Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

তাবুক অভিযানের নেপথ্য কার উম্মাহর অগ্নিপরীক্ষা (২য় পর্ব)


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Tabuker-porikkha[এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী]

অন্যান্য অভিযানগুলি থেকে তাবুকের যে সব বিষয়ে ভিন্ন ছিলো সেগুলো হোল-
(ক) বিশ্বশক্তির দিকে গন্তব্য নির্দিষ্ট করা:
কোন অভিযানের প্রস্তুতির সময় বা অভিযানের আদেশ দেবার সময় আল্লাহর রসুল (দ:) প্রকাশ কোরতেন না সে অভিযানের গন্তব্য কোথায় বা কাদের বিরুদ্ধে। বরং এমন হাবভাব প্রকাশ কোরতেন, এমন পরোক্ষভাবে অভিযানে গন্তব্য স্থানের কথা উল্লেখ কোরতেন যে যারা শুনতো তারা প্রকৃত গন্তব্য স্থানের বিপরীত ধারণাই কোরত। এটা শত্র“র গোয়েন্দাদের (Intelligence) ধোঁকা দেয়ার জন্য তিনি কোরতেন। শত্রুকে ধোঁকা দেয়া তাদের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করা প্রতি যুদ্ধের অবশ্য করণীয় কৌশল। কিন্তু তাবুকের অভিযানের লক্ষ্য ও গন্তব্য স্থানের কথা তিনি এই প্রথম বারের মতো প্রকাশ্যে ঘোষণা কোরে দিলেন এবং সেটা হোল বাইযানটাইন অর্থাৎ পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে। ঐ সময় পৃথিবীতে ছিলো দু’টি মহাশক্তি, বিশ্বশক্তি। একটি ঐ রোমান শক্তি এবং অপরটি পারস্য সাম্রাজ্য শক্তি। কিছুদিন আগে পর্যন্ত যেমন পৃথিবীতে দুইটি বিশ্বশক্তি ছিলো- যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন, তেমনি। ঐ রোমান ও পারস্য শক্তি দু’টোর মধ্যে সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগেই থাকতো পৃথিবীর আধিপত্য নিয়ে, এবং সময়ে সময়ে সশস্ত্র সংঘর্ষও লেগে যেতো। কোন সময় রোমান শক্তি জিততো কোন সময় পারস্য। কিন্তু অন্য কোন শক্তি চিন্তাও কোরতে পারতোনা এদের যে কোন একটির সাথে যুদ্ধ করার, সংঘর্ষে যাওয়ার। ঐ বিশ্বশক্তির একটির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা কোরে মহানবী (দ:) দেখতে চাইলেন তার জাতির মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হয়। তার ঐ অতি দরিদ্র ক্ষুদ্র জাতি যার সমগ্র লোকসংখ্যা বিরাট পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের একটি ছোট প্রদেশের লোকসংখ্যার চেয়েও কম তারা ভয় পায় কি না। তার (দ:) ঐ ক্ষুদ্র জাতি এতদিন আরবের ভেতরে আরবদের বিরুদ্ধেই লড়েছে কিন্তু এবার তিনি যাদের সঙ্গে যুদ্ধের কথা ঘোষণা কোরলেন তারা আরব নয়, তারা রোমান- যাদের আরবরা চিরদিন ভয় কোরে এসেছে। এ ভীতির ব্যাপারে যে আরবরা তখনও সচেতন তার প্রমাণ হোল যারা দুর্বলচেতা এবং মোনাফেক ছিলো তারা অভিযানে যাওয়া থেকে পলায়ন করার চেষ্টা তো কোরলই তার উপর যারা যাবার মনস্থ কোরেছিলেন তাদের কী বোলে ভয় দেখাবার চেষ্টা কোরেছিল তা দেখুন। ওয়াদিয়া বিন সাবেত প্রমুখ মোনাফেকরা মো’মেনদের এই বোলে ভয় দেখালো যে, “তোমরা কি ভেবেছো যে বাইযানটাইনদের সঙ্গে যুদ্ধ করা আরবদের সঙ্গে যুদ্ধ করার মতো? আল্লাহর কসম, আমরা দেখতে পাচ্ছি অতি শীঘ্রই তারা তোমাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলবে। (সিরাত রসুলাল্লাহ (দ:) -মোহাম্মদ বিন ইসহাক, অনুবাদ A.Guillaume, ৬০৬ পৃঃ)।” বিশ্বনবী (দ:) জানতেন যে অতি শীঘ্রই তার জাতিকে শুধু ঐ রোমান নয় অন্য বিশ্বশক্তি পারস্যের বিরুদ্ধেও সশস্ত্র সংগ্রাম কোরতে হবে এবং পরবর্তীতে পৃথিবীর অন্যান্য জাতিসমূহের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে যখন তার নিজের উপর আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব তার ওফাতের পর তার উম্মাহর উপর অর্পিত হবে। জাতি মানসিকভাবে সেজন্য প্রস্তুত হোয়েছে কিনা, সেই দুঃসাহস অর্জন কোরেছে কিনা তা পরীক্ষা কোরে দেখার জন্যই তিনি প্রথম বারের মতো তার অভিযানের উদ্দেশ্য প্রকাশ্যে ঘোষণা কোরে দিলেন।

(খ) তীব্র গরম ও খরা:
বিশ্বনবী (দ:) যখন তাবুকের অভিযানের আদেশ কোরলেন তখন অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি গরম পড়েছিল। আমার ব্যক্তিগত অভিমত এই যে ঐ গরম আল্লাহর সঙ্গে পরামর্শ ও পরিকল্পনা কোরেই করা হোয়েছিল উম্মাহকে পরীক্ষা করার জন্য। এত গরম ও খরা পড়েছিল যে মানুষ অস্থির হোয়ে একটু ছায়ার জন্য ব্যাকুল হোয়ে পড়েছিল। ঐ রকম অসহ্য গরমে জাতি তার কর্তব্য অবহেলা করে কিনা তা পরীক্ষা করাই ছিলো আল্লাহর রসুলের (দ:) উদ্দেশ্য।
(গ) ফসল তোলার মওসুম:
বিশ্বনবী (দ:) অভিযানের জন্য এমন সময় বেছে নিলেন যখন মদিনার সমস্ত খেজুর বাগানের খেজুর পেকেছে আর কয়েকদিন পরই ফসল কাটা আরম্ভ হবে। মনে রাখতে হবে অন্যান্য দেশের ধান বা গমের মতো মদিনার প্রধান ফসল হোল খেজুর। অনেক কষ্টে চাষ কোরে অনেক যতœ কোরে ফসল পাকলে ঠিক কাটার সময় তিনি ডাক দিলেন অভিযানে বের হওয়ার । উদ্দেশ্য- পরীক্ষা করা যে জেহাদের ডাকে এই জাতি পাকা ফসল রেখে আল্লাহর রাস্তায় প্রাণ দেবার জন্য প্রস্তুত হোয়েছে কিনা।
(ঘ) দূর গন্তব্য:
এবারের গন্তব্য স্থান হোল বহুদূর। এতদিন এই জাতি আরবের মধ্যেই যুদ্ধ কোরেছে, বাইরে যায় নি। এবার বিশ্বনবী (দ:) ডাক দিলেন আরবের গণ্ডী ছাড়িয়ে বাইরে যাবার। উদ্দেশ্য হোল ভবিষ্যতে যে কাজের জন্য তিনি এই জাতিকে তৈরি কোরেছেন সেই কাজ অর্থাৎ আল্লাহর দীনকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বদেশ থেকে বের হোয়ে যাবার প্রথম স্বাদ জাতিকে দেয়া। এই শিক্ষা যে কেমন সাফল্য লাভ কোরেছিল ইতিহাস তার সাক্ষী। প্রায় সম্পূর্ণ জাতিটিই অস্ত্র হাতে আরব থেকে বের হোয়ে গিয়েছিল এবং শতকরা আশি জন আর স্বদেশে ফেরেন নি- তাদের নেতার (দ:) প্রকৃত সুন্নাহ পালন কোরতে যেয়ে। যে সব দুর্বলচেতা লোক এই দূরত্বের ভয়ে তাবুক অভিযানে যোগ দেন নি তাদের সম্বন্ধে আল্লাহ কোর’আনে বোলছেন, “এটা যদি কাছাকাছি কোন অভিযান হোত এবং পথ সংক্ষিপ্ত হোত তবে তারা তোমার (নবীর) অনুসরণ কোরত কিন্তু ঐ দূরযাত্রা তাদের উপর ভারী হোয়ে গিয়েছিল (কোর’আন- সুরা আত-তওবা ৪২)।
(ঙ) সাধ্যমত সম্পদ কোরবান করার আহ্বান:
বিশ্বনবী (দ:) সবাইকে যার যা সামর্থ আছে সেই মোতাবেক ঐ অভিযানে সাহায্য কোরতে আহ্বান কোরলেন। তার এই কাজটাও ঐ অভিযানের গন্তব্যস্থানের কথা প্রকাশ করার মতো প্রথম বারের মতো হোল। অর্থাৎ এর আগে কোন অভিযানে এমন কোরে যার যা সামর্থ আছে তা দিয়ে সাহায্য করার জন্য আহ্বান করেন নি। এর উদ্দেশ্য ছিলো পরীক্ষা কোরে দেখা যে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদে তার জাতি পার্থিব সব কিছু কোরবান করার জন্য কতখানি প্রস্তুত হোয়েছে।
(চ) পুরো জাতিকে যোগদানের আহ্বান:
অন্যান্য অভিযানগুলি থেকে আরও একটা বৈশিষ্ট্য হোল এই যে, এবার মহানবী (দ:) সমস্ত জাতিটাকে অভিযানে বের হবার ডাক দিলেন। উদ্দেশ্য পরীক্ষা (Test) কোরে দেখা যে তিনি যে একটি সামরিক জাতি সৃষ্টি কোরতে সাধনা কোরেছেন তা সাফল্যমণ্ডিত হোয়েছে কিনা। কারণ তিনি জানতেন যে ভবিষ্যতে তার এ যোদ্ধা জাতিকে অস্ত্র হাতে দেশ ত্যাগ কোরতে হবে আল্লাহর দীনকে পৃথিবীময় প্রবর্তন কোরে মানব জাতির মধ্যে ন্যায়-বিচার, শান্তি প্রতিষ্ঠা কোরতে। এই দায়িত্ব থেকে যে কেউ মুক্তি পাবে না তার প্রমাণ এই যে, যে তিনজন প্রকৃত মো’মেন ঐ প্রচণ্ড গরমের জন্য নিজেদের গাফেলতির জন্য যাব-যাচ্ছি কোরে তাবুক অভিযানে যোগ দেন নাই এবং যেজন্য আল্লাহ তাদের পঞ্চাশ দিন একঘরে অর্থাৎ মোসলেম সমাজ থেকে বহিষ্কার কোরে মর্মান্তিক শাস্তি দিলেন সেই তিনজনের মধ্যে একজন হেলাল বিন উমাইয়া (রা:) ছিলেন বৃদ্ধ, এবং এতখানি বৃদ্ধ যে তাকে খেদমতের জন্য একজন কেউ না থাকলে চলে না এবং এজন্য তার স্ত্রীকে আল্লাহর রসুলের (দ:) কাছ থেকে ঐ খেদমতের বিশেষ ( Special) অনুমতি নিতে হোয়েছিল। যদি হেলালের (রা:) মতো বৃদ্ধ সশস্ত্র সংগ্রাম না করার ঐ শাস্তি পেয়ে থাকেন তবে আর কে আছে যে এই জাতির উম্মাহর একজন বোলে দাবিদার হোয়েও সশস্ত্র সংগ্রাম না কোরেও জান্নাতের আশা করে? জীবনের সাধনা সফল হোয়েছে কি-না তা পরীক্ষায় বিশ্বনবী (দ:) ডাক দিলেন সমস্ত জাতিটাকে। তার প্রমাণ এই যে অভিযান থেকে ফিরে এসে তিনি বোসলেন হিসাব নিতে, কে কে অভিযানে অংশ নেয়নি তার। যারা অংশ নেয়নি তাদের সম্বন্ধে আল্লাহ বোললেন- যখন তুমি (অভিযান থেকে) ফিরবে তখন তারা আল্লাহর হলফ কোরে (অজুহাত দিয়ে) বোলবে তাদের যেন কিছু করা না হয়। তাদের ছেড়ে দাও, কারণ তারা অপবিত্র এবং তাদের স্থান হোচ্ছে জাহান্নাম। তাদের কাজের প্রতিফল হিসাবে তারা তাদের অজুহাত (কৈফিয়ৎ) হলফ কোরে বোলবে যাতে তুমি তা গ্রহণ কর। তুমি গ্রহণ কোরলেও আল্লাহ ফাসেক লোকদের (কৈফিয়ৎ) গ্রহণ করেন না (কোর’আন-সুরা আত-তওবা ৯৫, ৯৬)। আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাবুক অভিযানে যারা না যেয়ে বিভিন্ন অজুহাত-কৈফিয়ৎ দিয়েছিল তাদের মহানবী (দ:) ছেড়ে দিলেন, কিছু বোললেন না, কারণ আল্লাহ তো বোলেই দিলেন যে তারা অপবিত্র, তাদের স্থান জাহান্নামে। যে তিনজন গড়িমসি কোরে যান নি কিন্তু রসুলাল্লাহ (দ:) মদিনায় ফেরার পর যখন বুঝেছেন কী সাংঘাতিক অপরাধ কোরে ফেলেছেন তখন কোন অজুহাত, কোন কৈফিয়ৎ দাঁড় না কোরে অকপটে অপরাধ স্বীকার কোরলেন, তাদের আল্লাহ মোসলেম সমাজ থেকে বহিষ্কার কোরে দিলেন। যদিও বহুদিন মর্মান্তিক শাস্তির পর আল্লাহ তাদের অকপটতার জন্য মাফ কোরে দিয়েছিলেন।

কাক্সিক্ষত চরিত্র সৃষ্টিতে রসুলাল্লাহর সফলতা
মনে রাখতে হবে বিশ্বনবী (দ:) তাবুক অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন নবম হিজরীতে, অর্থাৎ তার কর্মজীবনের শেষ দিকে। এই যে তিনি পরীক্ষা কোরে দেখতে চাইলেন যে তার সারা জীবনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল কী হোয়েছে তাতে কী দেখা গেলো? দেখা গেলো (ক) বিশ্বনবীর (দ:) কর্মবহুল জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল একটি অপরাজেয় দুর্দ্ধর্ষ যোদ্ধা জাতি সৃষ্টি করা। কারণ শেষ জীবনে তিনি সফল কি সফল নন তা পরীক্ষা কোরতে যেয়ে তিনি এ পরীক্ষা কোরলেন না যে, তার সৃষ্ট জাতিটি কেমন ধার্মিক হোয়েছে বা কেমন রিপুজয়ী সাধু হোয়েছে বা কেমন পণ্ডিত হোয়েছে বা কেমন কোর’আনের মোফাসসির হোয়েছে বা কেমন মুফতি হোয়েছে বা কেমন মোবাল্লিগ হোয়েছে বা কেমন মোহাদ্দিস হোয়েছে বা কেমন মুত্তাকী হোয়েছে। তিনি এসব কিছুরই পরীক্ষা নিলেন না। তিনি নিলেন জাতি একটি বিশ্বশক্তির সম্মুখীন হবার মতো নির্ভীক ও দুঃসাহসী হোয়েছে কিনা; দুঃসহ গরম ও সুদূর পথ তাদের বিচলিত কোরতে পারে কিনা; কঠোর পরিশ্রমের ফসলকে আল্লাহর রাস্তায় হেলায় পরিত্যাগ কোরতে পারে কিনা; আল্লাহর রাস্তায় সশস্ত্র সংগ্রামে তাদের পার্থিব সম্পদ দান কোরতে পারে কিনা এবং সর্বোপরি আল্লাহর রাস্তায় সশস্ত্র সংগ্রামে শাহাদাত লাভের জন্য আগ্রহী হোয়েছে কিনা। তাবুকের পরীক্ষায় দেখা গেলো আল্লাহর রসুলের (দ:) জীবনের সাধনা সফল হোয়েছে। কারণ সমস্ত জাতি থেকে মাত্র আশি জনের মতো দুর্বলচেতা ও মোনাফেক তাবুক অভিযানে যোগ দেয়নি, ঐ তিনজন প্রকৃত মো’মেন ছাড়া। অর্থাৎ শতকরা মাত্র ০.২৬ জন মানুষ অভিযানে যোগ দেয়নি। ধরতে গেলে শতকরা একশ জন, সম্পূর্ণ জাতিটাই বিশ্বনবীর ডাকে শত্রুবিশ্বশক্তি ও নিজেরা কত দুর্বল জেনেও নিজেদের পার্থিব সম্পদ অভিযানের প্রস্তুতির জন্য দান কোরে পাকা ফসল পরিত্যাগ কোরে অসহ্য গরমের মধ্যে মরুভূমির বুকের উপর দিয়ে বহু দূরের যাত্রায় নিজেদের প্রাণ কোরবান করার জন্য রওয়ানা হোয়ে গেলো। মানব জাতির ইতিহাসে এমন নেতা আর কখনও জন্মান নি যিনি মাত্র তেইশ বছরে, প্রকৃত পক্ষে দশ বছরে একটি উপেক্ষিত, অবহেলিত চরম দরিদ্র, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে এমন রূপান্তর কোরতে পেরেছেন।
আজ যারা নিজেদের উম্মতে মোহাম্মদী মনে কোরে নানা রকম সওয়াব উপার্জনে ব্যস্ত আছেন তারা মেহেরবানী কোরে নিজেদের ঐ উম্মাহ, জাতির সঙ্গে একটু তুলনা কোরে দেখুন যে বিশ্বনবীর (দ:) হাতে গড়া যে জাতিটি তাবুক অভিযানে গেলো এবং আজকের যে আমরা একই জাতি, একই উম্মাহ কিনা। তারা দেখতে পাবেন এক তো নয়ই বরং সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী দু’টো জাতি। রসুলাল্লাহ (দ:) যে সর্বত্যাগী দুর্দ্ধর্ষ যোদ্ধা জাতি সৃষ্টি কোরেছিলেন যার প্রমাণ তাবুক, তার ঠিক উল্টো যদি কিছু থেকে থাকে তবে সেটা বর্তমানের আমরা। রসুলাল্লাহর (দ:) ইসলাম তার উম্মতের মধ্যে সৃষ্টি কোরেছিল মৃত্যুর প্রতি চরমতম অবজ্ঞা, শাহাদাতের জন্য উদগ্র পিপাসা। আর আজকের ওলামা ও মাশায়েখদের ইসলাম এই জাতির মধ্যে সৃষ্টি কোরে মৃত্যুভয়, জঘন্য কাপুরুষতা, সমস্ত সংগ্রাম-সমস্ত সংঘর্ষ থেকে পলায়ন চরিত্র। সুতরাং রসুলাল্লাহর আনীত ইসলাম ও আজকে পালিত ইসলামও পরষ্পর বিপরীতমুখী দীন।
[সমস্ত পৃথিবীময় অন্যায়, অবিচার, যুদ্ধ ও রক্তপাত ইত্যাদি নির্মূল করে ন্যায়, সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সনে এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী হেযবুত তওহীদ নামক আন্দোলনটি প্রতিষ্ঠা করেন।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ