মোহাম্মদ আসাদ আলী:
মুসলমানদের কোনো দেশে অমুসলিমরা হামলা করলে আমরা অনেকেই প্রত্যাশা করি- আক্রান্ত মুসলমানদের বাঁচাতে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলা যেন সেনাবাহিনী পাঠিয়ে যুদ্ধ শুরু করে। যেমন- ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন দেখে আমরা অনেকেই ভাবি- আহা! আমাদের মিশর, তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরান ইত্যাদি শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো যদি একযোগে ইসরাইলে হামলা করত, তাইলে এই পুচকে ইসরায়েলকে উচিত শিক্ষা দেওয়া যেত। এটা আমাদের মুসলমান জনসাধারণের ভাবনা। ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের জায়গা থেকে আমরা এভাবেই চিন্তা করে থাকি।
কিন্তু বাস্তবতা ঠিক তার বিপরীত। দেখা যায় অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলো মুসলমানদের বাঁচাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা দূরে থাক, একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে সাহস পায় না। নীরবতা পালন করে। কেউ কেউ তো আবার ইসরায়েলকেই সহযোগিতা করতে থাকে। যেমন জর্ডানের কথা বলা যায়। এটা মুসলিমপ্রধান একটা দেশ। শাসকও একজন মুসলিম। কিন্তু অভিযোগ আছে এই দেশটা ফিলিস্তিনের পক্ষে না থেকে- কার্যত ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। (তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা)
এছাড়াও মিশর সৌদি আরব তুরস্ক- এসব দেশগুলোও তাকিয়ে তাকিয়ে ইসরায়েলি গণহত্যা দেখছে। অথচ তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আছে, অস্ত্রশস্ত্র আছে, শক্তিশালী অর্থনীতি আছে। তারা চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলকে বেকায়দায় ফেলতে পারত। কিন্তু কিছুই করছে না। প্রশ্ন হলো- কেন করছে না?
পাঠক, আমরা সাধারণ মুসলমানরা বিষয়টাকে জেনারেলাইজ করে এভাবে ব্যাখ্যা করি যে, এই মুসলিম শাসকদের ঈমান নাই, তারা হলো মুনাফেক গাদ্দার, তারা ইহুদি খ্রিষ্টানদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে ইত্যাদি। অর্থাৎ পুরো বিষয়টার জন্য আমরা কয়েকজন শাসককে দায়ী করেই বিষয়টার মীমাংসা করে ফেলতে চাই। কিন্তু পাঠক, শুধু কয়েকজন শাসকের দোষ দেখলে তো হবে না, নিজেদের দিকেও একবার তাকাতে হবে। এটা কীভাবে হতে পারে যে, আমরা বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমান সবাই হলাম পাক্কা ঈমানদার, কিন্তু আমাদের শাসকরা সবাই মুনাফেক? আসলে ঘটনা সেটা নয়। মুসলিম বিশ্বের এই পরিস্থিতির নেপথ্যে আরও গভীর কারণ আছে, যা বোঝার জন্য কিছুটা ইতিহাসের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আসুন সংক্ষেপে ইতিহাসের একটা পাতায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক-
রসুল (সা.) এর তৈরি উম্মাহর দুইটা বৈশিষ্ট্য
আল্লাহর রসুল মুহাম্মদ (সা.) সারাজীবন কষ্ট করে, খেয়ে না খেয়ে, সংগ্রাম করে, রক্ত দিয়ে- একটা উম্মাহ তৈরি করে গিয়েছিলেন। সেই উম্মাহর প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল দুইটা-
সবসময় একজন নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ থাকা।
সবসময় আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার জেহাদ করতে থাকা।
আপনি ইতিহাস পড়ে দেখুন- ঐ উম্মাহর কাঠামোটা কেমন ছিল? তাদের একজন ইমাম ছিলেন, একটা রাষ্ট্র ছিল ও একটা বাহিনী ছিল, আর সেই বাহিনী সার্বক্ষণিক আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত ছিল। যেমন ধরুন খলিফা উমর (রা.) এর শাসনকালের দিকে যদি তাকান তাহলে দেখতে পাবেন- তখন পুরো মুসলিম উম্মাহর ইমাম ছিলেন একজন- উমর (রা.)। সেই উম্মাহর রাষ্ট্রও ছিল একটাই এবং সেনাবাহিনীও ছিল একটাই। ঐ সেনাবাহিনীতে যারা লড়াই করত তাদের যে কাউকে আপনি যদি জিজ্ঞেস করতেন- আপনারা কী চান? তারা বলত- আমাদের লজ্জা নিবারণের জন্য এক প্রস্থ কাপড়, আর ক্ষুধা নিবারণের জন্য দুমুঠো খাবার ছাড়া এই দুনিয়াতে আর কিছুই চাই না। আমরা বেঁচেই আছি পৃথিবীতে ন্যায় শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাবার জন্য। এই ছিল উম্মতে মোহাম্মদীর আকিদা, উম্মতে মোহাম্মদীর কাঠামো বা ডিজাইন।
কিন্তু রসুল (সা.) এর কাছ থেকে সরাসরি ইসলাম শেখা ঐ মানুষগুলো যখন একে একে দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন, পরবর্তী প্রজন্মগুলো মারাত্মক দুইটা ভুল করে ফেলল।
মুসলিম উম্মাহর দুইটা মারাত্মক ভুল
প্রথমত- মুসলিম উম্মাহ তাদের “এক নেতা এক রাষ্ট্র” এই ডিজাইন ভেঙে বহু নেতা ও বহু রাষ্ট্রে বিভক্ত হতে লাগলো। ততদিনে শিয়া সুন্নিসহ বিভিন্ন মতবাদ তৈরি হয়ে গিয়েছিল, ফলে দেখা গেল শিয়াদের আলাদা রাষ্ট্র (ফাতেমি খেলাফত) ও সুন্নিদের আলাদা রাষ্ট্র (আব্বাসি খেলাফত) দরকার হয়ে পড়ছে। তাছাড়া কখনও খলিফা একজন নামমাত্র থাকলেও তার অধীনস্থ আমিররা বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনভাবে শাসন করতে লাগলেন। তা করতে গিয়ে এক আমিরের সাথে আরেক আমির যুদ্ধ পর্যন্ত করতেন। এদিকে ধর্মীয়ভাবে শিয়া সুন্নি ছাড়াও হানাফি হাম্বলি, খারেজি রাফেজী, মুতাজিলা, আশারিয়া ইত্যাদি তেহাত্তর টুকরায় বিভক্ত হয়ে গেল মুসলিম উম্মাহ। এক টুকরা আরেক টুকরার বিরুদ্ধে বাহাস-মুনাজারা ইত্যাদিতে লিপ্ত হলো। এক ফেরকা আরেক ফেরকাকে কাফের ফতোয়া দিতে লাগলো। এক কথায়- সবাই মিলে মহাসমারোহে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ভাঙার কাজ সম্পন্ন করল- যা ছিল মুসলিম উম্মাহর সর্বকালের সবচাইতে বড় ভুল।
দ্বিতীয়ত- উম্মাহ দীন প্রতিষ্ঠার জেহাদ ছেড়ে দিল। যেই উম্মাহর দায়িত্ব ছিল সারা বিশ্বে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত জেহাদ চালিয়ে যাওয়া, তারা সেই মিশন ভুলে গিয়ে অস্ত্র ফেলে একদল হাতে তুলে নিল খাতা কলম, আরেকদল হাতে তুলে নিল তসবিহ। খাতা কলম নেওয়া দলটি লক্ষ লক্ষ মাসলা মাসায়েল রচনা করে আলেম ফকিহ হবার সাধনা শুরু করল, আর তসবিহ নেওয়া দলটি আত্মার ঘসামাজা করে পীর দরবেশ হবার সাধনা শুরু করল। যা ছিল উম্মাহর দ্বিতীয় বড় ভুল।
তার মানে বুঝতেই পারছেন- রসুল (সা.) এই উম্মাহকে মূল যেই দুইটা বিষয় শিক্ষা দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই দুইটা শিক্ষাই এই উম্মাহ প্রত্যাখ্যান করল। বলা বাহুল্য- এই ঘটনাগুলোই মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মুসলিমদের ভাগ্যে পরাজয় ও গোলামীর বন্দোবস্ত চূড়ান্ত হয়ে যায়।
এর পরবর্তী ইতিহাস- ক্রসেডারদের হাতে, মঙ্গোলদের হাতে ও ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের হাতে মুসলিম উম্মাহর মার খাওয়ার ইতিহাস, পরাজিত হবার ইতিহাস, গোলামী করার ইতিহাস।
আল্লাহর পক্ষ থেকে ভয়াবহ শাস্তি
পাঠক, আমাদের ধর্মনেতারা ওয়াজ মাহফিলে ও জুমার খুতবায় কোর’আনের বহু আয়াত তর্জমা করেন, শানে নুজুল বলেন। কিন্তু তারা কখনই সুরা তওবার ৩৯ নম্বর আয়াতটা বলেন না। এই আয়াতে আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে বলেছেন- “যদি তোমরা (জেহাদের) অভিযানে বের না হও তাহলে তিনি তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিবেন ও তোমাদের স্থলে অন্য জাতিকে চাপিয়ে দিবেন।” (সুরা তওবা: ৩৯)
কী ভয়ংকর কথা! কী ভয়াবহ সতর্কবাণী! আল্লাহ কোর’আনে কোথাও বলেননি, নামাজে বের না হলে সবাইকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন ও অন্য জাতিকে চাপিয়ে দিবেন। কিংবা বলেননি- হজ্ব করতে বের না হলে সবাইকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন ও অন্য জাতিকে চাপিয়ে দিবেন। বলেছেন জেহাদের অভিযানে বের না হলে এমনটা করবেন। অর্থাৎ জেহাদ ছাড়ার শাস্তি হলো দুনিয়াতে লাঞ্ছনাদায়ক আজাব ও অন্য জাতির গোলামী।
পাঠক! আজকে মুসলিম বিশ্ব কেন মর্মন্তুদ শাস্তি ভোগ করছে, কেন তারা অন্য জাতির গোলাম হচ্ছে, এবং কেন আল্লাহ তাদেরকে উদ্ধার করছেন না- তা কি বোঝা যাচ্ছে এবার? সুতরাং মনে করার কারণ নাই যে, আমাদের উপর যে নির্যাতন চলছে, যে গণহত্যা চলছে, যে হামলা চলছে- তা আমাদের মুসলিম শাসকদের মুনাফেকির ফল, গাদ্দারির ফল, আর আমরা সাধারণ মুসলমানরা হলাম পাক্কা ঈমানদার। না ভাই, এমনটা ভাবার কারণ নাই। এই পরাজয় ও বিপর্যয় শুধু আমাদের শাসকদের কর্মফল নয়, পুরো মুসলিম উম্মাহর কর্মফল।
মুসলিম উম্মাহর বর্তমান বাস্তবতা
আমরা যে কথায় কথায় বলি- মুসলিম বিশ্ব, সেটা আমাদের সেন্টিমেন্টের জায়গা থেকে বলা হয় আর কি। বাস্তবে মুসলিম বিশ্ব বলে আলাদা কোনোকিছুর অস্তিত্ব নাই। আমরা আজ কেউ বাংলাদেশি, কেউ পাকিস্তানি, কেউ লেবানিজ, কেউ মিশরীয়, কেউ তুর্কি ইত্যাদি। আমাদের আলাদা আলাদা রাষ্ট্রনায়ক, আলাদা আলাদা সরকার, আলাদা আলাদা সীমান্ত, আলাদা আলাদা সার্বভৌমত্ব এবং অবশ্যই আলাদা আলাদা শত্রু-মিত্র। সৌদি আরব ও ইরান দুইটা দেশই মুসলিমপ্রধান দেশ। কিন্তু সৌদি আরবের সাথে আমেরিকার গভীর বন্ধুত্ব, আর ইরানের সাথে শত্রুতা। কারণ কী? কারণ সৌদি আরবের পররাষ্ট্রনীতি ভিন্ন, ইরানের পররাষ্ট্রনীতি ভিন্ন। আপনি বলতে পারেন- এই জাতিরাষ্ট্রের ধারণা তো ইসলামসম্মত নয়। কিন্তু পাঠক, বিশ্ব তো ইসলামের না।
আমরা যারা ইসলামে বিশ্বাস করি, আমরা জেহাদ ছেড়ে দেওয়ার কারণে ও ঐক্য ভেঙে ফেলার কারণে যখন দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম, সেই সুযোগে ইউরোপীয়রা সারা বিশ্বকে দখল করেছে। আমাদেরকেও দখল করেছে। তারপর তারা তাদের তৈরি বিশ্বব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে, তাদের তৈরি জাতিরাষ্ট্রের ধারণা মোতাবেক সারা বিশ্বকে ২০০ টুকরায় বিভক্ত করেছে। তারা চাইলে ৪০০ টুকরাতেও বিভক্ত করতে পারে এবং ইসলামের প্রত্যেকটা বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা অনৈসলামিক সিস্টেম চালু করতে পারে- আমাদের কিচ্ছু করার নাই।
পাঠক! আমাদের কোর’আনে আছে সুদ হারাম। কিন্তু তাতে ওদের কী? ওরা সুদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা তৈরি করে সারা বিশ্বে প্রবর্তন করেছে। এখন আমাদেরকে সেই বিশ্বব্যবস্থার অধীনেই বসবাস করতে হচ্ছে আর তাদের তৈরি সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থাই মানতে হচ্ছে। ইসলামকে তারা নির্বাসন দিয়েছে মসজিদ ও মাদ্রাসার চার দেওয়ালের মধ্যে। ওখানে বসে আপনি যত খুশি কোর’আন তেলাওয়াত করতে থাকেন অসুবিধা নাই। কিন্তু কোর’আনের বিধান দিয়ে জীবনযাপন করতে চাইলে খবর আছে।
মোদ্দাকথা হলো- এই বিশ্বের সার্বভৌমত্ব এখন পশ্চিমা ইহুদি-খ্রিষ্টান সভ্যতার হাতে। এই সভ্যতার কারসাজিতে মুসলিম বিশ্ব এখন ৫৬ টুকরা হয়েছে। সামনে হয়ত আরও টুকরার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। একটা তরমুজকে যেমন একসঙ্গে খাওয়া যায় না, আগে কেটে টুকরা টুকরা করতে হয়, তেমনি আমাদেরকেও তারা প্রথমে টুকরা টুকরা করেছে, এখন একটা একটা করে ধ্বংস করছে। সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, লেবানন, লিবিয়া, ইয়েমেন- এই তালিকা দিনদিন বাড়তেই থাকবে। এখন চলছে ইরানের পালা।
এখানে পুরো বিশ্বব্যবস্থা, পুরো সভ্যতাই মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আছে। আপনি মার খাবেন, মরবেন, উদ্বাস্তু হবেন, সারা বিশ্ব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে আর কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করবে। কিন্তু প্রতিরোধ করতে যাবেন, আপনার বিরুদ্ধে সবাই মিলে যৌথ সামরিক জোট গঠন করে হামলা চালাবে। কারণ বিশ্বটা ওদের। জাতিসংঘ ওদের, ন্যাটো ওদের, আইএমএফ ওদের, মানবাধিকার সংস্থা ওদের, প্রযুক্তি ও অস্ত্রপাতি ওদের। এমনকি আমাদের তেল গ্যাসের নিয়ন্ত্রও ওদের হাতে। আমাদের কেউ নাই, কিচ্ছু নাই। আমাদের একজনই আছেন, তিনি হলেন মহান রব্বুল আলামিন, কিন্তু তার হুঁশিয়ারী আমরা শুনিনি, মানিনি। তাঁর প্রেরিত রসুলের শিক্ষার বিপরীত কাজ চালিয়ে গেছি হাজার বছর ধরে। এখন তিনি আমাদেরকে পরিত্যাগ করেছেন। আমাদের অভিভাবকত্ব ত্যাগ করেছেন। আমাদের উপর লানত দিয়েছেন। এই লানত একমাত্র তখনই উঠবে- যখন আমরা পুনরায় সেই দুইটা শিক্ষাকে ধারণ করতে পারবো। এক- তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্য, দুই- দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর মনোনীত ইমামের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার তওফিক দান করুন।
[লেখক: কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য,
হেযবুত তওহীদ; যোগাযোগ: ০১৬১৭-৩২৯৩৯২]