চলমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংকট নিরসনে আলেমদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২ নভেম্বর ২০২২ তারিখ বুধবার বেলা ১১ টায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার পোরকরা শহীদী জামে মসজিদের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স হলরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালী জেলা হেযবুত তওহীদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের শীর্ষ নেতা এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। হেযবুত তওহীদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আমীর নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শহীদী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মেহেদী হাসান সাগর, জাতীয় মুফাসসির পরিষদের সদস্য শায়েখ গাজী শাহীদুল হাসান আইয়ুবী প্রমুখ। সভায় নোয়াখালী ও আশেপাশের জেলাগুলো থেকে মসজিদের খতিব, ইমাম, মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আলেমগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম আলেমদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা কোর’আন-হাদিসের জ্ঞান অর্জন করেছেন, আপনারা দুনিয়ার পরিবর্তে দ্বীনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু সারা পৃথিবীতে মুসলিম জাতি আজ পরাজিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত, নিষ্পেষিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে জাতিকে বাঁচানোর জন্য আপনারা কী করছেন? আজ পৃথিবীর কোথাও আল্লাহর হুকুম-বিধান চলে না, কিন্তু আমরা দাবি করছি আমরা মুসলমান। এখন সময় এসেছে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। তাদের আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য তওহীদের উপর ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আর এই কাজে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে আলেম সমাজের।”
এসময় তিনি মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য, ইসলামের আকিদা,ঈমান, আমল, মুসলিম জাতির হারিয়ে যাওয়া গৌরবময় ইতিহাস, বর্তমান দুর্দশার কারণ ও এই দুর্দশা থেকে মুক্তির উপায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “কোর’আন এসেছে জাতীয়, আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সকল সংকটের সমাধান করে সমাজ, দেশ তথা পৃথিবীতে শান্তি- সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কিন্তু আজ এই কোর’আন মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক , বৈশ্বিক সংকট সমাধানে ব্যাবহার হচ্ছে না। বর্তমানে ধর্মকে ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এর ফলে মানবজাতি আজ শতধাবিচ্ছিন্ন হয়ে অন্যায়-অবিচার, অশান্তিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।” তিনি এই সংকট থেকে উত্তরোণের একমাত্র পথ হিসেবে সবাইকে আবারও তওহীদের উপরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থাকে মানবজীবনে প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান। বক্তব্যের শেষে অনুষ্ঠানে আগত ওলামায়ে কেরামগণের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হেযবুত তওহীদের এমাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিকারীবাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নিজাম উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জের চাঁদবড় মসজিদের সাবেক ইমাম ক্বারী মোহাম্মদ ইদ্রিস, মীরসরাইয়ের বেপারীপাড়া জামে মসজিদের সাবেক খতিব ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ মহিব্বুর রহমান, কমলাকান্দা সুনই জামে মসজিদের সাবেক ইমাম মো. জসিম উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের বায়তুল মা’মুর জামে মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা রমজান আলী, কুমরাদি নতুন বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. কিরণ মিয়া, বাইতুর মা’মুর জামে মসজিদের সাবেক ইমাম হাফেজ গোলাম মাওলা রনি, মাঝেরচর হাফিজিয়া মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা সাদেক হোসেন, হাফেজ মাওলানা মো. নোমান মিয়া, হাফেজ মাওলানা তোফাজ্জল খাঁন ফারুকী, হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, হাফেজ আবুল কালাম, হাফেজ জুনাইদ, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা তোফাজ্জল, হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন শাকিল আল কাদেরী, হাফেজ মানিক মিয়া, হাফেজ মহসিন, মাওলানা মাহবুব আলম, হাফেজ মোহাম্মদ আমির, হাফেজ আব্দুল জব্বার, ক্বারী রুহুল আমিন, হাফেজ বিল্লাল হোসেন, মাওলানা মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, মুহাম্মদ মহিবুর রহমানসহ আরো অনেকে।
মন্তব্য কলাম বাড়ছে বকধার্মিকতা
বকধার্মিকতার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে ধর্মের প্রকৃত রূপ, ধর্মের আসল সৌন্দর্য। ধর্মেরই লেবাসে সমাজে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অধর্মের চাষবাস। চলুন, তার কিছু নমুনা দেখে আসি।
কারা সেই জান্নাতি ফেরকা?
আল্লাহর রসুলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, “বনী ইসরাঈল যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মতও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতার একটি
দোয়ার বন্যা ফিলিস্তিনে কান্না ( বদরে আল্লাহর সাহায্য ছিল এখন নেই কেন? )
হিজরি দ্বিতীয় সনে সংঘটিত বদরের যুদ্ধে মহানবী (স.) আল্লাহ পাকের দরবারে সাহায্য চেয়ে ফরিয়াদ করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীবের সেই ফরিয়াদ কবুল করে নেন এবং
রামমন্দির ও থার্ড টেম্পল অযোধ্যা-জেরুজালেম ধর্ম নিয়ে ঘৃণার রাজনীতি
‘ধর্মবিশ্বাস’ – পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন অথচ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রভাবশালী ধারণা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কত আদর্শ, কত চেতনা, কত বিশ্বাস, কত বিপ্লব, কত তত্ত্বের
দীন নিয়ে বাড়াবাড়ির পরিণাম জাতি ভেঙে খানখান
আল্লাহ তাঁর রসুলের (সা.) উপর দায়িত্ব দিয়েছেন মানবজীবনে হেদায়াহ ও সত্যদীন প্রতিষ্ঠা করার (সুরা ফাতাহ-২৮, সুরা সফ ৯, সুরা তওবা ৩৩)। কেননা কেবল আল্লাহর দেওয়া
ফেরেশতারা কেন মানুষ সৃষ্টির পক্ষে ছিলেন না?
শিরোনাম দেখে অনেকে হয়তো অবাক হচ্ছেন এবং ভাবছেন আসলেই কি ফেরেশতারা মানুষ সৃষ্টির পক্ষে ছিলেন না? হ্যাঁ পাঠক, আসলেই তাই। যে সময়ের কথা বলছি তখন