Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

সত্য যখন আসে মিথ্যাকে বিতাড়িত হতেই হয়


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

মোহাম্মদ আসাদ আলী:
হুদাইবিয়ার সন্ধিপত্র যখন লেখা হচ্ছিল তখন মুসলমানদের মধ্যে অনেকেই এই সন্ধিকে মুসলমানদের জন্য চরম অবমাননা ও পরাজয় মনে করেছিলেন। কিন্তু আল্লাহ বলেছিলেন এটা সুস্পষ্ট বিজয় (ফাতহুম মুবীন)। কীভাবে বিজয় তা পরবর্তীতে সকলেই দেখতে পেয়েছিল। মূল কথা হচ্ছে, এই সন্ধির পর মুসলমানরা মুশরিকদের পক্ষ থেকে হামলার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে পেরেছিল, সমস্ত ভয় ও আতঙ্ক কেটে গিয়েছিল। বহুবিধ নির্যাতন, নিপীড়ন, অবরোধ, যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদির বিপরীতে এই প্রথম রসুলের অনুসারীরা নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষের সামনে তাদের আদর্শ উপস্থাপনের সুযোগ লাভ করেছিল। অন্যদিকে এই চুক্তির কারণে মক্কাতেও মুসলিমদের নিরাপদে প্রবেশ ও লোকজনের সাথে নির্ভিকচিত্তে দেখা-সাক্ষাৎ করার অনুকুল পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়, ফলে মক্কার মানুষও অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পর্দা সরিয়ে ইসলামের প্রকৃত আদর্শটি সম্যকভাবে দেখার ও উপলব্ধি করার সুযোগ পায়। ফলে খুবই অল্পদিনের মধ্যে একটি বিশাল জনগোষ্ঠী ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়, যাদের প্রায় সকলেই এর আগে নানাবিধ অপপ্রচারে বিভ্রান্ত  ছিল নতুবা সামাজিক চাপের কারণে ইসলাম গ্রহণ করতে অপারগ ছিল।
এই কথাগুলো বললাম তার কারণ আছে। হেযবুত তওহীদ ইসলামের হারিয়ে যাওয়া প্রকৃত আদর্শটি প্রচার শুরু করেছে আজ থেকে অন্তত ২২ বছর আগে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের প্রায় পুরোটা জুড়েই হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ধর্মব্যবসায়ীরা এত অপপ্রচার চালিয়েছে যে, আমরা সাধারণ মানুষের সামনে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগই পাই নি। তারা অপপ্রচার চালিয়েছে আমরা খৃষ্টান, আমরা ইহুদির দালাল, আমরা বিদেশ থেকে ফান্ড নিয়ে ইসলাম ধ্বংস করতে নেমেছি ইত্যাদি। ফলে আমরা কী বলতে চাচ্ছি, আমরা কী করতে চাচ্ছি তার আর কোনো মূল্যই থাকে নি। উপরন্তু হেযবুত তওহীদের লেখা পড়া যাবে না, ওদের বক্তব্য শোনা যাবে না, শুনলে ঈমান চলে যাবে ইত্যাদি ফতোয়া তো বরাবরই দেয়া হয়েছে।
এদিকে এক শ্রেণির ইসলামবিদ্বেষী গণমাধ্যম কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই অবিশ্রান্তভাবে লিখে গেছে হেযবুত তওহীদ জঙ্গি, নিষিদ্ধ, উগ্রপন্থী ইত্যাদি। তাতে বিভ্রান্ত হয়েছে প্রশাসন ও শিক্ষিত সমাজ। আর আমাদের নিরাপরাধ সদস্যদেরকে মারধোর খেয়ে, অপমানিত হয়ে, রক্ত ঝরিয়ে ও জীবন দিয়ে এই অপপ্রচারের মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। আমরা কী বলতে চাই তা এই গণমাধ্যমগুলো নিজেরাও কোনোদিন শুনতে চায় নি, সাধারণ মানুষকেও শোনাতে দেয় নি।
এভাবে একদিকে ধর্মব্যবসায়ীরা, অন্যদিকে ইসলামবিদ্বেষী গণমাধ্যম চেষ্টা করে এসেছে সব সময়ের জন্য হেযবুত তওহীদ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি অভেদ্য দেয়াল তৈরি করে রাখতে। সর্বশক্তি দিয়ে তারা প্রচেষ্টা চালিয়েছে কোনোভাবেই যেন হেযবুত তওহীদ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে না পারে, তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে না পারে। কিন্তু আল্লাহর পরিকল্পনা যদি হয় তার উল্টো? আল্লাহর অসীম করুণায় ষড়যন্ত্রকারীদের অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে গেছে এবং হেযবুত তওহীদ তার সূর্যালোকের ন্যায় উজ্জ্বল আদর্শ নিয়ে সাধারণ মানুষের সামনে উপস্থিত হচ্ছে। গত কয়েক বছরে আমরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতাসহ যাবতীয় অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবে লক্ষাধিক সভা-সমাবেশ আয়োজন করেছি। ফলে যারা হেযবুত তওহীদকে জঙ্গি, নিষিদ্ধ ইত্যাদি বলে মিথ্যাচার করত তাদের মুখোস উন্মোচিত হয়েছে। এই সভা-সমাবেশে আমরা চেষ্টা করছি মানুষের সামনে আল্লাহ-রসুলের প্রকৃত ইসলামের রূপরেখাটি তুলে ধরতে। আমরা দেশপ্রেম ও ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষকে যাবতীয় অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানাচ্ছি।
আল্লাহর রহমে আমাদের বক্তব্য যারাই শুনছে, মুষ্ঠিমেয় কিছু বিতর্কপ্রিয় ও অপপ্রচারে অন্ধ ব্যক্তি ছাড়া অধিকাংশ মানুষ আমাদের সাথে ঐক্যমত পোষণ করছে। আমাদের জন্য দোয়া করছে ও আমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আজ আমরা যখন দেখি আমাদের বক্তব্য শুনে ও উপলব্ধি করে দেশব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ দুই হাত তুলে যাবতীয় অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবার শপথ নিচ্ছে, তখন উপলব্ধি করতে পারি আল্লাহর রসুল কেন হুদাইবিয়ার সন্ধিতে মোশরেকদের প্রত্যেকটি আপাত অবমাননাকর শর্ত মেনে নিয়েছিলেন।
আল্লাহর রসুল সত্য নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে, এই সমস্ত শর্তের বিনিময়ে তিনি পাচ্ছেন একটি সুযোগ, সেটা হচ্ছে নির্ভয়ে, নিরাপদ পরিবেশে সত্য প্রচার করতে পারা, সাধারণ মানুষকে আরও কাছ থেকে পাওয়া। আর সত্যের ধর্ম হচ্ছে সে সূর্যের মত উদিত হয়ে অন্য সমস্ত আলোকে অর্থহীন করে দিতে পারে নিমেষেই। রসুল ভালোভাবেই জানতেন একবার যদি মানুষের সামনে সত্যটাকে তুলে ধরা যায় তাহলেই সত্যনিষ্ঠ তৃষিত মানুষের হৃদয়ে নিজ থেকেই তওহীদের ঝংকার উঠবে। কোনো শক্তিই আর তাদেরকে আটকে রাখতে পারবে না।
ইনশা’আল্লাহ রসুলাল্লাহর সুন্নাহ মোতাবেক সমস্ত অপপ্রচারের দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে হেযবুত তওহীদও অচীরেই সত্যনিষ্ঠ মানুষদেরকে অজ্ঞতা ও বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে উদ্ধার করে আল্লাহ-রসুলের প্রকৃত ইসলামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে। আর মিথ্যাচারী উদ্ধতরা মক্কার কোরাইশ ধর্মব্যবসায়ীদের মতই ঘৃণিত ও ধিক্কৃত হবে।