Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

ইসলামের প্রকৃত সালাহ্ (নামাজ)


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Untitled-1-229x300এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী

আল্লাহর দেয়া মানুষের জন্য জীবন বিধানে সালাতের গুরুত্ব ও মূল্য অত্যন্ত অধিক৷ তাঁর কোরানে আল্লাহ আশি বারেরও বেশী সালাহ্-কে উল্লেখ কোরেছেন, সালাহ্ কায়েম কোরতে বোলেছেন৷ আজ পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ, লক্ষ লক্ষ বিরাট বিরাট সুদৃশ্য মসজিদে দিনে পাঁচবার একত্রিত হয় সালাহ্ কায়েম কোরতে, আল্লাহর আদেশ পালন কোরতে৷ কিন্তু আল্লাহ যে উদ্দেশ্যে মো’মেনদের সালাহ্ কায়েম কোরতে আদেশ কোরেছেন সে উদ্দেশ্য সাধিত হোচ্ছে না৷ একশ’ পঞ্চাশ কোটির এই জাতিটি, যে জাতিটি নিজেদের মো’মেন, মোসলেম ও উম্মতে মোহাম্মদী বোলে বিশ্বাস করে, এই জাতিটি আজ পৃথিবীর অন্য সব জাতি দ্বারা পরাজিত লান্ছিত, অপমানিত, নিগৃহিত৷ আল্লাহর রসুল পৃথিবী থেকে চলে যাবার সময় তাঁর গড়া এ জাতিটি সংখ্যায় ছিলো পাঁচ লাখের মত৷ এটা ইতিহাস যে আল্লাহর রসুল চলে যাবার পর ৬০/৭০ বছরের মধ্যে ঐ ছোট্ট জাতিটি, একটি একটি কোরে নয়, এক সঙ্গে তদানিন্তন পৃথিবীর দু’টি বিশ্বশক্তিকে আক্রমণ কোরে তাদের সামরিকভাবে পরাজিত কোরে অর্দ্ধেক পৃথিবীতে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা কোরেছিলো৷ সেই পাঁচলাখের জাতিটাও সালাহ্ কায়েম করতো, আজ একশ’ পঞ্চাশ কোটির এই জাতিটাও সালাহ্ কায়েম করে, অন্তত করে বোলে বিশ্বাস করে৷ তাহোলে সেই একই কাজ কোরে, আল্লাহর একই আদেশ পালন কোরে সেই পাঁচ লাখের প্রায় নিরক্ষর, চরম দরিদ্র জাতি বিশ্বজয় করলো আর বর্ত্তমানের একশ’ পঞ্চাশ কোটির জাতি, তাদের মধ্যে বহু উচ্চ শিক্ষিত, আলেম, পীর মোরশেদ থাকা সত্ত্বেও, বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদের একটা বিরাট অংশের মালিক হওয়া সত্ত্বেও আজ বিশ্বের সমস্ত জাতি দ্বারা পরাজিত, নিগৃহিত৷ একই কাজ কোরে আল্লাহর একই আদেশ পালন কোরে পরিণতি, ফল শুধু আকাশ পাতাল নয়, একেবারে উল্টো কেন?
এই ‘কেন’র জবাব দেবার আমি চেষ্টা কোরছি-

তার আগে নামায শব্দটা ব্যবহার না কোরে সালাহ্ শব্দ কেন ব্যবহার কোরছি তা বোলে নেয়া দরকার৷ এ উপমহাদেশে সালাতের বদলে নামায শব্দটা ব্যবহারে আমরা এতটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে সালাহ্ বোললে অনেকে বুঝিই না সালাহ্ কি৷ কোরানে কোথাও নামায শব্দটা নেই কারণ কোরান আরবী ভাষায় আর নামায পার্শি অর্থাত্‍ ইরানী ভাষা৷ শুধু ঐ নামায নয় আরও অনেক শব্দ আমরা ব্যবহার কোরি যা কোরানে নেই৷ যেমন খোদা, রোযা, বেহেশত, দোযখ, ফেরেশতা, জায়নামায, মুসলমান, পয়গম্বর ইত্যাদি৷ এই ব্যবহার মোসলেম দুনিয়ায় শুধু ইরানে এবং আমাদের এই উপমহাদেশে ছাড়া আর কোথাও নেই৷ এর কারণ আছে৷ কারণটা হোল- ইরান দেশটি সমস্তটাই অগি্ন-উপাসক ছিলো৷ আল্লাহর নবীর সুন্নাহ পালনের জন্য উম্মতে মোহাম্মদী যখন ইরানকে তিন শর্ত্তের একটি মেনে নেয়ার আমন্ত্রণ দিলো তখন ইরান পৃথিবীর দুই বিশ্বশক্তির একটি; অন্যটি খ্রীস্টান রোমান৷ ঐ তিন শর্ত্ত হোল-
১) আল্লাহর রসুল সত্য দীন নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন- এই দীন মেনে নিয়ে মোসলেম হোয়ে যাও, তাহোলে তোমরা আমাদের ভাই হোয়ে যাবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসুল এই দীনকে সমস্ত পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করার যে দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পণ কোরেছেন, সে দায়িত্ব তোমাদের ওপরও বর্ত্তাবে৷ ২) যদি তা গ্রহণ না করো তবে আমাদের বশ্যতা স্বীকার করো, আমরা আল্লাহর দেয়া দীন, কোরআনের আইন-কানুন, দণ্ডবিধি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু কোরবো; তোমরা যার যার ধর্মে থাকবে, আমরা বাধাতো দেবই না বরং সর্বপ্রকারে তোমাদের এবং তোমাদের ধর্মকে নিরাপত্তা দেব; বিনিময়ে তোমাদের যুদ্ধক্ষম লোকেরা বার্ষিক সামান্য একটা কর দেবে, যার নাম জিজিয়া৷ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, স্ত্রীলোক, রোগগ্রস্ত মানুষ এবং বালক-বালিকা, শিশুগণকে এ কর দিতে হবে না৷ এর পরও তোমাদের রক্ষার জন্য যুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে যেসব যুদ্ধক্ষম লোক আমাদের পক্ষ হোয়ে যুদ্ধ কোরবে তাদের ঐ জিজিয়া দিতে হবে না৷ ৩) যদি এই দুই শর্ত্তের কোনটাই না মেনে নাও তবে যুদ্ধ ছাড়া আর পথ নেই৷ আমরা তোমাদের আক্রমণ কোরে পরাজিত কোরে আল্লাহর দীন, জীবন-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা কোরবো৷
এটা ইতিহাস যে প্রচণ্ড শক্তিশালী, অন্যতম বিশ্বশক্তি ইরান অবজ্ঞাভরে ঐ প্রথম দুই শর্ত্ত উপেক্ষা কোরে তৃতীয় শর্ত্ত যুদ্ধকেই বেছে নিয়েছিলো ও অল্প সময়ের মধ্যে ঐ ছোট্ট উম্মতে মোহাম্মদীর কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হোয়ে গিয়েছিলো৷ পরাজিত হবার পর প্রায় সমস্ত ইরানী জাতিটি অল্প সময়ের মধ্যে পাইকারী ভাবে দীন ইসলাম গ্রহণ কোরে মোসলেম হোয়ে গিয়েছিলো৷ এই ঢালাও ভাবে মোসলেম হোয়ে যাবার ফলে তারা ইসলামের প্রকৃত উদ্দেশ্য কি তা পূর্ণভাবে বুঝতে সমর্থ হোল না অর্থাত্‍ তাদের আকীদা সঠিক হোল না৷ তারা ইসলামে প্রবেশ করলো কিন্তু তাদের অগি্ন-উপাসনার অর্থাত্‍ আগুন পূজার সময়ের বেশ কিছু বিষয় সঙ্গে নিয়ে ইসলামে প্রবেশ কোরলো৷ আগুন উপাসনাকে তারা নামায পড়া বলতো, সালাহ্-কে তারা নামায বোলতে শুরু কোরলো, তাদের অগি্ন-উপাসনার ধর্মে উপবাস ছিলো, তারা সাওমকে রোযা অর্থাত্‍ উপবাস বোলতে লাগলো, মোসলেমকে তারা পার্শি ভাষায় মুসলমান, নবী-রসুলদের পয়গম্বর, জান্নাহ-কে বেহেশত, জাহান্নামকে দোযখ, মালায়েকদের ফেরেশতা এমন কি মহান আল্লাহর নাম পর্যন্ত পরিবর্ত্তন করে খোদা ইত্যাদিতে ভাষান্তর কোরে ফেললো৷ শুধু যে সব ব্যাপার আগুন পূজার ধর্মে ছিলো না, সেগুলি স্বভাবতই আরবী শব্দেই রোয়ে গেল; যেমন যাকাহ, হজ্ব ইত্যাদি৷ তারপর মোসলেম জাতি যখন ভারতে প্রবেশ কোরে এখানে রাজত্ব কোরতে শুরু কোরলো তখন যেহেতু তাদের ভাষা পার্শি ছিলো সেহেতু এই উপমহাদেশে ঐ পার্শি শব্দগুলির প্রচলন হোয়ে গেলো৷ এক কথায় বলা যায় যে, আরবের ইসলাম পারস্য দেশের ভেতর দিয়ে ভারতে, এই উপমহাদেশে আসার পথে পার্শি ধর্ম, কৃষ্টি ও ভাষার রং-এ রং বদলিয়ে রঙ্গীন হোয়ে এলো৷
ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম:- অগি্ন-উপাসক ইরান না হোয়ে যদি মুর্ত্তিপূজক হিন্দু ভারত উম্মতে মোহাম্মদীর কাছে সামরিকভাবে পরাজিত হোয়ে ইসলাম ভালো কোরে না বুঝেই ব্যাপকভাবে, ঢালাওভাবে এই দীনে প্রবেশ কোরতো তবে তারা সালাহ্-কে পূজা বা উপাসনা, সাওমকে উপবাস, নবী-রসুলকে অবতার, জান্নাহ-কে স্বর্গ, জাহান্নামকে নরক, মালায়েকদের দেবদূত, দেবতা, আল্লাহকে ভগবান বা ঈশ্বর ইত্যাদি চালু কোরে ফেলতো এবং আমরা যেমন এখন নামায, রোযা, বেহেশত, দোযখ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, খোদা শব্দগুলি ব্যবহার কোরি তেমন কোরে ঐ ভারতীয় শব্দগুলি ব্যবহার কোরতে অভ্যস্ত হোয়ে যেতাম৷
আমরা হেয্বুত তওহীদ এই পার্শি শব্দগুলির ব্যবহার ত্যাগ কোরে আল্লাহ কোরানে যে শব্দগুলি ব্যবহার কোরেছেন সেই শব্দগুলি আবার চালু করার চেষ্টা কোরছি৷ মহান আল্লাহ পবিত্র কোর্আনে সতর্ক করে বোলে দিয়েছেন যে, আল্লাহর আছে সুন্দর সুন্দর নাম, তোমরা তাঁকে সে নামেই ডাক, যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কোরবে (সুরা আরাফ- ১৮০) তাই খোদা শব্দের বদলে আল্লাহ, নামাযের বদলে সালাহ্ এবং রোযার বদলে সাওম শব্দের আমাদের এই ব্যবহার৷
মহান আল্লাহ এই মহাসৃষ্টির বিশাল থেকে ক্ষুুদ্রতম যা কিছু সৃষ্টি কোরেছেন তাঁর প্রত্যেকটারই কোন না কোন উদ্দেশ্য আছে; উদ্দেশ্যহীন একটি অণু বা পরমাণুও তিনি সৃষ্টি করেন নাই৷ তেমনি, তিনি মানব জাতিকে যা কিছু আদেশ-নিষেধ কোরেছেন তারও প্রত্যেকটিরই কোন না কোন উদ্দেশ্য আছে, উদ্দেশ্যহীন একটি ক্ষুদ্রতম আদেশও দেন নাই, কারণ তিনি সোবহান; নিখুঁত, ত্রুটিহীন৷ যিনি ক্ষুদ্রতম আদেশও উদ্দেশ্যহীন ভাবে দেবেন না তিনি যে সালাতের আদেশ আশীবারেরও বেশী দিয়েছেন তা কি উদ্দেশ্যহীন হোতে পারে? অবশ্যই নয়৷ এবং শুধু যে উদ্দেশ্যহীন নয় তাই নয়; যেহেতু তিনি এ আদেশ এতবার দিয়েছেন সেহেতু এ আদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

তাহোলে সালাতের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব কী?

ইসলামে সালাতের উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব এত বড় যে তা বোঝাবার জন্য আমাকে আল্লাহর খলিফা অর্থাত্‍ মানুষ সৃষ্টির অধ্যায় থেকে শুরু কোরতে হবে- যদিও খুব সংক্ষেপে৷
এই মহাবিশ্ব, অগণিত ছায়াপথ, নীহারিকা, সূর্য, চন্দ্র, তারা ও এগুলো সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করার জন্য অসংখ্য মালায়েক সৃষ্টি করার পর আল্লাহর ইচ্ছা হোল এমন একটি সৃষ্টি করার যার মধ্যে স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি থাকবে৷ তাই তিনি নিজ হাতে সৃষ্টি কোরলেন আদম (আঃ) আর হাওয়াকে৷ আদমের (আঃ) মধ্যে আল্লাহ তাঁর নিজ রূহ্ থেকে ফুঁকে দিলেন (কোরান- সুরা হেজর ২৯) তাঁর নিজের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিসহ সব গুণাবলি৷ নাম দিলেন আল্লাহর প্রতিনিধি- খলিফাতুল্লাহ৷ তারপর আদম ও হাওয়ার (আঃ) দেহের ভেতরে প্রবেশ কোরে তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি ও চেতনায় প্রভাব ফেলার শক্তি দিলেন এবলিসকে আদম-হাওয়াকে পরীক্ষার জন্য (কোরান- সুরা নেসা ১১৯)৷ আদমের (আঃ) কারণে আল্লাহর সানি্নধ্য থেকে বিতাড়িত হোয়ে এবলিস আল্লাহকে বোলল যে তোমার এই খলিফাকে দিয়ে আমি তোমাকে অস্বীকার করাবো৷ জবাবে আল্লাহ বোললেন- আমি যুগে যুগে নবী-রসুল পাঠিয়ে বনী আদমকে হেদায়াহ সঠিক দিক নির্দেশনা অর্থাত্‍ সেরাতুল মুস্তাকীম দান কোরব৷ যারা এই সেরাতুল মুস্তাকীমের ওপর দৃঢ় থাকবে তুমি তাদের বিপথে চালনা কোরতে পারবে না, তারা হেদায়াতে থাকবে, তাদের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা কোরে আমি তাদের জান্নাতে দেব৷ জবাবে এবলিস বোলল- তুমি তোমার খলিফাকে যে সেরাতুল মুস্তাকীম দেবে তার সম্মুখে, পেছনে, ডানে, বামে আমি ওঁত্‍ পেতে বোসে থাকবো (আর তাদের সে পথ থেকে ছিনিয়ে নেবো); আর দেখবে যে তাদের অধিকাংশ অকৃতজ্ঞ (অর্থাত্‍ অধিকাংশই আমি ছিনিয়ে নেব)৷ এর উত্তরে আল্লাহ বোললেন তোমাকে এবং যাদের তুমি সেরাতুল মুস্তাকীম থেকে ছিনিয়ে নেবে তাদের দিয়ে আমি জাহান্নাম ভর্ত্তি কোরবো (সুরা আ’রাফ- ১৭,১৮)৷ এখানে বলা প্রয়োজন এই সেরাতুল মুস্তাকীম কী? দেখা যাচ্ছে আল্লাহর সাথে এবলিসের চ্যালেঞ্জটা সালাহ্ (নামাজ), সওম (রোযা), হজ্ব, যাকাত বা চুরি ডাকাতি, ব্যাভিচার, খুন নিয়ে নয়, চ্যালেঞ্জটা এই সেরাতুল মুস্তাকীমটাকেই নিয়ে৷

এই সেরাতুল মুস্তাকিম হোচ্ছে তওহীদ- লা এলাহা এল্লা আল্লাহ৷ (কোরান- সুরা ইয়াসিন- ৬১ ও কোরানের বিভিন্ন স্থানে)৷ কিন্তু আল্লাহ যে লা-এলাহা ইল্লাল্লাহর কথা বোলেছেন তা বর্ত্তমানে পৃথিবীতে প্রচলিত লা-এলাহা এল্লা আল্লাহ নয়৷ বর্ত্তমানে মোসলেম জগতের সকলেই লা এলাহা এল্লা আল্লাহ-এ বিশ্বাস করে, কিন্তু তারা সেরাতুল মুসতাকীমে, সহজ-সরল পথে নেই৷ কারণ প্রকৃত তওহীদ অর্থাত্‍ লা-এলাহা এল্লা আল্লাহ হোচ্ছে আল্লাহকে ছাড়া আর সমস্ত রকম ক্ষমতাকে অস্বীকার করা; এবং এই অস্বীকার জীবনের সর্বক্ষেত্রে, সর্ব অঙ্গনে৷ এক কথায় যে কোন বিষয়ে, যে কোন প্রশ্নে, যেখানে আল্লাহ বা তাঁর রসুলের কোন বক্তব্য আছে সেখানে আর কারো কথা, আদেশ, নিষেধ, নির্দেশ অগ্রাহ্য করা (সুরা আহযাব- ৩৬); হোক সেটা ব্যক্তিগত, সামাজিক, জাতীয়, আন্তর্জাতিক, আইন-কানুন, দণ্ডবিধি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সমাজ-ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য৷ এখানে আল্লাহর আদেশ-নিষেধের সঙ্গে রসুলকেও অঙ্গীভূত কোরছি এই কারণে যে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ হাতে-কলমে কার্যকরী কোরে দেখানোর দায়িত্ব তাঁর রসুলের এবং তিনি আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, নির্দেশের বাইরে কিছুই করেন না, কিছুই বলেন না (কোরান সুরা নজম-৩-৪)৷ এই হোল ইসলামের _ সেরাতুল মুস্তাকীম৷ বর্ত্তমানে অন্য জাতিগুলির তো কথাই নেই- মোসলেম হবার দাবীদার এই একশ’ পঞ্চাশ কোটির জাতির মধ্যেও কোথাও নেই এবং তাদের মধ্যে এ বোধ ও উপলব্ধিও নেই যে তওহীদ না থাকার অর্থই হোচ্ছে শেরক ও কুফর এবং তওহীদহীন কোন এবাদত আল্লাহ কবুল করেন না৷ যে বিষয়ে আল্লাহ বা তাঁর রসুলের কোন নির্দেশ আছে সেটা যত ছোট, যত সামান্যই হোক সে বিষয়ে অন্য কারো নির্দেশ, ব্যবস্থা গ্রহণ মানেই শেরক, অংশীবাদ, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকেও স্বীকার করা৷
শুরু হোল বিশাল খেলা, বিরাট পরীক্ষা৷ আল্লাহ তাঁর কথামত যুগে যুগে প্রতি জনপদে পাঠাতে লাগলেন তাঁর নবী-রসুলদের সেরাতুল মুস্তাকীম দিয়ে, অর্থাত্‍ তওহীদ দিয়ে৷
আল্লাহ নবী-রসুলদের মাধ্যমে বনি-আদম, মানুষকে আরও জানিয়ে দিলেন যে, যে বা যারা ঐ সেরাতুল মুস্তাকীমে অর্থাত্‍ তওহীদের ওপর অটল থাকবে জীবনের কোন অঙ্গনে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে মানবে না, স্বীকার কোরবেনা তাদের তিনি সমস্ত অপরাধ, পাপ, গোনাহ মাফ কোরে জান্নাতে স্থান দেবেন চিরকালের জন্য (কোরান- সুরা যুমার- ৫৩)৷ আর যে বা যারা জীবনের যে কোন অঙ্গনে, যে কোন বিষয়ে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অস্বীকার কোরে অন্য কোন শক্তি বা নিজেদের তৈরী আদেশ-নিষেধকে মেনে নেবে তারা জীবনে যত পুণ্য, যত সওয়াবই করুক, যত ভালো কাজই করুক আল্লাহ তাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ কোরবেন চিরকালের জন্য (সুরা মায়েদা- ৭২, সুরা নেসা- ৪৮, বোখারী, মোসলেম, তিরমিযি)৷

(চোলবে..)

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ