Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

মোসলেম বিশ্বে রক্তাক্ত ঈদ মুক্তির পথ হেযবুত তওহীদ


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

061কষ্টের রং নাকি নীল। আনন্দের রং কি তবে লাল? মনোবিজ্ঞানীরা কি বোলবেন জানি না, তবে এবারে মধ্যপ্রাচ্যে মোসলেম দাবিদার জনগোষ্ঠীর ঈদ আনন্দের রং যে গাঢ়ো লাল এ কথা সবাই স্বীকার কোরবেন। প্রতিবছরের মত এবারও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের অন্ধ পাশবিক আগ্রাসন চরম মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। তবে সে বিপর্যয় বাকি মোসলেম বিশ্বের তথাকথিত মুসলমানদের হৃদয়ে কোনো বাস্তব আবেদন সৃষ্টি কোরতে সক্ষম হয় নি। কারণ মৃত জাতির হৃদয়ও থাকে মৃত। টিভিতে সন্তানের রক্তাক্ত লাশ বুকে জড়িয়ে ফিলিস্তিনি মায়ের আহাজারি দেখে রোজ রাতের খাবার খাচ্ছে মানুষ। অমোসলেম দেশগুলির সরকার-প্রধানরা জানাচ্ছেন আনুষ্ঠানিক নিন্দাবাদ, মোসলেম বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান এবং আরব লীগ, ওআইসি, গালফ কো-অপারেশান কাউন্সিল, আরব-মাগরেব ইউনিয়ন, ওপেক ইত্যাদি অর্থগৃধœু দালাল সংগঠনগুলি কান-চোখ-মুখ বন্ধ কোরে বসে আছেন।
কিছুদিন আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নাম কোরে ইরাকের বুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিজ দেশে বীরের বেশে ফিরে গেছে ইঙ্গ-মার্কিন সেনাবাহিনী। রেখে গেছে ১০ লক্ষ মানুষের গণকবর। সেই রণদামামার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার কালো পতাকা উড়িয়ে এসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার নাম কোরে ইরাকে আগ্রাসন বিস্তার কোরছে সুন্নী দস্যুর দল। সরকার শিয়া সমর্থিত, তাই তারা কাফের। পার্শ্ববর্তী দেশ ইরান শিয়াদের স্বর্গভূমি, তারা ইরাক আক্রমণকারী সুন্নীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে সুন্নীরা কাফের। ইরাকের সীমান্তরেখা সিরিয়ার সঙ্গে। সেদেশেও গত তিন বছর ধোরে চোলেছে সরকারি-বিদ্রোহী দাঙ্গার নেপথ্যে শিয়া সুন্নী দাঙ্গা যাতে চড়ামূল্যে অস্ত্রব্যবসা কোরে যাচ্ছে পশ্চিমা পরাশক্তিগুলি, আর নিজেদের ধর্ম-ব্যবসা আর জান্তব ভোগবিলাসের বীমা হিসাবে মোসলেম হত্যাকাণ্ডের ব্যয় বহন কোরছে পশ্চিমাদের পা-চাটা আরবীয় রাজতন্ত্রগুলি।
যে অপরাধ ধর্মের নামে করা হয়, তার চেয়ে বড় কোনো অধর্ম নেই। আই.এস.আই.এল., আল কায়েদা, তালেবান, ইখওয়ানুল মোসলেমীন, এসলামিক সালভেশান ফ্রন্ট ইত্যাদি সংগঠনগুলি আল্লাহর দরবারে সেই অপরাধে অভিযুক্ত। কারণ তারা যেটাকে এসলাম হিসাবে প্রতিষ্ঠা কোরতে চাচ্ছে বা কোরছে সেটা আল্লাহ-রসুলের প্রকৃত এসলামের ঠিক বিপরীত, তাদের কর্মকাণ্ড দ্বারা ‘এসলাম’ শব্দটিই বরং কলঙ্কিত হোচ্ছে। প্রকৃত এসলাম পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে আজ থেকে ১৩০০ বছর আগে। তখন থেকেই মোসলেম নামক জাতিটির পচন শুরু হোয়েছে। আজ সেটা ১৬০ কোটি জনসংখ্যার সমন্বয়ে গঠিত বিরাট এক লাশের আকৃতি নিয়ে অর্ধ-পৃথিবী জুড়ে পড়ে আছে, আর যেখানে যে পাচ্ছে সেখানেই এই লাশকে পেটাচ্ছে, থেঁতলে দিচ্ছে, থুথু দিচ্ছে। কিন্তু লাশ নির্বিকার। সে মহাসমারোহে প্রস্তুতি নিচ্ছে আরেকটি ঈদ উদ্যাপনের। এলো খুশির ঈদ। এই রমজানে যে পরিবারের ছোট্ট শিশুটি ঘাতক বোমায় প্রাণ হারালো, তার পরিবারে এই ঈদ কতটুকু খুশি বয়ে আনছে সেটা ভেবে দেখার ফুসরত নেই কারো। এমনই অন্ধ সময়ে আলোর দিশা নিয়ে আবির্ভূত হোয়েছেন এক মহামানব, হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এ যামানার এমাম জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। তাঁর মাধ্যমে আল্লাহ সেই হারিয়ে যাওয়া এসলামের প্রকৃত রূপরেখা মানবজাতির কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর অনুসারীরা তাদের সামর্থ্যরে সবটুকু ঢেলে দিয়ে চেষ্টা কোরে যাচ্ছেন শিয়া-সুন্নী, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি নামধারী সকল পথভ্রষ্ট জনগোষ্ঠীকে সনাতন সত্যের ভিত্তিতে, এক আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত করার জন্য। এবারের ঈদসংখ্যায় আমরা সেই মহাসত্যের আলোকচ্ছটাকে ছাপার অক্ষরে তুলে ধরার চেষ্টা কোরলাম।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ