হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

সবর অর্থ সঙ্কল্পের দৃঢ়তা

এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী:

প্রায়ান্ধত্বের, দৃষ্টির সঙ্কীর্ণতার ফলে দীন সম্পর্কে আমাদের ধারণার সাংঘাতিক বিকৃতি দীনের প্রকৃত উদ্দেশ্যই ধ্বংস কোরে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই বিকৃতি শুধু ধ্বংসই করে নি, উদ্দেশ্যকেই উল্টো দিকে কোরে দিয়েছে। এই বিকৃতি দীনের শুধু ছোট ছোট ব্যাপার নয়, এর একেবারে মূল, বুনিয়াদী বিষয়গুলিকেও পাল্টে দিয়েছে। যে তওহীদের উপর শুধু এই শেষ দীন নয়, আদম (আ:) থেকে মোহাম্মদ (দ:) পর্যন্ত প্রতিটি দীন প্রতিষ্ঠিত, সেই তওহীদ পর্যন্ত শুধু আংশিক অর্থাৎ ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ হোয়ে গেছে। অথচ আংশিক তওহীদ যে তওহীদই নয়, সেটা যে খাঁটি শেরক এবং সেই শেরকের মধ্যে বাস কোরে শুধু যে কোন এবাদতই যে আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না তাই নয়, এই শেরক মাফ না করার জন্য আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সে উপলব্ধিই হারিয়ে গেছে এবং সারা দুনিয়াময় এই জাতি মহা সমারোহে নিষ্ফল নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এবং আরও বহু নফল এবাদত কোরে যাচ্ছে। বুনিয়াদী বিষয়গুলি সম্বন্ধেই যেখানে আকিদা বিকৃত সেখানে ছোট ছোট বিষয়গুলি সম্বন্ধে তো কথাই নেই। কোর’আনের কতকগুলি শব্দের অর্থ পর্যন্ত এই বিকৃতির ফলে আল্লাহ যে অর্থে ও উদ্দেশ্যে ব্যবহার কোরেছেন তা থেকে অন্য অর্থে ব্যবহৃত হোচ্ছে। মূল বিষয় সম্বন্ধে যখন ধারণা বিকৃত হয় তখন ঐ বিকৃতি ঐ সমগ্র বিষয়টির ছোট বড় সব কিছুকেই বিকৃত কোরে দেয়। যেমন ‘সবর’ শব্দটির বেলায় হোয়েছে।
‘সবর’ শব্দটি কোর’আনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল কোরে আছে এবং আল্লাহ বহুবার ব্যবহার কোরেছেন। কাজেই এর প্রকৃত অর্থ জানা প্রয়োজন। বর্তমানে এর অর্থ করা হয় ধৈর্যধারণ করা, চুপচাপ সহ্য করা ইত্যাদি। অর্থাৎ শব্দগুলি শোনার সঙ্গেই মনে একটা জড়তা, অসাঢ় ভাবের সৃষ্টি হয়, ইংরেজীতে যাকে বলে Passive নিস্ক্রিয়। কিন্তু সবর শব্দের আসল অর্থ, অর্থাৎ যে অর্থে আল্লাহ ও রসুল (দ:) ব্যবহার কোরেছেন তা বর্তমানে চালু অর্থের ঠিক বিপরীত। প্রচণ্ড গতিশীল (Dynamic), বহির্মুখী, বিস্ফোরণমুখী ইসলামকেই যেমন স্থবির (Static), অন্তর্মুখী কোরে ফেলা হোয়েছে, তেমনি কোর’আনের সবর শব্দটার অর্থকেও নিষ্ক্রিয় (Passive, inert) অর্থে নেয়া হোচ্ছে। এর প্রকৃত অর্থ হোল কোন উদ্দেশ্য অর্জন কোরতে অটলভাবে সমস্ত কিছু সহ্য করা। যত বাধা আসুক, যত বিপদ-আপদ আসুক, যত কষ্ট হোক, কিছুতেই হতাশ না হোয়ে, ভেঙ্গে না পড়ে সুদৃঢ়ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ এই শব্দের অর্থ সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় (Active এবং Dynamic)। উদাহরণ হিসাবে কোর’আনে আল্লাহ মো’মেন মোজাহেদদের অনেক জায়গায় জেহাদে এবং কিতালে অর্থাৎ যুদ্ধে সবর কোরতে বোলেছেন। মোজাহেদগণ যখন যুদ্ধে অবতীর্ণ হোতেন তখন তারা আল্লাহর কাছে দোয়া কোরতেন সাবের থাকার জন্য এভাবেই, “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদিগকে সাবের করো আমাদের পা অবিচলিত রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদিগকে বিজয় দান করো” (সুরা বাকারা ২৫০)।
বর্তমানের বিকৃত অর্থ নিলে প্রথমতঃ যুদ্ধেই যাওয়ার প্রয়োজন নেই এবং নেহায়েৎ গেলেও শত্র“র সামনে লাইন কোরে জায়নামাজ বিছিয়ে, তাসবীহ হাতে মাটিতে বোসে থাকতে হবে। শত্রু এসে যতোই মারুক, পিটুক, ধৈর্য ধোরে বোসে থাকতে হবে; অর্থাৎ যুদ্ধে যাওয়ারই কোন অর্থ হয় না। আল্লাহ সে অর্থে জেহাদে সবর কোরতে বোলেন নি। তিনি সবর কোরতে বোলেছেন মানে শত্রু যত বেশি হোক, শক্তিশালী হোক, যত কষ্ট-বিপদ-অসুবিধা-ভয় হোক, কোন কিছুতে ভ্রুক্ষেপ না কোরে একটুও বিচলিত না হোয়ে আল্লাহর রাস্তায় প্রাণপণে যুদ্ধ, সংগ্রাম, প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, পরাজয় স্বীকার কোরবে না, পিছপা হবে না, হিমাদ্রীর মতো অটল, অনড় থাকবে। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বোলেছেন ‘যারা সাবের ও আমলে সালেহ করে (দীন প্রতিষ্ঠার কাজ) কোরবে তাদেরই জন্য আছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার (সুরা হূদ আয়াত ১১)।
মনে কোরুন আপনি ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাবেন আপনার উদ্দেশ্য হোল চট্টগ্রামে যাওয়া। আপনি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য হেঁটে রওনা হোলেন। পথে প্রচণ্ড রোদ। তারপরও সারাদিন পথ চোললেন, রাতে প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টি তারপরও সারারাত পথ চোললেন। যখন সকাল হোল তখন দেখলেন সামনে বড় নদী কিন্তু ব্রিজ বা নৌকা কিছুই নেই। আপনি সাঁতরে নদী অতিক্রম কোরলেন। এমন ভাবে সামনে অগ্রসর হোলেন, যতো বাঁধা ছিলো সব অতিক্রম করে আপনি চোলতে থাকলেন এবং কোথাও এক মুহূর্তের জন্য থামলেন না। এভাবে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছালেন। তাহোলে আপনি একজন সবরকারী বা সাবের। আর আপনি যদি রোদ-বৃষ্টি-ঝড় নদী যে কোন একটি আপনার পথ আটকে দিতো গতি থেমে যেতো। তাহোলে আপনি আর সবরকারীদের অন্তর্ভূক্ত থাকতেন না। সবর শব্দের সবচেয়ে কাছাকাছি ইংরেজি শব্দ হোচ্ছে চবৎংবাবৎধহপব এবং বাংলা ‘সঙ্কল্পের দৃঢ়তা’। শুধু যুদ্ধে নয়, জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে, এমন কি পার্থিব কাজেও সবরের ফল কৃতকার্যতা, সফলতা। যে ব্যবসায়ী সবর নিয়ে ব্যবসা কোরবে সে সফলকাম হবে, যে শিল্পী সবর নির্ভর কোরে শিল্পকার্য কোরবে সে বিখ্যাত হবে ইত্যাদি। কারণ, এটা প্রাকৃতিক নিয়ম যে নিয়মের উপরই পূর্ববর্তী ও শেষ ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ বোলেছেন- আমি স্বয়ং সবর অবলম্বনকারীদের সাথে আছি (সুরা বাকারা ১৫৩)।

সবর অর্থ সঙ্কল্পের দৃঢ়তা
প্রথমেই আসে সঙ্কল্প। কিসের সঙ্কল্প? এই সঙ্কল্প হোচ্ছে আল্লাহর সত্যদীনকে পৃথিবীময় প্রতিষ্ঠার সঙ্কল্প। এই কাজ করার জন্য এ উম্মাহর সৃষ্টি হোয়েছে, এই কাজ বাদ দিলে উম্মাহর অস্তিত্বের কোন অর্থ নেই। এতবড় সঙ্কল্প করার জন্য, এই সঙ্কল্পকে বাস্তবে রূপদান কোরতে গেলে সারা দুনিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। সুতরাং বিপদ, আপদ, ভয়, ক্ষুধা, পিপাসা, কষ্ট ইত্যাদি অনেক কিছুই আসবে, কিন্তু এসবের কোন কিছুরই পরোয়া না কোরে, দুর্বল না হোয়ে, ভেঙ্গে না পোড়ে সামনে অগ্রসর হওয়া অর্থাৎ ঐ সঙ্কল্পের উপরে দৃঢ়পদ থাকা হোল সবর। কেমন দৃঢ়তা? পর্বতের ন্যায় দৃঢ়তা। সমস্ত দুনিয়া নোড়লেও আমাকে এই উদ্দেশ্য অর্জনের সংগ্রাম থেকে কেউ এক চুল পরিমাণও নড়াতে পারবে না। কারণ আমি জানি, আমি হক, সত্য। আমার বিজয় অবধারিত, সুনিশ্চিত। কোন শক্তি নেই আমাকে পরাজিত করে এই মানসিকতা নিয়ে অগ্রসর হওয়া। আল্লাহ বলেন, ‘অতএব তুমি সবর (দৃঢ়তা) অবলম্বন করো, যে দৃঢ়তা সর্বোত্তম দৃঢ়তা (সুরা মা’আরিজ ৫)।’
মো’মেনকে মনে রাখতে হবে, “এই সংগ্রাম কোরতে গেলে বাড়িঘর ছাড়তে হোতে পারে, ব্যবসা বাণিজ্য নষ্ট হোতে পারে, সামাজিক ইজ্জত নষ্ট হোতে পারে, আরাম আয়েশ, ভোগ বিলাস নষ্ট হোতে পারে, সর্বোপরি প্রাণ হারাতে হোতে পারে- কিন্তু আমি কোন কিছুর পরোয়া কোরব না। যে সত্য আমি পেয়েছি, যে সত্যকে ধারণ কোরেছি তা নিয়ে সামনে অগ্রসর হবোই হবো।” এটাই হোচ্ছে সবরের প্রকৃত ধারণা। মহানবী (দ:) এবং তাঁর সাহাবীদের জীবনে আমরা এই চরিত্রের প্রতিফলন দেখতে পাই। তাঁরা ছিলেন প্রকৃত অর্থ সাবের মো’মেন। লক্ষ্য অর্জনের সংগ্রামে কোন প্রতিকূলতাই তাদের পথ আটকাতে পারে নি।
এর উদাহরণ পাওয়া যায় আল্লাহর রসুলের নবী জীবনের বহু ঘটনায়। তিনি যেন ইসলাম প্রচার থেকে বিরত থাকেন সেজন্য মক্কার কাফেররা তাঁর কাছে তিনটি লোভনীয় বিষয় প্রস্তাব কোরেছিল। কিন্তু তিনি সেগুলি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান কোরে বোলেছিলেন, “আমার এক হাতে সূর্য্য আর এক হাতে চন্দ্র দিলেও আমি এই কাজ থেকে পিছপা হব না।” তাঁর এই ঐতিহাসিক ঘোষণার প্রমাণ তিনি রেখেছেন তাঁর সমগ্র পবিত্র জীবনে। যেমন হুনায়নের প্রান্তরে।
মোসলেম বাহিনী একটি গিরিপথ ধোরে অতি ভোরে দ্রুতগতিতে হুনায়নের দিকে অগ্রসর হোচ্ছিলেন। শত্র“সেনা পূর্ব থেকেই উক্ত গিরিপথের দুইধারে আত্মগোপন কোরে মোসলেম বাহিনীর অপেক্ষায় ওঁত পেতে বোসেছিল। হঠাৎ শত্র“পক্ষ তাদের প্রতি বৃষ্টির ন্যায় তীরনিক্ষেপ কোরতে আরম্ভ কোরল। মোসলেম বাহিনী চোলছিল নিঃশঙ্ক ভাবনাহীন চিত্তে। অপ্রস্তুত মোসলেম বাহিনী এই অতর্কিত আক্রমণে দিশাহারা হোয়ে পড়লো। অগ্রগামী সেনাদল ভীত ও শঙ্কিত কলেবরে পশ্চাদপদ হোতে বাধ্য হোল। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হোয়ে তারা সঙ্কীর্ণ গিরিপথে একে অন্যের উপর পড়তে লাগলো। তাদের দুরবস্থা দেখে পশ্চাদগামী দলও তাদের সাথে পলায়ন কোরতে আরম্ভ কোরল।
সেই দিন মাত্র একশত লোক রসুলাল্লাহর সাথে রণক্ষেত্রে অটল ছিলেন। বারো হাজার সৈন্যের মধ্যে একশত জন সাবের (অটল, দৃঢ় সঙ্কল্প) থাকা কেউ না থাকারই শামিল এবং সেই একশত জনও যে একত্রিত ছিলেন তা নয়। মহানবীর চতুর্পার্শ্বে উপস্থিত ছিলেন আবু বকর, উমর, আলী, আব্বাস ও তাঁর পুত্র ফদল, আবু সুফিয়ান ইবনে হারিস ও তার পুত্র জাফর, রবী’আ, আয়মান, ওসামা প্রমুখ। রসুলাল্লাহ একটি খচ্চরের পিঠে উপবিষ্ট ছিলেন। মোসলেমগণ রণক্ষেত্র থেকে সোরে যাওয়ার পর তিনি নির্ভীক চিত্তে খচ্চরকে আগে বাড়িয়ে শত্র“দলের দিকে অগ্রসর হোতে লাগলেন। তিনি বজ্রগম্ভীর স্বরে বোলতে লাগলেন,

আমি নবী, এ মিথ্যা নয়,
আমি আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান বটে।

রসুলাল্লাহ এরপর ডানদিকে এবং বামদিকে লক্ষ্য কোরে উচ্চস্বরে ডাক দিলেন, “হে আনসারগণ!” সঙ্গে সঙ্গে উত্তর আসলো, “লাব্বায়েক ইয়া রসুলাল্লাহ!” আব্বাসও (রা:) সাহাবীদেরকে আহ্বান কোরতে লাগলেন। এই আহ্বান কর্ণগোচর হওয়ামাত্র আনসার ও মোহাজেরগণ পেছনদিক থেকে পঙ্গপালের মতো ছুটে এসে রসুলাল্লাহর চারপাশে সমবেত হোতে লাগলেন। আল্লাহ পবিত্র কো’রআনে বোলেন, ‘হে মো’মেনগণ! তোমরা হুনায়নের যুদ্ধের কথা স্মরণ করো। যখন তোমরা স্বীয় সংখ্যাধিক্যের গর্বে গর্বিত হোয়েছিলে। কিন্তু ফলে সংখ্যাধিক্য তোমাদের কোন কাজে আসলো না। আর এই বিশাল ভূমণ্ডল তোমাদের নিকট সঙ্কীর্ণ মনে হোতে লাগলো। তারপর তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন কোরে পলায়নরত হোলে। অতঃপর আল্লাহ আপন রসুল এবং মো’মেনদের প্রতি সাকীনা (আত্মপ্রত্যয়) নাযেল কোরলেন এবং এমন সৈন্যদল প্রেরণ কোরলেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাও নাই। আর কাফেরদেরকে আযাবে নিপতিত কোরলেন। এটাই কাফেরদের শাস্তি (সুরা তওবা ২৫-২৬)। আল্লাহর এই সাহায্য এসেছিল রসুলাল্লাহর ও তাঁর অল্প কিছু সাবের আসহাবের জন্য।
যারা নিষ্ক্রিয়, অসাঢ়, জড় সবর নিয়ে বোসে আছেন, বোসে বোসে অন্যায়-জুলুমকে মুখ বুঁজে সহ্য করাকেই সবর ভাবছেন তারা আল্লাহ কোর’আনে যে সবরের কথা বোঝাচ্ছেন সে সবরে নেই, তার উল্টোটায় আছেন, কাজেই আল্লাহও তাদের সাথে নেই। সবরের এই প্রকৃত অর্থ মনে রেখে কোর’আন পড়ে দেখলে, কোর’আন নতুন আলোকে ধরা দেবে।
[সমস্ত পৃথিবীময় অন্যায়, অবিচার, যুদ্ধ ও রক্তপাত ইত্যাদি নির্মূল করে ন্যায়, সুবিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সনে এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী হেযবুত তওহীদ নামক আন্দোলনটি প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহ তাঁকে প্রকৃত ইসলামের যে জ্ঞান দান কোরেছেন তা তিনি যতটা সম্ভব হোয়েছে বই-পুস্তক লিখে, বক্তব্যের মাধ্যমে প্রচারের চেষ্টা কোরেছেন। এই নিবন্ধটি যামানার এমামের বিভিন্ন লেখা ও বক্তব্য থেকে সম্পাদিত।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...