Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

এই ‘কেন’র জবাব দেবার আমি চেষ্টা কোরছি-


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/htmain/public_html/wp-content/plugins/elementor-pro/modules/dynamic-tags/tags/post-featured-image.php on line 36

তার আগে নামায শব্দটা ব্যবহার না কোরে সালাহ্ শব্দ কেন ব্যবহার কোরছি তা বোলে নেয়া দরকার। এ উপমহাদেশে সালাতের বদলে নামায শব্দটা ব্যবহারে আমরা এতটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে সালাহ্ বোললে অনেকে বুঝিই না সালাহ্ কি। কোরানে কোথাও নামায শব্দটা নেই কারণ কোরান আরবী ভাষায় আর নামায পার্শি অর্থাৎ ইরানী ভাষা। শুধু ঐ নামায নয় আরও অনেক শব্দ আমরা ব্যবহার কোরি যা কোরানে নেই। যেমন খোদা, রোযা, বেহেশত, দোযখ, ফেরেশতা, জায়নামায, মুসলমান, পয়গম্বর ইত্যাদি। এই ব্যবহার মোসলেম দুনিয়ায় শুধু ইরানে এবং আমাদের এই উপমহাদেশে ছাড়া আর কোথাও নেই। এর কারণ আছে। কারণটা হোল- ইরান দেশটি সমস্তটাই অগ্নি-উপাসক ছিলো। আল্লাহর নবীর সুন্নাহ পালনের জন্য উম্মতে মোহাম্মদী যখন ইরানকে তিন শর্ত্তের একটি মেনে নেয়ার আমন্ত্রণ দিলো তখন ইরান পৃথিবীর দুই বিশ্বশক্তির একটি; অন্যটি খ্রীস্টান রোমান। ঐ তিন শর্ত্ত হোল-
১) আল্লাহর রসুল সত্য দীন নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন- এই দীন মেনে নিয়ে মোসলেম হোয়ে যাও, তাহোলে তোমরা আমাদের ভাই হোয়ে যাবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসুল এই দীনকে সমস্ত পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করার যে দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পণ কোরেছেন, সে দায়িত্ব তোমাদের ওপরও বর্ত্তাবে। ২) যদি তা গ্রহণ না করো তবে আমাদের বশ্যতা স্বীকার করো, আমরা আল্লাহর দেয়া দীন, কোরআনের আইন-কানুন, দ-বিধি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু কোরবো; তোমরা যার যার ধর্মে থাকবে, আমরা বাধাতো দেবই না বরং সর্বপ্রকারে তোমাদের এবং তোমাদের ধর্মকে নিরাপত্তা দেব; বিনিময়ে তোমাদের যুদ্ধক্ষম লোকেরা বার্ষিক সামান্য একটা কর দেবে, যার নাম জিজিয়া। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, স্ত্রীলোক, রোগগ্রস্ত মানুষ এবং বালক-বালিকা, শিশুগণকে এ কর দিতে হবে না। এর পরও তোমাদের রক্ষার জন্য যুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে যেসব যুদ্ধক্ষম লোক আমাদের পক্ষ হোয়ে যুদ্ধ কোরবে তাদের ঐ জিজিয়া দিতে হবে না। ৩) যদি এই দুই শর্ত্তের কোনটাই না মেনে নাও তবে যুদ্ধ ছাড়া আর পথ নেই। আমরা তোমাদের আক্রমণ কোরে পরাজিত কোরে আল্লাহর দীন, জীবন-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা কোরবো।
এটা ইতিহাস যে প্রচ- শক্তিশালী, অন্যতম বিশ্বশক্তি ইরান অবজ্ঞাভরে ঐ প্রথম দুই শর্ত্ত উপেক্ষা কোরে তৃতীয় শর্ত্ত যুদ্ধকেই বেছে নিয়েছিলো ও অল্প সময়ের মধ্যে ঐ ছোট্ট উম্মতে মোহাম্মদীর কাছে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হোয়ে গিয়েছিলো। পরাজিত হবার পর প্রায় সমস্ত ইরানী জাতিটি অল্প সময়ের মধ্যে পাইকারী ভাবে দীন ইসলাম গ্রহণ কোরে মোসলেম হোয়ে গিয়েছিলো। এই ঢালাও ভাবে মোসলেম হোয়ে যাবার ফলে তারা ইসলামের প্রকৃত উদ্দেশ্য কি তা পূর্ণভাবে বুঝতে সমর্থ হোল না অর্থাৎ তাদের আকীদা সঠিক হোল না। তারা ইসলামে প্রবেশ করলো কিন্তু তাদের অগ্নি-উপাসনার অর্থাৎ আগুন পূজার সময়ের বেশ কিছু বিষয় সঙ্গে নিয়ে ইসলামে প্রবেশ কোরলো। আগুন উপাসনাকে তারা নামায পড়া বলতো, সালাহ্-কে তারা নামায বোলতে শুরু কোরলো, তাদের অগ্নি-উপাসনার ধর্মে উপবাস ছিলো, তারা সাওমকে রোযা অর্থাৎ উপবাস বোলতে লাগলো, মোসলেমকে তারা পার্শি ভাষায় মুসলমান, নবী-রসুলদের পয়গম্বর, জান্নাহ-কে বেহেশত, জাহান্নামকে দোযখ, মালায়েকদের ফেরেশতা এমন কি মহান আল্লাহর নাম পর্যন্ত পরিবর্ত্তন করে খোদা ইত্যাদিতে ভাষান্তর কোরে ফেললো। শুধু যে সব ব্যাপার আগুন পূজার ধর্মে ছিলো না, সেগুলি স্বভাবতই আরবী শব্দেই রোয়ে গেল; যেমন যাকাহ, হজ্ব ইত্যাদি। তারপর মোসলেম জাতি যখন ভারতে প্রবেশ কোরে এখানে রাজত্ব কোরতে শুরু কোরলো তখন যেহেতু তাদের ভাষা পার্শি ছিলো সেহেতু এই উপমহাদেশে ঐ পার্শি শব্দগুলির প্রচলন হোয়ে গেলো। এক কথায় বলা যায় যে, আরবের ইসলাম পারস্য দেশের ভেতর দিয়ে ভারতে, এই উপমহাদেশে আসার পথে পার্শি ধর্ম, কৃষ্টি ও ভাষার রং-এ রং বদলিয়ে রঙ্গীন হোয়ে এলো।
ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম:- অগ্নি-উপাসক ইরান না হোয়ে যদি মুর্ত্তিপূজক হিন্দু ভারত উম্মতে মোহাম্মদীর কাছে সামরিকভাবে পরাজিত হোয়ে ইসলাম ভালো কোরে না বুঝেই ব্যাপকভাবে, ঢালাওভাবে এই দীনে প্রবেশ কোরতো তবে তারা সালাহ্-কে পূজা বা উপাসনা, সাওমকে উপবাস, নবী-রসুলকে অবতার, জান্নাহ-কে স্বর্গ, জাহান্নামকে নরক, মালায়েকদের দেবদূত, দেবতা, আল্লাহকে ভগবান বা ঈশ্বর ইত্যাদি চালু কোরে ফেলতো এবং আমরা যেমন এখন নামায, রোযা, বেহেশত, দোযখ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, খোদা শব্দগুলি ব্যবহার কোরি তেমন কোরে ঐ ভারতীয় শব্দগুলি ব্যবহার কোরতে অভ্যস্ত হোয়ে যেতাম।
আমরা হেয্বুত তওহীদ এই পার্শি শব্দগুলির ব্যবহার ত্যাগ কোরে আল্লাহ কোরানে যে শব্দগুলি ব্যবহার কোরেছেন সেই শব্দগুলি আবার চালু করার চেষ্টা কোরছি। মহান আল্লাহ পবিত্র র্কোআনে সতর্ক করে বোলে দিয়েছেন যে, আল্লাহর আছে সুন্দর সুন্দর নাম, তোমরা তাঁকে সে নামেই ডাক, যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন কোরবে (সুরা আরাফ- ১৮০) তাই খোদা শব্দের বদলে আল্লাহ, নামাযের বদলে সালাহ্ এবং রোযার বদলে সাওম শব্দের আমাদের এই ব্যবহার।
মহান আল্লাহ এই মহাসৃষ্টির বিশাল থেকে ক্ষুুদ্রতম যা কিছু সৃষ্টি কোরেছেন তাঁর প্রত্যেকটারই কোন না কোন উদ্দেশ্য আছে; উদ্দেশ্যহীন একটি অণু বা পরমাণুও তিনি সৃষ্টি করেন নাই। তেমনি, তিনি মানব জাতিকে যা কিছু আদেশ-নিষেধ কোরেছেন তারও প্রত্যেকটিরই কোন না কোন উদ্দেশ্য আছে, উদ্দেশ্যহীন একটি ক্ষুদ্রতম আদেশও দেন নাই, কারণ তিনি সোবহান; নিখুঁত, ত্রুটিহীন। যিনি ক্ষুদ্রতম আদেশও উদ্দেশ্যহীন ভাবে দেবেন না তিনি যে সালাতের আদেশ আশীবারেরও বেশী দিয়েছেন তা কি উদ্দেশ্যহীন হোতে পারে? অবশ্যই নয়। এবং শুধু যে উদ্দেশ্যহীন নয় তাই নয়; যেহেতু তিনি এ আদেশ এতবার দিয়েছেন সেহেতু এ আদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ