হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

শৌর্যবতী উম্মে-আম্মারা (রা:)

Umme-ammaraশাকিলা আলম

শোকর আদায় কোরছি মহান আল্লাহ পাকের প্রতি যিনি সাত আসমান-জমিন ও এদের মধ্যে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সমস্ত কিছুর স্রষ্টা। মানবজাতির মধ্যে সর্বপ্রথম তিনি সৃষ্টি কোরেছেন নর, অতঃপর তার নিঃসঙ্গতা ঘোঁচাতে তার শান্তি ও সেবার জন্য সৃষ্টি কোরেছেন নারী। তবে মানবসভ্যতার ইতিহাসে নারীরা শুধু পরিবার নয়, মানবতার কল্যাণেও অসামান্য ভূমিকা পালন কোরে গেছেন। কোর’আনেও আমরা এমন বেশ কিছু নারীর উল্লেখ পাই যাদেরকে আল্লাহ জান্নাতি বোলে ঘোষণা দিয়েছেন। মানবসৃষ্টির শুরু থেকেই মানবজাতির পথ প্রদর্শক হিসেবে আল্লাহ নবী-রসুলগণকে প্রেরণ কোরেছেন। সেই নবী রসুলদের ধারাবাহিকতায় আমাদের শেষ নবী মোহাম্মদ (দ:) এসেছেন বিভিন্ন ধর্ম, রাষ্ট্র, বর্ণ, ভাষার ভিত্তিতে আলাদা আলাদা জাতিসত্তায় বিভক্ত মানবজাতিকে এক অখণ্ড জাতিতে পরিণত করার জন্য। এ লক্ষ্যে তিনি উম্মতে মোহাম্মদী নামক একটি জাতি সৃষ্টি করেন যে জাতির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি সদস্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল- তারা ছিলেন আল্লাহর রাস্তায় জীবন ও সম্পদ উৎসর্গকারী দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। এই জাতির নির্মাণ ও বিকাশে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও রাখেন অসামান্য ভূমিকা। পারিবারিক জীবন থেকে শুরু কোরে অস্ত্রের ঝনাৎকারে মুখরিত রণাঙ্গন- কোথায় ছিলেন না উম্মতে মোহাম্মদীর নারীরা?
কিন্তু দুঃখের বিষয় হোল আজ আমাদের সমাজে সেই নারীদেরকে আমরা আর খুঁজে পাই না। কারণ আমাদের সমাজে যে ইসলামের চর্চা হয় তাতে সেখানে যোদ্ধা নারীর চেয়ে আপাদমস্তক পর্দাবৃত রমনীর মহিমাই বেশি প্রচারিত হয়। ইহুদি খ্রিস্টান ‘সভ্যতা’ দাজ্জালের প্রভাবে আমাদের সমাজের অধিকাংশ নারীই আজ আবার সেই ইসলামপূর্ব আইয়ামে জাহেলিয়াতে ফিরে গেছে। যারা পাশ্চাত্যের সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়েছেন তাদেরকে আজ সমাজে মানুষ হিসাবে যতটা না মূল্যায়ন করা হয়, তার চেয়ে বেশি মূল্যায়ন করা হয় বিজ্ঞাপনী পণ্য, বিনোদন-সামগ্রি হিসাবে। আর বিকৃত পর্দাপ্রথাকে যারা আঁকড়ে ধোরে আছেন তারা তো সর্বক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ হোয়ে গেছেন, তাদের একটি বিরাট অংশ এক প্রকার গৃহবন্দী। এই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে প্রকৃত ইসলামের রূপরেখা মানবজাতির সামনে তুলে ধোরলেন এ যামানার জন্য আল্লাহর মনোনীত এমাম, এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। তিনি বিকৃত ইসলামের প্রতিটি অন্ধকার কোণে আলোক-প্রক্ষেপ কোরেছেন। তিনি বোলেছেন প্রকৃত ইসলামের নারীরা কেমন ছিলেন, জাতি গঠনে তারা কী ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের সেই বীরত্বের ইতিহাস আমরা তুলে ধোরছি এদেশের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মঈনুদ্দীনের ‘মুসলিম বীরাঙ্গনা’ গ্রন্থ থেকে, যে ইতিহাসগুলি হয়তো আজকের নারীদের কাছে মনে হবে রূপকথা। এ জাতিকে আজ প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে, তাহোলেই সম্ভব হবে সেই দুঃসাহসী বীরাঙ্গনাদের পুনরাবির্ভাব। আপনাদের মতামত জানাবেন। আপনাদের সুচিন্তিত মতামতই আমাদের সত্য নিয়ে পথ চলার অনুপ্রেরণা।

রণ-রংগে বীরাঙ্গনা সাজিলা কৌতুকে:-
উথলিল চারিদিকে দুন্দুভির ধ্বনি:
বাহিরিল বামাদল বীরমদে মাতি,
উলংগিয়া অসি-রাশি, কার্ম্মুক টংকারি।
আস্ফালি ফলকপুঞ্জে! ঝক ঝকি
কাঞ্চন-কঞ্চুক-বিভা উজলিল পুরী!
-মাইকেল

ওহোদের যুদ্ধ বাধিয়াছে। হযরত মুহাম্মদ (স:) সাতশ সৈন্য লইয়া বিপক্ষের তিন হাজার সৈন্যের সাথে যুঝিতে অগ্রসর হইয়াছেন। নববলে বলীয়ান, নব তেজে তেজীয়ান, সত্যের মহানব্রতে মহীয়ান-এই সাতশ’ই সাত হাযার!
উভয় পক্ষের সৈন্যের কোলাহলে ওহোদ-প্রান্তর মুখর হইয়া উঠিল। সাতশ’ সৈন্যের সাতশ’ কণ্ঠ একযোগে হুংকার দিয়া উঠিল, “আল্লাহু আকবার!” তলওয়ারের ঠোকাঠুকিতে বিজলী চমকিল, গুর্জে গুর্জে আঘাত লাগিয়া যেন আকাশের বজ্র মাটিতে নামিয়া আসিল। মুসলমানেরা জয়ের নিশান উড়াইয়া দিলেন। মক্কাবাসীরা হতভম্ব হইয়া দাঁড়াইয়া পড়িল। তাদের জাতীয় পতাকা মাটিতে লুটাইতে লাগিল। এত আয়োজন করিয়াও বুঝি কিছুই হইল না!
হযরত মুহাম্মদ (স:) একদল সৈন্যকে একটি সংকীর্ণ পথ আগুলিয়া দাঁড়াইতে আদেশ করিলেন। খানিকক্ষণ তারা হযরত মুহাম্মদের (স:) আদেশ পালন করিল। কিন্তু জয়ের নেশায় তাদের মন ছিল চঞ্চল। পরাজিত শত্র“সৈন্যের মাল-আসবাব সংগ্রহ করিবার জন্য তারা অস্থির হইয়া উঠিল। মুহূর্তের জন্য তারা হযরতের আদেশ ভুলিয়া গেল। নিজেদের সর্বনাশ নিজেরা ডাকিয়া আনিল।
উৎসাহের আবেগে যে-পথ ছাড়িয়া দিয়া মুসলিম সৈন্য হযরতের আদেশ আমান্য করিল, সেই পথেই শত্র“সৈন্য প্রবেশ করিয়া মুসলিমবাহিনীকে ছিন্নভিন্ন করিয়া ফেলিল। মক্কার কোরেশদলের অতর্কিত আক্রমণে একে একে মদিনার মুসলিম সৈন্য প্রাণ হারাইতে লাগিল। অনেকে তাদের আক্রমণের বেগ সহ্য করিতে না পারিয়া পালাইতে লাগিল।
কিন্তু মক্কাবাসীর যতো আক্রোশ ছিল হযরত মুহাম্মদের (স:) ওপর। তাই তারা একযোগে তাঁকে আক্রমণ করিল। শত শত মুসলিম বীর তাঁকে রক্ষা করিতে গিয়া প্রাণ হারাইলেন।
হযরত মুহাম্মদের (স:) সহিত কয়েকজন মুসলমান বীরাঙ্গনাও যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা যুদ্ধভূমিতে প্রবেশ করিয়া আহতদের সেবা করিতেছিলেন।
যায়েদ-ইবনে-কাসেমের সহিত তাঁর স্ত্রী উম্মে-আম্মারাও ছিলেন। তিনি আহত সৈন্যদের মধ্যে পানি বিলাইতেছিলেন। এমন সময় মুসলমানদের পরাজয়ের সংবাদ আসিয়া তাঁর কানে পৌঁছিল। দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হইয়া তিনি কাঁধের মশক ও হাতের পাত্র ছুুুঁড়িয়া ফেলিলেন। তারপর হযরতকে রক্ষা করিতে ছুটিলেন। দেখিলেন-অসংখ্য কোরেশ হযরতকে ঘিরিয়া ফেলিয়াছে। আর মুষ্টিমেয় মুসলিম সৈন্য তাঁর রক্ষা করিতে প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছে।
উম্মে-আম্মারার চক্ষু-তারকা তখন খুনের নেশায় জ্বলিয়া উঠিল। তিনি সূতীক্ষণ বাণবর্ষণে একে একে কোরেশদিগকে মৃত্যুর শরবৎ পান করাইতে লাগিলেন। সকল তীর যখন ফুরাইয়া গেল, তখন তিনি উলংগ তরবারি হাতে শত্র“-সেনার উপর ঝাঁপাইয়া পড়িলেন। সমস্ত শরীর তাঁর ক্ষতবিক্ষত হইয়া গেল, কিন্তু তিনি অসম সাহসে শত্রুসেনা ধ্বংস করিতে লাগিলেন। ওহোদ-যুদ্ধের বর্ণনাকালে স্বয়ং হযরত বলিয়াছেন: “সেই বিপদের সময় আমি দক্ষিণে, বামে, যেদিকে তাকাই, দেখি উম্মে আম্মারা আমাকে রক্ষা করার জন্য প্রাণপণে যুদ্ধ কারিতেছে! (মোস্তাফা-চরিত।)
উম্মে-আম্মারার এক পুত্রের নাম ছিল-আবদুল্লাহ! তিনিও ওহোদের যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত থাকিয়া ইসলামের জন্য যুদ্ধ করিতে ছিলেন। হঠাৎ শত্রু-পক্ষের প্রবল আক্রমণে তিনি ভীষণভাবে আহত হইয়া পড়িলেন। ইহা দেখিয়া উম্মে আম্মারা তীরবেগে তাঁর নিকটে ছুঁটিয়া গেলেন। তারপর উত্তমরূপে আবদুল্লাহর ক্ষতস্থানে পট্টি বাঁধিয়া দিলেন। কহিলেন: “বৎস! যাও, এইবার যুদ্ধ কর।” বীরপুত্র ক্ষিপ্রগতিতে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করিলেন।
হযরত মুহম্মদ (স:) বলিলেন: “হে আবদুল্লাহর মা, তোমার মধ্যে আল্লাহ যে-মনোবল দিয়েছেন, সকলকেই এইরূপ মনোবল দেন নাই।”
হযরতের এই প্রশংসায় উম্মে-আম্মারা লজ্জায় অবনতমুখী হইয়া রহিলেন। ওহোদ যুদ্ধের পর উম্মে-আম্মারা হুদায়বিয়া, খয়বর, হুনায়েন প্রভৃতি যুদ্ধে উপস্থিত থাকিয়াও অসম সাহসে যুদ্ধ করিয়াছিলেন।
হযরতের ইন্তেকালের পর হযরত আবুবকর মুসলিম-জগতের খলিফা মনোনীত হইলেন। খলিফা হওয়ার পরই তাঁকে বড় মুশকিলে পড়িতে হইল। হযরত মুহাম্মদের (স:) ন্যায় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মহা পুরুষের ইনতিকালে ইসলামের শত্র“রা মাথা তুলিয়া দাঁড়াইল। ইসলাম এবং মুসলমানকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য বিপুল বিক্রমে অগ্রসর হইল।
মক্কার পূর্বদিকে ইয়ামামা প্রদেশ। তার নেতা মোসায়লেমা কাজ্জাব। ‘কাজ্জাব’ অর্থ মিথ্যাবাদী। সে হঠাৎ নবুওয়াতের দাবী করিয়া বসিল। তার শক্তি ছিল, সামর্থ্য ছিল। সে অযথা লোকদের উপর অত্যাচার আরম্ভ করিয়া দিল। প্রত্যেককে ধরিয়া আনিয়া কহিতে লাগিল: “আমাকে নবী বলিয়া স্বীকার কর।” যে স্বীকার করিল-রক্ষা পাইল। যে অস্বীকার করিল, মোসায়লেমার শাণিত অস্ত্র তাকে ধরায় অবলুণ্ঠিত করিল।
এমনি সময় একদিন শৌর্যবতী উম্মে-আম্মারার অন্যতম পুত্র হাবিব- বিন-যায়েদ আম্মান দেশ হইতে মদিনায় ফিরিতেছিলেন। হঠাৎ মোসায়লেমার চরের হাতে তিনি বন্দী হইলেন।
মোসায়লেমা কহিল : “বল মুহাম্মদ কে?”
শান্ত সংযতকণ্ঠে হাবিব উত্তর করিলেন:“মুহাম্মদ আল্লাহর রসুল।”
মোসায়লেমা পুনরায় কহিল: “বল মোসায়লামা আল্লাহর রসুল।”
হাবিব ভ্রুকুঞ্চিত করিয়া মুখ ফিরাইয়া লইলেন। মোসায়লেমাকে নবী বলিয়া স্বীকার করিলেন না।
মোসায়লেমা তাঁর হাত কাটিয় দিল, পা কাটিয়া দিল। হাবিব অশেষ যন্ত্রণা পাইয়া মারা গেলেন। কিন্তু হযরত মুহাম্মদকে (স:) অস্বীকার করিলেন না।
তাঁর এই শোচনীয় মৃত্যুকাহিনী মাতা উম্মে-আম্মারা শুনিলেন। কিন্তু এই অসীম ধৈর্যশালিনী নারী পুত্রশোকে কাতর হইলেন না। শুধু ইসলাম-দ্রোহীদের শাস্তি প্রদানের জন্য মন তাঁর খুনের নেশায় মাতিয়া উঠিল। তখন তাঁর বয়স হইয়াছিল। তবু নাংগা তল্ওয়ার উঁচাইয়া কহিলেন: “আল্লাহ! তুমিই আমার সহায়!”
বিদ্রোহী কাজ্জাবকে শাস্তি দিবার জন্য বীরবর খালেদের নেতৃত্বে খলিফা একদল সৈন্য-প্রেরণ করিলেন। যুদ্ধের নেশায় উন্মাদিনী উম্মে-আম্মারাও তাঁর সংগিনী হইলেন। ইয়ামামা-প্রান্তরে দুইদলে তুমুল যুদ্ধ বাধিল। অস্ত্রের ঝঞ্ঝনা, অশ্বের হ্রেষা, আহত সৈন্যের কাতর আর্তনাদে ইয়ামামা-প্রান্তর কাঁপিয়া উঠিল। এই যুদ্ধে আম্মারা যে যুদ্ধকৌশল, যে- সাহস দেখাইলেন, তাহা বিস্ময়কর। একের পর এক কাজ্জাব-সৈন্য আম্মারার নিকটে আসিতেছে, আর তিনি মুহূর্তেই তাকে ধরায় লুণ্ঠিত করিতেছেন। কোনো কথা ভাবিবার তাঁর অবসর নাই, কোন দিকে তাকাইবার তাঁর অবসর নাই। সৈন্যের পর সৈন্য নিহত করিয়া তিনি শত্রুব্যূহ ভেদ করিয়া চলিলেন। সেই মিথ্যাবাদী কাজ্জাব কোথায়? স্বহস্তে তাকে হত্যা করিতে হইবে। অগণিত শত্রু সৈন্যের ব্যুহ ভেদ করিয়া তাই তাঁর এ অগ্রগতি। দেখিলেন-কাজ্জাব এক পার্শ্বে দাঁড়াইয়া সৈন্য পরিচালনার উপদেশ দিতেছে। মুহূর্তের মধ্যে আম্মারা যাইয়া তার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। পাপীর মন কাঁপিয়া উঠিল। আম্মারার এই রুদ্রমূর্তি বুঝিয়া কাজ্জাবের কঠিন বুকে ভীতির সঞ্চার করিল। কিসে কি হইল, কেমন করিয়া হইল, কেহ জানিল না- কেহ বুুঝিল না। দেখা গেল-কাজ্জাবের দ্বি-খণ্ডিত শির পাকা তালের মতো ভূমিতলে গড়াগড়ি যাইতেছে। আর উম্মে আম্মারা ও পুত্র আবদুল্লাহ সেখানে নির্বিকার চিত্তে দাঁড়াইয়া।
এই যুদ্ধে আম্মারার যুদ্ধ-কৌশল দেখিয়া খালেদের ন্যায় মহাবীরও বিস্মিত হইয়াছিলেন-মুগ্ধ হইয়াছিলেন। সমস্ত শরীরে তাঁর বারো জায়গায় ক্ষত হইয়াছিল, কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপও করেন নাই। এই বৃদ্ধ বয়সেও তাঁর অন্তরে ছিল দুর্জয় সাহস। মুখে ছিল মহীমার দীপ্তি।
যখন তিনি অগণিত শত্র“সেনার ভিতর প্রবেশ করিয়াছিলেন, তখন তাঁর অন্তর একটুও বিচলিত হয় নাই। বার্ধক্য-জরা-জীর্ণ যে হাতে তিনি তরবারি তুুলিয়া লইয়াছিলেন, তাহা একটুও কাঁপে নাই।
পুত্রের হত্যাকারীকে নয়-আল্লাহদ্রোহীকে, ইসলামের শত্র“কে তিনি ধ্বংসের মুখে তুলিয়া দিতে পারিয়াছেন, এই খুশীতে মন তাঁর পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। বারবার তিনি মাটিতে মাথা ঠেকাইয়া সেই পরম করুণাময় আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজ্দা করিতে লাগিলেন-শুকরিয়া আদায় করিতে লাগিলেন।
“মঙ্গলময় আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট হইতে আসিয়াছি-তোমার নিকটেই ফিরিয়া যাইব, আপদে-বিপদে তুমি আমাদিগকে রক্ষা করিয়ো। আজ তুমি আমাদিগকে গৌরবের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করিয়াছ, এজন্য তোমাকে ধন্যবাদ!”
যুদ্ধে মুসলমানদের জয় হইল!

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...