Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

মানুষ কেন শ্রেষ্ঠ?


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম

হেযবুত তওহীদ আন্দোলনকে দীর্ঘদিন থেকে এ দেশের মানুষ পর্যবেক্ষণ করে আসছে এবং এখনও করছে। হেযবুত জাতির সামনে কী বার্তা দিতে চায়- এ বিষয়টি ইতিমধ্যেই অনেকের কাছেই পরিষ্কার হয়েছে, অনেকের কাছে এখনও পরিষ্কার হয় নাই। অনেকের ভিতরে এখনও নানারকম প্রশ্ন আছে। যাদের হৃদয় উন্মুক্ত, যাদের বিবেক-বুদ্ধি সজাগ, দৃষ্টি খোলা, শ্রবণশক্তি রয়েছে তাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা আপনাদের হৃদয় দিয়ে আমাদের বক্তব্যকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করবেন, বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগাবেন, কান দিয়ে শুনবেন, চোখ দিয়ে আমাদের কার্যক্রম দেখবেন। তারপর যদি কোন প্রশ্ন থাকে, আমরা সর্বত্র আছি, আমাদের অধিকাংশ জেলায় অফিস আছে, পত্রিকায়-লিফলেটে, পোস্টারে আমাদের ফোন নম্বর আছে, ফেসবুকে ইউটিউবে, ওয়েবসাইটে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার বন্দোবস্ত আছে। আমরা চাই আপনারা সবাই আমাদের ব্যাপারে সন্দেহমুক্ত হোন, নিশ্চিন্ত হোন, পরিষ্কার ধারণা লাভ করুন। কারো কোনো কথায় প্রভাবিত না হয়ে আপনি একজন বিচারকের আসনে আসীন হোন। একজন বিচারক যেমন উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেন, ঠিক তেমনি আমাদের বক্তব্যও শুনুন এবং আমাদের ব্যাপারে যেই বক্তব্যগুলি মাঠে চালু আছে সেটাও শুনুন। তখন আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা, কোনটা সঠিক, কোনটা বেঠিক।

আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের সৃষ্টির পরিধি অসীম। তিনি পর্বতমালা-বৃক্ষরাজি-তরুলতা, সাগর-মহাকাশ, পশু-পাখি সৃষ্টি করেছেন, তিনি মানুষকেও সৃষ্টি করেছেন। মানুষ আর অন্যান্য সৃষ্টির মধ্যে মৌলিক কতগুলি পার্থক্য রয়েছে। যেমন:

মানুষের ভিতরে আল্লাহর রুহ্ আছে, একটি পশুর ভিতরে আল্লাহর রুহ্ নেই।

মানুষকে আল্লাহ নিজ হাতে বানালেন, অন্যকে আল্লাহ বললেন ‘কুন’, হও, অমনি হয়ে গেল।

মানুষ আল্লাহর খলিফা, আল্লাহর প্রতিনিধি। অন্য কোনো সৃষ্টি আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে না।

আল্লাহ বলেছেন, ‘ওয়া ইজ ক্বলা রব্বুকা লিল মালাইকাতি ইন্নি জাইলুন ফিল আরদে খলিফা (সুরা বাকারা ৩০)।’ ‘স্মরণ কর সেই মুহূর্তের কথা, যখন আল্লাহ মালায়েকদেরকে বললেন আমি পৃথিবীতে আমার খলিফা বানাবো বা খলিফা পাঠাতে চাই।’ আমরা এই পৃথিবীর বুকে (ফিল আরদ) আল্লাহর প্রতিনিধি, আল্লাহর খলিফা (Representative)। কাজেই মানুষ অন্যান্য প্রাণীর মতো নয়। আমি আগেই বলেছি, মানুষের অসম্ভব চিন্তাশক্তি। তাকে বহু কিছু ভাবতে হয় যা অন্য কোনো প্রাণীকে ভাবতে হয় না। তাকে ভাবতে হয় তার নিজেকে নিয়ে, তার সমাজকে নিয়ে, পুরো মানবজাতিকে নিয়ে। কারণ মানবজাতি তো তাঁরই জাতি। আমেরিকায় মারা গেলে আমারই ভাই, জাপান, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্সে মারা গেলে আমারই ভাই। আফ্রিকার কালো মানুষ হলেও আমারই ভাই, ইউরোপের সাদা মানুষ হলেও আমারই ভাই। ভারতে না খেয়ে মারা গেলে আমারই ভাই, বাংলাদেশে ধর্ষিতা হলে আমারই বোন। এক কথায় পুরো মানবজাতি এক জাতি, বাবা-মা আদম হাওয়ার সন্তান। কাজেই আমাকে ভাবতে হবে, আমি আল্লাহর খলিফা, আল্লাহর প্রতিনিধি। আমি শুধু পশুর মতো নই যে খাব, বংশবৃদ্ধি করব, প্রশ্রাব-পায়খানা করব, একটা পরিণত বয়সে মারা যাব, মাটির সঙ্গে মিশে যাব। আমাকে শুধু এইজন্যে বানানো হয় নাই। আমার জীবনের একটি মহান লক্ষ্য রয়েছে, মহান উদ্দেশ্য রয়েছে। কি সেই লক্ষ্য, কি সেই উদ্দেশ্য – ইত্যাদি জানার নাম হচ্ছে আকিদা। উদ্দেশ্য ভুল হলে সবই অর্থহীন হয়ে যায়। এইজন্য সকল প্রাচীন আলেমরা একমত ছিলেন যে, আকিদা ভুল হলে ঈমানের কোন মূল্য নাই।

আমি আগেই বলেছি, আমরা ভাবব। আমরা কী ভাবব? আগে ভাববো নিজেকে নিয়ে যে আমি কে? আমি আল্লাহর খলিফা, আল্লাহর প্রতিনিধি। আমার কী কাজ? আল্লাহ কোর’আনে বললেন, ‘ওয়ামা খালাক্বতুুম জ্বিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা লিয়া’বুদুনি’। জ্বীন এবং ইনসানকে আমার এবাদত ছাড়া অন্য কিছুর জন্য বানাই নি (সুরা যারিয়াত ৫৬)। তাহলে আমাদেরকে বানানো হয়েছে আল্লাহর এবাদত করার জন্য। সেই এবাদতটা কি? সেই এবাদত হচ্ছে তাঁরই হুকুম মোতাবেক, তাঁরই এই পৃথিবী শান্তিপূর্ণ রাখা, শান্তিপূর্ণভাবে পৃথিবীকে পরিচালিত করা। এটাই হচ্ছে একজন খলিফার কাজ বা কর্তব্য। আমরা আল্লাহর খলিফা, আল্লাহর প্রতিনিধি। আগেই বললাম, পৃথিবীর পুরো মানবজাতি আমারই জাতি, আমারই বাবা-মা আদম-হাওয়ার সন্তান। আমাদের কর্তব্য হচ্ছে তাদের সবার শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে সংগ্রাম করা, এই লক্ষ্যে কাজ করাই হচ্ছে আমাদের মূল কর্তব্য, মূল কাজ।

[১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখ সোমবার ঢাকার উত্তর বাড্ডায় অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম কর্তৃক প্রদত্ত ভাষণের খ-াংশ। সম্পাদনায় মো. রিয়াদুল হাসান। বক্তব্যের পরবর্তী অংশ দেখুন আগামীকাল।]