Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

যেভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার জন্ম হোল


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36
2693115
রাজার হাতে ছিল পার্থিব ক্ষমতা, পোপের হাতে ছিল মানুষের ধর্মীয় জীবনের নিয়ন্ত্রণ। দু’জনেরই চাওয়া ছিল নিরঙ্কুশ আধিপত্য। শেষ পর্যন্ত বিজয় হয় বাহুবলের। ধর্ম নির্বাসিত হয় ব্যক্তিজীবনে আর শাসনদণ্ড হয় ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত। এই ধর্মনিরপেক্ষ জীবনব্যবস্থাই আজ সারা পৃথিবীতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে।

যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর লেখা থেকে:
আদম (আ.) থেকে হযরত মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত আল্লাহ অসংখ্য নবী রসুল পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাঁরা তাদের জাতির কাছে যে জিনিসটা নিয়ে এসেছেন তা হোল তওহীদ অর্থাৎ জাতীয় এবং ব্যক্তিগত জীবনে যেখানে আল্লাহ এবং তাঁর রসুলের কোন কথা আছে, আদেশ নিষেধ আছে সেখানে আর কারোটা না মানা। নবী রসুলদের মাধ্যমে আসা এই তওহীদের দাবি যখন যে জাতি মেনে নিয়েছে তখন তারা পুরস্কারস্বরূপ, ফলস্বরূপ শান্তিপূর্ণ ভারসাম্যযুক্ত সমাজ পেয়েছে। সে সমাজে কোন অন্যায় অবিচার থাকতো না, যুদ্ধ রক্তপাত থাকতো না।
সমাজে দেহ, আত্মার সুন্দর ভারসাম্য বিরাজ কোরতো। এই নবী রসুল পাঠানোর ধারাবাহিকতায় শেষ রসুল মোহাম্মদ (সা:) এর আগমনের প্রায় ৫০০ বছর আগে আল্লাহ পাঠালেন ঈসাকে (আ:)। তাঁকে পাঠানো হোয়োছিল শুধুমাত্র মুসা (আ:) এর অনুসারী ইহুদি জাতির কাছে। তিনি এসেছিলেন মুসা (আ:) এর আনিত দীনকে সত্যায়ন কোরে শুধু মাত্র দীনের হারিয়ে যাওয়া আত্মিক ভাগটাকে যথাস্থানে ফিরিয়ে দিয়ে দীনের ভারসাম্য পুনঃস্থাপনের জন্য। তিনি কখনই খ্রিস্ট ধর্ম নামে নতুন কোন ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত কোরতে চাননি। তাঁর জীবনী থেকে একথার প্রমাণ দেওয়া যায়। ঈসা (আ:) যদি ইহুদিদের বাইরে তার দেখানো পথ অনুসরণ বা গ্রহণ কোরতে বোলতেন তা হোলে তা হোত চরম সীমালংঘন ও অনধিকার চর্চা। কারণ স্রষ্টা তাঁর কাজের সীমারেখা নির্ধারণ কোরে দিয়েছিলেন এবং তা অবশ্যই শুধুমাত্র ইহুদিদের ভেতরে। কোন নবীর পক্ষেই এই সীমারেখা অতিক্রম করা সম্ভব নয়, এবং ইতিহাস সাক্ষী যে ঈসা (আ:) তা কখনই করেন নি। একজন ইহুদির শুধুমাত্র রোগ সারিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হোলেও তিনি ইতস্তত কোরেছিলেন। তিনি তাঁর সীমারেখার প্রতি ইঙ্গিত কোরে বোলেছিলেন, I was sent only to the lost sheep of Israel. (Matthew 15:24) অর্থাৎ আমি শুধু মাত্র বনি ইসরাইলের পথভ্রষ্ট মেষ গুলিকে পথ দেখাতে এসেছি। তিনি যখন তাঁর প্রধান ১২ জন শিষ্যকে প্রচার কাজে বাইরে পাঠিয়ে দিলেন তখন তাদের উপদেশ দিলেন, ÒDo not go among the Gentiles or enter any town of the Samaritans. Go rather to the lost sheep of Israel.” (Matthew 10:5-6) অর্থাৎ “তোমরা অন্যজাতিগুলির কাছে যেও না এবং সামারিয়ান শহরে, নগরে প্রবেশ কোরো না। শুধুমাত্র এসরাইলী পথভ্রষ্ট মেষগুলির কাছে যেতে থাকবে।”
এভাবে ঈসা (আ:) যখন তাঁর প্রচার কাজ শুরু কোরলেন তখন সেই চিরাচরিত ব্যাপারের পুনরানুষ্ঠান আরম্ভ হোয়ে গেল অর্থাৎ পূর্ববর্তী দীনের, মুসা (আ:) এর আনিত দীনের ভারসাম্যহীন বিকৃত রূপের যারা ধারক বাহক ছিলেন তারা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। সেই পুরোনো কারণ আত্মম্ভরিকতা! কী? আমরা সারাজীবন ধরে বাইবেল চর্চা কোরলাম, এর প্রতি শব্দ নিয়ে গবেষণা কোরে কত রকমের ফতোয়া আবিষ্কার কোরলাম, এসব কোরে আমরা রাব্বাই, সাদ্দুসাই হোয়েছি। আর এই সামান্য কাঠমিস্ত্রির ছেলে কি না আমাদের ধর্ম শেখাতে এসেছে! ঈসা (আ:) তাদেরকে বড় বড় মো’জেজাগুলো দেখানোর পরও তারা কেউই তাঁকে স্বীকার কোরল না। শুধুমাত্র সমাজের নিুশ্রেণির হাতে গোনা কিছু ইহুদি তাঁর প্রতি ঈমান আনলো।
দীর্ঘ তিন বছরের প্রচেষ্টায় মাত্র ৭২ জন মতান্তরে ১২০ জন ইহুদি তাঁর উপর ঈমান আনলো ও তাঁর দেখানো পথে চোলতে শুরু কোরল। কিন্তু বিকৃত দীনের ধারক বাহক রাব্বাই, সাদ্দুসাইরা তাদের তখনকার প্রভু রোমানদের কে এই কথা বোঝাতে সক্ষম হোল যে, ভবিষ্যতে ঈসা (আ:) রোমানদের প্রভুত্বের ক্ষেত্রে বড় হুমকি হিসাবে আবির্ভূত হবে। ফলে এই পুরোহিতরা রোমানদের সাহায্য নিয়ে ঈসা (আ:) কে হত্যার চূড়ান্ত ব্যবস্থা কোরল। তখন আল্লাহ তাকে স্বশরীরে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাঁর যে শিষ্য তাঁকে রোমানদের হাতে ধরিয়ে দিতে চেয়েছিল তার চেহারা অবিকল ঈসা (আ:) এর মত কোরে দিলেন। ফলে তারা তাকে ঈসা (আ:) মনে কোরে হত্যা কোরল। এই ঘটনার পর ঈসার (আ:) যে ৭২ জন অনুসারী ছিলো তারা প্রাণভয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে গেল। গোপনে ব্যক্তিগতভাবে ঈসা (আ:) এর পথে চলা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় রোইলো না।
কিছুদিন পর পল নামের একজন লোক ঈসা (আ:) এর উপর বিশ্বাস আনলো। তবে তার পরবর্তী কাজগুলো বিবেচনা কোরলে বোঝা যায় যে, ঈসা (আ:) এর অনুসারীদের মাঝে ঢুকে তাদেরকে পথভ্রষ্ট করাই ছিলো তার উদ্দেশ্য। ঈসা (আ:) তাঁর অনুসারীদেরকে বারবার যে কাজে সাবধান কোরে দিয়েছিলন অর্থাৎ অ-ইহুদিদের মাঝে তাঁর শিক্ষা প্রচার করা যাবে না। কিন্তু পল তাঁর অনুসারীদেরকে এই শিক্ষা ইহুদিদের বাইরে প্রচার করার জন্য প্রস্তাব দিলো। প্রথমত ঈসা (আ:) এর শিষ্যরা তার এই প্রস্তাবে ভয়ানক ভয় পেয়ে গেলেন। কারণ এটা সরাসরি তাদের শিক্ষকের শিক্ষার বিপরীত। কিন্তু পল তাদের মত বদলাতে সমর্থ হোলেন সম্ভবত এই যুক্তিতে যে, বনি ইসরাইলিদের মধ্যে ঈসা (আ:) এর শিক্ষা প্রচার অসম্ভব যেখানে ঈসা (আ:) নিজে ব্যর্থ হোয়ে গিয়েছেন সেখানে শিষ্যরা যে হতাশ হবেন তাতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই। তাই ঈসা (আ:) এর এই শিক্ষাকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে তারা তাঁদের শিক্ষকের সাবধানবাণীকে প্রত্যাখ্যান কোরে এই শিক্ষাকে বাইরে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিলেন। পল কিন্তু ঈসা (আ:) এর কাছে থেকে সরাসরি তাঁর শিক্ষা গ্রহণ কোরতে পারেনি, তাই তাঁর শিক্ষার আসল মর্মবাণী সে পায় নি। কিন্তু যখন ঈসা (আ:) এর শিক্ষাকে বাইরে প্রচার করা শুরু হোল তখন পল হোয়ে গেলেন ঐ ধর্মের অন্যতম একজন প্রবক্তা। কাজেই তিনি যে শিক্ষা প্রচার কোরেছিলেন তা যে শুধু ঈসা (আ:) এর ধর্মের থেকে বহু দূরে তাই নয়, প্রধান প্রধান ব্যাপারে একেবারে বিপরীত।
এই প্রচারের ফলে অ-ইহুদিদের মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য অংশ এই শিক্ষা গ্রহণ কোরে পলের উপদেশ মতো তাদের জীবন পরিচালনা কোরতে লাগলো। পল তার ইচ্ছামত এই শিক্ষাকে যোগ বিয়োগ কোরে নতুন এক ধর্মের সৃষ্টি কোরল। যা মুসা (আ:) এর ধর্মও নয়, ঈসা (আ:) এর আনীত আত্মিক ভাগও নয়, পলের হাতে পড়ে সম্পূর্ণ নতুন এক ধর্মই সৃষ্টি হোয়ে গেল যাকে খ্রিস্ট ধর্ম না বোলে পলীয় ধর্ম বোললেও ভুল হবে না। এই খ্রিস্ট ধর্ম রূপী, কার্যতঃ পলীয় ধর্মটি ক্রমে ক্রমে সমস্ত ইউরোপে গৃহীত হোয়ে গেল। তবে আসল ব্যাপারটা ঘোটলো এখনই। যুগে যুগে মানুষ তদের সমষ্টিগত জীবন পরিচালনা কোরে এসেছে ধর্মের বিধান দিয়ে। ধর্মের বিকৃত পুরোহিতদের হস্তক্ষেপের ফলে ঐ ধর্মের আসল রূপ বিকৃত হোয়ে গেলেও কিন্তু ঐ বিকৃত রূপকেই ধর্মের বিধান বোলেই চালাতে হোয়েছে।
রাষ্ট্র সর্বদাই চোলেছে ধর্মীয় বিধি বিধান, আইন কানুন দ্বারা। স্বভাবতই খ্রিস্টধর্মকে যখন সমস্ত ইউরোপ একযোগে গ্রহণ কোরে নিল তখন তারাও চেষ্টা কোরল খ্রিস্টধর্মকে দিয়ে তাদের জাতীয় জীবন পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু খ্রিস্টধর্মে তো কোন আইন কানুন, দণ্ডবিধি নেই এটা ইহুদি ধর্মের হারিয়ে যাওয়া আত্মাকে পুনঃস্থাপনের এক প্রক্রিয়ামাত্র। জাতীয় জীবন পরিচালনার জন্য যা কিছু দরকার তা ইহুদিদের কাছে অবিকৃত ছিল। কিন্তু ইহুদি ধর্ম থেকে ঈসা (আ:) এর আনিত আত্মিক ভাগকে পৃথক কোরে ফেলায় খ্রিস্টধর্ম সমষ্টিগত জীবন পরিচালনা কোরতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হোল। তবুও ঐ চেষ্টা করা হোল এবং কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা গেলো যে, এ অচল, অসম্ভব। প্রতিপদে ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক অঙ্গনে সংঘাত আরম্ভ হোল। এই সংঘাতের বি¯তৃত বিবরণে না গিয়ে শুধু এটুকু বোললেই চোলবে যে, এই সংঘাত এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ইউরোপীয় নেতা, রাজাদের সামনে দুইটি মাত্র পথ খোলা রোইল। হয় এই জীবন ব্যবস্থা বা ধর্মকে সম্পূর্ণ ত্যাগ কোরতে হবে। আর নইলে তাকে নির্বাসন দিতে হবে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষুদ্র গণ্ডির ভেতরে। তৃতীয় আর কোন রাস্তা রোইল না। যেহেতু সমস্ত ইউরোপের মানুষকে নাস্তিক বানানো সম্ভব নয়, কাজেই তারা দ্বিতীয় পথটাকেই বেছে নিলো। অষ্টম হেনরীর সময় ইংল্যাণ্ডে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মকে সার্বিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন কোরে ব্যক্তিগত জীবনে নির্বাসিত করা হয়। ইংল্যাণ্ডের পরে ক্রমে ক্রমে সমস্ত খ্রিস্টান জগত এই নীতি গ্রহণ ও প্রয়োগ কোরতে বাধ্য হোল। এরপর থেকে খ্রিস্টান জগতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, আইন দণ্ডবিধি ইত্যাদি এক কথায় জাতীয় জীবনে স্রষ্টার আর কোন কর্তৃত্ব রোইল না। জন্ম হোল ধর্মনিরেপেক্ষতার।
আপাতদৃষ্টিতে এই ঘটনাটিকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে না হোলেও মানবজাতির ইতিহাসে এই ঘটনাটি সবচেয়ে বড় ঘটনা। এই প্রথম মানুষ তাদের জাতীয় জীবন থেকে ধর্মকে প্রত্যাখ্যান করে। ধর্মকে জাতীয় জীবন থেকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে নির্বাসন দেওয়ার ফলে হয়তো এ আশা করা যেতো যে জাতীয় জীবনে ন্যায়-অন্যায়ের মানদণ্ড না থাকায় সেখানে যত অন্যায়ই হোক ধর্মের প্রভাবে ব্যক্তি জীবনে মানুষ ন্যায়পরায়ণ ও মানবিক মূল্যবোধ পূর্ণ থাকবে। কিন্তু তাও হয় নি। কারণ মানুষের শিক্ষা ব্যবস্থার ভার রোইল ঐ ধর্মনিরপেক্ষ অর্থাৎ ধর্মহীন, ন্যায়-অন্যায় বোধহীন জাতীয় ভাগটার হাতে। সুতরাং অনিবার্য ফলস্বরূপ ব্যক্তিগত জীবন থেকেও ধর্মের প্রভাব আস্তে আস্তে লুপ্ত হোয়ে যেতে শুরু কোরল। স্রষ্টার দেয়া জীবন-বিধানে যে দেহ ও আত্মার ভারসাম্য ছিলো তার অভাবে ঐ শিক্ষা ব্যবস্থায় যে মানুষ সৃষ্টি হোতে লাগলো তাদের শুধু একটি দিকেরই পরিচয় লাভ হোল- দেহের দিক, জড়, স্থূল দিক, স্বার্থের দিক, ভোগের দিক। জীবনের অন্য দিকটার সাথে তাদের পরিচয় বিলুপ্ত হোয়ে গেছে। অর্থাৎ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ সৃষ্টি কোরে তা জাতীয় জীবনে প্রয়োগ করার ফলে শুধু জাতীয় জীবনই অন্যায়-অত্যাচার, অশান্তি ও রক্তপাতে পূর্ণ হোয়ে যায় নি, যেখানে ধর্মকে টিকে থাকার অধিকার দেয়া হোয়েছিল অর্থাৎ ব্যক্তি জীবনে, সেখানেও অধিকাংশ মানুষের জীবন থেকে ধর্ম বিদায় নিয়েছে, নিতে বাধ্য হোয়েছে। দেহ থেকে আত্মা পৃথক করার পরিণাম এই হোয়েছে যে, মানুষের মনুষ্যত্ব লোপ পেয়ে তাদের ব্যক্তিত্ব পশুর পর্যায়ে নেমে গেছে। আপাতদৃষ্টিতে আমরা সমাজে প্রচলিত অন্যায় অপরাধের জন্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে দায়ী কোরে থাকি কিন্তু একটু গভীরে গেলেই আমরা দেখবো যে, এই সকল অশান্তির জন্য এই ধর্মনিরপেক্ষ সিস্টেমই দায়ী। মানুষ প্রকৃতপক্ষে কাদামাটির ন্যায়। এই কাদামাটিকে যে ছাঁচ বা ডাইসের মধ্যেই ফেলা হবে, কাদামাটি সেই ডাইসের আকার ধারণ কোরবে। কখনও কোন মানুষ মায়ের গর্ভ থেকে চোর হোয়ে, ডাকাত হোয়ে, অন্যায়কারী, দুর্নীতিবাজ হোয়ে জন্ম নেয় না। কিন্তু অন্যায় সমাজব্যবস্থার প্রভাবে তারা ধীরে ধীরে এমন অপরাধী চরিত্রের হোয়ে যায়। অন্যান্য জাতির মতো আমরাও এমনই এক স্রষ্টা বিবর্জিত আত্মাহীন সিস্টেম গ্রহণ কোরেছি, যার আবশ্যম্ভাবী ফল আমরা এড়াতে পারছি না। মানুষ হোয়ে যাচ্ছে আত্মাহীন জানোয়ার। এই সিস্টেমে খুব সহজেই মানুষের সদগুণাবলিকে অসদগুণাবলী দ্বারা প্রতিস্থাপিত হোচ্ছে। শত চেষ্টা কোরেও মানুষ ভালো হোয়ে থাকতে পারছে না। সুতরাং মানুষকে মনুষ্যত্ব ফিরে পেতে হোলে ধর্মনিরপেক্ষ জীবনব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান কোরে আল্লাহর দেওয়া ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করাই এখন একমাত্র সমাধান।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ