অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের হবিগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই সভাটি শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের এম সাইফুর রহমান টাউন হলে আয়োজন করা হয়।
হবিগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. এ. আবদুল মোতালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আলী হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর শহীদী জামে মসজিদের খতিব রাকিব আল হাসান লিহি এবং মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষিরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আলী হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও শিক্ষক শফিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি রাশেদুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, “ব্রিটিশরা এ দেশ থেকে চলে গেলেও তাদের ‘কেরানি তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা’ আজও রয়ে গেছে। সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের শিক্ষা না থাকায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে জাতির বোঝায় পরিণত হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন এবং শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ করে ফেলে।”
সভার মুখ্য আলোচক রাশেদুল হাসান বলেন, “ঔপনিবেশিক শাসকরা মুসলিমদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়ে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে আলিয়া মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিল। এর ফলে মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ আলেমরা ইসলামের প্রকৃত শান্তি ও ন্যায়ের বার্তার পরিবর্তে সংকীর্ণ ও বিভেদ সৃষ্টিকারী শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন।” তিনি ব্রিটিশ প্রবর্তিত এই দ্বিধাবিভক্ত শিক্ষাব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে একটি একমুখী, আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা চালুর আহ্বান জানান, যা প্রত্যেক নাগরিককে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
সভার শুরুতে প্রধান অতিথি রাকিব আল হাসান লিহিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন আলী হোসেন এবং মুখ্য আলোচক রাশেদুল হাসানকে ফুল দিয়ে বরণ করেন অ্যাডভোকেট এম. এ. আবদুল মোতালেব। সভায় হবিগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।