোল? এটা হোতে পারেনা যে আল্লাহ তাঁর রসুলকে উম্মাহ গঠন কোরতে আদেশ দিলেন, যুদ্ধকে ফরদে আইন কোরে দিলেন, পৃথিবীতে দীন প্রতিষ্ঠার নীতি ও প্রক্রিয়া হিসাবে যুদ্ধকেই নির্দিষ্ট কোরে দিলেন, কিন্তু তাদের জন্য যুদ্ধের কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা দিলেন না। যে কথাটা সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায় যে কোন কাজ কোরতে গেলেই সেই কাজের প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যক, আল্লাহ সোবহানুতায়ালা কি এই কথাটা বোঝেন নি? তাহোলে এই দীনে সেই প্রশিক্ষণ কোথায়?

সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ হোল- সালাহ

প্রত্যেক জাতিরই সামরিক বাহিনী আছে এবং প্রত্যেকেরই যুদ্ধের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। তাদের দৈনিক প্যারেড, কুচকাওয়াজ, অস্ত্রের ব্যবহারের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। ওগুলো ছাড়া কোন সামরিক বাহিনী নেই। তাহোলে আল্লাহর রসুল যে সামরিক বাহিনী গঠন কোরলেন, যে বাহিনী যুদ্ধ কোরে ৯ বছরের মধ্যে সমস্ত আরব উপদ্বীপ জয় কোরল, তারপর মাত্র ৬০/৭০ বছরের মধ্যে তৎকালীন পৃথিবীর দুই বিশ্বশক্তির সুশিক্ষিত বিশাল সামরিক বাহিনীগুলিকে যুদ্ধে পরাজিত কোরে অর্দ্ধেক পৃথিবীতে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা কোরল তারা এ সব কিছু প্রশিক্ষণ ছাড়াই কোরল? এ হোতে পারে? অবশ্যই নয়। একথা সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায় যে, যে দীনে, জীবন-ব্যবস্থায় যুদ্ধকে ফরদে আইন, অবশ্য করণীয় কোরে দেয়া হোয়েছে (কোর’আন- সুরা বাকারা ২১৬) সে দীনে প্রশিক্ষণকেও অবশ্য করণীয়, ফরদে আইন কোরে দেয়া হবে। আল্লাহ ভুল করেন নি, তিনি সোবহান, তিনি সামান্যতম ভুলও কোরতে পারেন না, আর এতবড় ভুল তো কথাই নেই। তাহোলে সে প্রশিক্ষণ কোথায়?
আল্লাহর রচনা করা এই অমূল্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন কোরতে যে চরিত্র প্রয়োজন, যে চরিত্র ছাড়া এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, সেই চরিত্র অর্জন করার প্রধান উপায় হোচ্ছে সঠিকভাবে সালাহ কায়েম করা। সালাহ এবং এই কর্মসূচির মধ্যে একটি অভূতপূর্ব মিল আছে। কর্মসূচির প্রথম দফা হোল ঐক্যবদ্ধ হওয়া, সালাহরও প্রথম কাজ হোল সালাহর জন্য সকলে একত্রিত হওয়া। কর্মসূচির দ্বিতীয় দফা হোল শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া, সালাতের জন্য একত্রিত হওয়ার পর দ্বিতীয় কাজটি হোল কতগুলি নিয়ম অনুসারে দাঁড়ানো অর্থাৎ নিজেকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা। এই নিয়মগুলি হোচ্ছে, লাইন কোরে দাঁড়াতে হবে এবং লাইনটি হোতে হবে ধনুকের ছিলার মত সোজা, (ধনুকের ছিলার চেয়ে বেশি সোজা আর কোন জিনিস পৃথিবীতে নেই), শরীর হোতে হবে রডের মত সোজা এবং শক্ত, দৃষ্টি থাকবে সম্মুখে নিবদ্ধ, হাত হোতে হবে মুষ্ঠিবদ্ধ, মন হোতে হবে এমামের হুকুম শোনার সঙ্গে সঙ্গে পালন করার জন্য তীক্ষ্ন সচেতন ইত্যাদি অনেক কিছু। কর্মসূচির তৃতীয়টি হোল এতায়াহ। সালাতেও তৃতীয় কাজ হোচ্ছে এতায়াহ অর্থাৎ ঐরকম শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সতর্ক হওয়ার পর এমামের তাকবীর বা হুকুমের আনুগত্য করা। এই আনুগত্যের মধ্যে কোথাও বিন্দুমাত্র শিথিলতা থাকবে না, কোন প্রশ্ন থাকবে না। এমাম যদি রুকুতে বা সেজদায় যেয়ে বা যেকোন অবস্থানে এক ঘণ্টাও থাকেন সেক্ষেত্রে মোক্তাদীরও এক ঘণ্টা সেই অবস্থায় থাকতে হবে, এর ব্যতিক্রম কোরলে তার সালাহ পণ্ড হোয়ে যাবে। এখানে কোন প্রশ্ন করা চোলবে না যে, আপনি কেন সেজদায় বা রুকুতে গিয়ে এত সময় আছেন? কর্মসূচির চার নম্বর হোল হেজরত। একইভাবে সালাতে যারা আসবে তারাও পূর্বের জীবনের সমস্ত শেরক, কুফর থেকে হেজরত কোরে অর্থাৎ ওগুলো পরিত্যাগ কোরে সালাতে আসবে। সুতরাং কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন কোরতে গেলে যে চরিত্রের প্রয়োজন তা গঠন কোরবে ঐ সালাহ। কোর’আনে আল্লাহ সালাহ সম্বন্ধে সর্বদাই বোলেছেন, সালাহ কায়েম কর, তিনি বলেন নাই যে সালাহ পড়, বা সালাহ আদায় কর, বোলেছেন কায়েম কর। কায়েম শব্দের অর্থ কোন জিনিস বা বিষয় স্থায়ী, দৃঢ়, শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করা। সালাহ তাহোলে কোথায় প্রতিষ্ঠিত কোরবে? কোরবে নিজেদের চরিত্রে, অর্থাৎ সালাহ যে গুণগুলি সৃষ্টি করে তা নিজেদের চরিত্রের ভেতর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ কায়েম কোরে পাঁচ দফার কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন কোরবে। তবেই যে উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি আল্লাহ প্রণয়ন কোরে আমাদের দিয়েছেন সেটা অর্জনে সফলতা আসবে, নইলে আল্লাহর সাহায্যও আসবে না, সাফল্যও আসবে না। মনে রাখতে হবে, যে লোক সারা জীবন, দিন রাত্রি সালাহ কায়েম কোরল, প্রত্যেক ওয়াক্তের প্রথম ভাগেই সালাহ পড়ল বা আদায় কোরল কিন্তু তার চরিত্রে কঠিন ইস্পাতের মত ঐক্য, কঠিন শৃঙ্খলা, প্রশ্নহীন আনুগত্য ও শেরক-কুফর-জুলম-নাফাক-ফিসক ইত্যাদি থেকে মুক্তি আসলো না (হেজরত), তার সমস্ত জীবনের সালাহই অর্থহীন, নিষ্ফল। আবার ঐ সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে যে, যে লোক সালাহর মাধ্যমে এই সমস্ত গুণ অর্জন এবং সুদৃঢ়ভাবে কায়েম কোরল কিন্তু তার ঐ চারিত্রিক গুণগুলি নিয়ে কর্মসূচির পাঁচ দফা অর্থাৎ হেদায়াহ ও দীনুল হককে পৃথিবীতে বিজয়ী করার সংগ্রামে (জেহাদ) ঐক্যবদ্ধ হোয়ে লিপ্ত হোল না তার ঐ চারিত্রিক সফলতাও অর্থহীন, মূল্যহীন।
বর্তমানে পৃথিবীতে অসংখ্য আন্দোলন-সংগঠন রয়েছে যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জেহাদে রত। তাদের আল্লাহর নসর না পাওয়া এবং সফল না হওয়ার কারণ প্রধানত দুইটি। প্রথমত তারা যেটাকে ইসলাম বোলে প্রতিষ্ঠা কোরতে চায় সেটি আল্লাহ-রসুলের ইসলাম নয়, দ্বিতীয়ত তাদের কর্মসূচি আল্লাহর রচিত নয় অর্থাৎ তারা কর্মসূচির চরিত্র অর্জন না কোরেই জেহাদ কোরছে। পক্ষান্তরে হেযবুত তওহীদকে আল্লাহ তাঁর প্রকৃত ইসলাম দান কোরেছেন এবং এই দীনকে প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর স্বরচিত কর্মসূচিও দান কোরেছেন।
প্রথম চার দফার চরিত্র ছাড়া অর্থাৎ গলিত সীসার প্রাচীরের মত ঐক্য, পিঁপড়ার মত শৃঙ্খলা, মালায়েকের মত শর্তহীন-প্রশ্নহীন- দ্বিধাহীন আনুগত্য এবং সাহাবীদের মত হেজরত অর্জন না কোরে কেউ যদি আল্লাহর রাস্তায় জীবন ও সম্পদ ব্যয় কোরতে চায়, তবে কোরতে পারবে কিন্তু তারা দীন প্রতিষ্ঠার সেই জেহাদে আল্লাহর নসর পাবে না, ফলে বিজয়ী হোতে পারবে না। ফলে তাদের ঐসব কাজ করা না করা সমান হবে, পণ্ডশ্রম হবে। কাজেই নিজেদের চরিত্রের মধ্যে চার দফার গুণগুলি পূর্ণভাবে কায়েম কোরতে হবে এবং পাশাপাশি যত বেশি সম্ভব দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। তবে বড় কথা হোল যতটুকু কাজই করা হোক, সেই কাজের মধ্যে যেন ঐক্য, শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও হেজরত পূর্ণ ও অটুটভাবে বজায় থাকে, নয়তো ঐ কাজ কোন ফল বয়ে আনবে না।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ