হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

উইকিপিডিয়ায় হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মুক্ত বিশ্বকোষ ‘উইকিপিডিয়া’তে হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন- হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ, সহ-বিভাগীয় আমির আল আমিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন রব্বানী, গণমাধ্যম সম্পাদক শারমিন সুলতানা চৈতী, আন্তধর্মীয় যোগাযোগ সম্পাদক ইলা ইয়াসমিন, যুগা নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, উইকিপিডিয়ায় হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ঘৃণামূলক। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং সংগঠনটির দীর্ঘদিনের সামাজিক, ধর্মীয় ও মানবিক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি চক্রান্তের অংশ।

বক্তারা বলেন, “উইকিপিডিয়ায় হেযবুত তওহীদকে ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কালো তালিকাভুক্ত’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ বাস্তবে এমন কোনো সরকারি প্রমাণ বা দলিল নেই যেখানে বলা হয়েছে যে হেযবুত তওহীদ কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কালো তালিকাভুক্ত সংগঠন।”

বক্তারা আরও বলেন, “হেযবুত তওহীদ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সংস্কারমূলক আন্দোলন। ১৯৯৫ সালে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারের সন্তান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার ইন্তেকালের পর বর্তমানে হেযবুত তওহীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের বর্তমান ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।”

বক্তারা বলেন, “গত তিন দশক ধরে হেযবুত তওহীদ শান্তি, সহনশীলতা, মানবতা ও কোরআনের প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে কখনও কোনো সহিংসতা বা অরাজকতার পথ গ্রহণ করা হয়নি। কিছু কুচক্রী মহল ও ধর্মব্যবসায়ী চক্র দীর্ঘদিন ধরে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে আসছে। এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ কেউ উইকিপিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য যোগ করেছেন, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বেআইনি।”

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ উইকিপিডিয়ায় হেযবুত তওহীদকে কালো তালিকাভুক্ত সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা একটি ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উল্লেখ করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভুল তথ্যটি সংশোধন করে এবং আন্দোলন সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপডেট করার অনুরোধ জানান। এসময় গণমাধ্যম, সিভিল সোসাইটি এবং বুদ্ধিজীবীদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...