হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

এক অনন্য সুযোগ

মাননীয় এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর লেখা থেকে:

দাজ্জালের গোটা ব্যাপারটাই মহা-গুরুত্বপূর্ণ ও বিরাট। মানবজাতির আয়ুষ্কালের মধ্যে সর্ববৃহৎ ঘটনা এ কথায় কোন সন্দেহ নেই, কারণ এটা বোলেছেন স্বয়ং আল্লাহর রসুল। কিন্তু উপরের এই হাদিসটি আমাদের, অর্থাৎ বর্তমান কালের মানুষের জন্য একটি বিশেষ বার্তা, সংবাদ এনে দিচ্ছে। হাদিসটি একটু খেয়াল কোরে পড়লে এর কয়েকটি বিশেষত্ব চোখে পোড়বে। ইসলামে আল্লাহ তাঁর মো’মেন বান্দাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার রেখেছেন শহীদদের জন্য এবং তা হোচ্ছে পার্থিব মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে, বিনা বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতে স্থান দেওয়া। এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানও রেখেছেন সেই শহীদদের জন্যই এবং তা হোচ্ছে তারা মরলেও তাদের মৃত না বলা। শুধু তাই নয়- আল্লাহ শহীদদের জন্য কতকগুলি বৈশিষ্ট্য দান কোরেছেন যা অন্য মো’মেন, মোসলেম তো বটেই এমন কি তাঁর নবী-রসুলদেরও দেন নাই; যেমন শহীদের গোসল দেয়া, জানাজা পড়া, কাফন দেয়া ইত্যাদির দরকার নেই, তারা কবরে মালায়েকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না ইত্যাদি। এই সম্মান, এই পুরস্কার ও এই বৈশিষ্ট্যগুলি সব শহীদদের জন্য।
দাজ্জালকে প্রতিরোধকারীদের সম্বন্ধে লক্ষ্য করার বিষয় এই যে,
(১) তারা শহীদ না হোয়েও শুধু প্রতিরোধ ও যুদ্ধ কোরেই শাহাদাতের সম্মান, পুরস্কার ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন।
(২) দাজ্জালকে প্রতিরোধকারী অর্থাৎ যারা দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোরবে আল্লাহ তাদের দুইজন শহীদের পুরস্কার, সম্মান ও বৈশিষ্ট্য দান কোরবেন। এছাড়া ইসলামের আর কোথাও কাউকে দুইজন শহীদের পুরস্কার বা সম্মান দেয়ার প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় নাই। শুধুমাত্র উম্মে হারাম (রাঃ) বর্ণিত একটি মাত্র হাদীসে পাওয়া যায় যে সামুদ্রিক যুদ্ধে ডুবে মারা গেলে সে মোজাহেদকে দু’জন শহীদের সমান সওয়াব দেয়া হবে। এ হাদিসটির উৎস সুনানে আবু দাউদ এবং এটি সহিহ হাদিস নয়, হাসান; তাও ঐ দুই শাহাদাত সাধারণ শাহাদাত।
(৩) দাজ্জালকে প্রতিরোধকারীদের আল্লাহ শুধু যে দুইজন সাধারণ শহীদের পুরস্কার, সম্মান ও বৈশিষ্ট্য দান কোরবেন তা নয়, ঐ দুই শহীদ আবার একটি বদরের যুদ্ধের শহীদের এবং আরেকটি ওহোদের যুদ্ধের শহীদের।
(৪) সমস্ত শহীদদের মধ্যে বদর ও ওহোদ যুদ্ধের শহীদদের মরতবা সর্বশ্রেষ্ঠ। কারণ বদর ও ওহোদের যে কোন যুদ্ধে আল্লাহর রসুল (দঃ) পরাজিত হোলে তওহীদ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হোত না। আল্লাহর রসুল বদরের যোদ্ধাদের সম্বোধন কোরে বোলেছেন তোমরা যা ইচ্ছা কোরতে পারো, তোমাদের জন্য জান্নাত নিশ্চিত হোয়ে গেছে (হাদিস- আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বোখারী)। লক্ষ্য করার বিষয় হোচ্ছে বিশ্বনবী এই আশ্বাস দিচ্ছেন বদরের যোদ্ধাদের, শহীদদের নয়, যারা শুধু যুদ্ধ কোরেছেন, শহীদ হন নাই তাদের। আর দাজ্জালের প্রতিরোধকারীদের সুসংবাদ দেয়া হোচ্ছে শুধু ঐ বদরের যোদ্ধাদের নয়, শহীদের; এবং শুধু বদরের নয়, বদরের এবং ওহোদের যুদ্ধের শহীদদের সম্মিলিত পুরস্কার, সম্মান ও বৈশিষ্ট্যের।
দাজ্জালকে প্রতিরোধকারীদের জন্য আল্লাহ এমন অকল্পনীয় সম্মান, পুরস্কার ও আসন (মাকাম) কেন রেখেছেন? তার কারণ এখানে প্রশ্ন এবলিসের দেয়া আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ, আল্লাহর জয় পরাজয়ের প্রশ্ন।
আজ দাজ্জাল আল্লাহর তওহীদকে প্রত্যাখ্যান কোরে নিজেকে রব বোলে দাবী কোরে, আল্লাহর হাত থেকে তাঁর সার্বভৌমত্ব ছিনিয়ে নিয়ে মানবজাতির ওপর মানুষের সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দিয়েছে। মানবজাতির অতি ক্ষুদ্র ও বিচ্ছিন্ন একটি অংশ ছাড়া আজ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলার মত পৃথিবীতে আর কেউই নেই। দাজ্জাল তার সর্বশক্তি নিয়োগ কোরে সেই ক্ষুদ্র দলটিকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য উঠে পোড়ে লেগেছে। কাজেই দাজ্জালের বিরোধিতা করা, এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম, জেহাদ করার পুরস্কার বদর ও ওহোদের শহীদদের পুরস্কারের, সম্মানের সমান।
৫) পরকালে শহীদরা সমস্ত মো’মেন ও মোসলেমদের ঈর্ষার পাত্র হবেন এবং দেখা যাচ্ছে দাজ্জালকে প্রতিরোধকারীরা সমস্ত শহীদদের ঈর্ষার পাত্র হবেন। এমন কি বদরের এবং ওহোদের শহীদদেরও। কারণ তারা প্রত্যেকে একজন শহীদের সম্মান, পুরস্কার ও বৈশিষ্ট্য পাবেন। বদরের শহীদ বদরের যুদ্ধের শাহাদাতের এবং ওহোদের শহীদ ওহোদের যুদ্ধের শাহাদাতের পুরস্কার, সম্মান ও বৈশিষ্ট্য পাবেন। বদরের শহীদ ওহোদের এবং ওহোদের শহীদ বদরের শাহাদাতের পুরস্কার ও সম্মান পাবেন না। কিন্তু দাজ্জালের প্রতিরোধকারীদের আল্লাহ বদরের এবং ওহোদের যুদ্ধের শহীদদের সম্মিলিত পুরস্কার, সম্মান ও বৈশিষ্ট্য দান কোরবেন।
সমস্ত ইসলামে আমি কোথাও কোন কাজের, কোন সৎকার্য্যরে জন্য এতবড়, এত অকল্পনীয় বিরাট পুরস্কার ও সম্মান দেখি না। এ পুরস্কার ও সম্মান সমস্ত শহীদদের জন্য পুরস্কার ও সম্মানকে বহুদূর ছাড়িয়ে গেছে। এই অকল্পনীয় সম্মান ও পুরস্কারের সুযোগ কোন নবী রসুল পান নি, কোনও উম্মাহও পান নি কারণ তাদের সময় দাজ্জাল আবির্ভূত হয় নি। দাজ্জাল আবির্ভূত হোয়েছে আমাদের সময় এবং ঈসা (আঃ) আসমান থেকে নেমে এসে তাকে হত্যা অর্থাৎ ধ্বংস করার পর আর কোনদিন দাজ্জাল আবির্ভূত হবে না। যেহেতু ৪৭৬ বছর আগে দাজ্জালের জন্ম হোয়েছে এবং বর্তমানে সে পূর্ণবয়স্ক সেহেতু সন্দেহের বিশেষ কোন অবকাশ নেই যে ঈসার (আঃ) আগমনের সময়ও নিকটবর্তী। তিনি দাজ্জাল ধ্বংস কোরলেই আর কোনদিন দাজ্জালের প্রতিরোধ কোরে ঐ অকল্পনীয় সম্মান ও পুরস্কারের সুযোগ থাকবে না।
মানুষের ইতিহাসে লক্ষ লক্ষ বছরের মধ্যে এই যে সামান্য সময়টুকু আমরা পাচ্ছি, এই সময়ের মধ্যে যারা দাজ্জালকে প্রতিরোধ কোরবেন, তার বিরুদ্ধে জেহাদ (সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, সংগ্রাম) কোরবেন শুধু তারাই ঐ অকল্পনীয় পুরস্কার ও সম্মান পাবেন আল্লাহর কাছ থেকে।
পেছনে বোলে এসেছি যে দাজ্জালকে প্রতিরোধকারীদের জন্য আল্লাহ যে সম্মান ও পুরস্কার নির্ধারণ কোরে রেখেছেন তা সমস্ত ইসলামে আর কারও জন্য রাখেন নি; এমন কি অন্যান্য শহীদদের এবং নবী-রসুলদের জন্যও নয়। কোন শহীদদের বা নবী-রসুলদের দুই দুইটি শাহাদাতের সম্মান ও পুরস্কারের প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয় নি; তাও বদরের ও ওহোদের যুদ্ধের শহীদদের সমান এবং শহীদ না হোয়েও ঐ সম্মান ও পুরস্কার। এর কারণ কি?
এর কারণ হোচ্ছে এই যে দাজ্জাল আল্লাহকে তাঁর সার্বভৌমত্বের (উলুহিয়াতের) আসন থেকে চ্যুত কোরে নিজে সে আসনে বোসতে চায়। দাজ্জালের দাবী এই যে মানবজাতি আল্লাহর সার্বভৌমত্ব এবং তাঁর দেয়া দীন, জীবন-ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান কোরে তার দেওয়া জীবন-ব্যবস্থা তাদের সামষ্টিক জীবনে, অর্থাৎ মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠা কোরবে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে সে কেমন কোরে চোলবে সে ব্যাপারে দাজ্জালের কোন দাবী নেই; মানুষ মসজিদে, মন্দিরে, চার্চে, সিনাগগে, প্যাগোডায় যাক না যাক, আল্লাহকে, ঈশ্বর ও দেব-দেবীকে, গডকে, এলিকে বা বুদ্ধকে উপাসনা করুক আর নাই করুক তার কোন দাবী নেই। কিন্তু সমষ্টিগত জীবনে অর্থাৎ রাজনীতিতে, প্রশাসনে, অর্থনীতিতে, আইন-কানুন, দণ্ডবিধিতে, শিক্ষানীতিতে স্রষ্টার দেওয়া বিধান ও মূল্যায়নকে পরিত্যাগ কোরে দাজ্জালের অর্থাৎ ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতার বিধান ও মূল্যায়নকে স্বীকৃতি ও প্রতিষ্ঠা করাই হোচ্ছে তার দাবী।
দাজ্জালের এই দাবী সমস্ত মানবজাতি মেনে নিয়েছে, এমন কি মোসলেম হবার দাবীদার জাতিটিও মেনে নিয়েছে। আজ সমস্ত পৃথিবীতে কোথাও স্রষ্টার, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব নেই, মানবজাতির সমষ্টিগত জীবনে আজ মানুষেরই সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হোয়েছে, আর এটাই হোচ্ছে দাজ্জালের দাবী। রাজতন্ত্র (Monarchy), সমাজতন্ত্র (Socialism), গণতন্ত্র (Democracy), সাম্যবাদ (Communism), একনায়কতন্ত্র (Fascism) এগুলো সবই দাজ্জালের বিভিন্ন রূপ। এর মধ্যে বর্তমানে গণতন্ত্র অন্য সব রূপকে ছাপিয়ে, অবদমিত কোরে আধিপত্যের স্থান দখল কোরেছে শুধু তাই নয় এটাকে বাকি মানবজাতির ওপর চাপিয়ে দেবার জন্য যা কিছু করা দরকার সবই কোরছে। গত বিশ্বযুদ্ধে যদি হিটলারের একনায়কতন্ত্র (Fascism) জয়ী হতো, তবে বাকি পৃথিবী আজ ফ্যাসিজম, একনায়কতন্ত্রের অধীনে থাকতো; এবং গণতন্ত্র ও সাম্যবাদকে অপাংক্তেয় কোরে রাখতো, যেমন আজ একনায়কতন্ত্র ও সাম্যবাদকে কোরে রাখা হোয়েছে। হিটলারের জার্মানীর অর্থাৎ একনায়কতন্ত্রের পরাজয়ের পর দাজ্জালের অন্য বিভাগ, গণতন্ত্র ও সাম্যবাদ পৃথিবীর আধিপত্যের জন্য বহুদিন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৯১ সন পর্যন্ত স্নায়ুযুদ্ধের (Cold War)পর সাম্যবাদ (Communism) পরাজিত হোয়ে গেলো এবং ধনতান্ত্রিক গণতন্ত্র একচ্ছত্র আধিপত্য পেয়ে গেলো। এই দীর্ঘ স্নায়ুযুদ্ধ সার্বিকভাবে যুদ্ধে (Shooting War) পর্যবসিত হয় নাই শুধু একটিমাত্র কারণে, আর সেটা হোলÑ এই উভয় পক্ষের হাতেই ছিলো পারমাণবিক অস্ত্র; উভয় পক্ষই জানতো যে এক পক্ষ এটা ব্যবহার কোরে অপরকে ধ্বংস কোরতে পারলেও তার নিজেরও ধ্বংস অনিবার্য্য। যাহোক একনায়কতন্ত্র ও সাম্যবাদের এই পরাজয়ের পর থেকে ধনতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক শক্তিই আজ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে সার্বভৌমত্বের অধিকারী এবং এই শক্তিই আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে পরাজিত কোরে নিজে প্রতিষ্ঠিত হোয়েছে।
গণতন্ত্রই মানুষের জীবন-ব্যবস্থার (দীন) সর্বশ্রেষ্ঠ তন্ত্র, প্রণালী, এবং এর কোন বিকল্প নেই  এ কথা পত্র-পত্রিকায়, রেডিও-টেলিভিশনে, বক্তৃতায়, আলোচনায় এবং শিক্ষা-ব্যবস্থায় অবিশ্রান্ত, নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রচারের ফলে আজ প্রায় সমস্ত মানবজাতি এই মিথ্যাকে, এই কুফরকে সত্য বোলে গ্রহণ কোরেছে।
এই মিথ্যাকে গ্রহণ কোরতে কোন জাতি রাজী না হোলে বা গড়িমসি কোরলে দাজ্জাল তাদের সঙ্গে অন্য জাতিগুলির ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ কোরে (Economic Sanction) আর্থিকভাবে তাদের ক্ষতি কোরে তাদের বাধ্য করে। তাতে যদি কাজ না হয় তবে তাদের অবরুদ্ধ করে অর্থাৎ অবরোধ আরোপ (Embargo) কোরে তাদের নতজানু হোতে বাধ্য করে। (বোখারী ও মোসলেম) তাতেও যদি ঐ জাতি আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার কোরে মানুষের সার্বভৌমত্বকে গ্রহণ না করে অর্থাৎ গণতন্ত্র মেনে না নেয় তবে তার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা কোরে তাদের পরাজিত কোরে মানুষের সার্বভৌমত্ব গ্রহণ কোরতে বাধ্য করে। এই কোরতে যেয়ে তারা হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বেসামরিক লোক, নারী, শিশু, বৃদ্ধদের বোমা মেরে হত্যা করে, শত শত নগর, গ্রাম গুড়িয়ে দেয় এবং এ কাজকে তারা কোন অন্যায় মনে করে না। এই হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞকে তারা বলে Collateral damage, আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি, এটা কিছু না, যুদ্ধে এটা হোয়েই থাকে।
এই পৃথিবী যার হাতের মুঠোয়, যাকে পরাজিত করার শক্তি কারো নেই সেই মহাশক্তির বিরুদ্ধে যারা আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে বিজয়ী করার জন্য তাদের প্রাণ ও পার্থিব সম্পদ নিশ্চিতভাবে কোরবানি করার জন্য দাঁড়াবে তাদের জন্য আল্লাহ যে ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার ও সম্মান তাঁর কাছে মজুত রাখবেন তাতে আর আশ্চর্য্য কী? এ সম্মান ও পুরস্কার নবী-রসুলদের জন্যও আল্লাহ রাখেন নি কারণ কোন নবী-রসুলকে এমন মহাশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হয় নি যেটার শক্তি, প্রভাব ও প্রতিপত্তি পৃথিবীর সমস্ত মাটি ও পানি (ভূ-ভাগ ও সমুদ্র) আচ্ছন্ন কোরবে (মুসনাদে আহমদ, হাকীম, দারউন নশুর)।
কিন্তু এই দানবরূপী দাজ্জালও আল্লাহর নবী ঈসার (আঃ) হাতে ধ্বংস হবে এবং আল্লাহর সার্বভৌমত্ব আবার পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হবে এ সুসংবাদ আল্লাহর শেষ রসুল আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন (হাদিস- আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে- মোসলেম এবং নাওয়াস বিন সা’মান (রাঃ) থেকে- মোসলেম ও তিরমিযি এবং মেকদাদ (রাঃ) থেকে আহমেদ, মেশকাত)। এই যুগে জন্মে মানুষ জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সাংঘাতিক ঘটনায় অংশ নিয়ে দাজ্জালের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছ থেকে এই অকল্পনীয় পুরস্কার ও সম্মান যারা লাভ কোরবে না তারা প্রকৃতই হতভাগ্য।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...