হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

তওহীদের প্রকৃত অর্থ

‘আপনার পূর্বে আমি যে রসুলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ (হুকুমদাতা) নেই । (সুরা আম্বিয়া ২৫)
আদম থেকে শুরু করে শেষ নবী মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সকল নবী ও রসুলগণের আহ্বান ছিল ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র প্রতি অর্থাৎ তওহীদের প্রতি। তওহীদ হচ্ছে এমন এক ঘোষণা যা শুরু হয় ‘লা’ শব্দ দিয়ে যার অর্থ হচ্ছে অস্বীকার। আল্লাহ ছাড়া জগতের সকল বিধানদাতা, হুকুমদাতা, সার্বভৌম অস্তিত্বকে অস্বীকার করাই হচ্ছে তওহীদ, এটাই এই দীনের ভিত্তি। এর মর্মার্থ হচ্ছে: জীবনের প্রতিটি বিষয়ে যেখানেই আল্লাহ ও তাঁর রসুলের কোন বক্তব্য আছে সেটা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আইন-কানুন, দণ্ডবিধি যে বিভাগেই হোক না কেন, সেই ব্যাপারে আর কারও কোন বক্তব্য, নির্দেশ মানা যাবে না। তবে যে বিষয়ে আল্লাহ অথবা তাঁর রসুলের কোন বক্তব্য নেই সে বিষয়ে আমরা স্বাধীনভাবে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি। বর্তমান দুনিয়ার কোথাও এই তওহীদ নেই, সর্বত্র আল্লাহকে কেবল উপাস্য বা মা’বুদ হিসাবে মানা হচ্ছে, কিন্তু ইলাহ বা সার্বভৌমত্বের আসনে আল্লাহ নেই। মানুষ নিজেই এখন নিজের ইলাহ। সমগ্র মানবজাতি এখন মানুষের তৈরি করা দীন যেমন গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, রাজতন্ত্র ইত্যাদি দ্বারা তাদের জীবন পরিচালিত করছে। অথচ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ না মানার অঙ্গীকারই হচ্ছে তওহীদ। মুসলিম জনসংখ্যাটিসহ সমস্ত মানবজাতি সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এখন শেরক ও কুফরে ডুবে আছে। আর বর্তমানে আমরা যে ইসলামটি পালন করে যাচ্ছি সেটা আল্লাহর রসুলের রেখে যাওয়া ইসলামেরই বিকৃত রূপ, প্রকৃত ইসলাম নয়।

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...