রিয়াদুল হাসান:
এখন সারা মুসলিম বিশ্বের সরকারের প্রতি আমার প্রথম কথা আপনারা এই জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য ব্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন অর্থ ব্যয় করছেন, নতুন নতুন মারণাস্ত্র ব্যবহার করছেন, পরাশক্তিগুলিও এ কাজটিই করছে। আপনারা আলেম সম্মেলন করছেন, মসজিদ মাদ্রাসার ইমামদেরকে কাজে লাগাচ্ছেন, যেন তারা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে খোতবা দেন, ওয়াজ করেন। কিন্তু আমরা সরকারগুলোকে এবং সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে যারা কাজ করছেন তাদেরকে বিনীতভাবে বলতে চাই, সময় অনেক গড়িয়েছে। ১৭৫৭ সাল ২০১৭ সাল এক নয়। আপনাদেরকে সামগ্রিক বিষয়টাকে বিবেচনায় নিতে হবে। আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে আপনারা সেই জাতির নেতৃত্বে আছেন, সেই জাতির দায়িত্ব পালন করছেন, তাদেরকে শাসন করছেন যে জাতির সামনে একটা জীবন্ত কেতাব আছে, কোর’আন আছে, যেটা পরিবর্তন করা হয় নাই। এই কোর’আন ঘরে ঘরে আছে। প্রায় প্রতিটা ভাষায় এটা অনুবাদ করা হয়ে গেছে। বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হওয়ার কারণে মানুষ সহজে এর আয়াতগুলি পড়তে পারছে বুঝতে পারছে। সর্বপ্রথম একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা ধর্মকে কী করবেন, আপনারা ইসলামকে কী করবেন, কোর’আনকে কি করবেন? আগে এই সিদ্ধান্তে আপনারা আসেন। যে বিশ্বব্যবস্থা, যে সমাজ ব্যবস্থা, যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা দিয়ে দুনিয়া চলছে, এটা হলো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের তৈরি সে শিক্ষাব্যবস্থা, সে রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সেই ধর্মহীন সভ্যতা তারা চালু করেছে।
ব্রিটিশ রাজা অষ্টম হেনরীর রাজত্বকালে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ধর্মের কর্তৃত্ব থাকবে না। এখানে কোন ধর্মের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? সেটা হচ্ছে খ্রিষ্টধর্ম। এর কারণ হচ্ছে খ্রিষ্টধর্মের গ্রন্থের মধ্যে জাতীয় জীবন পরিচালনার জন্য কোনো বিধি-বিধান যেমন দণ্ডবিধি, অর্থনীতি, রাজনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা ইত্যাদি ছিল না। ঈসা (আ.) নিজেও রাষ্ট্র পরিচালনা করেন নি যে তাঁর জীবন থেকে তাঁর জাতি কোনো পথনির্দেশ লাভ করবে। তিনি আজীবন যে উপদেশগুলো জঙ্গিবাদ সংকট ও ইসলাম
প্রথম পৃষ্ঠার পর: দিয়ে গেছেন সেটা মানুষের নৈতিক চরিত্র সংক্রান্ত, ব্যক্তিজীবনের আধ্যাত্মিক উন্নতির বিষয়াদি নিয়ে। জাতীয় জীবন পরিচালনার বিধান পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থে ছিল এবং সেটাও ছিল বিকৃত অবস্থায়। ঈসার (আ.) অন্তর্ধানের অনেক পরে সেন্ট পল ইহুদিদের বাইরে রোমান মূর্তিপূজকদের মধ্যে ঈসার (আ.) বাণী প্রচার করতে শুরু করেন। কিন্তু ঈসা (আ.) এর শিক্ষা সার্বজনীন ছিল না, সেটা ছিল কেবল ইহুদি জাতির জন্য প্রযোজ্য। ঈসা (আ.) শিক্ষাকে বহুভাবে বিকৃত করে প্রচার করার পর এক সময় সেটা রোমানদের রাজধর্মরূপে গৃহীত হলো এবং রাষ্ট্রীয় আনুক‚ল্য লাভ করল। পুরো ইউরোপে সেন্ট পলের প্রচারিত শিক্ষাকেই খ্রিষ্টধর্ম হিসাবে গৃহীত হলো। খিষ্টধর্মের থেকে শেষ ইসলামের শিক্ষা বহু দূর। শেষ ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা এবং সেটা এসেছে সমগ্র মানবজাতির জন্য- কোনো নির্দিষ্ট জনপদ বা জনগোষ্ঠীর জন্য নয়।
ইউরোপে ইসলাম আংশিক গৃহীত হয়েছিল। বাকি ইউরোপে খ্রিষ্টধর্ম ও রাজতন্ত্রের দ্বৈতশাসন চলছিল। শত শত বছর থেকে সেখানে রাজা ও জমিদারদের শাসনের সঙ্গে চার্চের তথা যাজকদের সংঘাত চলছিল। এই উভয় শ্রেণির শোষণে ও নির্যাতনে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছিল। খ্রিষ্ট ধর্মে জাতীয় জীবন পরিচালনার বিধান না থাকলেও যাজকরা নিজেদের মনগড়া বিধানকেই ঐশ্বরিক বিধান বলে চালিয়ে দিত এবং সেটা মান্য করতে সকলেই বাধ্য ছিল। গির্জার নিজস্ব সেনাবাহিনীও ছিল। গির্জার অন্যায় দাবি কেউ মেনে নিতে না চাইলে, তাদের অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলতে তাকে পুড়িয়ে মারা হতো, ক্রুশবিদ্ধ করা হতো, নির্যাতনের জন্য বর্বর সব পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছিল। মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলতে এই সময়টিকেই বোঝানো হয়। বহু বিজ্ঞানীকেও যাজক শ্রেণি ধর্মবিরোধী আখ্যা দিয়ে হত্যা করেছিল। আবার বিজ্ঞান মনস্কদের মধ্য থেকে অনেক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী গিয়ে যাজকদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলা চালাতো। লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল ইউরোপের মাটি।
একটা সময়ে সাধারণ মানুষ এই বর্বরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করল। সূচনা হলো রেনেসাঁর। যাজকতন্ত্রের কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে জেগে উঠল সর্বশ্রেণির মানুষ, জেগে উঠলেন কবি, সাহিত্যিক, চিত্রকর, লেখক, সমাজবিজ্ঞান। তারা বললেন, ধর্মের থেকে যখন এই অবিচারের জন্ম তখন ধর্মকেই বাদ দেওয়া উচিত। তারা এটা বুঝলেন যে, ধর্মবিশ্বাস মানুষের মজ্জাগত, এটাকে তারা মুছে দিতে পারবে না। তাই তারা এ সিদ্ধান্তে আসলেন যে, মানুষের রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মের কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না। সেই থেকে ধর্মহীন বস্তুবাদী একটি সভ্যতা পৃথিবীতে চালু হয়ে গেল যেখানে জাতীয় জীবনে ধর্মের হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হলো।
আল্লাহর পরিকল্পনা মোতাবেক সেই ইউরোপীয়রাই আবার সমগ্র দুনিয়াকে পদানত করে তাদের সেই ধর্মহীন শাসন পদ্ধতি সর্বত্র চালু করে দিল। আমরা যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবি করি, আমরা ইউরোপিয়ানদের গোলাম হওয়ার পর তাদের পশ্চিমা সভ্যতা-সংস্কৃতিকেই সর্বোত্তম ও সর্বাধুনিক বলে গ্রহণ করে নিয়েছি। এখন তাদের ব্যবস্থাগুলো যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো, মুসলিমদের উপর নির্যাতন সীমা ছাড়িয়ে গেল তখন আবারও ইসলামকে জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিমদের মধ্যে শত শত সংগঠন সংগ্রাম শুরু করল। শুরু হলো সভ্যতার সংঘাত। ইসলাম তো পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, তাই একে বেশিদিন ব্যক্তিগত উপসনার গণ্ডিতে আবদ্ধ রাখা সম্ভব নয়। আমাদের একটা কেতাব আছে, সেখানে যেমন সংসারধর্ম আছে তেমনি যুদ্ধনীতিও আছে। আছে সন্ধি, চুক্তি, বন্দি বিনিময়, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, দণ্ডবিধিসহ সব কিছুই। তাই সেগুলো প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা মুসলিমরা করবেই, তারা স্বাধীন হয়ে নিজের দীন-ধর্ম চর্চা করতে চাইবেই। এখন আমাদের সামনে দুটো জীবনবিধান – ইসলাম ও ব্রিটিশদের বিধান। একদিকে আল্লাহর হুকুম, অন্যদিকে ব্রিটিশের হুকুম। একজন মুসলিম হিসাবে আমি কোন জীবনবিধানকে মানবো, প্রচলিত সরকারী বিধান নাকি আল্লাহর বিধান?
আল্লাহর হুকুম কিভাবে বাস্তবায়িত হবে সেটার আদর্শ স্থাপন করে গেছেন আল্লাহর রসুল। তিনি একাধারে রাষ্ট্রপতি ছিলেন, বিচারপতি ছিলেন, সেনাপ্রধান ছিলেন। সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার অনন্য উদাহরণ তিনি প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেলেন। তাঁর পরে খোলাফায়ে রাশেদার যুগ অতিক্রান্ত হলো এবং তারপরেও বহু শতাব্দী ইসলামের নামেই অর্ধেক দুনিয়ায় রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামের স্বর্ণযুগ পার হয়েছে। আমাদের এই প্রাচ্যের অর্থাৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর শাসকদের এই কথাটা বিবেচনায় নিতে হবে যে, মুসলিমদেরকে শাসন করতে হলে পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে, তাদের জীবনদর্শন করা যাবে না। এদের কাছে বিকল্প জীবনবিধান আছে যেটা মধ্যযুগের খ্রিষ্টানদের কাছে ছিল না। এখানে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে ধর্মকে তারা কী করবেন। শত কোটি মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে তারা অস্বীকার করতে পারবেন না, তাদের নাস্তিক বানিয়ে ফেলতে পারবেন না, ঐশীগ্রন্থ কোর’আনকেও নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবেন না। এই গ্রন্থ যতদিন থাকবে ততদিন একে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চলমান থাকবে। কেননা কোর’আনেই সে হুকুম রয়েছে।
বিগত তেরশ’ বছরের কাল পরিক্রমায় ধর্মের যে চেহারা দাঁড়িয়েছে সেটা প্রকৃত ইসলামের সম্পূর্ণ বিপরীত। পীরদের একেকজন একেক রকম ইসলাম শিক্ষা দেন, একেক ধাঁচের মাদ্রাসায় একেক রকমের ইসলাম শিক্ষা দেওয়া হয়। এভাবে একেক ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিকের অনুসারীরা একেকভাবে ইসলামের চর্চা করে যাচ্ছেন। এই হাজার রকমের অদ্ভুত অদ্ভুত আকিদা ইসলামের নামে চলছে যা এই জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে সচেতন মানুষের কাছে বড়ই হাস্যকর। এই যুক্তির যুগে, বিজ্ঞানের যুগে ওসব অযৌক্তিক ধ্যানধারণা জাতীয় জীবনে চর্চা করা অসম্ভব। যেমন এক ধরণের আরবি লেবাস সবাইকে পরিয়ে দেওয়া, দাড়ি রাখতে বাধ্য করা, দেশজ সংস্কৃতিকে হারাম বলে দিয়ে আরবীয় সংস্কৃতির চর্চা করা, নাচ-গান, চিত্রকলা, অভিনয়, ভাস্কর্য সবকিছুকেই হারাম বলে ফতোয়া দেওয়া, দীনি এলেমের বাইরে অন্যান্য জ্ঞান অর্জনকে অপছন্দনীয় মনে করা, প্রগতি ও পরিবর্তনকে অস্বীকার করা, নারীদেরকে পশ্চাৎপদ বানিয়ে রাখা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি বাস্তব জীবনের সাথে সঙ্গতিশীল নয়।
এখন দুই শতাধিক রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। রাষ্ট্র জনগণের সঙ্গে অনেক সম্পৃক্ত হয়েছে। রাষ্ট্র জীবনে উদ্ভ‚ত অনেক জটিল সমস্যা সমাধান করার জন্য এগিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে, যেটা কয়েক শতাব্দী আগে রাজা বাদশাহরা না করলেও চলত। এখন রাষ্ট্রগুলি দেখল যে ধর্মের যে চেহারা হয়েছে যে, পোশাক নিয়ে, খাবার নিয়ে, খেলাধুলা নিয়ে, সাহিত্য নিয়ে, শিল্প নিয়ে, নাচ গান নিয়ে এই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলি নিয়ে যেভাবে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে সেটা সার্বজনীন নাগরিক অধিকারের সঙ্গে যায় না। রাষ্ট্র তো সবার জন্য, এখানে বহু রুচি অভিরুচির মানুষ থাকবে। সেখানে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এত খরবদারি করলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। বলা হয়ে থাকে, ধর্ম যার যার- রাষ্ট্র সবার। রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম নেই।
আমরা এখানে দ্বিমত করি। রাষ্ট্রেরও নিশ্চয়ই একটা ধর্ম আছে। সেটা হচ্ছে রাষ্ট্র সর্ব অবস্থায় ন্যায়ের দণ্ড ধারণ করবে। যদি লেবাসকে, উপাসনাকে, ক্রুশ ধারণকে ধর্ম বলে মনে করা হয় তাহলে এটা সত্য যে রাষ্ট্রের ওসব নির্দিষ্ট কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। এখন ধর্মের যে বিকৃত রূপ দাঁড়িয়েছে সেটাকে রাষ্ট্রীয় জীবনে ধারণ করা সম্ভব নয়, সেটা ইতোমধ্যেই অযোগ্য ও অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। তাহলে এখন কি করবেন? রাষ্ট্র প্রধানদের সামনে এই বিরাট প্রশ্ন উপস্থিত হয়েছে, যা বাস্তবিকভাবেই কঠিন সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। এই ধর্মটা নিতেও পারছে না, আবার ফেলতেও পারছেন না। ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, উন্মাদনা ইত্যাদি বহুরূপে ধর্ম এসে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে আঘাত করছে। এখন তাহলে কী করবেন সেই সিদ্ধান্তটি আগে নিতে হবে। তারপরে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রাদায়িক দাঙ্গা, ধর্মের নামে অপরাজনীতি ইত্যাদি সবকিছুরই সমাধান করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
আমরা বলব যদি আপনারা চিন্তা করেন কোর’আনকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র চালাবেন পারবেন না। আজকে ইউরোপ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, ভারত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামবিদ্বেষী প্রচার করে অর্থাৎ ধর্মকে রাজনীতির ইস্যু বানিয়েই ক্ষমতায় এসেছেন। দুঃখজনক বিষয় হলো মানুষ ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা পায় নি। তারা জানেই না ধর্ম কেন এসেছে, তারা ভাবছে ধর্ম এসেছে আত্মিক উন্নতির জন্য, উপাসনা করে আল্লাহকে খুশি করে জান্নাতে যাওয়ার পথ প্রদর্শনের জন্য। তারা বিরাট অস্পষ্টতার মধ্যে আছে। এই সুযোগে রাজনীতিকরা ধর্মকে ব্যবহার করছেন ভোটের বাক্স পূর্ণ করার জন্য, আর ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মকে ব্যবহার করছেন টাকা কামাই করার জন্য। ধর্ম যে মানুষের অফুরন্ত কল্যাণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছিল সে ধর্ম আর মানুষের কাছে নেই। এখন শাসকদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় জিনিসটা নিয়ে বসতে হবে। আমরা হেযবুত তওহীদ দৃঢ়তার সাথে বলছি যে, আমাদের কাছে এর সমাধান আছে। আমরা জানি রাষ্ট্রের সাথে কী করে ধর্মকে মানানসই করে যুক্ত করা যায়। এই সমস্যার সমাধান আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। ধর্মকে আর ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করার দরকার নেই, বরং সেটাকে ধর্মব্যবসায়ীদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এটাকে রাষ্ট্রের ইতিবাচক কাজে লাগানো সম্ভব।