Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

একশ্রেণির আলেমের গোয়ার্তুমি আর অহংকারের পরিণাম: সাধারণ মানুষ দাজ্জালকে আজও চিনতে পারছে না


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

আরিফ মোহাম্মদ আলী আহসান

Dajjal
আজকে আমাদের সমাজে যে অশান্তি চলছে, দুনিয়া জুড়ে যুদ্ধের যে দামামা বাজছে, অন্যায় অবিচার অশান্তি, দরিদ্রের উপর ধনীর বঞ্চনা, শাসকের অত্যাচার, ক্ষমতাবানের শোষণ, সর্বক্ষেত্রে এই যে প্রতারণা অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব-সংঘাত দুনিয়া জুড়ে চলছে, এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের জীবনব্যবস্থা যা পাশ্চাত্য বস্তুবাদী সভ্যতা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। এ সভ্যতাই হচ্ছে সেই এক চক্ষুবিশিষ্ট দানব দাজ্জাল যার কথা রসুলাল্লাহ বার বার বলে গেছেন। রসুলাল্লাহ বলেছেন, দাজ্জাল মিথ্যা দিয়ে সমগ্র পৃথিবীকে আচ্ছন্ন বা লেপন করে ফেলবে।
মাননীয় এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী সেই হাদিসগুলো থেকে, বাইবেল, ইতিহাস ইত্যাদির উপর গবেষণা করে ইহুদি-খ্রিষ্টান বস্তুবাদী সভ্যতাকে অকাট্যভাবে দাজ্জালরূপে প্রমাণ করেছেন। তাঁর উপস্থাপিত যুক্তি ও প্রমাণকে আজ পর্যন্ত কেউ খ-াতে পারে নি। দাজ্জালের আবির্ভাব মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা। সেই দাজ্জালকে প্রতিরোধ যারা করবে তাদের সম্মান মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি। মুসলিম দুনিয়া এবং খ্রিষ্টান দুনিয়াও অপেক্ষা করছে যখন দাজ্জাল এন্টি ক্রাইস্ট আসবে তারা এর বিরুদ্ধে সর্বাÍক সংগ্রাম করবে, একে ধ্বংস করবে। আজ আমরা যখন দাজ্জালকে চিনিয়ে দিচ্ছি তখন এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল যে, এই জাতি দাজ্জালের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে ধ্বংস করার জন্য সংগ্রামে অবতীর্ণ হবে। কিন্তু এটা হতে পারল না কূপম-ূক ধর্মব্যবসায়ী আলেমদের কারণে। তাদের অহংকারে লাগল যে, ‘কী! বায়াজীদ খান পন্নী মাদ্রাসায় পড়েন নাই, তিনি ইসলামের কী জানবেন? তিনি কে দাজ্জাল চেনার? দাজ্জালকে চিনব আমরা।’
কিন্তু তারা এমামুযযামানের বক্তব্যকে মিথ্যাও প্রমাণ করতে পারলেন না। সাধারণ মানুষ ধর্মের ছোট বড় যে কোনো ব্যাপারে আগে দৌড়িয়ে তথাকথিত আলেম সাহেবদের কাছে যান। দাজ্জালের বেলাতেও অনেকেই তাদের কাছে গেছেন। আর জবাবে আÍম্ভরিতায় পূর্ণ আলেম সাহেবরা বলে দিয়েছেন, ‘না, দাজ্জাল আসতে আরো দেরি আছে। বিরাট এক ঘোড়ায় চড়ে সে আসবে। তার বাহনের এক পা থাকবে পৃথিবীর এ প্রান্তে, আরেক পা অপর প্রান্তে।’ আলেমদের চেক রুমালে বাঁধা আছে সাধারণ ধর্মবিশ্বাসী মানুষের ঈমান। তাই তারা আর দাজ্জালকে চিনতে পারল না ফলে দাজ্জালের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধও হতে পারল না। এর চিন্তাই তারা বাদ দিল। ফলে বস্তুবাদী পশ্চিমা সভ্যতার শাসন আরো দৃঢ় ও নিষ্কণ্টক হলো।
১৬০ কোটির মুসলিম জনগোষ্ঠী দাজ্জালকে চিনতে পারলে তা দাজ্জালের পতনের কারণ হতে পারত। এভাবে একশ্রেণির আলেম মুসলিম জনগোষ্ঠীকে তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ কর্তব্য, সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে মানবজাতিকে অশান্তির মধ্যে নিমজ্জিত থাকতে বাধ্য করলেন, তাদেরকে জাহান্নামের দিকেও ঠেলে দিলেন। এ কারণেই আল্লাহর রাসুল বলেছেন “আমার উম্মাহর আলেমরা হবে আখেরী যুগে আসমানের নিচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব। তারা ফেতনা সৃষ্টি করবে এবং এক সময় তাদের ফেতনা তাদের দিকেই ধাবিত হবে।”

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ