আরও পড়ুন: সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের প্রধান জামাতের খুতবার সার-সংক্ষেপ
শাহাদৎ হোসেন:
দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি এবং বিশ্বমানবতার কল্যাণ কামনায় ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার ঈদুল আজহার দিন সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত এই জামাতগুলোতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ঈদগাহে নারী-পুরুষের এই সম্মিলিত উপস্থিতি ইসলামের স্বর্ণযুগের সাম্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নারী মুসল্লিরা।
হেযবুত তওহীদের প্রধান ও কেন্দ্রীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনের কেন্দ্রভূমি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাটে। ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মুসল্লি জামাত স্থলে সমবেত হন।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। জামাত-পূর্ব আলোচনায় তিনি কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য তুলে ধরেন। আল্লার তওহীদেও ভিত্তিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর চাওয়া মোতাবেক নিজেদের জীবন ও সম্পদ আল্লার জন্য ত্যাগ করে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠায় ব্রত হবার আহ্বান জানান। খুৎবার আগে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন হেযবুত তওহীদের সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন। জামাতে অংশ নেওয়া নারী মুসল্লিদের সামনে আলোচনা করেন হেযবুত তওহীদের নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী।
এদিকে রাজধানী ঢাকাতেও মহানগর হেযবুত তওহীদ উদ্যোগে বিশাল ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। সকাল ৮টায় রাজধানীর উত্তরায় অনুষ্ঠিত এই জামাতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারো নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে জামাতস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন রাব্বানি। জামাত-পূর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় আমির মশিউর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম উখবাহ।
কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় আয়োজনের পাশাপাশি বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
রাজশাহী:
রাজশাহীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকালে নগরীর তালাইমাড়ি মাঠে আয়োজিত এই জামাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
সকাল থেকেই মুসল্লিদের আগমনে তালাইমাড়ি মাঠ প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। জামাতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো, যা ঈদ জামাতের ভাবগাম্ভীর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
এই জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন শিক্ষক ও ইসলামি চিন্তাবিদ এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার শহীদী জামের মসজিদের খতিব রাকিব আল হাসান লিহি।
জামাতের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করেন হেযবুত তওহীদের রাজশাহী অঞ্চলের সভাপতি আশেক মাহমুদ, জেলা সভাপতি মো. আরিফুজ্জামান গালিব প্রমুখ।
জামাত শেষে আলোচনায় বক্তারা মুসলিম উম্মাহকে সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং সমাজে ইসলামের প্রকৃত শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ মোনাজাতে দেশ, জাতি এবং ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের জন্য শান্তি ও মুক্তি কামনা করা হয়।
বরিশাল:
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বরিশালে ঈদুল আজহার জামাতের আয়োজন করেছে বরিশাল জেলা হেযবুত তওহীদ। সকাল ৮টায় নগরীর এয়ারপোর্ট থানা সংলগ্ন ক্যাডেট কলেজ মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা মাঠে সমবেত হতে থাকেন। জামাত শুরুর আগেই শত শত পুরুষ ও নারীদের অংশগ্রহণে প্যান্ডেল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ঈদের জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন মাওলানা লতিফ। জামাত-পূর্ব এক তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা এমন এক সংকটময় সময়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করছি, যখন ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বে মানবতা ভূলুণ্ঠিত। ফিলিস্তিনের গাজায় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হচ্ছে, হাজার হাজার নারী-শিশুকে হত্যা করে বাকিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের কুরবানির প্রকৃত শিক্ষা ও তাৎপর্য অনুধাবন করতে হবে।”
ঈদ জামাতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন হেযবুত তওহীদের বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি রুহুল আমিন মৃধা। তিনি তাঁর বক্তব্যে মুসলিম উম্মাহর অতীত গৌরব ও বর্তমান দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন।
জামাত শেষে দেশ, জাতি এবং ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বের নির্যাতিত মানুষের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে বুকে বুক মিলিয়ে (কোলাকুলি) ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের অনাবিল আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
ময়মনসিংহ:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে ময়মনসিংহে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে সদর উপজেলার ৭নং চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজার সংলগ্ন মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারী-পুরুষসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা উমর ফারুক। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই জামাতে শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে নারীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
নামাজ শেষে কোরবানির তাৎপর্য ও ইসলামের আলোকে সমাজ গঠন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ রানা, জেলা সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সোহাগ।
বক্তারা বলেন, “ঈদুল আজহা কেবল পশু জবাই করার উৎসব নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের এক মহান শিক্ষা। পশুর সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভেতরের পশুত্ব, অর্থাৎ অহংকার, হিংসা, বিদ্বেষ ও বিভেদের মতো কুপ্রবৃত্তিগুলোকে কোরবানি দিতে হবে। তবেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে।”
কুষ্টিয়া:
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার পশ্চিম বাহিরচর মুন্সীপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জামাতের পূর্বে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের কুষ্টিয়া অঞ্চলের আমির মো. জসেব উদ্দিন, সহকারী আঞ্চলিক আমির কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি আক্কাচ আলী এবং বিভাগীয় কৃষি সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনু।
ঈদের সালাতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুর রহমান। তিনি নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করেন। তিনি বলেন, আজকের এই পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে আমরা ঈদগাহে নামাজ কায়েম করি, তারপর গরু-ছাগল আল্লাহর রাস্তায় কুরবানি করি। মূলত এই ঈদ হচ্ছে ত্যাগের ঈদ। আমরা ত্যাগের মাধ্যমে আনন্দ করব। আমরা যদি আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন এবং সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ত্যাগ করতে পারি তাহলে সেটাই হবে আসল কোরবানি।
মেহেরপুর:
সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় গাংনী উপজেলার নিশিপুর ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত এই জামাতে শত শত পুরুষের পাশাপাশি নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঈদগাহে নারী-পুরুষের এই সম্মিলিত উপস্থিতি ইসলামের স্বর্ণযুগের সাম্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নারী মুসল্লিরা। নামাজে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন নারী জানান, “রাসুল (সা.)-এর যুগে নারীরা যেভাবে মসজিদে ও ঈদগাহে নামাজ আদায় করতেন, সেভাবে পরিবারের সবার সঙ্গে একত্রে নামাজ আদায় করার ইচ্ছা আমাদের দীর্ঘদিনের ছিল। আজ সেই ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় আমরা আনন্দিত।”
জামাতে ইমামতি করেন হেযবুত তওহীদের মেহেরপুর জেলা সভাপতি সাহারুল ইসলাম। খুতবায় তিনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “বর্তমান সংকটময় পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু পশু কোরবানিই যথেষ্ট নয়, বরং আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করার মানসিকতা অর্জন করতে হবে। এটিই কোরবানির প্রকৃত শিক্ষা।”
ঈদের নামাজ শেষে আরও বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি তানভীর আহমেদ, মেহেরপুর জেলা সভাপতি সাহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মাহমুদ এবং গাংনী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “হেযবুত তওহীদ মানবজাতির সামনে ইসলামের প্রকৃত শান্তি, সাম্য ও ন্যায়ের রূপরেখা তুলে ধরতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এই ঈদ জামাতে নারী-পুরুষের এমন অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, মানুষ ইসলামের প্রকৃত আদর্শের দিকে ফিরে আসতে আগ্রহী।”
জামাত ও আলোচনা শেষে দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
নাটোর:
নাটোরের বড়াইগ্রামে উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার নটাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারীদের জন্যও পৃথক ব্যবস্থা ছিল।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন মাওলানা মো. মোশাররফ হোসেন নাটোরী। বড়াইগ্রাম উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সার্বিক পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আঞ্চলিক সভাপতি সাকিব আহমেদ, নাটোর জেলা সভাপতি আব্দুস সবুর খান, জেলা সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, বড়াইগ্রাম উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, নাটোর সদর উপজেলা সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম, বনপাড়া পৌর সভাপতি সোহেল রানা এবং মাঝগাঁও ইউনিয়ন সভাপতি বাদশা প্রামানিক।
জামাতপূর্ব আলোচনায় ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিমদের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়। আলোচকরা বলেন, “ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার এই দুঃসময়ে মুসলিম উম্মাহর পক্ষে সত্যিকার অর্থে ঈদের আনন্দ উদযাপন করা সম্ভব নয়। গোটা বিশ্বে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলেই ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পাবে।”
স্থানীয় নেতাকর্মীসহ প্রায় দুই শতাধিক মুসল্লি জামাতে অংশ নেন। নামাজ ও মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
টাঙ্গাইল:
সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। সকাল সাতটায় টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে জেলার তারটিয়া এলাকায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জামাতে খুতবা দেন মো. আলমগীর হোসেন। এর আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় আমির এনামুল হক বাপ্পা এবং টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুন পারভেজ। নামাজ শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
হবিগঞ্জ:
সারাদেশের মতো হবিগঞ্জেও হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ সংলগ্ন এনআরবি গ্যাস পাম্পে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টা থেকেই আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা দলে দলে জামাতে যোগ দিতে শুরু করেন।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হাফেজ মাওলানা আবু সালেহ। জামাতের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মোতালেব এবং সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আলী হোসেন। জামাত শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
যশোর:
যশোরেও ঈদুল আজহার জামাতের আয়োজন করে হেযবুত তওহীদ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে শনিবার (৭ জুন) সকালে শহরের আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপাল কলেজ মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে পুরুষদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী মুসল্লির উপস্থিতি ছিল। সকাল থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কলেজ মাঠে সমবেত হতে থাকেন। নারী-পুরুষের সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণে ঈদ জামাতের স্থানটি এক পবিত্র ও আনন্দময় রূপ ধারণ করে।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক। খুতবায় তিনি কোরবানির মূল দর্শন ও আত্মত্যাগের মহিমা তুলে ধরেন।
ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের মহেশপুরেও হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৭ জুন) সকালে উপজেলার ভৈরবা এলাকায় হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই জামাতে নারী-পুরুষসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। সকাল থেকেই ভৈরবা এলাকার ঈদগাহ ময়দান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে জামাতে নারীদের সুশৃঙ্খল ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ঈদ জামাতের পবিত্রতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের সদস্য আজমল হোসাইন। খুতবায় তিনি ঈদুল আজহার প্রকৃত তাৎপর্য ও কোরবানির দর্শন তুলে ধরেন। জামাত ও খুতবা শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জামালপুর:
সারাদেশের ন্যায় জামালপুরেও ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকালে শহরের জেলা অফিস মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই জামাতে নারী-পুরুষসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
জামাতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। যা ঈদের পবিত্র ও সামাজিক আবহকে আরও অর্থবহ করে তোলে।
জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হেযবুত তওহীদের স্থানীয় আমির সুলতান মাহমুদ। খুতবায় তিনি কোরবানির প্রকৃত দর্শন তুলে ধরে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
সৈয়দপুর (নীলফামারী):
এবছর নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলাতেও হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকালে আয়োজিত এই জামাতে নারী-পুরুষসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন মাওলানা আতিকুল ইসলাম। খুতবায় তিনি ঈদুল আজহার প্রকৃত দর্শন ও আত্মত্যাগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁওয়েও হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুখুরী এলাকায় এই জামাতের আয়োজন করা হয়। এতে নারী-পুরুষসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এই জামাতে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন হেযবুত তওহীদ সদস্য লাল মুন্সি। জামাত শেষে দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সৌজন্যে: দেশেরপত্র