হেযবুত তওহীদ

মানবতার কল্যাণে নিবেদিত

আর কত দিন গণতন্ত্রের নামে অপরাজনীতির কাছে জিম্মি হোয়ে থাকবে জনগণ?

স.এম. সামসুল হুদা:

যার যা খুশি করার লাইসেন্স দেওয়ার গণতন্ত্র আর কতকাল চোলবে? এইভাবে দৈনিক ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও, অবরোধ, হিংসা, হানাহানি, মানুষের লাশ নিয়ে টানাটানি, দাঙ্গা, আতঙ্কের মধ্যে আর কতদিন মানুষকে বাস কোরতে হবে। যে গণতন্ত্র আমাদের জীবনকে কষ্টদায়ক কোরে তোলে, যে গণতন্ত্র আমাদেরকে ভাত-কাপড় দিতে পারে না, আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই গণতন্ত্রে আমাদের কী প্রয়োজন? এখনও কি জনগণের ভাববার সময় আসে নি এই মরণঘাতী সিস্টেমকে পাল্টানোর?
আমাদের কাছে কোন বিকল্প জীবনব্যবস্থা না থাকলে না হয় একটা কথা ছিল যে, জীবন তো চালাতে হবে, তাই নিরুপায় হোয়ে আর সবার মত পশ্চিমাদের দেওয়া বস্তুবাদী, ভারসাম্যহীন এই জীবনব্যবস্থাটিই (যার নাম দেওয়া হোয়েছে গণতন্ত্র) মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমাদের তো নিরুপায় অবস্থা নয়। আমাদের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনব্যবস্থা আছে যা আমাদেরকে এই অন্যায়-অশান্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে, যে জীবনব্যবস্থা তৈরি কোরেছেন স্বয়ং আল্লাহ। তাঁর সেই জীবনব্যবস্থা যদি এখনও আমরা মেনে না নেই, তাহোলে এই সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বিচারিক অঙ্গনে যে অন্যায়, অশান্তি, অবিচার সৃষ্টি হোয়েছে তার থেকে কোন শক্তি নেই আমাদেরকে রক্ষা কোরতে পারবে। কাজেই গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে পাঁচ বছর পর পর অনর্থক মাথা গোনার নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিহার কোরুন। একটা সময় গেছে যখন মানুষ পশ্চিমা সভ্যতার কথায় বিশ্বাস কোরেছে যে, ভোট তাদেরকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু বহুদিন কেটে গেছে মানুষের মুক্তি হয় নি, বরং নিজেদের নির্বাচিত সরকারের কাছেই বন্দির ন্যায় জীবনযাপন কোরছে।
একটি সহজ প্রশ্ন কোরি। গণতন্ত্রের মূল কথা বলা হয় যে, এই ব্যবস্থায় জনগণের মতের প্রতিফলন ঘোটবে। বোলুন তো জনগণ কি হরতাল চায়? জনগণ কি গুলি, বোমা, ককটেলের আওয়াজ শুনতে চায়? জনগণ কি রাজনৈতিক আর পুলিশের মারামারির মাঝে পড়ে জীবন হারাতে চায়? গুলিবিদ্ধ হোতে চায়? পঙ্গু হোতে চায়? চায় না। তাহোলে এটা কিসের গণতন্ত্র? মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধোরে একটি সংলাপের মুলো জাতির সামনে ঝুলিয়ে রাখা হোয়েছে। যারা জনগণের মুখের পানে চেয়ে, দেশের স্বার্থে এক মিনিটের জন্য নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদকে সোরিয়ে রেখে আলোচনা পর্যন্ত কোরতে সক্ষম নয়, তারা কি মানুষের জন্য রাজনীতি করে? এরই মধ্যে একটি নির্বাচন আমরা দেখলাম, কিন্তু এতে জনগণের কী লাভ হলো? সেই আগের মতই হরতাল, ভাঙচুর, ককটেল নিক্ষেপ, কাঁদানে গ্যাস, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি চোলতে থাকবে না কে বোলতে পারে? বরং আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, অতীতে যা হোয়েছে, বর্তমানে যা হোচ্ছে, ভবিষ্যতে সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। সুতরাং এখন বিকল্প সন্ধান কোরুন। নির্বাচনের নামে রাজনৈতিক চুলোচুলি পরিহার কোরুন, এই সিস্টেমটাকে পাল্টান। আসুন, আল্লাহ যে অপূর্ব সুন্দর একটি জীবনব্যবস্থা দিয়েছেন, সেটা আমরা গ্রহণ কোরি, নিজেদের পার্থিব ও পারলৌকিক জীবনকে শান্তিময় কোরি।

সার্চ করুন

যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে...