Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

টাঙ্গাইলে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সুধী সমাবেশ


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

tangailটাঙ্গাইল জেলা পাবলিক হলে (ভাসানী হল) হেযবুত তওহীদ আয়োজিত “ধর্মবিশ্বাস- এক বৃহৎ সমস্যার সহজ সমাধান” শীর্ষক আলোচনা সভা ও সুধী সমাবেশে মঞ্চে উপবিষ্ট (বাম থেকে) হেযবুত তওহীদের টাঙ্গাইল জেলার আমীর মোঃ সাজ্জাদ কাদির খান, হেযবুত তওহীদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, হেযবুত তওহীদের আমীর মসীহ উর রহমান, দৈনিক বজ্রশক্তির উপদেষ্টা ও দৈনিক দেশেরপত্রের সাবেক সম্পাদক রুফায়দাহ্ পন্নী, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর খান মেনু, দৈনিক বজ্রশক্তির উপদেষ্টা  ও মাননীয় এমামুয্যামানের বড় মেয়ে উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্নী ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান।

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতি ও ধর্মবিশ্বাসের অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ‘ধর্মবিশ্বাস- এক বৃহৎ সমস্যার সহজ সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২০ মে, ২০১৫ তারিখে টাঙ্গাইল জেলা পাবলিক হলে (ভাসানী হল) দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার সৌজন্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর খান মেনু। টাঙ্গাইল জেলা হেযবুত তওহীদের আমীর মোঃ সাজ্জাদ কাদির খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, হেযবুত তওহীদের আমীর মসীহ উর রহমান, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদুল হাসান, দৈনিক বজ্রশক্তির উপদেষ্টা রুফায়দাহ্ পন্নী ও উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্নী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম হুসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ধর্মবিশ্বাস বা ঈমান আমাদের শক্তি, আমাদের সম্পদ। আসুন আমরা এই ঈমানকে জাতির অকল্যাণে নয়, বরং মানবতার কল্যাণের কাজে লাগাই। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই ধর্মবিশ্বাসী, যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ আল্লাহ ও রসুলকে বিশ্বাস করেন, পরকালীন নাজাতের জন্য অনেক আমল করেন, এমনকি ইসলামের জন্য অনেকে মৃত্যুকেও পরোয়া করেন না। তাদের এই ঈমানী চেতনাকে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি বারবার ভুল খাতে প্রবাহিত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছেন এবং দেশে হানাহানি, দাঙ্গা, অপরাজনীতি ও জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটিয়েছে। এভাবে একটি সমাজ যখন অন্যায় অশান্তিময় হয়ে ওঠে তখন সেই সমাজকে শান্তিময় করে তোলা রাষ্ট্রের একার পক্ষে সম্ভব হয় না। তখন নিজের স্বার্থ না ভেবে জাতির জন্য ভূমিকা রাখা সমাজের প্রতিটি মানুষের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহর শেষ রসুল (স.) এবং তাঁর আসহাবগণ জাহেলিয়াতে পূর্ণ পৃথিবীর যাবতীয় অন্যায় অবিচার দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজেদের যাবতীয় সম্পদ ও শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত নিঃশেষ করে গেছেন। বক্তারা টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমাম এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজিদ খান পন্নীর কথা স্মরণ করে বলেন, এ লক্ষ্যেই তিনি নিজের জীবন ও সম্পদ ব্যয় করে গেছেন। তার শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধভাবে মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হওয়া উচিত। যে ঈমান দুনিয়াতে মানুষের কল্যাণে কাজে আসে না, সেই ঈমান পরকালেও কোন কাজে আসবে না বলে অভিমত প্রকাশ করেন বক্তারা। ধর্মীয়-রাজনৈতিক বিভক্তি, জঙ্গিবাদ, ধর্ম ব্যবসাসহ সকাল অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার কাজে সকলকে অংশ নিতে আহ্বান জানান তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর খান মেনু বলেন, ‘একজন প্রকৃত মানুষ তখনই হওয়া যায়, যখন সে পরিশুদ্ধ হয়, যখন সে মানবতার কল্যাণে কাজ করে। উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সব জায়গায় সেজদা দিয়েও কোন লাভ হবে যদি আপনার দ্বারা আপনার প্রতিবেশী উপকৃত না হয়।’ আল্লাহর রসুল (স) এর ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি দেশপ্রেমের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জাল হাদিস ও ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বর্তমানে বিভ্রান্ত করা হয়ে থাকে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আলমগীর খান। রসুল (স.) এর হাদিস উল্লেখ করে বলেন, ‘মোমেন ওই ব্যক্তি যার কাছে সকলের জান-মাল নিরাপদ থাকে। যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন না।’ নামাজ রোজা করলেই মোমেন হওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার দ্বারা মানবতার কল্যান হয় না সে মোমেন না। হেযবুত তওহীদের কর্যক্রমের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে তিনি এর সাফল্য কামনা করেন।

হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্ম সেলিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘একটি মন্তব্য আমাদের ব্যাপারে করা হয়ে থাকে যে, হেযবুত তওহীদ ভালো ভালো কথা বলে, কিন্তু আসলে তারা শেষ পর্যন্ত কোনদিকে যাবে, তাদের মনের ভিতরে কী পরিকল্পনা আছে তা বোঝা মুশকিল। আজকে আমি এই প্রশ্নের উত্তরটি পরিষ্কার করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ, আমাদের দেহ ও আত্মা, ইহকাল ও পরকাল দুটোই আছে। আল্লাহ কোনো কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করেন নি, তাই মানুষের জীবনে অনর্থক কোনো কাজ করা অনুচিত। আল্লাহ মানুষকে শ্রেষ্ঠ জীব করেছেন, সে তার কাজের দোষে নিকৃষ্ট প্রাণিতে পরিণত হয়। আমি আজ থেকে প্রায় সতের বছর আগে মাননীয় এমামুয্যামানের সংবাদ জানতে পেরে তাঁর কাছে আসি। তখন আমি ছাত্র। আমি তাঁর অবয়ব দেখে এবং তাঁর কথা শুনে বিস্মিত হয়ে যাই। তিনি আমাকে বললেন, আল্লাহ আমাদেরকে কী উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, কী উদ্দেশ্যে উম্মতে মোহাম্মদী নামক জাতিটি সৃষ্টি করেছেন, আজকে আটলান্টিকের তীর থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত যে মুসলিম নামক জাতিটি একটি মরা লাশের মতো পড়ে আছে, মার খাছে, অন্যায় অশান্তিতে পূর্ণ হয়ে আছে এর কারণ কী, এ থেকে মুক্তির পথ কী? তিনি বললেন, আমরা জেনেছি আইয়ামে জাহেলিয়াতে পিতা তার কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিত, তারা পরস্পর মারামারি, হানাহানিতে বংশ পরম্পরায় মগ্ন থাকত, সেই জাতিকে আল্লাহর রসুল কীভাবে এমন একটি আদর্শ জাতিতে পরিণত করেছিলেন। এমন শান্তি তিনি কীভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে, মানুষ উটের পিঠে খাবার বোঝাই করে ঘুরে বেড়াত কিন্তু তা গ্রহণ করার মতো গরীব মানুষ খুঁজে পেত না, একজন যুবতী নারী একা শত শত মাইল পথ একা অতিক্রম করত, তার মনে কোনো ভয় জাগ্রত হতো না। এই সমাজটা রসুল কীভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটাই এমামুয্যামান আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তিনি যখন বললেন, ধর্ম এসেছে মানুষের কল্যাণে, এর বিনিময়ে কেউ অর্থ নিতে পারবে না, সেটা আল্লাহ হারাম করেছেন, তখন ধর্মব্যবসায়ী আলেম ওলামারা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে দেয় যে, পন্নী সাহেব খ্রিষ্টান হয়ে গেছেন, তিনি মুরদাত, কাফের হয়ে গেছেন। মানুষ তাদের লেবাস দেখে তাদের সব কথা বিশ্বাস করে, এ কথাও তারা বিশ্বাস করল। এভাবে আমাদেরকে এতগুলো বছর কথা বলতে দেওয়া হয় নাই। কিন্তু আমরা বলছি, রাষ্ট্র নিয়ে সমাজ নিয়ে এ জাতিকে ভাবতে হবে। তারা শুধু ব্যক্তি ও পরিবার নিয়ে ভাবে, কিন্তু সমাজ ধ্বংস হয়ে গেলে, রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে গেলে ব্যক্তি বা পরিবার কিছুই থাকে না। এজন্য ব্যক্তিকেও সমাজ রাষ্ট্র নিয়ে ভাবতে হবে। আজকে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তান, প্যালেস্টাইন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের বিরুদ্ধেও চলছে হাজারো ষড়যন্ত্র, এর মোকাবেলার পথ ষোল কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে একটি আদর্শ লাগবে। স্বার্থপর মানুষ কখনো জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হবে না। সেই আদর্শ আল্লাহ দয়া করে হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সেই দেশের কল্যাণে এগিয়ে আসার শিক্ষা দেওয়া হয় না। তার প্রমাণ একটি শিক্ষাব্যবস্থা বানায় পরহেজগাররূপী ধর্মব্যবসায়ী, আরেকটি শিক্ষাব্যবস্থা বানায় দুর্নীতিবাজ টাকার কুমির। এখন জাতিকে প্রকৃত শিক্ষা দিতে হবে। সেটা আমাদের কাছে আছে। কিন্তু আমাদের একার পক্ষে এত বড় কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার, প্রশাসন, রাজনীতিবিদসহ সকল শ্রেণির মানুষের সহযোগিতা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। আর এজন্য আপনাদের কাছে আমাদের আগমণ। আমরা আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশী।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমি আগে মুসলমান পরে বাঙ্গালি। বাঙ্গালি জাতি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পর্যন্ত বাঙ্গালি যে বীরত্ব দেখিয়েছে তা সত্যিই গর্ব করার মত।’ তিনি আরো বলেন, ‘ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, তারা বরাবরই স্বাধীনতার বিরোধিতা করে এসেছে। তারা বাংলার ধর্মভিরু, সহজ-সরল মানুষকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করে আসছে। ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে তাদের উদরপূর্তি করছে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষে মানুষে হানাহানি, কাটাকাটি, দাঙ্গা, ফাসাদ বর্তমান সমাজের সাধারণ চিত্র। কিন্তু এক সময় মানুষে মানুষে ছিল সম্প্রীতি, সোহার্দ্য, ভালোবাসা ও সম্মান। আমাদের আবার জাগ্রত হতে হবে। সেই শান্তির সমাজ গড়তে হবে যে সমাজে থাকবে না কোন অন্যায়, অবিচার আর অশান্তি।’ ‘ধর্ম মানবতার জন্য, ধর্ম শান্তির জন্য’ উল্লেখ করে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য হেযবুত তওহীদের প্রশংসা করেন এবং এর সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে “ধর্মবিশ্বাস- এক বৃহৎ সমস্যার সহজ সমাধান” শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ