Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

মহাসত্যের হক আদায় অবশ্য কর্তব্য


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

মো. মোস্তাফিজুর রহমান শিহাব:
উহুদের ময়দান। আল্লাহর রসুল (স.) সেনাবিন্যাস শেষ করলেন। সেনাবিন্যাস শেষে তিনি তাঁর আদেশের জন্য সেনাদলকে অপেক্ষা করতে বললেন ও নির্দেশ দিলেন যেন আদেশ পাওয়া মাত্রই যুদ্ধ শুরু হয়। মূর্তিমান মিথ্যা দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাকে প্রতিহত করার জন্য সত্যের সৈনিকরা তৈরি। উপরে ও নিচে দুটি বর্ম পরিহিত রসুল (স.) তখন একটি তলোয়ার বের করে উঁচু করে ধরে বললেন, “এর হক আদায় করতে পারবে এমন কেউ কী আছ? তাঁর এ কথা শোনার সাথে সাথে আলী ইবনে আবু তালিব (রা.), হযরত যোবয়ের ইবনে আওয়াম (রা.) এবং ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) অগ্রসর হন। এ সময় আনসারদের মধ্য থেকে আবু দোজানা সেমাক ইবনে খারশা (রা.) এগিয়ে যান এবং জিজ্ঞেস করেন, “এর হক আদায় অর্থ কী?” তখন রসুল (স.) বলেন, “এ তরবারী দিয়ে শত্রুর সাথে এমনভাবে লড়াই করতে হবে যাতে এই তলোয়ার ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।” আবু দোজনা এ কথা শুনার পর সেই তলোয়ারের হক আদায় করতে চাইলেন ও রসুল তাঁর হাতে সে তলোয়ার তুলে দিলেন। তিনি সে তলোয়াড়ের হক পরিপূর্ণভাবে আদায় করেন।
প্রতিটি বস্তুর হক আদায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিটি বিষয়ের হক আদায় হয়েছে কিনা সে বিষয় নিয়ে আল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। একজন মানুষের সকল সামর্থ্য আল্লাহ থেকেই প্রেরিত হয়। আল্লাহ একজন ব্যক্তিকে সামর্থ্য প্রদান করলেন কিন্তু সে সেই সামর্থকে ভুল খাতে ব্যবহার করল, সে তার মাধ্যমে সমাজে অন্যায়, অশান্তির সৃষ্টি করল এবং এতে অনেক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হল তখন এই কাজের জন্য জন্য তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে এবং তিনি এর জন্য শাস্তিপ্রাপ্ত হবেন। যার জ্ঞান রয়েছে তাকে সেই জ্ঞানের জন্য জবাবদিহীতা করতে হবে, যার শক্তি রয়েছে তাকে সেই শক্তির জন্যই প্রশ্ন করা হবে। সেই জ্ঞান ও শিক্ষার সঠিক ব্যবহার করেছে কিনা তার জন্য তাকে আল্লাহর সামনে দ-ায়মান হতে হবে।
আল্লাহ যাকে যে ক্ষমতা প্রদান করেন নি তাকে তার জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে না। আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কাজ দেন না (সুরা বাকারাহ ২৮৬)। যার যে জ্ঞান, যে সামর্থ্য নেই তাকে সে কাজের জন্য কোনরূপ জবাবদিহিতা করা লাগবে না। আল্লাহ একজন মানুষকে সেই সামর্থ্যগুলোই প্রদান করেন যাকে নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য সেই মানুষটির রয়েছে। মানুষ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন কারণ তার মধ্যে আল্লাহর রূহ বিদ্যমান (সুরা হিজর ২৯)। এ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির ফলে আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান, প্রজ্ঞা, শক্তি, বুদ্ধিমত্তাকে সে সত্য বা মিথ্যা উভয় দিকে লাগতে পারে। সে ইচ্ছা করলেই তার এই সামর্থ্য দ্বারা দেশ সমাজ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে অথবা এর মাধ্যমে দেশ, সমাজ ও জাতির অনিষ্ট সাধন করতে পারে। সিদ্ধান্ত তার হাতে, সে কী করবে? সে কোন পথে যাবে? সত্যের পথে নাকি মিথ্যার পথে?
মানুষকে দেয়া প্রতিটি জিনিসের হক আদায় জন্য অবশ্যকর্তব্য। সে এই কর্তব্য থেকে মুক্ত হতে পারে না। আল্লাহ তাকে যা কিছু দান করেছেন সেগুলোকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করাই হলো সেগুলোর হক আদায়। আমরা হেযবুত তওহীদ এক মহাসত্যের দিকে সমগ্র মানবজাতিক আহ্বান করছি। এ মহাসত্য আমরা পেয়েছি এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মাধ্যমে। তিনি যখন এ জ্ঞান আল্লাহর অশেষ করুণায় বুঝতে পারলেন, তখন তিনি এর হক আদায়ের জন্যই বই লিখলেন ও হেযবুত তওহীদ আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করলেন। আমরা এ মহাসত্যকে সমগ্র মানবজাতির কাছে পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে তুলে নিয়েছি। এ মহাসত্যকে যদি আমরা সমগ্র মানবজাতির জীবনে প্রতিষ্ঠা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সত্য, সুন্দর ও শান্তিময় পৃথিবী উপহার দিতে না পারি তবে আমরা এ সত্যের হক আদায়ে ব্যর্থ হব। এটাই আমাদের জীবন ধারণের কারণ, এটাই আমাদের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য। আমরা যারা এ মহাসত্য পেয়েছি তাদের প্রধান কর্তব্যই হল সুষ্ঠভাবে এর হক আদায় করা। এ সত্যই সত্যযুগের সূচনা করবে। যদি আমরা এ মহান দায়িত্ব থেকে পিছপা হই তবে আল্লাহ আমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন। আমরা ইহকালে হবো লাঞ্ছিত এবং পরকালে ভোগ করব কঠিন শাস্তি। কেননা আল্লাহর রসুল বলেছেন, “কোন ব্যক্তির নিকট এমন জ্ঞান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যা সে জানে, কিন্তু সে তা গোপন করলো তবে কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তিকে আগুনের লাগাম পরিয়ে দেয়া হবে (আহমাদ, আবু দাউদ ও তিরমিযী থেকে মিশকাতে)।”

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ