হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

সুইসাইড বোমা হামলার মঞ্চায়ন: দৃশ্যপট ফিলিস্তিন

Untitled-3কাজী আব্দাল্লাহ আল মাহফুজ

সুইসাইড বম্বিং বা জঙ্গিবাদীদের কোনো পদ্ধতিই ইসলামের কোনো উপকারে আসে না, ইসলাম সম্মতও নয় এবং এগুলো দ্বারা মহাশক্তিধর প্রতিপক্ষেরও কোনো বিশেষ ক্ষতি সাধন হয় না। উল্টো ইসলামের বিরুদ্ধে মানুষের মনোভাব সৃষ্টিতে এই বিষয়টি খুবই কার্যকরি একটি অভিযোগ। একে আশ্রয় করে পশ্চিমাবিশ্বই লাভবান হয়, সাম্রাজ্য বিস্তার করে, বিশ্বকে ত্রাসিত করে রাখে। সম্প্রতি সুইসাইড বোমা হামলার গোড়া স¤পর্কে একটি লেখা পড়লাম। লিখেছেন ইসরাইল সাহাক। তিনি জেরুজালেম পোস্টে লিখে থাকেন: হিব্র“ সংস্করণে; কমই তার ইংলিশ প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই লেখাটি ১৯৮৫ সনের। তিনি লিখেছেন,
“তরুণীদের ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লোকজন। তারপর তাকে বিবস্ত্র করা হয়। ছবি তোলা হয় বিভিন্ন পোজের। তারপর তাকে গণধর্ষণ করা হয়। এ অবস্থায় তরুণীটি যখন ভগ্নহৃদয় এবং মর্মাহত, – তখন তার পিতা, ভাই অথবা এমন কোনো স¤পর্কের, যার সঙ্গে বিবাহ চলে না, – এমন কোনো ব্যক্তিকে ধরে এনে কৃত্রিম উপায়ে (ইনজেকশান বা মুখে খাওয়ার ঔষুধ) প্রচণ্ডভাবে যৌনাবেগ সৃষ্টি করে রাখা হয়। তারপর বাধ্য করা হয় তাকে ধর্ষণ করার জন্য।
অনিচ্ছা, অজ্ঞানতায় “ধর্ষণ” করার কাজটির তুলে রাখা হয় অজস্র ছবি। তারপর সেটা “সেট করা” নাটকের অংশ হিসেবে তাকে উদ্ধার করে নেয় ইহুদি রাব্বাইদের কেউ। নাটকের অংশ হিসেবে তৈরি হয়ে আছে এমন “মুসলমান সংগঠনের” কাছে করা হয় হস্তান্তর। সেই মুসলমানরূপী ইহুদিরা বুঝিয়ে দেয় – এ জীবন আর রেখে কী হবে, আল্লাহর জন্য শত্র“ ঘায়েল করে শহীদ হয়ে যাও। উপদেশটি সৎ বলেই মনে হয়। গায়ে বোমার বেল্ট জড়িয়ে নেয় সেই তরুণীটি। তাকে টার্গেট দেওয়া হয় কোথায় যাবে, কে সাহায্য করবে, – এই সব।
টার্গেট জানানো হয় “সেনাবাহিনী”, কারণ তাদের প্রতিই তরুণীটির বিদ্বেষ। কিন্তু, বাসে উঠার পর কিংবা বাজার এলাকায় গমন করার পর টিপে দেওয়া হয় রিমোট কন্ট্রোল। কেবল সাধারণ নিরপরাধ ইহুদি জনগণই মরে সুইসাইড বোমায়, কখনও সেনাবাহিনীর একটি সদস্যেরও কিছু হয় না। দু’ঘণ্টার মধ্যে “পোর্ট্রেইট কোয়ালিটির” ছবি চলে যায় টেলিভিশনে। পূর্বেই ছবি রাখা হয়েছিল, নাম, ঠিকানা সব নির্ভুল।
জগৎ শুনেছে, মুসলমান তরুণীর সুইসাইড বোমায় অনেকজন ইসরায়েলি নিরপরাধ জনগণ মারা হয়েছে। এ লেখাটি যখন রচিত হয় তখন (অক্টোবর ৩) ইসরায়েল সিরিয়া আক্রমণ করে সুইসাইড বোমা হামলার প্রতিবাদে। ১৯ জন ইসরায়েলি নাগরিক মারা গেছে। সেখানেও ছিল এমনি দুর্ভাগ্যের শিকার এক তরুণী।”
“সুইসাইড বোমা” ইসলামের আদর্শকে বিশ্বের সামনে অনেক নিচু করেছে। তার অর্থ এই নয় যে সব সুইসাইড বোমা বর্ণিত পদ্ধতিতে ঘটে। তবে এটা হচ্ছে এই পদ্ধতির সূত্রপাত। ইহুদিরা ষড়যন্ত্র করে এই পথে মুসলিমদেরকে উঠিয়ে দিয়েছে। তারপর থেকে মুসলমানরা অনেক ক্ষেত্রেই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত উচ্ছ্বাসে তা করে যাচ্ছে। এর পেছনেও যে অদৃশ্য যোগান, উৎসাহ-উদ্দীপনা, অর্থ, সুযোগ, উপকরণ – এসবের পেছনেও আছে পশ্চিমাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সমর্থন। ব্যবহৃত হয় নির্বোধ মুসলমান।

লেখাটি শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে

Email
Facebook
Twitter
Skype
WhatsApp
সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...