হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

প্রশ্ন-উত্তর: রোজা প্রসঙ্গে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর

প্রশ্ন -১: রমজান মাসে আমি প্রায়ই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করতে পারি না। কেউ কেউ বলেন, রোজা রেখে নামাজ না পড়লে রোজা হবে না। তদের এই দাবি কি সত্য? ইসলামের প্রকৃত আকীদা অনুসারে উত্তর চাই।
-আবু ফাহাদ, কুমিল্লা।

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে প্রথমে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার। সেটা হলো, সালাহ তথা নামাজ এবং সওম পালনের নির্দেশ আল্লাহ কাদেরকে দিয়েছেন? অবশ্যই মো’মেনদেরকে। আল্লাহ বলেন, “হে মো’মেনগণ! তোমরা সালাহ ও সবরের দ্বারা আমার সাহায্য কামনা করো” (সুরা বাকারা ১৫৩)। অন্যত্র তিনি বলেছেন, “হে মো’মেনগণ! তোমাদের জন্য সওমের বিধান দেওয়া হলো যেমন দেওয়া হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো (সুরা বাকারা ১৮৩)। এভাবে আল্লাহ পবিত্র গ্রন্থে যতবার সালাহ ও সওমের হুকুম দিয়েছেন, প্রতিবারই তিনি মোমেনদেরকে সম্বোধন করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে মো’মেন হিসেবে গৃহীত নয়, তার সালাহ বা সওম কিংবা অন্য কোনো আমল আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না, এটা সাধারণ জ্ঞান থেকেই বোঝা যায়। আর মো’মেন কারা তাও আল্লাহ স্পষ্টভাবে পবিত্র কোর’আনে বলে দিয়েছেন। সুরা হুজরাতের ১৫নং আয়াতে তিনি বলেন, “মো’মেন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি; আর নিজদের সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম (জেহাদ) করে। সত্যনিষ্ঠ মো’মেন এরাই।” অর্থাৎ সত্যিকার অর্থে মো’মেন হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের উপর ঈমান আনা, অর্থাৎ তওহীদের ঘোষণা দেওয়া, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ (স.)” যার অর্থ- আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা হুকুমদাতা নেই, মোহাম্মাদ (স.) তাঁর রাসুল। অর্থাৎ মোমেন হতে হলে বান্দাকে অবশ্য সবার আগে বিশ্বজাহানের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ তা’আলাকে একমাত্র ইলাহ তথা সার্বভৌম সিদ্ধান্তের একমাত্র মালিক, একমাত্র হুকুমদাতা, একমাত্র বিধাতা হিসেবে এবং মোহাম্মদ (স.) তাঁর প্রেরিত রসুল হিসেবে মেনে নিতে হবে। মো’মেন হওয়ার দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, আল্লাহ যে সত্য পাঠিয়েছেন, মানবজাতির সুখ, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যে দিক-নির্দেশনা, হুকুম, বিধান দিয়েছেন সেগুলোকে মানবজীবনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সম্পদ ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করা। এই দু’টি শর্ত যারা পূর্ণ করবেন, আল্লাহর ঘোষণা মোতাবেক তারাই সত্যনিষ্ঠ মো’মেন। যারা আল্লাহকে নিজের জীবনের প্রতিটি ব্যাপারে সার্বভৌম সিদ্ধান্তের মালিক হিসেবে গ্রহণ করবে না এবং আল্লাহর সিদ্ধান্ত মানবজীবনে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম করবে না, তাদের আমল কবুল হওয়া তো পরের বিষয়, পবিত্র কোর’আনের ঘোষণা অনুযায়ী তারা মো’মেন কি না সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ।

এবার সালাহ ও সওমের প্রশ্নে আসা যাক। আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে মো’মেনের জন্য সালাহ ও সওমকে ফরদ (অবশ্য পালনীয়) করে দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন তিনি সালাহ, সওমসহ আরো বেশ কিছু আমলকে ফরদ করে দিলেন? নিশ্চয় তিনি কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই, নিজের খেয়াল-খুশি মোতাবেক মো’মেন বান্দার উপর এই আমলগুলোকে ফরদ করে দেন নি। সেই উদ্দেশ্যটা কি? আমরা যদি মো’মেনের জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত থাকি, তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়াও সহজ হবে। মো’মেনের জীবনের প্রতিটি কর্মের সাথে তার জীবনের উদ্দেশ্য জড়িত। মো’মেনের জীবনের উদ্দেশ্য কি তা সুরা হুজরাতের পূর্বোক্ত ১৫ নং আয়াতসহ পবিত্র কোর’আনের বহু আয়াত ও আল্লাহর রসুলের বহু সহীহ হাদীসে স্পষ্ট। আর তা হলো, জীবন-সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে মানবজীবনে শান্তি, সুবিচার, ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। মো’মেন ব্যক্তির জীবনের প্রতিটি কর্ম, প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি আমলের সাথে জড়িয়ে থাকে এই অভীষ্ঠ লক্ষ্য। সালাহ ও সওমের মতো ফরদ আমলগুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানবজীবনে শান্তি, নিরাপত্তা, সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য মো’মেনদের কিছু মৌলিক গুণ, বৈশিষ্ট, চরিত্র প্রয়োজন। আমরা যদি সালাহ, সওম ইত্যাদি আমলকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করি, আমরা দেখবো, এই আমলগুলোর মধ্য দিয়েই মো’মেনরা সেই চরিত্র অর্জন করে থাকে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনায় গেলে এই উত্তর অনেক বড় হয়ে যাবে। খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে- সালাহর মধ্য দিয়ে মো’মেনরা জামাতে ঐক্যবদ্ধ হয়। তারা যখন কাতারবদ্ধ হয়ে পাশাপাশি দাঁড়ায় তখন সাদা-কালো, উঁচু-নিচু, সম্ভ্রান্ত-দলিত ইত্যাদি শ্রেণিভেদ ভুলে এক জাতি হিসেবে দণ্ডায়মান হয় যা ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনুপম শিক্ষা। অতঃপর সালাহ কায়েম করতে গিয়ে ধনুকের ছিলার মতো কাতার সোজা করা [নোমান বিন বশীর (রাঃ) থেকে মোসলেম এবং আবু মাসউদ আল আনসারী (রাঃ) থেকে মোসলেম, মেশকাত], মেরুদণ্ড সোজা রাখা [রেফায়াহ বিন রা’ফে বিন মালিক (রা.) থেকে ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম মাহমুদ], রুকুতে পিঠকে পেছন ও ঘাড়ের বরাবর সোজা রাখা [আয়েশা (রা.) থেকে মুসলিম], ইত্যাদি বহু নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয় যেগুলো না মানলে সালাহ আল্লাহর কাছে কবুল হবে না। এই বিষয়গুলো থেকে আমরা শিক্ষা পাই চ‚ড়ান্ত শৃঙ্খলার। এভাবে সালাহর মাধ্যমে ঐক্য, শৃঙ্খলা, নেতার আনুগত্যসহ এমন কিছু ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক গুণ মো’মেনরা অর্জন করে যা সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য অপরিহার্য। সওমের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। দিনের পর দিন আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার জন্য যে শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা প্রয়োজন, নিজের বিভিন্ন চাহিদাকে অবদমিত করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের জন্য যে আত্মিক বল প্রয়োজন তার এক উত্তম প্রশিক্ষণ এই সওম। এভাবে ইসলামে যতগুলো আমল আমরা দেখি বলতে গেলে তার সবগুলোর সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মো’মেন জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য জড়িত।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, কেউ সালাহ না করে যদি শুধুমাত্র সওম পালন করেন, তবে কি সওম কবুল হবে, তাহলে এর জবাবে বলতে হয়, যে ব্যক্তি তওহীদের স্বীকৃতি দেয় তার প্রতিটি আমলই আল্লাহর কাছে গৃহীত হয়। আল্লাহর রসুল (স.) বলেন, “যে ব্যক্তি ঘোষণা দেয় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে” [আবু যার (রা.) থেকে মুসলিম]। আল্লাহর তওহীদকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সেই তওহীদ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করার জন্য যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দরকার সেগুলো অর্জনের জন্যই আমল তথা সালাহ, সওম, হজ্ব, যাকাহ ইত্যাদি। সেই আমল যে যত বেশি করবে সে তত বেশি ভালো চরিত্রের অধিকারী হবে, আল্লাহর কাছেও তত বেশি সম্মানিত হবে, জান্নাতেও তত উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে। আর যে ব্যক্তির আমলে ঘাটতি থাকবে সে যতটুকু আমল করলো ততটুকুর প্রতিদান ও সম্মানই আল্লাহর কাছ থেকে পাবে। কিন্তু এক আমলের ঘাটতির কারণে অন্য আমল আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না, এমনটা হওয়ার অবকাশ নেই। একমাত্র তওহীদের স্বীকৃতি তথা মো’মেনের সংজ্ঞা থেকেই যদি কেউ বিচ্যুত হয়ে পড়ে, তবে তার কোনো আমল আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না। কেননা, তওহীদ হচ্ছে সমস্ত আমলের পূর্বশর্ত।

প্রশ্ন: নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেনসহ মেরু অঞ্চলের দেশগুলোতে বছরের অর্ধেক সময় দিন অনেক দীর্ঘ হয়। কোনো কোনো দেশে টানা ২২ ঘণ্টা দিনের আলো থাকে। ইসলাম একটি সার্বজনীন জীবনব্যবস্থা, যার বিধানসমূহ পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসবাসরত মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য। রোজাও তেমন একটি সার্বজনীন বিধান। কিন্তু, এক্ষেত্রে সমস্যা হলো, দীর্ঘ একমাস প্রতিদিন টানা ২২ ঘণ্টা করে না খেয়ে থাকা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। অবশ্য কেউ কেউ মনে করতে পারেন, এটাও সম্ভব। কিন্তু আমি আমার প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এটা খুবই কঠিন। প্রশ্ন হলো, পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গায় যেখানে ১১-১৪ ঘণ্টা সওম রাখতে হচ্ছে, সেখানে এই অঞ্চলে কোনো মুসলিম থাকলে তাকে ২২ ঘণ্টা সওম রাখতে হচ্ছে। তাদের জন্য বিষয়টা খুব কঠিন হয়ে গেলো না? এ ব্যাপারে ইসলামের ফয়সালা কি?
-আনিসুর রহমান, স্পেন প্রবাসী।

উত্তর: এই প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়ার কারণ আজ ধর্মকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ইসলামের অধিকাংশ আমলই ব্যক্তিগতভাবে পালন করা সম্ভব নয়, সেগুলো জাতির সাথে সম্পর্কিত। ইসলামের ভিত্তি হচ্ছে তওহীদ – “আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম মানবো না” এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। নিশ্চয়ই আল্লাহর হুকুমগুলো ব্যক্তিগতভাবে পালন করা সম্ভব নয়, একটি জীবনব্যবস্থা একা একা পালন করা যায় না। এই তওহীদের সিদ্ধান্তের উপর প্রথমে একটি জাতি গঠন করতে হবে। জাতি মানেই তাদের একজন নেতা থাকবে। খুঁটি ছাড়া যেমন কোনো ঘর হয় না তেমনি নেতা ছাড়া জাতি হয় না। সেই নেতা বা এমামের হুকুম জাতির সবাই প্রশ্নহীন, শর্তহীন, দ্বিধাহীনভাবে মানবে। সেই জাতির মধ্যে যে বিষয়গুলোর শরিয়াহগত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যা দেখা দেবে, জাতির সদস্যরা যখনই কোনো একটি জায়গায় আটকে যাবে তখন ঐ বিষয়ে এমাম যে সমাধান দিবেন সেটাই সবাই পালন করবে। এমামের সিদ্ধান্ত স্থির হয়ে গেলে কেউ আর সে বিষয়ে মতবিরোধ করবে না। এমাম আল্লাহর নীতি ও রসুলের জীবনাদর্শ মাথায় রেখে সেই সিদ্ধান্তটি দেবেন। তখন এমামের এই সিদ্ধান্ত পালন করা হলেই শরিয়তের হুকুম পালন করা হবে, আল্লাহর হুকুম পালন করা হবে।

আপনি যে সমস্যাটি সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন, এই বাস্তবতাকে এমাম বিবেচনা করবেন। সব এলাকার মানুষের শারীরিক সক্ষমতা সমান থাকে না। সমতলের মানুষের চেয়ে পাহাড়িয়া মানুষ অনেক বেশি কষ্টসহিষ্ণু হয়। এমাম যদি দেখেন যে ঐ এলাকার মানুষগুলো ২০ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে পারছে, এটা তাদের জন্য তেমন কোনো কষ্টসাধ্য বিষয় না, তখন তিনি তাদের সাথে কথা বলে প্রচলিত বিধিমাফিক রোজা রাখার সিদ্ধান্ত দিবেন। কিন্তু যদি তারা বলে যে, তাদের পক্ষে ১৫/১৬ ঘণ্টার বেশি না খেয়ে থাকা কষ্টকর, তখন এমাম অন্যান্য স্বাভাবিক এলাকার সমান সময় তাদের জন্যও নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন। আবার যুক্তিসঙ্গত কারণে সওম ভঙ্গের অনুমতিও আল্লাহ দিয়েছেন। যেসব পরিস্থিতিতে সওম পালন খুব বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে, সেসব পরিস্থিতিতে সওম না রেখে কাফফারা প্রদানের বিধান রয়েছে। আর দীনের ব্যাপারে আল্লাহর স্পষ্ট নীতি হচ্ছে, তিনি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো কাজ চাপিয়ে দেন না (আল-বাক্বারাহ ২৮৬)। অসুস্থতা, সফরে থাকাসহ যে সব পরিস্থিতিতে সওম ভেঙে কাফফারা প্রদানের সুযোগ রয়েছে, প্রশ্নে বর্ণিত পরিস্থিতিও অনেকটাই তাই। সুতরাং এমাম এ ধরনের পরিস্থিতিতে কাফফারা প্রদানের নির্দেশনা দিলে তা নিশ্চয়ই দীনের মূলনীতির পরিপন্থি হবে না।
আজ জাতির কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেই। তাই একেক আলেম একেকভাবে ফতোয়া দিচ্ছেন, অন্য আলেমগণ সেটাকে নাকোচ করে দিচ্ছেন। গোটা জাতি যখন একজন নেতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকবে তখন যাবতীয় প্রশ্নের সমাধান তারা এমামের কাছ থেকে অর্থাৎ জাতির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পেয়ে যাবে। এ সব মাসলা মাসায়েল নিয়ে কোনোরূপ সময়ক্ষেপণ, সিদ্ধান্তহীনতা বা বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশও থাকবে না।

[প্রশ্ন দু’টির উত্তর দিয়েছেন- বিশিষ্ট আলেমে দীন সাইফুল ইসলাম]

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...